Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

স্বাস্থ্যকথন

একটি প্রবাদ বাক্য আছে যা আমরা সকলেই জানি। সেটি হচ্ছে,
“স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল”
এ কথাটি আমরা সকলে জানলেও কয়জন তা অনুধাবন করতে পারি তা নিয়ে সন্দেহ আছে। অনুধাবনের আগে জেনে নেওয়া দরকার আসলে স্বাস্থ্য বলতে আমরা কী বুঝি।
১৯৪৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যের একটি সংজ্ঞা দিয়েছেন।
“Health is a state of complete physical, mental and social well-being and not merely the absence of disease or infirmity.”
অর্থাৎ " সুস্বাস্থ্য হলো পরিপূর্ণ শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক সুস্থতা এবং কেবলমাত্র রোগ বা বৈকল্যের অনুপস্থিতি নয়। "
তাই বলা যায় সুস্বাস্থ্য মানবজীবনে একটি অমূল্য সম্পদ। আত্নশক্তি, জ্ঞান, চরিত্র ও মনুষ্যত্ব বিকাশের একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে সুস্বাস্থ। স্বাস্থ্য বলতে যে শুধু মোটা মেদবহুল শরীর বোঝায় না; চিকন, হালকা-পাতলারাও হতে পারে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী। পরিমিত আহার, বিশুদ্ধ বায়ু সেবন এবং নিয়মিত শরীরচর্চা সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার প্রধান উপায়। স্বাস্থ্যহীন লোক সমাজ ও পরিবারের কোনো উপকার করতে পারে না। অসুস্থরা কোনো অনুষ্ঠান কিংবা খেলাধুলায় ঠিকভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে না। ক্রমে তার চিন্তাশক্তি, কর্মশক্তি, বিচারশক্তি ও স্মৃতিশক্তি লোপ পেতে থাকে। একজন মানুষ বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হতে পারে, যেমন,

-অনিয়মিত আহার,
-অপরিষ্কার থাকা,
-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বসবাস এবং
-অসুখ-বিসুখে সুচিকিৎসা না করা,
-নিয়ম শৃঙ্খলা না মানা।
অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে মাথা পিছু আয় কম। তাই মানুষ শুধু একটি কাজের মাধ্যমে সকল চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাই দিনের প্রায় সকল সময় মানুষ কাজের সন্ধানে ছুটে বেড়াচ্ছে। এই ছুটে বেড়াতে গিয়ে বিশেষ করে ঢাকা শহরে যারা বাস করেন তারা প্রায় সবাই বাইরের খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। রেস্টুরেন্ট ও খোলা খাবারের দোকানগুলোতে নিম্নমানের মসলা, ভেজাল তেলসহ অনেক...

Read More
Health Image +

৩ মাসে ওজন কমান

আসুন জেনে নেই তিন মাসে কিভাবে ওজন কমাবেনঃ
১। দিনের শুরুটা সুন্দরময় করতে খুব সকালে উঠুন।
২। ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস পানি পান করুন।
৩। খোলামেলা জায়গায় এক ঘন্টা ব্যায়াম করুন।
৪। এরপর ফল খান। সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ফল খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৫। ব্রেকফাস্ট এর জন্য দুধ দিয়ে সেদ্ধ শস্য বা টোস্ট খান।
৬। ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পরে সিদ্ধ সবজি খান।
৭। যখন আপনি ক্ষুধার্ত অনুভব করবেন তখন স্যুপ এবং অনেক পানি পান করুন।
৮। ভাজা বাদাম পরিহার করুন। তবে সিদ্ধ বাদাম খাওয়া যেতে পারে।
৯। মাংস পুরোপুরি পরহার করতে হবে। যদি তা না পারেন তবে মাঝে মাঝে সিদ্ধ মাংস খেতে পারেন।
১০। আপনি যদি মহিলা এবং স্টুডেন্ট হন তবে সবসময় এক বোতল পানি নিয়ে বাইরে বের হন।
১১। কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস অবশ্যই পান করুন।
১২। সন্ধ্যার সময় আশেপাশে ১ ঘন্টা হেঁটে নিতে পারেন।
১৩। যদি আপনার গন্তব্য কয়েক মিনিটের জন্যে হয় তবে যানবাহন পরিহার করুন।
তিন মাস ধরে এই নিয়মগুলো পালন করলেই কমে যাবে আপনার ওজন।

Read More
Health Image +

সর্দি কাশির চিকিৎসা ঘরেই করুন

প্রকৃতিতে চলছে আবারো ঋতু পরিবর্তনের হাওয়া। ঋতু পরিবর্তন হলেই বেশিরভাগ মানুষেরই সর্দি-কাশির সমস্যা হয়। বিশেষ করে যাঁদের রয়েছে ঠান্ডা অ্যালার্জির সমস্যা, তাঁরা বিপদে পড়েন সবচেয়ে বেশি। সর্দির কারণে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। যেমন,

১। মাথাব্যথা,
২। বুকে ব্যথা,
৩। বুকে কফ জমে যাওয়া,
৪। কাশি,
৫। শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
এসব এখন নিত্ত নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব সমস্যা হলে ওষুধপত্র আর কতই খাবেন তার চেয়ে নিতে পারেন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা। এসব ঘরোয়া উপায়ে খুব সহজেই আপনি এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। জেনে নিন এখুনি সেইসব পদ্ধতি।
১। সরিষার তেল সর্দি-কাশিতে খুবই উপকারী। একটি স্টিলের পাত্রে ২-৩ টেবিল চামচ সরিষার তেল নিন।

২। কয়েক কোয়া রসুন থেঁতো করে তেলে মধ্যে দিন।
৩। এবার তেল গরম করুন। তেল ফুটে উঠলে নামিয়ে ফেলুন।
৪। এই তেল উষ্ণ অবস্থায় গলায়, বুকে ও পিঠে মালিশ করুন।
এতে কাশি, বুকের কফ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি দ্রুত উপশম হবে। মাথাব্যথা সারাতে এই তেল মাথার তালুতে ঘষে ঘষে লাগান। ঠান্ডার সমস্যা কাটাতে এই তেল খেতেও পারেন।

Read More
Health Image +

টিভি দেখা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর

শহরগুলোতে দিন দিন মাঠের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। ফলে শিশুরা বিকেলের সময়েও খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিন্তু শিশুদের শারীরিক ও মানসিক গঠনের জন্যে খেলাধুলা করাটা জরুরী। খেলার জায়গা না পেয়ে ছেলেমেয়েরা টেলিভিশন দেখার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে শিশুদের জন্য তা অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ক্ষতিকর বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ
১। যে শিশুরা দিনে ৪ ঘন্টার চেয়ে বেশি টিভি দেখতে অভ্যস্ত তাদের প্রত্যেকেরই প্রয়োজনের তুলনায় ওজন অনেক বেশি। এর মাধ্যমে শিশুরা অনেক জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
২। শিশুরা যা দেখে তাই শিখে থাকে। ফলে টিভি চরিত্রগুলো যদি খারাপ হয় কাজ করে তবে শিশুরাও খারাপ কাজ করতে শিখে। তাদের মনে এটার এতই বিরূপ প্রভাব পড়ে যে তাদের ব্যবহারও অনেক রুক্ষ হয়ে উঠে। আবার কিছু ছেলেমেয়ে টিভি দেখার পর অনেক ভীত হয়ে যায়। কারণ তারা মনে করে যে ধরনের কাহিনী টিভিতে দেখানো হয় সেধরনের কিছু তাদের জীবনেও ঘটতে পারে।
৩। অনেক সময় কাহিনীর প্রয়োজনে শিশুদের প্রিয় চরিত্রগুলোকে ধূমপান করে বা ড্রাগ নিতেও হয়। সেগুলো দেখেও শিশুদের ক্ষতি হতে পারে। তারা এ ধরনের কর্মকাণ্ডে অভ্যস্ত হয়ে পড়তে পারে। যেমন, সুপারম্যানের চরিত্র দেখে অনেক শিশু ছাদ থেকে উড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে অকালে প্রাণ হারায়।
৪। টিভি দেখার কারণে অনেক সময় শিশুরা সামাজিকীকরণ বিদ্যা শিখতে পারে না। ফলে তারা অনেকেই সামাজিক বা ধর্মীয় নীতিরীতি মানে না। এর মাধ্যমে তার মানসিক অবস্থার অধঃপতন হতে পারে।
৫। টিভি দেখার মাধ্যমে শিশুদের চোখের ও ব্রেইনের ক্ষতি হয়। টিভি থেকে যে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয় তা কোমলমতি শিশুদের চোখের মারাত্নক ক্ষতিসাধন করে। আর টিভি দেখার কারণে শিশুদের চিন্তার জগতটা ছোট হয়ে আসে।

Read More
Health Image +

নাস্তায় যা খাবেন

প্রত্যেক মানুষের শরীরের জন্য সকালের নাস্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ সকালে যেকোন মানুষ খাবার খায় অনেকক্ষণ পর। ফলে সকালে স্বাস্থ্যকর নাস্তা পুরো দিন সতেজ এবং তরতাজা থাকতে সাহায্য করে। তবে যেন তেন খাবার খেলেই হবে না। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন খাবারগুলো নাস্তায় রাখা দরকার।
ব্ল্যাক কফি:
কফি আপনাকে সতেজ করে তুলবে। এই সতেজতা পাওয়ার জন্যে আমরা দিনের বিভিন্ন সময় কফি পান করে থাকি। সকালে নাস্তার সাথে পান করাটা সবচেয়ে মঙ্গলজনক। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ আছে।
১।কফিটি ব্ল্যাক কফি হতে হবে।
২। দুধ ও চিনি ছাড়া পান করতে হবে।
এই ব্ল্যাক কফি আপনার দেহের আড়ষ্টতা দূর করার সাথে সাথে আপনার হৃদপিণ্ডের জন্যও বেশ কার্যকরী। এছাড়াও কফির ক্যাফেইনের রয়েছে ক্যান্সার এবং ডায়বেটিসের বিরুদ্ধে কাজ করার ক্ষমতা। তাই সকালের নাস্তার সময় ব্ল্যাক কফি পান করার অভ্যাস করুন।
ডিম:
ডিম আমাদের কাছে নিত্ত নৈমত্তিক একটি খাবার। এটি পুষ্টিকরও বটে। কিন্তু সকালের নাস্তায় এর গুরুত্ব একটু বেশি। ডিমের প্রোটিন দিনের শুরুতেই আপনার দেহকে পুরো দিনের জন্য এনার্জি ধরে রাখার জন্য সাহায্য করবে। এমনকি নাস্তার পর অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকতেও সাহায্য করবে। তাই নাস্তায় ডিম রাখার চেষ্টা করুন।
কলা:
এই ফলটি এখন বার মাসেই পাওয়া যায় তাই খুব সহজলভ্য।
অনেকের পছন্দের এই ফলটি বর্তমানে বারমাসই পাওয়া যায়। কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার এবং পটাশিয়াম যা দিনের শুরুতে আপনার আড়ষ্টতা দূর করবে এবং সুস্থ রাখবে দেহের মাংসপেশি এবং কর্মক্ষম রাখবে মস্তিষ্ক। তাই নাস্তায় কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দই:
দিনের শুরুতে দই খেতে পারেন। অবাক হচ্ছেন? কিন্তু মানুষের দেহের জন্যে অনেক প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া দইয়ে থাকে। তাই টক মিষ্টি দই দেহের জন্য অনেক বেশি কার্যকর। এতে...

Read More
Health Image +

বন্ধ হোক এইডস আক্রান্তদের প্রতি সকল বৈষম্য


AIDS কি? প্রশ্নটি শোনার সাথে সাথে অনেকেই বিরুক্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু এ সম্পর্কে জনসচেতনতা কতটা জরুরী তা কেউ অনুধাবন করেন না। চারটি ইংরেজি শব্দ – Acquired Immune Deficiency Syndeome এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল AIDS। আবার তিনটি ইংরেজি শব্দ Human Immunodeficiency Virus এর সংক্ষিপ্ত রূপ হল HIV। এটি একটি ভাইরাস যার মাধ্যমে এইডস হয়। এটি এখনো একটি ঘাতক ব্যধি যা কোন রোগ বা সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য শরীরের স্বাভাবিক ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। আসুন জেনে নেই এর লক্ষণ সমূহঃ
১। শরীরের ওজন অতি দ্রুত হ্রাস পাওয়া।
২। দীর্ঘদিন ধরে পাতলা পায়খানা।
৩। পুনঃপুন জ্বর হওয়া বা রাতে শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।
৪। অতিরিক্ত অবসাদ অনুভব করা। এবং
৫। শুকনা কাশি হওয়া ইত্যাদি।
বায়ু, পানি, খাদ্য অথবা সাধারণ ছোঁয়ায় বা সংস্পর্শে এইচআইভি ছড়ায় না। মানবদেশের রক্ত, বীর্য, বুকের দুধ ইত্যাদিতে এইচআইভি বেশি থাকে। এগুলোর মাধ্যমে এ রোগ ছড়িয়ে থাকে। তাই সহজেই বোঝা যায় এ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো থেকে বিরত থাকলেই এইডস হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। যৌনরোগ এবং এইচআইভি সংক্রমণের মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। যাদের কোন যৌনরোগ রয়েছে তাদের এইচআইভি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অন্যদের চাইতে অনেকগুন বেশি। সব মিলিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কানুন মানলেই এই রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসনের উপর গুরুত্ব দেয়া।
২। রক্ত ট্রান্সফারের আগে বিস্তারিত বিষয় পরীক্ষা করা।
৩। ব্যবহৃত সুচ/সিরিঞ্জ ব্যবহার করা এবং অপারেশনে যন্ত্রপাতি জীবাণূমুক্ত কিনা পরীক্ষা করা।
৪। অনৈতিক ও অনিরাপদ যৌন আচরণ থেকে বিরত থাকা।
৫। এইডস আক্রান্ত মায়ের বুকের দুধ পান না করা।
৬। যৌনরোগ থাকলে তার দ্রুত সমাধান করা।
সমাজে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদেরকে ঘৃণার চোখে দেখা হয়। কিন্তু তা কখনোই উচিত না। বরং তাদের...

Read More
Health Image +

পুদিনা পাতার অসাধারণ গুণাবলী

প্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পুদিনা। ঔষধের পাশাপাশি খাদ্য ও রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে পুতিনা পাতা। আর যত দিন যাচ্ছে তত গবেষণা হচ্ছে পুদিনা ও পুদিনার মতো ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে, আর ততই মানুষ জানছে এর গুণাগুণ সম্পর্কে।
*রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালাপোড়া কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস একসাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। পনেরো মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
*আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটোনিউরিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাঁধা প্রদান করে।
*ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে তাজা পুদিনাপাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। নতুন কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাস খানেকের মাঝেই দাগ দূর হবে।
*পুদিনার শেকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকরী, এমনকি পাতাও। পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস চুলের গোড়ায় লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত।
*পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম পানিতে ফুটিয়ে সেই পানির ভাপ নিন এবং তা দিয়ে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।
*গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসাথে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে তা ত্বককে মসৃণ করে তোলে।
*পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টসের চমৎকারী...

Read More
Health Image +

সুস্থ্য থাকার জন্য লবণ কম খান

লবণ আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের ফলে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। আপনি প্রতিদিন যে পরিমাণ লবণ খান, তা কিছুটা কমিয়ে দিলে উচ্চরক্তচাপ ও নানা ধরনের হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারেন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানীর এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে ৬ গ্রাম বা তারও কম লবণ গ্রহণ করতে পারেন। অধিক লবণ গ্রহণের ফলে আমরা যে সকল রোগে ভুগে থাকি, তার বর্ণনা নিচে দেয়া হলো-
*উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ অধিক পরিমাণে লবণ। লবণের কারণে আমাদের শরীর পানি ধরে রাখে। কিন্তু অতিরিক্ত পানির কারণে আমাদের ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায়। অতিরিক্ত লবণ সেবন প্রেশার নিয়ন্ত্রণের ওষুধের কার্যকারিতাও কমিয়ে দেয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণে শতকরা ৬৪ ভাগের স্ট্রোক হয়ে থাকে। সুতরাং অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ স্ট্রোকের জন্য সরাসরি দায়ী।
*মজবুত হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম অমূল্য উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে Urine- এর মাধ্যমে ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যার ফলে আমাদের হাড়ের ক্যালসিয়াম ক্ষয় হয়ে হাড় পাতলা হয়ে যায়। একে বলা হয় অস্টিওপোরোসিস।
*অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের কারণে পাকস্থলীর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে অধিক লবণ পাকস্থলীর ত্বক নষ্ট করে। তখন পাকস্থলী এক ধরণের ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হয়। যার ফলে পাকস্থলীর ক্যান্সার হয়।
আমরা অনেকে বুঝতে পারি না কিভাবে অতিরিক্ত লবণ পরিহার করা যায়। কিন্তু একটু ইচ্ছে থাকলেই অতিরিক্ত লবণ গ্রহণের থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। বাড়তি কাঁচা লবণ বা পাতে লবণ খাওয়া পরিহার করুন। আমরা সবাই প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন- চিপস, ক্রেকার্স, কেচআপ, লবণ-বাদাম, পনির পছন্দ করি কিন্তু প্রসেসড ফুডে সোডিয়াম মেশানো হয় সংরক্ষণের জন্য। বরই, তেঁতুল, আমলকী, আমড়া, জলপাই এ জাতীয়...

Read More
Health Image +

ফুলকপির পুষ্টিগুণ

ফুলকপিঃ
ফুলকপি বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শীতকালীন পুষ্টিকর ও সবজি। যার ইংরেজী নাম Cauliflower। আর বৈজ্ঞানিক নাম Brassica oleracea var. botrytis. এটি Cruciferae পরিবারভুক্ত। এটি একটি বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। সাধারণতঃ ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়।
ফুলকপির গোটা মঞ্জরি একটি ঘনবদ্ধ, মাংসল পিন্ড এবং সেটিই সবজি হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফুলকপি ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
বাংলাদেশে ১৯৯৬-৯৭ সালে মোট ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ হয় এবং উৎপাদন হয় প্রায় ৭৬ হাজার টন। আমাদের দেশে চাষকৃত ফুলকপি অধিকাংশই সংকর জাতের এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যা স্থানীয় আবহাওয়ায় বীজ উৎপাদন করে না। ঠাণ্ডা ও আর্দ্রতা জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন ধরনের সব মাটিতে ফুলকপির চাষ ভাল হয়। আমাদের দেশে মাঘী, অগ্রহায়ণী, পৌষালী, বারি ফুলকপি-১, ২ ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে তিন জাতের ফুলকপির চাষ হয়। আগাম জাত কার্তিকা, পাটনাই, ট্রপিক্যাল-৫৫ ইত্যাদি। এদের মধ্যে-মৌসুমি জাতের মধ্যে রয়েছে অগ্রহায়ণী, পৌষালি ও স্নোবল (snowball) এবং নাবি জাতের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট মাউন্টেন, মাঘী ও নাবি-রাক্ষসী। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘রূপা’ নামের একটি উচ্চফলনশীল মধ্য-মৌসুমি ফুলকপি উদ্ভাবন করে। দেশের সর্বত্র চাষ হলেও টাঙ্গাইল জেলায় সবচেয়ে বড়জাতের ফুলকপি জন্মে।
রোগ প্রতিরোধে ফুলকপির নানা গুণ:
১। ফুলকপি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস...

Read More