Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

আকাশ আজ কালো খুব ...

সকাল থেকেই আকাশের মন খারাপ। মানুষের মন খারাপ হলে মুখ কালো হয়ে যায়। আকাশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আকাশ কালো হয়ে আছে। বেশি কালো না। অল্প কালো। মাত্র মেঘ জমতে শুরু করেছে। আকাশকে সান্ত্বনা দেয়ার মত কেউ নেই। তার মন খারাপ সহজে ভালো হবে না। সে আরও কালো হবে। একসময় কাঁদবে। সেই কান্নাকে সবাই বৃষ্টি বলে।

নীলিমা অনেকদিন বৃষ্টিতে ভেজে না। শেষ কবে বৃষ্টিতে ভিজেছে সেটা তার মনে নেই। তার বৃষ্টিতে ভেজা নিষেধ। নিষেধ করেছেন তার মা। তার মা রাগী। কঠিন টাইপের রাগী। কঠিন রাগকে উপেক্ষা করার সাহস নীলিমার নেই। তবে আজ নীলিমার মন খারাপ। আকাশের মন খারাপ... continue reading

৬৩৯

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

কোলাহল ছেড়ে কিছুদিন

সোনাডাঙা বাসটার্মিনালে যখন ধাক্কা খেতেখেতে এসে কোচটা থামলো, তখন রাত প্রায় আটটা বেজে গেছে। আলো আধারীর আবছায়াতে দীর্ঘদিনের চেনা জায়গাটা অচেনা মনে হচ্ছে।কত শত অপরিচিত মুখ আরতাদের উৎসুক দৃস্টি ছাপিয়ে আমি নতুন আগন্তুক রিক্সায় চড়ে বসলাম। যেতে হবে অনেক দূর। শহর মাড়িয়ে গ্রাম। মৈষাঘুনির বাদাল গাঁয়ে। নদী পার হতে হবে ভেবে মনটা বিচলিত হয়ে উঠেছে।
ভৈরব নদী। নদীর পাশে জেলখানা গড়ে উঠায় ঘাটটা জেলখানা ঘাট হিসাবে পরিচিত। প্রতিদিন শত শত মানুষ এপার ওপার হয়। একমাত্র বাহন নৌকা। ইঞ্জিনের নৌকা। আঞ্চলিক নাম ভটভটি।
নৌকায় চড়া হয়না সচরাচর। আবহাওয়াটা অনুকূলে মনে হচ্ছেনা। কালো ভারী মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। ঝড়োভাব। শংকা... continue reading

৫৩৩

সালাহ্‌ আদ-দীন

১০ বছর আগে লিখেছেন

শাহদাতের তামান্নায় উদ্ভাসিত এক যুবক

  
 
মরুভুমির বেদুইন। ৬ ফুট ৯ ইঞ্চির দীর্ঘদেহী এক টগবগে যুবক! তীক্ষ্ণ তার চাহনি! অসীম তার সাহস! ঘোড়া নিয়ে ছুটে বেড়ান মুরুভুমির ধুলা উড়িয়ে। যেন মরুভুমির সাইমুম। বিরুধিদের কাছে তিনি এক আতঙ্কের নাম। যুবক তো নয় যেন সাহসের পর্বত। ধিরে ধিরে তার নাম ছড়িয়ে পড়ছে মরুভুমির আনাচে কানাছে। যিনি জীবনের কোন যুদ্ধেই পরাজিত হননি! পৃথিবীর ইতিহাসে অপরাজিত এক সেনাপতি। আল্লাহ্‌র রাসুল তার নাম দিয়েছিলেন সাইফুল্লাহ! আল্লাহ্‌র তরবারি। যিনি প্রতিটি যুদ্ধ করতেন শহীদ হবার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা নিয়ে।
 
তখনও তিনি ইসলাম ধর্মের ছায়াতলে আসেননি। মুসলমানদের সামনে তখন বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা! উহুদ যুদ্ধ! সংখ্যায় মুসলমানরা হাতে গোনা কয়েকজন।... continue reading

৬৯৭

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

হাল্কা প্রেমের গল্প

রাত হয়েছে। হিম শীতল হাওয়াতে জড়িয়ে যায় সাবেত। কিছুক্ষণ পরপর গাড়ির হর্নের আওয়াজ আসে। খুব জোরে নয়। মনে হয় আওয়াজগুলো খুব চুপে চুপে রাতের নিরবতা ভেদ করে এগিয়ে আসে। কিংবা আওয়াজটা সাবেতের কাছ হয়ে আরও দূরে গিয়ে হারিয়ে যায়।
সাবেতের হাতে সিগারেট। ধোঁয়া উড়ে। ধোঁয়াও হারিয়ে যায় বাতাসে।
বিষাক্ত ধোঁয়া কি বাতাসে চিরকাল থেকে যায়? এমন প্রশ্ন হুট করেই তার মনে আসে। সে ভাবে; আর সিগারেটে ফু-লাগায়। ধোঁয়া আবার বের হয়। আবার হারিয়ে যায়। ধোঁয়ার সাথে বাতাসের খেলা। মজা লাগে।
এমনই খেলা সে শুরু করেছিল মাসখানেক আগে। বন্ধুদের সাথে খেলা। অফিসে নতুন জয়েন করা সিনিয়র ম্যানেজার ম্যাডামের সাথে... continue reading

৯৪৯

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

ইডোলার ডায়রী...!

কফির মগে চুমুক দিয়ে সুমন বাইরে তাকালো। শান্ত বিকেল। মনোমুগদ্ধকর পরিবেশ। বারের পাশেই রয়েছে সুইমিং পুল। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা মেতেছে সাঁতারে।সে ভাবতে লাগলো কি সুন্দরই না এদের জীবন! কোন ভাবনা নেই, নেই কোন পিছু টান। এখানে আছে শুধু জীবনকে উপভোগ করার বিচিত্র প্রয়াস।সে ভাবতে ভাবতে একবারে চিন্তার গভীরে গিয়ে পৌছলো। তার ভাবনায় ছেদ পরলো-এক্সকিউমি মি বলে ঠিক তার বিপরৃত চেয়ারে বসলো এক বিদেশিনী।
বলে রাখা ভালো-সুমন একটি কনফারেন্সে যোগ দিতে মালয়শিয়ায় আগমন। উঠেছে এ মেনমেইড রিসোর্টে। রিসোর্টি পাঁচ তারকা মানের। কী নেই এখানে। জীবন বাঁচাতে আর জীবন সাজাতে তার সব কিছুই এখানে পরিপূর্ণ।পাঁচ দিনের এ কনফারেন্সে আজ তার দ্বিতীয় দিন। তার... continue reading

৫৫৪

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১০ বছর আগে লিখেছেন

মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায়

উৎসর্গ ঃ ঘাসফুল এবং বাবলা ভাই।
(‘খেয়া নৌকায় ইফতার’ নামক প্রথম আলো ব্লগে আমার গল্প পড়ে প্রিয় ঘাসফুল এবং বাবলা ভাই আমাকে গল্প লেখার জন্য যে উৎসাহ দিয়েছিলেন সেইটা আমি আজও ভুলি নাই এবং জীবনেও ভুলবো না। কারণ তাদের উৎসাহ পেয়েই আমি ঐদিন রাতেই এই গল্পটি রাত বারোটা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত একটানা লিখে শেষ করেছিলাম। কাজেই গল্পটি তাদের নামে উৎসর্গ করলাম।)
(প্রথম পর্ব)
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাকা চার মাইল মেঠোপথ পায়ে হেঁটে সন্ধার আগে আগে ভরতখালী রেল স্টেশনে এসে পৌছলাম। ঢাকার ট্রেন আসতে তখনও এক ঘন্টা দেরি। স্টেশন ঘরের সামনে পেতে... continue reading

১১ ৬৫৩

ফেরদৌসী বেগম ( শিল্পী )

১০ বছর আগে লিখেছেন

যে মেয়েটিও ছিল বিজয় দিনের উল্লাসে

       
 
 
 
 সকালের নামায শেষে বাচ্চাদের স্কুলে নামিয়ে দিয়ে এসেই আবার একটু হালকা ঘুম দিয়ে উঠল শ্যামলী। ঘুম থেকে উঠেই চোখ কচলাতে কচলাতে রান্না ঘরে গিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে নিল। সাথে একটা ডোনাট সহ চায়ের কাপটা হাতে নিয়ে টিভির সামনে এসে বসল। টিভিটা অন করতেই তার চোখে পড়ল ডিসেম্বর মাসের অনুষ্ঠান সূচী। তখনই শ্যামলী আনমনে বলে উঠল, "এটা ডিসেম্বর মাস! আশ্চর্য্য, আমার খবরই নেই। কিভাবে যে সময়টা চলে যায় টেরই পাই না।" কারণ প্রতিবারই ডিসেম্বর আসলেই তার অতীতের কিছু কথা আছে, যা তখন মনে পড়ে যায় এবং গর্ববোধও হয়। চায়ের কাপে চুমুক দিতে... continue reading

১৪ ৫৯৬

জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

১০ বছর আগে লিখেছেন

দা লাস্ট বাস

বিকালের রোদ কাঁচ ভেদ করে অমলের গালে আলতো স্পর্শ করে।গতকালের ঘটনা নিয়ে চিন্তায় ডুবে ছিল অমল।কিন্তু কিছু করার ছিল না অমলের।এই ঘটনা তার কাছে নতুন নয়  কিন্তু তবুও তা মুছে ফেলার মত না।আর ভুলবেই বা কিভাবে , তার বাবার সামনে তাকে পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া যাতা বলে গেল।কিন্তু পরক্ষনেই খেয়াল হল , এই রকম ঘটনা তো নতুন কিছু না। আগেও হয়েছে।তবুও চিন্তায় মগ্ন থাকায় হাতের চায়ের কাপে চুমুক দেয়া হয়নি।
অমলদের বাসাটা ঠিক আজিমপুরে, গলির মাথার দোকানটার ঠিক পাশেই।সেইখানে মনির মামার চায়ের দোকান। রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে গলিতে গলিতে ঘুইরা নামাজের ডাক দেয় মনির মিয়া। নামাজ শেষ হলেই দোকান... continue reading

৩৯৯

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

নন্দিনী

খুব কড়া হরতাল হচ্ছে। এইতো, এই মাত্রই একটা ককটেল ফুটল। রাস্তায় কয়েকজন লোক ছিল। ছুটে পালালো। দুরন্ত কিশোরটাও একবার ভয় মাখানো চোখে তাকালো। ছোট আকারের একটা মিছিল আসছে। সবার হাতে লাঠি ঠ্যাঙা। এবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বে এরা। মিছিলের অধিকাংশই আন্ডারকিশোর। নাকের নিচে গোঁফের রেখা দেখা যাচ্ছে কি যাচ্ছে না। কিছু করার নেই। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ।

আমার যেতে হবে টিএসসিতে। নন্দিনী এসে দাঁড়িয়ে আছে। একা আসেনি। বাক্স পেঁটরা সাথে নিয়ে এসেছে। আমার সাথে উড়ে যাবে। হয়তো নিচে তার বাবা দাঁড়িয়ে থাকবে। হাতে থাকবে দোনলা বন্দুক।

এদিকে পরছে বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি। গুঁড়ি গুঁড়ি। গুঁড়ি বৃষ্টিতে কাদা হয়... continue reading

১৩ ৩৫০

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প

রমেজার তেরটি বছর
কৃষ্ণকলি কেবলই ফুটিতে শুরু করিয়াছে। এরই মধ্যেবিদায়ের তোর জোড় শুরু হইয়াছে। আষাঢ়ের গর্জনের মত পরম পিতৃদেব জানান দিয়াগেল যে তাহার কথার অবাধ্য হইলে তিরিশ টুকরা করিয়া গাঙ্গের জলে ভাসাইয়াদেওয়া হইবে তবুও এই পাপ ঘরে রাখিবে না। আসলে সময়ের সাথে বয়সের ব্যবধানচিরকাল রহিয়াই গিয়াছে।
মক্তবের পড়া শেষ করিয়া রমেজা এখন গৃহস্থালিতে মনোযোগ দিয়াছে। কেননা নারীজীবনকে স্বার্থক করিতে হইলে ইহার বিকল্প নাই। যুদ্ধের অস্ত্র চালনারপ্রশিক্ষন আগেই নিতে হয়। তাই তেমনি করিয়া তিলে তিলে রমেজাকে গড়িয়া তোলাহইতেছে। নারী হইবার পুর্বেই তাহাকে নারী বিদ্যা শিখিতে হইবে।
উঠোনের কোনে পেয়ারা গাছটায় উঠা হয় না বহুদিন। একটা সময় আহার, তেল... continue reading

১৭ ৫৬৫