হোটেল ম্যারিটিমে চলছে বীচ পার্টি।বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পযর্টকরা আনন্দে মাতোয়ারা। স্থানীয় 'বুমবুম' শিল্পীগোষ্ঠী গান গেয়ে সবাইকে আনন্দ দিয়ে যাচ্ছে।এই নিঝুম রাতে এখানে অন্য এক ভূবন ভুলানো আনন্দের পরশ। সবাই উপভোগ করছে এই উপভোগ্য আয়োজন।বুফে ডিনারে যে যার পছন্দ অনুযায়ী খাবার নিয়ে টেবিলে বসে যাচ্ছে।সেই সাথে পৃথিবীর সকল নামী-দামী পানীয়ও। আমার টেবিলে বসা মাইক আর তার গার্ল ফ্রেন্ড সিলভিয়া।দু'জনই অমায়ীক, সদা হাসিখুসি।দু'জনেই অষ্ট্রেলিয়ান। মাইক এর বাবা একজন ট্রেম্বার মার্চেন্ড।ছাত্র অবস্থায় প্রেমে পড়েন এক নারীর। সেখানেই সম্পর্ক।তারপর মাইকের আগমন। না, তাদের মধ্যে কোন বিয়ে হয়নি।মাইকের জম্মের পর তাকে দিয়ে দেওয়া হয় বেবী নার্সিং হোমে। সেখানেই বেড়ে ওঠা মাইকের।মা উচ্ছতর ষ্টাডির জন্য পাড়ি জমান কানাডায়।সেখানেই এক কানাডিয়ানকে বিয়ে করে থেকে যান।মাইক পায়নি তার মায়ের ভালোবাসা। বাবা এক সন্তানকে নিয়ে লিভ টুডেদার করে কাঠিয়ে দিচ্ছেন জীবন।
মাইক এখন অস্টেলিয়ার কার্টিন ইউনিভার্সিটিতে পানি সম্পদ নিয়ে পড়ছে।সেখানেই পরিচয় হয় সিলভিয়ার সাথে। হোষ্টেলে এক সাথেই থাকে তারা। সিলভিয়ার বাবা জাপানি এবং মা অষ্টেলিয়ান। বাবা অষ্টেলিয়ার এক তেল কোম্পানীতে চাকুরী করেন।সেখানেই পরিচয় হয় সিরভিয়ার মা'র সাথে। সেই থেকে শুরু্ এটা সিলভিয়া মা'র তৃতীয় বিবাহ। সিলভিয়ার জম্মের পর তার মা অন্য একজনের সাথে থাকেন। সিলভিয়া রয়ে গেছে তার বাবার সাথে।যদিও বছরে একবারই বাবার সাথে দেখা হয় আর সেটা বড়দিন উপলক্ষ্যে। সিলভিয়া আর মাইকের সম্পর্কটা বছর তিনেকের।এটা সিলভিয়ার দ্বিতীয় এবং মাইকের চতুর্থ।
আমরা কথা বলছি আর দেখছি এই মনেমুগ্ধকর অপূর্ব এই আয়োজনের খুটিনাঠি সব কিছু।সবাই মগ্ন ডিনারে। কাটা চামচের টুংটাং আওয়াজ, আর সুরেলা গানে জমে উঠেছে রাতের এই বীচ পার্টি।গানের দল বুমবুম সবার টেবিলে গিয়ে গিয়ে বাদ্য-বাজনা বাজিয়ে আনন্দ দিচ্ছে, সে এক নয়ন মনোহর দৃশ্য।মনে মনে ভাবছি-
এ...
continue reading
Comments (0)
দাদা
অসাধারণ কবিতা
স্যালুট না দিয়ে পারছি না
অভিনন্দন--------
লিটন ভাই খুব খুশি হলাম । আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা।
চমৎকার লিখেছেন,ভাই...
আপনাকে ধন্যবাদ
ও শুভকামনা ।