Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

খোন্দকার শাহিদুল হক

১০ বছর আগে লিখেছেন

আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা দিবস

উৎসর্গঃ প্রিয় সহ-ব্লগার ঘাস ফুল ভাইকে।
আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে, আগামী চল্লিশ দিনের মধ্যেই আত্মহত্যা করব। কিন্তু করলেই তো আর হবে না, যা করার তা সব দিক ভেবে-চিন্তেই করতে হবে। যেমন- কখন করব? কিভাবে করব? কোথায় করব?  করার পরে কী হবে? যে জন্য বা যার জন্য করব, সে আত্মহত্যা করেছি শুনলে কি করবে? আর এসব না ভেবে আত্মহত্যা করলে শুধু শুধু একটা জীবন বিনষ্ট করা হবে। এত বছরের কষ্টে লালিত একটা জীবন কারো কোন কাজেই আসবে না তা হয় না। আমাকে আত্মহত্যা করতে হবে ভালোবাসার জন্য এবং যুব সম্প্রদায়ের আত্মমুক্তির জন্য। যাতে বিশ্বে একটা বিশ্ব আত্মহত্যা দিবস ঘোষিত হয় ।... continue reading

১১ ৫৯৯

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

যাপিত জীবনের অজানা ইতিহাস

নর্দমা থেকে উঠে আসা মাছিটা  প্লেটের ভাতের উপর পড়লো। খুবই বিরক্তিকর। এই আকাল সময়ে, অভাবের ভেতর যখন একপ্লেট ভাতের মূল্য অনেক, তখন হারামজাদা মাছি পাশের নর্দমা থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো। তার পায়ে নিশ্চয়ই পাশের বাড়ির দারোয়ানের পেশাপ লেগে আছে। পাশের বাড়ির দারোয়ান শেখ মতিন প্রায়ই এ নর্দমায় তার কাজ সারে।  হলদে পেশাপের গন্ধে টিকা মুশকিল। তবুও এ নর্দমা ঘেষা টিনের ঘরেই আমাকে বাস করতে হয়।
কংক্রিটের অবহেলার মিথ্যামাখা শহরে নর্দমার পাশে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাওয়ার গল্প  এ দেশের ইতিহাসে লেখা হবে না। রাষ্ট্র তো যুদ্ধের কথা পুঁথিবদ্ধ করে কিংবা রাজনৈতিক চোরদের কথাও লিখে রাখে। কিন্তু আমার মতো গ্রাম থেকে... continue reading

৫৬৩

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনুগল্প- বৃষ্টি

মাঝে মাঝে খুব একা লাগে মুহিতের। আবার পরক্ষণেই ভাবে, বাসা অফিস এই ভ্যাপসা গরমের নগর জীবন। তাই হয়তো এমন হয়। মাঝে মাঝে মুহিত, আন মনে কি যেন ভাবে। কম্পিউটারের কি প্যাডে আঙ্গুল রাখতে মন চায় না। মাউজে আগুল লাগাতে খুব বিরক্ত লাগে। লজিষ্টের কাজ,,,,,,,টেবিল এ ফাইল জমতে থাকে।
কোন কিছুতে মনবসাতে পারে না কাজে। কি হয়েছে ওড়? নিজের মনে না না প্রশ্ন আঁকি বুঁকি করে। হটাত আকাশে ফেটে বৃষ্টি পরে। অফিস জানলার গ্রীল ঠেলে,মুহিতের টেবিলে ফাইলগুলো ভেজতে থাকে। তবু জানলা আটকানোর তারা অনুভব করে না মুহিত।
স্যার, স‌্যার আপনার টেবিলতো ভিজে যায়! উৎকন্ঠা নিয়ে বলে উঠে
অফিস পিয়ন বাবুল।
কি রে... continue reading

১০ ৪২২

আমির হোসেন

১০ বছর আগে লিখেছেন

::::ভালবাসার শক্তি::::

চয়ন বাস করত তার মাকে নিয়ে। ছেলের বিয়ের বয়স হওয়ায় মা চয়নকে বিয়ে করতে বলল। একদিন ঠিকই একটি মেয়েকে বউ করে নিয়ে আসল মা আর ছেলে। প্রথম কিছু দিন ভাল করে পার করলেও ধীরে ধিরে বউ-শাশুরীর দ্বন্দ শুরু হয়ে গেল। একদিন তা চরম আকার ধারন করায় বউটি তার এক দুর্সম্পর্কের জমির চাচার কাছে গেল। উনি আবার ছিল একজন কবিরাজ।
বউ ওনাকে বলল-চাচা আমাকে বাচাঁন। আমার শাশুরী আমাকে অনেক অত্যাচার করছে।
চাচা-কিভাবে সাহায্য করব?
বউ-আমাকে একটু বিষ দিন আমি ওনাকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলব।
চাচা-তাহলেতো সবাই বুঝে ফেলবে আর তোমাকে পুলিশ ধরে নিয়ে ফাসিতে ঝোলাবে। তার চেয়ে আমি তোমাকে এমন একটি... continue reading

৬৯৬

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনুগল্প-স্বপ্নভ্রম

হটাত পানিতে ঢেল ছুঁড়ার শব্দ।  আতকে উঠল ফুলি, মনে হয় স্বপ্ন দেখেছে। কি রে কি হয়েছে ফুলি? স্বপ্ন দেখেছিস। না খালাম্মা কিছু না, বলে আবার ড্রইং রুমের মেঝেতে চাদর মুড়িতে ঘুমিয়ে পরে। বাড়ীর কর্তী সুমনা। অনেক ক্ষণ ফুলির মুখ ঢাকা চাদরের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার পর কি যেন ভেবে ঘুমাবার ঘরে শুয়ে পরে।
রাত বাড়তে থাকে, সাথে সাথে ফুলির খালাম্মা সুমনা খাটে গভীর অচেতন, স্বপ্নেরা কড়া নারে। সুমনার বিভ্রম মনের প্রেত্মা বোধ হয়; সুমনার সস্মুখে দাড়িয়ে প্রশ্ন করে।
কিরে সুমনা, কেমন তোর বুদ্ধি, তোর মেয়ে শ্রেয়ার মত ফুলি আর এই ফুলিকে তোর কাজের মেয়ে করলি?
তোর শ্রেয়ার জন্য তোর... continue reading

১০ ৩৯৬

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিরকুট

 
শেষ রাতে দেবদুত এসে জানিয়ে গেলেন তোমাকে যেতেই হবে। সাথে সাথে প্রশ্ন করলাম কেন যেতে হবে। বিধাতা কি একা হয়ে গেছেন। তিনি কি তার স্বর্গপুরীতে সন্তুস্ট নন। দেবদুত উত্তর না করেই আবারও জানিয়ে দিলেন তোমাকে যেতেই হবে। এবার মনে পড়লো দেবদুতের এর চেয়ে বেশী বলার ক্ষমতা নেই। কেননা দেবদুত বিধাতার ইচ্ছায় চলেন বিধাতার শিখিয়ে দেয়া বুলিতে কথা বলেন। তার নিজের কোন চিন্তা শক্তি নেই। নেই সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতাও।
বিধাতা অসীম ক্ষমতাবান। তাই তিনি তার ক্ষমতা প্রদর্শনের নানা কৌশল করে থাকেন। তার অসীম ক্ষমতা বলে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল সেই সাথে আঠার হাজার মতান্তরে আটাশ হাজার প্রকারে জীব সৃষ্টি... continue reading

৪২১

কালপুরুষ

১০ বছর আগে লিখেছেন

হীরের ঘাসফুল

হীরের ঘাসফুল
তোমার স্যাঁতসেঁতে মনে প্রেমের তাপ ছড়াতে ছড়াতে একদিন আমার ভালবাসা ছাইচাপা আগুনে বদলে গেল। তুমি অবিশ্বাসী চোখে সেই ছাই হাতড়ে দেখলে, সেখানে কোন মাণিক-রতন নেই আছে মূল্যহীন প্রেম। অবশেষে অবিশ্বাসের ভাঙ্গা কুলায় একদিন সেই ছাই উড়িয়ে দিলে পথের ধূলোয়। তুমি ঘুনাক্ষরেও টের পাওনি সেই ছাইয়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিল অযত্নে ফেলে রাখা প্রেম নামের হীরের নাকফুল। একদিন ভালবেসে আমিই তোমাকে সেই নাকফুলটা দিয়েছিলাম। কখন যে মনের অজান্তে সেই হীরের নাকফুল ভালবাসার আগুনে পুড়তে পুড়তে আর আমার চোখের জলে ভিজতে ভিজতে ফুলের বীজ হয়ে গেছে, কেউ তা জানতে পারিনি। সেদিন ছাই ভেবে পথের ধূলোয় যে প্রেমবীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলে আজ সেই... continue reading

১১ ৪৬৯

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

পাহাড় আসলে সমুদ্রের ঢেউয়ের মত

সবুর শক্তপোক্ত পুরুষ। বয়স যখন পনের ষোল, তখন থেকে বাবার সাথে সমুদ্রে যাতায়াত। বছর চারেক সমুদ্রের ঢেউয়ের সাথে লড়ে শরীরে একটা শক্ত গাঁথুনি এসেছিলো তখন, সমুদ্র ছেড়ে পাহাড়ে এলে, দিনে দিনে সে গাঁথুনি শক্ত জমাট বাঁধে। রাতভর ফরেষ্টাফিসের চৌকিদারি, এই সময়টা সবুরের সবছেয়ে প্রিয় সময়। নিজের অতীত, চর সোহাগী। কি নির্মম ভাবে সমুদ্রের ঢেউয়ে ভাসতে ভাসতে সে পাহাড়ে উঠে এলো, সেই সব সময় শুধু রাতেই জীবন্ত হয়ে উঠে সবুরের চোখে, মনে। দিনের অর্ধেক বেলাঅব্দি ঘুমিয়ে জেগে উঠে, দুপুরে খাবার খেতে খেতে, মেয়ে আর মনসুরার সাথে টুকটাক সাংসারিক কথা, কম বলে বেশী শুনতে শুনতে সূর্য্য পশ্চিমে অনেকটা নেমে এলে, নিত্যদিনের... continue reading

১৩ ৮৭৯

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

অনুগল্প- না দেখাই ভাল ছিল

সাদা পাঞ্জাবি পায়জামা, বেশ লাগে সুমন সাহেব কে। মনে হয় সেই বৃটিশ বিরোধী আন্দলোনের সময়ের বাম নেতাদের মত। যদিও সুমন সাহেবের বয়স এখন ষাট ছুঁই ছুঁই করছে। বাংলার একাত্তরের মুক্তি যুদ্ধে টগবগে কলেজ ছাত্র। বাম রাজনীতিতে জুড়িয়ে পরেন। যুদ্ধের ডামাডোলে ঝাঁপিয়ে পরে যুদ্ধে। যুদ্ধ শেষে যখন বাড়ী ফিরলেন, তখন স্কুল মাষ্টার বাবা,মা,এক ভাই বোন কেউ বেঁচে নাই। মুক্তিযুদ্ধে হন্তারক বাহিনী তাদেরকে হত্যা করেছিল। সেই কষ্টের আঁধার মাখা বুকে শান্তনা বাতাস বয়ে দিল খুঁজে পাওয়া ক্লাসমেট লোপা। লোপার সান্নিধ্যে বেশ কাটল কিছু সময়। কিন্তু সুমন সাহেব, লোপাকে ধরে রাখতে পারলেন না। কয়েক মাসের মধ্যে লোপার বিবাহ হল, পুরান ঢাকার এক... continue reading

১৫ ৪৩৩

কালপুরুষ

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভুলে থাকা

ভুলে থাকা
তুমি আমি একদিন প্রতীজ্ঞা করেছিলাম, দুজন দুজনকে ভুলে যাবো। কেউ কাউকে কখনো মনে করবোনা, ভুলেও না। মাঝে মধ্যে ঝালিয়ে দেখতাম, সত্যিই ভুলে গেছি কিনা! আত্মতৃপ্তিতে বিগলিত হতে পারিনি কখনো। ভুলে যাওয়ার কথা মনে করা মানেই তোমাকে ভুলতে না পারা। তোমার কথা জানিনা, বলোনি মুখে। একদিন হঠাৎ ফোন করে বলেছিলে- দেখলেতো কতটা বছর তোমাকে ভুলে আছি। ভুলেও কথা বলিনি। অথচ একদিন ঘন্টার পর ঘন্টা কথা না বললে আমার সারাটাদিন অসহ্য লাগতো। রাতটা নির্ঘুম কাটতো। সেই আমি আজ তোমাকে কেমন ভুলে গেছি! তুমি কিন্তু আমাকে ভুলতে পারোনি। ফোনে আমার কন্ঠস্বর শুনেই বুঝে নিয়েছিলে আমি কে। জিজ্ঞেস করেছিলে- অনি, কেমন... continue reading

৪৪৭