স্বাস্থ্যকথন
একটি প্রবাদ বাক্য আছে যা আমরা সকলেই জানি। সেটি হচ্ছে,
“স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল”
এ কথাটি আমরা সকলে জানলেও কয়জন তা অনুধাবন করতে পারি তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অনুধাবনের আগে জেনে নেওয়া দরকার আসলে স্বাস্থ্য বলতে আমরা কী বুঝি।
১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যের একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন।
“Health is a state of complete physical, mental and social well-being and not merely the absence of disease or infirmity.”
অর্থাৎ " সুস্বাস্থ্য হলো পরিপূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতা এবং কেবলমাত্র রোগ বা বৈকল্যের অনুপস্থিতি নয়। "
তাই বলা যায় সুস্বাস্থ্য মানবজীবনে একটি অমূল্য সম্পদ। আত্নশক্তি, জ্ঞান, চরিত্র ও মনুষ্যত্ব বিকাশের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সুস্বাস্থ। স্বাস্থ্য বলতে যে শুধু মোটা মেদবহুল শরীর বোঝায় না; চিকন, হালকা-পাতলারাও হতে পারে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। পরিমিত আহার, বিশুদ্ধ বায়ু সেবন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রধান উপায়। স্বাস্থ্যহীন লোক সমাজ ও পরিবারের কোনো উপকার করতে পারে না। অসুস্থরা কোনো অনুষ্ঠান কিংবা খেলাধুলায় ঠিকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ক্রমে তার চিন্তাশক্তি, কর্মশক্তি, বিচারশক্তি ও স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে। একজন মানুষ বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হতে পারে, যেমন,
-অনিয়মিত আহার,
-অপরিষ্কার থাকা,
-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস এবং
-অসুখ-বিসুখে সুচিকিৎসা না করা,
-নিয়ম শৃঙ্খলা না মানা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মাথা পিছু আয় কম। তাই মানুষ শুধু একটি কাজের মাধ্যমে সকল চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাই দিনের প্রায় সকল সময় মানুষ কাজের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে। এই ছুটে বেড়াতে গিয়ে বিশেষ করে ঢাকা শহরে যারা বাস করেন তারা প্রায় সবাই বাইরের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। রেস্টুরেন্ট ও খোলা খাবারের দোকানগুলোতে নিম্নমানের মসলা, ভেজাল তেলসহ অনেক...