Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভ্রমণ ডায়রী-১৩

হোটেল ম্যারিটিমে চলছে বীচ পার্টি।বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পযর্টকরা আনন্দে মাতোয়ারা। স্থানীয় 'বুমবুম' শিল্পীগোষ্ঠী গান গেয়ে সবাইকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।এই নিঝুম রাতে এখানে অন্য এক ভূবন ভুলানো আনন্দের পরশ। সবাই উপভোগ করছে এই উপভোগ্য আয়োজন।বুফে ডিনারে যে যার পছন্দ অনুযায়ী খাবার নিয়ে টেবিলে বসে যাচ্ছে।সেই সাথে পৃথিবীর সকল নামী-দামী পানীয়ও। আমার টেবিলে বসা মাইক আর তার গার্ল ফ্রেন্ড সিলভিয়া।দু'জনই অমায়ীক, সদা হাসিখুসি।দু'জনেই অষ্ট্রেলিয়ান। মাইক এর বাবা একজন ট্রেম্বার মার্চেন্ড।ছাত্র অবস্থায় প্রেমে পড়েন এক নারীর। সেখানেই সম্পর্ক।তারপর মাইকের আগমন। না, তাদের মধ্যে কোন বিয়ে হয়নি।মাইকের জম্মের পর তাকে দিয়ে দেওয়া হয় বেবী নার্সিং হোমে। সেখানেই বেড়ে ওঠা মাইকের।মা উচ্ছতর ষ্টাডির জন্য পাড়ি জমান কানাডায়।সেখানেই এক কানাডিয়ানকে বিয়ে করে থেকে যান।মাইক পায়নি তার মায়ের ভালোবাসা। বাবা এক সন্তানকে নিয়ে লিভ টুডেদার করে কাঠিয়ে দিচ্ছেন জীবন।
মাইক এখন অস্টেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটিতে পানি সম্পদ নিয়ে পড়ছে।সেখানেই পরিচয় হয় সিলভিয়ার সাথে। হোষ্টেলে এক সাথেই থাকে তারা। সিলভিয়ার বাবা জাপানি এবং মা অষ্টেলিয়ান। বাবা অষ্টেলিয়ার এক তেল কোম্পানীতে চাকুরী করেন।সেখানেই পরিচয় হয় সিরভিয়ার মা'র সাথে। সেই থেকে শুরু্ এটা সিলভিয়া মা'র তৃতীয় বিবাহ। সিলভিয়ার জম্মের পর তার মা অন্য একজনের সাথে থাকেন। সিলভিয়া রয়ে গেছে তার বাবার সাথে।যদিও বছরে একবারই বাবার সাথে দেখা হয় আর সেটা বড়দিন উপলক্ষ্যে। সিলভিয়া আর মাইকের সম্পর্কটা বছর তিনেকের।এটা সিলভিয়ার দ্বিতীয় এবং মাইকের চতুর্থ।
আমরা কথা বলছি আর দেখছি এই মনেমুগ্ধকর অপূর্ব এই আয়োজনের খুটিনাঠি সব কিছু।সবাই মগ্ন ডিনারে। কাটা চামচের টুংটাং আওয়াজ, আর সুরেলা গানে জমে উঠেছে রাতের এই বীচ পার্টি।গানের দল বুমবুম সবার টেবিলে গিয়ে গিয়ে বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে আনন্দ দিচ্ছে, সে এক নয়ন মনোহর দৃশ্য।মনে মনে ভাবছি-
এ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    দাদা

    অসাধারণ কবিতা

    স্যালুট না দিয়ে পারছি না

    অভিনন্দন--------

    - মো: মালেক জোমাদ্দার

    লিটন ভাই খুব খুশি হলাম । আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা।

    - মাসুম বাদল

    চমৎকার লিখেছেন,ভাই...

    • - মো: মালেক জোমাদ্দার

      আপনাকে ধন্যবাদ

      ও শুভকামনা ।

    Load more comments...

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভ্রমণ ডায়রী-১২

শিলিগুঁড়ি থেকে কলকাতা।পছন্দের বাহন ট্রেনে চেপে যাচ্ছি।কলকাতার টিকিটের যা অবস্থা!তৎকাল টিকিট কেটে সে যাত্রা রক্ষা।নিউ জলপাইগুড়ি ষ্টেশনে এক ঘন্টা লেট করার পর ট্রেনের আগমন। চারিদিকে মানুষের আনাগোনা।সবাই ব্যস্ত সিট খোঁজা নিয়ে।আমিও এগিয়ে গেলাম আমার সিটের দিকে।চল্লিশ নম্বর সিট আমার।আমার পাশে এক দাদা, অপর পাশে এক দিদি।দু'জনের মধ্য মণি হয়ে আমি বসে আছি অনেকটা নিশ্চুপ হয়েই।পাশের দাদা চা অর্ডার দিয়ে, আমার দিকে চা এগিয়ে দিলেন। ভদ্রতা বশত হাতে নিয়ে চুমুক দিলাম।দিদিকে অফার করলেন কিন্তু তিনি খেলেন না।দাদা হরি বোস। পেশায় একজন ব্যবসায়ী।বয়স চল্লিশের কোঠায়।সংসারে বিধবা দিদি আর দিদির এক মেয়ে নিয়ে হরি বোসের সংসার।বোনাই বিষাক্ত মদ খেয়ে একদিন মারা যায়। তারপর থেকে বোন তার সংসারে।হরি বোস বিয়ে করেছিলেন এক ধনীর মেয়েকে।যাতে করে আরও তাড়াতাড়ি ধনী হওয়া যায়।থাকতেন কলকাতার সল্ট লেকে্ শ্বশুড়ের বাংলোয়।হরদম যাতায়াত করতেন পার্ক ষ্টীটের নামীদামী রেস্তোরা এবং বারে। আকণ্ঠ মদ পান করে বাসায় ফিরতেন।স্ত্রীও বান্দবীদের নিয়ে ঘুড়ে বেড়াতো এখানে সেখানে। হরিবোস একদিন বুঝতে পারলেন এ জীবন কোন জীবন নয়। তাই তিনি ভালো হওয়ার সিধান্ত নিলেন। মন্দিরে গিয়ে পুরোহিতের কাছ থেকে এক তাবিজও নিলেন। তারপর বাসায় এসে স্ত্রীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলেন। কিন্তু না স্ত্রী আর এলো না। তিন মাস পর জানতে পারলেন বান্দবীর স্বামীকে নিয়ে সে পালিয়েছে।সে দুঃখে তিনি আর বিয়ে করলেন না।
এরি মধ্যে খাবার পরিবেশন শুরু হলো।আমি পরে খাবো বলে রেখে দিলাম। হরি বোস খাবার খেয়ে উপরে চলে গেলেন শুতে। আমি আর দিদি বসে বসে চারপাশের দৃশ্যগুলো দেখে যাচ্ছি। কেমন যেন গোমোট অন্ধকার। ট্রেন চলছে দ্রুত গতিতে। উপর থেকে হরি বোস চেচিয়ে বলছে- খেয়ে-দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুন আর বাতিটা বন্ধ করে দিন দাদা।নিচের সিটটা আমার আর মধ্যেটা... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    পাপের অনুশোচনা বোধ জাগ্রত হওয়া ভালো ব্যাপার। এতেই পাপ কেটে যায়। উপরের উনিই অনুশোচনার মাধ্যমে সেটা কাটিয়ে দেন। 

    ভালো লাগলো কবিতা। 

    - রুদ্র আমিন

    তাই যেন হয় জাকিয়া জেসমিন যূথী। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

    - মাসুম বাদল

    বেশ ভালো লাগলো ...

    Load more comments...

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিবেকের কাছে প্রশ্ন?

  মানুষের মনুষ্যত বোঝা বড় দায়
এই রং ধরে, এই রং বদলায়!

বিবেকের কাছে বিবেক দিয়ে করে না বিচার
সত্য-সুন্দর ফেলে দিয়ে, আকড়ে ধরে অনাচার!

মনের মণি কোঠায় বিষাক্ত নিকোটিন বিষ
অন্যের সুখে তাই মন করে হিসফিস!

মানুষ আমরা জাতিতে সভ্য
তবে কেন মোরা হই নিস্ব!

ভেদাভেদ কেন তবে ভাইয়ে ভাইয়ে
হিংসা হয় কেন ওর বড়ত্ব দেখে!
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - আলভী

    ভুতের গল্প লিখতে হলে আগে নিজেকে ভুত হতে হয় তারপর ভৌতিক গল্প লিখতে হয়। ভৌতিক গল্প লিখতে গিয়ে সামান্য তেলাপোকার কাছে ধরাশয়ই হওয়াটা একজন ভৌতিক লেখকের গুনের মধ্যে পড়েনা। আবার নিজ বাসায় অজানা আতংকে ছোট ভাইয়ের দুষ্মমিতে মূর্ছা যাওয়াটা এই গল্পকারের কাছে মেনে নেয়া যায়না। সামান্য ছবির কাহিনী দেখে নিজেকে বাস্তবতায় তুলে ধরাটাও মেনে নিতে পারছিনা। নীলক্ষেতের বই এর দোকানদারের সাথে সংলাপটা দারুন লেগেছে। আপনি বাস্তব ঘটনা অসম্ভব ভালো উপস্হাপন করতে পারেন এ ব্যঅপারে সন্দেহের কোন অবকঅম নেই। অনেক ভাল লাগলো আপু আপনার লেখা ধন্যবাদ।

    • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

      গল্পের সাথে যে প্রচ্ছদ সেটাও কিন্তু আমিই বানিয়েছি। গল্পটার সাথে মানানসই করেই। সেটা সম্পর্কেও যদি কিছু বলতেন। আপনি কি ছবি বুঝেন?? যা-ই বুঝেন, শেয়ার করতেন যদি ভালো লাগতো। 

    • Load more relies...
    - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

      ভালো লাগলো বোন যূথী। অসংখ্য ধন্যবাদ।

    • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

      আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, ভাইয়া। 

    - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    পরে সময় করে পড়ে নেব। ধন্যবাদ দিয়ে গেলাম।

    • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

      অনেক ধন্যবাদ। পরে কিন্তু বিস্তারিত বক্তব্য চাই। 

    • Load more relies...
    Load more comments...

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

মালয়শিয়া ভ্রমণ

দীর্ঘ দশ দিন মালয়শিয়া ভ্রমণ শেষে এখন দেশের মাটিতে।ইউনেস্কো'র আমন্ত্রণে ইয়ুথ এশিয়া কনগ্রাস এর সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছিল কার্টিন ইউনিভার্সিটিতে, এটা অবস্থিত মালয়শিয়ার একেবারে শেষ প্রান্তে মিরিতে।এই দশদিন বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন কালচার সাথে পরিচিত হয়েছি, ঠিক তেমন পরিচয় করিয়ে দিয়েছি বাংলাদেশের সব ঐতিহ্যবাহী খাবার, স্থাপনা, আর কালচারের সাথে। তারা অবিভূত, মুগ্ধ এবং বিষ্ময়ে হতবাক! বাংলাদেশের কালচার এতো উন্নত?
 
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - নুসরাত জাহান আজমী

    কোত্থেকে আসে এতো ভালো ভালো কবিতা?? বল তো?? তোমার কবিতা দেখলে সহজে মিস করিনা। ভালো লাগে পড়তে...

    • - আলভিনা চৌধুরী

      তোমার কবিতা দেখলে সহজে মিস করিনা। -- অনেক বেশি অনুপ্রেরণা দিয়ে দিলেন ! ধন্যবাদ আপু ! পাশে থাকবেন আশা করি/। 

      ভালো আছেন তো ? 

    - জাহাঙ্গীর আলম

    মৃ-অতন্দ্রিলা'র মায়াকথন ভাল লাগল ৷ 'কান্নার মত নীল'-উপমা ভিন্নধর্মী ৷ শিরোনামও অসাধারণ ও সমার্থক ৷

    • - আলভিনা চৌধুরী

      সুন্দর মতামতের জন্য অনেক শুভেচ্ছা আর ধন্যবাদ ! 

      ভালো থাকুন  

    - কে এম রাকিব

    অকারণ জেগে থাকা এক চিলতে চুপচাপ মায়ার জন্য - আমি খুব ভালো আছি

    ছুয়ে যাওয়ার মত পঙতি।
    কবিতার ভাষা খুব সাবলীল। কিন্তু এই সাবলীলতা অর্জন খুব কঠিন জানি।বোঝাই যাচ্ছে সেই  'কঠিনেরে' ভালবেসেছেন

    আগামী কবিতা পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
    ভাল থাকুন।
     

    Load more comments...

বদরুল ইসলাম

১০ বছর আগে লিখেছেন

হৃদয় গঙ্গায়

  চলে এসো বকুলতলায়-
চোখে চোখ রেখে হারাবো দূর অজানায়।

ঝিঁ ঝিঁ পোকার আলো হয়ে-
ভেসে যাবো নীল জোছনায়।

শরতের কাশফুলের ন্যায়-
মেঘ হয়ে বৃষ্টি ঝড়াবো এ ধরায়।

পাল তোলা নৌকার মতো-
ছুটে চলবো হৃদয় গঙ্গায়।

বুনো হাঁসের মতো দলবেঁধে
ছুটে চলেবা আজানা গন্তব্যে।


continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (3)

  • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

    " কম্যুনিস্ট এবং মুসলিমদের মধ্যে একটি বিষয়ে ফারাক আছে তাহা হইল আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস।" 

    এই কথাটা একটু ক্লিয়ার করবেন কি !!! 

    • - শাহআজিজ

      মুসলিমরা আল্লাহ বা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী , কম্যুনিস্টরা অবিশ্বাসী । তাদের উভয়ের কার্যক্রম রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং তা সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে । উভয়েই একসাথে আহার ও অন্যান্য কাজ করে যা ভিন্ন পথের লোকেরা করেনা ।

    • Load more relies...
    - লুৎফুর রহমান পাশা

    হা হা

    সেইরকম দিলেন আজিজ ভাই

    • - ঘাস ফুল

      আজিজ ভাই সেইরকম দিতে যাইয়া গুলাইয়া ফালাইছে পাশা ভাই। বলতে পারেন উনার জন্য বুমেরাং হয়েছে। উনার বক্তব্যে তথ্যগত ভুল আছে। কারণ কম্যুনিজমে নাস্তিকতার কথা বলা নাই। বলা আছে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা। ওপরে অর্ক দুইটা মন্তব্য করেছে, সে দুটো আজিজ ভাইয়ের ভালো ভাবে পড়া উচিৎ। তাতে হয়তো উনার ভুলটা কিছুটা ভাঙবে। প্রবাদ আছে, 'যাকে দেখতে নারী, তার চলন বাঁকা'।। মনে হয় মেনন সাহেবরা নিয়া আজিজ ভাইয়ের ওই সমস্যা আছে। 

    • Load more relies...
    - গোলাম মোস্তফা

    কি যে লিখলেন ভাইজান মাথা নষ্ট হয়ে গেল 

    আপনার সাথে তর্ক যুদ্ধে জাব না কিন্তু শুধু বলি 

    যে বিষয়ে লিখবেন সেই বিষয়ে বিস্তর না জেনে লিখবেন না । মাথা নষ্ট হয়ে যায় 

    আশা করি আপনার নিজের ভুল নিজেই বের করে নিবেন 

    মন গড়া কন কিছু লিখে ব্লগ এর পাতা ভরবেন না 

    অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য 

    আমার কোথায় আপনার মাথা গরম হলে এক কাপ গরম চা পান করুন 

     

     

    Load more comments...
Load more writings...