খুব কড়া হরতাল হচ্ছে। এইতো, এই মাত্রই একটা ককটেল ফুটল। রাস্তায় কয়েকজন লোক ছিল। ছুটে পালালো। দুরন্ত কিশোরটাও একবার ভয় মাখানো চোখে তাকালো। ছোট আকারের একটা মিছিল আসছে। সবার হাতে লাঠি ঠ্যাঙা। এবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেই ছাড়বে এরা। মিছিলের অধিকাংশই আন্ডারকিশোর। নাকের নিচে গোঁফের রেখা দেখা যাচ্ছে কি যাচ্ছে না। কিছু করার নেই। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ।
আমার যেতে হবে টিএসসিতে। নন্দিনী এসে দাঁড়িয়ে আছে। একা আসেনি। বাক্স পেঁটরা সাথে নিয়ে এসেছে। আমার সাথে উড়ে যাবে। হয়তো নিচে তার বাবা দাঁড়িয়ে থাকবে। হাতে থাকবে দোনলা বন্দুক।
এদিকে পরছে বৃষ্টি। গুঁড়ি গুঁড়ি। গুঁড়ি গুঁড়ি। গুঁড়ি বৃষ্টিতে কাদা হয় বেশি। কিছু কাদা প্যান্টের পায়ের কাছের ভাঁজে ঢুকে গেছে। বিশ্রি অবস্থা।
-কি অবস্থা তোমার? ইয়াক!
-তোমার অবস্থাও তো খুব একটা সুবিধার না।
-বাজে বলো না। টাকা এনেছো?
-আমি টাকা পাবো কোথায়?
-মানে!
-ফোনটা দাও। বিয়ে করার আগে কয়েকজনের দোয়া নিতে হবে।
-কার দোয়া?
-বড়লোক বন্ধুর।
-ফকির একটা।
-তুমি ফকিন্নি।
-মোটেও না।
-আসলেই না। তুমি সুন্দরী ফকিন্নি।
-তুমি কি?
-বখাটে ফকির।
-আর?
-ভালোবাসি।
-না।
-সত্যিই না।
-কি!!
-বেশি ভালোবাসি।
হটাৎ করেই আরেকটা ককটেল ফুটল। বুম! বুম শব্দটাকে আপন মনে হচ্ছে খুব। কারণ নন্দিনী একটা হাত ধরে ফেলেছে। গায়ের কাছাকাছি ঘেঁসে এসছে। পারফিউমের গন্ধটা সুন্দর লাগছে খুব। নামটা এক ফাঁকে জেনে নিতে হবে। হয়তো কোন এক হরতালের সময় গিফট করে দেবো।
Comments (13)
সাতেও নাই পাঁচেও নাই
ধনী গরিব ভাই ভাই
অনেক ধন্যবাদ
সমসাময়িক বাস্তবতার ছবি!
ভালো লাগা রইলো
:) :) ধন্যবাদ
চমৎকার হয়েছে আপু।
ধন্যবাদ আমিন ভাইয়া