Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

আধেক চাঁদ

মেয়েটির পুরো মুখটা কখনো দেখিনি আমি। যে কবার তাকে দেখেছি, শাড়ীর আঁচল অথবা ওড়না দিয়ে, যত্ন করে মুখের অর্ধেকটা ঢেকে রাখতে দেখেছি। প্রথম যেদিন তাকে দেখেছিলাম, সেদিনের কথা আমার ঠিকঠাক মনে আছে। সকাল থেকে ইলশেগুড়ি বৃষ্টি ছিলো সেদিন, শ্রাবণের শেষ তখন । সারাদিন একটা গল্পের পিছনে ছুটে ছুটে ক্লান্ত হয়ে, শব্দ আর চরিত্রের নিষ্ঠুর অভিসম্পাত নিয়ে, বিকেলে চা এবং তামাকের তেষ্টা মেটাতে বেরিয়েছিলাম। পকেটে তখন বড় আকাল, ভরসা ছিলো চা দোকানি শরিফুল। বাকীর খাতায় হাজার পেরুলও, কি এক অদ্ভুত কারনে শরিফুল কখনো আমার কাছে টাকা চাইতনা। এবং আরো নানান ভাবে শরিফুল আমার প্রতি সদয় হতেন। আমি ভেবে পাইনি কখনো,... continue reading

১৬ ৭১৩

নূর মোহাম্মদ নূরু

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ৫৭তম মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়। ১ম বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্ব জুড়ে মানবিক মূল্যবোধের যে আকাল দেখা দিয়েছিল, তারই প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাংলা কথাসাহিত্যে আমূল পরিবর্তনের এক ধরা সূচিত হয়। মূল্যবোধের চরম সংকটময় মূহুর্তে বাংলা কথা-সাহিত্যে যে কয়েকজন লেখকের হাতে সাহিত্যজগতে নতুন এক বৈপ্লবিক ধারা সূচিত হয় মানিক বন্দোপাধ্যায় ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনিই ছিলেন বাংলা সাহিত্যের জীবনবাদী শিল্পী। কেননা তার মতো অন্য কারো লেখায় সম-সাময়িক কালের মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত বাঙালি জীবনের ট্রাজেডি ফুটে উঠতো না। জীবনের অতি ক্ষুদ্র পরিসরে তিনি রচনা করেন বিয়াল্লিশটি উপন্যাস ও দুই শতাধিক ছোটোগল্প। নিম্নবিত্ত ও সর্বহারা মানুষের ক্ষয়ক্ষতি, মনুষ্যত্বের অপচয়, ক্লেদ-হতাশা ও দু:খ বেদনায়... continue reading

৮৯৪

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প

।।১।।
সকাল থেকেই রুমেনার ঘরের সামনে প্রচন্ড ভীড়। টিনে শেড ঘরে হোগলার মাদুরপাতা। তাতে শুয়ে আছে রুমেনা ও তার দুই বছরের শিশু। শুয়ে আছে বললে ভুল হবে,বলতে হবে ঘুমিয়ে আছে। কেননা তাদের চোখ বন্ধ। নড়াচড়াও করছেনা। মানুষের উপস্থিতিতে তাদের কোন বিকার নেই। তারা সম্ভবত ঘুমিয়ে নেই। তবে কি মরে গেছে.? তাহলে কেউ কান্না করছেনা কেন? কি আশ্চর্য? মানুষ দুটো মরে পরে আছে অথচ তাদের জন্যকেই কাঁদবেনা। কিছুক্ষন পুলিশের বাঁশির হুইসেলের শব্দে লোকজন বেশ ফাঁকা হয়েগেছে। বেশ বয়স্ক একজন মহিলা জানালো এখানে তাদের কেউ নেই। ওরা দুজনই দুজনের ছিল। যাদের কেউ নেই তাদের জন্য কান্নাটা আদৌ জরুরী নয়।
।।২।।
... continue reading

৫০৪

আনমনা

১০ বছর আগে লিখেছেন

'আলোয় আলোয় আঁধার'

 
 
'আলোয় আলোয় আঁধার'
 
 
বিকেলের হাত ধরে গুটি গুটি পায়ে হেঁটে দিনটি সন্ধ্যার পথে নেমে পড়ে। কুয়াশার ঘোলাটে চাঁদর আঁধারের রঙে যেন ছাই ঢেলে দেয়। সারাদিনের ক্লান্তির চোখ আরও ঝাপসা হয়ে যায়। অপেক্ষামাণ আড্ডামুখর একটি মুহূর্তের কাছে এমন ক্লান্তির হাজারো বার পরাজয় নিশ্চিত।  
লাল রঙের একটা চাদর-ই শীতের শেষ সম্বল। গেলো তিন বছর ধরেই শীত থেকে আমায় বেশ বাচা বাঁচিয়ে যাচ্ছে। নিউমার্কেটের বাইরে থেকে ৩৫০টাকা দামে কেনা। দাম ভালো ভাবেই উসুল হয়েছে এখন চলছে বোনাস।  যদিও একটা দুটো জায়গায় একটু একটু ছিঁড়ে গেছে। মাসের শেষ, খালি পকেট জানান দিয়ে দিলো এই মুহূর্তে আরেকটা... continue reading

১৪ ৫৩৭

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প

মালবিকার সাথে আমার বয়সের বিস্তর ব্যবধান। বোধ করি অর্ধেকের কম হইবেনা। বয়সণ্ধি কালের পর কিছু বছর অতিক্রম করিয়াছে। তাকে আর ষোড়শী বলা যাইবেনা। কেহ কেহ আমার বয়স নিয়া সংশয় প্রকাশ করেন। তাদের এই সংশয়ও অমুলক নহে। তার দেহের গঠনও বয়সের সাথে সামঞ্জস্য পুর্ন নহে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়া ছাত্রীটিকে এখনো স্কুল পড়ুয়া বলেই অনুমিত হয়। ছোট্ট গোলাকার সুন্দর মুখশ্রীর অধিকারীনি কোমলতা এখনো পুর্ব ষোড়শীর ন্যায়। ত্বকে উজ্জ্বল লাবন্য। ছিপছিপে দোহারা নিরেট পেটানো শরীরের গঠন। মেঠো পথ ধরিয়া বন হরিনী ন্যায় ভীরু চঞ্চল পায়ে পথ অতিক্রম করিলে দিবাকরের আলোতে তাহাকে একখানা উড়ন্ত প্রজাপতি বলিয়া মনে হয়। কখনো মৃদু কিংবা কখনো উচ্চস্বরে... continue reading

১৪ ৪৪৪

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প

।।১।।
ময়না অপেক্ষায় থাকে কখন লাল লাইটটা জ্বলবে। লাইটটা জ্বলে উঠলেই গাড়ী গুলো একে একে থেমে যায়। ময়না মালা হাতে দৌড়ায়। ময়নার আজ মন ভাল। কারন অনেক মালাবিক্রি হচ্ছে। সিগন্যালটা ছেড়ে দিলে মায়ের পাশে এসে বসে পড়ে ময়না। - ধুর এত তাড়াতাড়ি ছাইড়া দিলো??
ময়নার মাঝে মাঝে মনে হয় গাড়ী গুলো সারাদিন দাড়িয়ে থাকুক। তাহলে তার অনেক মালা বিক্রি হবে। কিন্তু এমনটা কি কখনো হয়? এটা ময়নাও বুঝে। এইরকম প্যাচাল মাঝে মাঝে মায়ের সাথে করে। মা কেবলই হাসে।
- মা জলদি মালা গাথো। আইজ একশটার বেশী বেচতে পারুম। এখনো অনেক সময় আছে। পারুম না মা??
- হ... continue reading

১১ ৫৫৯

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

... এবং কিছু অপেক্ষার রং নীল

-হ্যালো।
-বলো নীলু।
-কতবার বলব নীলু ডাকবে না।
-বলো নীলিমা।
-কি করছো?
-শুয়ে আছি।
-নীল পাঞ্জাবীটা পরে রবীন্দ্রসরোবরে চলে এসো। হারি আপ।
-নীল পাঞ্জাবী পরা যাবে না। সরি।
-কেন?
-কাকে পায়খানা করেছে। ধোঁয়া হয়নি।
-ইয়াক! খাচ্চর।
-ঠিক বলেছো। কখন কোথায় কি করতে হবে বোঝেনা।
-আমি তোমাকে বলেছি।
-আমার মেসে বাথরুম আছে। তবে বাথরুমের দরজার সিটকানি ভাঙা। মেসের ম্যানেজার এটা ঠিক করছে না।
-বকবক করছো ক্যানো?
-আর করব না।
-জলদি আসো।
-খালি গায়ে আসলে সমস্যা হয়ে যাবে।
-খালি গায়ে আসতে বলেছে কে? শার্ট পরে আসো।
-বুকের বোতাম... continue reading

৬৭৩

মিশু মিলন

১০ বছর আগে লিখেছেন

শিবে, পারু আর ঘুণট রোদ্দুর

দুই লেনের চওড়া রাস্তার পশ্চিমপাশে একটি বেসরকারী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। হাসপাতালের গেটের পাশে একটি ব্যস্ত এ,টি,এম বুথ। বুথের পাশে ফুটপাতে সামনে ওজন যন্ত্র নিয়ে বসে থাকে একজন মধ্যবয়ষ্ক বোবা লোক। সে বারবার পথচারীদের শরীরের দিকে তাকায়, মুখের দিকে তাকায়। কেউ ওজন হয়, কেউ হয় না। পাশেই একটি চায়ের দোকান। রোগী দেখতে আসা লোকজন, হাসপতালের সামনের রাস্তায় অপেক্ষমান সি,এন, জি-ট্যাক্সিক্যাবের চালকেরা ভিড় করে চায়ের দোকানে। তারা চা-সিগারেট খায়। হাসি-তামশায় মত্ত থাকে। দু-একজন ভিক্ষুকও জুটে যায়। চায়ের দোকানে আগন্তুকদের দিকে হাত-বাড়ায়। বোবা লোকটির পাশে শীর্ণ শরীরের একজন ভিক্ষুক বসেও পড়ে। ফুটপাত ধরে মানুষ আসে, মানুষ যায়। কেউ কেউ একটা-দুটো টাকা... continue reading

১৩ ৪৩০

ইসমাইল হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

মেডিকেল রস

ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন জায়গায় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লেখা রয়েছে, ‘রশীদ ছাড়া কাউকে টাকা দেবেন না’। লেখাটা দেখি আর ভাবি, ইশ্! আমার নাম যদি মো. রশীদ হতো, তাহলে লেখাটার ঠিক পাশেই লিখে দিতাম, মি. রশীদের বিকাশ নাম্বার ০১৭১৮৬...।
আফসোস! আফসোস! আমার নাম রশীদ না!
 
মেডিকেলের খুব কম স্যারই স্টুডেন্ট লাইফে আমার আচার-আচরণ নিয়ে ভালো কিছু বলতে পেরেছেন। অথচ সম্প্রতি আমি যখন মেডিকেল থেকে ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট তুললাম, তখন দেখলাম আমাদের অধ্যক্ষ, যিনি একজন বিখ্যাত চিকিৎসকও, তিনি লিখেছেন, আচরণগত দিক থেকে আমি ভালো। আমার চরিত্রও প্রশংসনীয়! ধন্যবাদ স্যার! বড় ডাক্তারদের ডায়াগনোসিস আসলেই পারফেক্ট!
 
দুই চিকিৎসক কথা বলছিলেন। একজন... continue reading

৮৮৬

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

অবশেষে...


সজীব পঁচিশ বছরের এক টগবগে যুবক। খুবই স্বপ্নবাদী, খানকিটা আবেগীও বটে। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র। বই পড়া তার নেশা। এই বয়সেই রবীন্দ্র, নজরুল শরৎ,বঙ্কিম......এদরে অনেকের বই-ই সে পড়েছে। লেখালেখিও করে একটু আধটু। অবস্থান করে বাংলাদেশের লন্ডন শহর বলে খ্যাত সিলেটে। মানুষ গড়ার পেশা তাকে পেয়ে যায়। সেই থেকে শুরু করে পাঠদান। পাঠদান আর পাঠগ্রহন এই দুই কাজ নিয়েই ব্যস্ত এখন সজীব।
সজীবের একটা বদঅভ্যাস আছে আর তা হলো সে চরম আড্ডাবাজ আর কফিবাজ। আড্ডা আর কফি ছাড়া তার চলে না। আড্ডার জন্য বন্ধু-বান্ধব না পেলে শুরু হয় বইয়ের সাথে আড্ডা। কিন্তু এ আড্ডাতে তার কফি চাই-এ চাই ।... continue reading

৪৪৭