Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

ভাত খেলেও ক্যান্সার হয়

ভাত খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনার খবরে পৃথিবীর কমপক্ষে তিনশ কোটি মানুষ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন৷ দুঃশ্চিন্তার পরিমাণটা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান এবং চীনের জন্য একটু বেশি। কারণ, গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব অঞ্চলের পানিতে আর্সেনিক বেশি সেসব অঞ্চলের ধান থেকে তৈরি চালেই ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি৷

ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানচেস্টার এবং ভারতের ইনস্টিটিউট অফকেমিক্যাল বায়োলজির গবেষকদের যৌথ প্রচেষ্টায় গবেষণা পরিচালিত হয়। পশ্চিমবঙ্গের ৪১৭ জন গ্রামবাসীকে নিয়ে কাজ করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে, উচ্চমাত্রার আর্সেনিকযুক্ত পানিতে চাষ করা ধান ক্যানসারে মৃত্যুর শঙ্কা বাড়ায়৷
ন্যাচার গ্রুপের সায়েন্টিফিক রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৪১৭ জন গ্রামবাসীর জীবনযাপন, প্রতিদিন কতটুকু চালের ভাত খান এই দুটো বিষয় জানার পর, প্রত্যেককে বলা হয়েছিল রান্না করা ভাতের নমুনা এবং নিজেদের প্রস্রাবের নমুনা সরবরাহ করতে৷ সূক্ষ্ম অথচ জটিল এক পরীক্ষার পরই বিজ্ঞানীরা বলছেন, পানির মাধ্যমে চালেও বেশি আর্সেনিক চলে এলে সেই চালে রান্না করা ভাত মানুষকে ধীরে ধীরে নিয়ে যেতে পারে ক্যান্সারের কবলে৷
অন্যদিকে, কম আর্সেনিক সম্পন্ন চালে খুব সম্ভবত ক্যান্সারের ঝূঁকি কমে আসে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কোন চালে আর্সেনিক কম তা কিভাবে জানা যাবে? বাংলাদেশের মানুষদের আর্সেনিকযুক্ত চাল খেয়ে ক্যান্সারে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি আসলে কতটা? দুটো প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন ব্রিটেনের ডি মনফর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী পারভেজ হারিস৷
পারভেজ হারিস বাংলাদেশের ঝুঁকি সম্পর্কে জানান, স্বতন্ত্র এক গবেষণার ফলাফলে তাঁরা দেখেছেন যে বাংলাদেশের অনেক চালে আর্সেনিকের মাত্রা বেশ কম৷ তবে কোন চালে আর্সেনিক কম, সেটা জানার যে এখনো কোনো উপায় নেই তা স্বীকার করে এ অবস্থার পরিবর্তন দাবি করেছেন তিনি৷
তার মতে, বাজারে শুধু প্যাকেটজাত চাল বিক্রি হলে এবং সেখানে আর্সেনিকের মাত্রা সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য দেয়ার ব্যবস্থা করলেই মানুষ টাকা খরচ করে ভালো চাল...

Read More
Health Image +

চুল পড়া এবং তার প্রতিকার

স্বাস্থ্যজ্জ্বল সুন্দর চুল আমরা সবাই চাই। নানা রকম দুষন, মানসিকচাপ, অনিয়মিত খাদ্যগ্রহণ এবং অনিয়ন্দ্রিত জীবন যাপন, নানারকম অসুখ কিংবা ব্যক্তিগত কারনে বর্তমানে অনেক অনাবয়সীরই চুল ঝরে যাচ্ছে। চুল ঝরে যাচ্ছে কিংবা টাক সমস্যা নিয়ে যারা ব্যথা বলেন তারা নিচের সমস্যাগুলোর ব্যথা সাধারণত বলে থাকেন।

 চুলের গোড়ায় ময়লা জমে।
 ১ দিন চুল শ্যাম্পু না করলে তেল তেল ভাব হয়।
 মাথা চুলকায়।
 চুলের গোড়ায় ছোট ছোট গোটা এবং ব্যথা হয়।
 সাদা আদা খুশকির গুড়া দেখা যায়।
 চুলের আগা দ্বিখন্তিত হয়ে যায়।
 চুলে রম্নস্ন ভাব থাকে।
 চুল লালচে হয়ে যাচ্ছে।
 চুলের গোড়ায় ব্যথা হয়।
এধরনের সমস্যার কারণগুলো হচ্ছে-
 চুল ঠিকমত পরিস্কার না রাখা।
 ছত্রাকের আক্রমন টিনিয়া কেপিটিস
 অগমিনেট ফলিকুলাইটিস
 খুশকির আক্রমন
 ডিটামিনের অভাব
 রক্ত স্বল্পতা
 চুলের সঠিক যত্ন না হওয়া
 নানা রকম কেমিকেলের ব্যবহার
 হরমোনের তারতম্য
 সেবোরিক ডার্ম টাইটিস
 এন্ড্রোজেনিক এলোপিমিয়া বা বংশগত
চুলের সঠিক যত্ন ও পুষ্টির অভাবে চুল পড়ে যায়। খুব সাধারণ নিয়মে চুলের কিছু যত্ন করলে চুল ভালো থাকে। ১ দিন অন্তর চুল পরিস্কার করা প্রয়োজন। ভেজা চুল আচড়ানো ঠিক নয়। অতিরিক্ত আচড়ানোও ঠিক নয়। খাদ্যভাস এখানে একটি বড় ব্যাপার ফল, শাক সবজি, ডিম, দুধ নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।

চুল প্রোটিন দিয়ে তৈরী। তাই খাদ্যতালিকায় প্রোটিন রাখা প্রয়োজন। ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিং করার সময়ও এ ব্যাপারে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় ক্যালমিয়াম, আয়রন ও অন্যান্য ভিটামিন খাওয়া হচ্ছে কিনা লক্ষ্য রাখুন। কিছু ঔষুধ দীর্ঘদিন সেবনের ফলেও চুল ঝরতে পারে। যেমন গাউট কিংবা আর্থারাইটিসের ঔষধ মানসিক অবসাদের ঔষধ, এছাড়া ক্যান্সার কেমোসেরাপি। ঝরে পড়া স্বাভাবিক। কিন্ত্ত এর...

Read More
Health Image +

কমলার নানাবিধ গুনাগুণ


টক মিষ্টি স্বাদের ফল কমলায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন । তাছাড়া আরও আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান। কমলায় রয়েছে ভিটামিন সি।ত্বকের পুষ্টি,ওজন কমানো, এমন কি হৃদযন্ত্র ভালো রেখে শরীরে রক্ত চলাচল নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে কমলা। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে কমলার স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়। প্রদাহ সারাতে কার্যকর রক্তে থাকা ।ক্ষতিকর ও প্রদাহজনক মৌল থেকে রক্ষা করে ভিটামিন সি। সিট্রাসজাতীয় ফলে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। আর কমলা হচ্ছে ভিটামিন সির অন্যতম উৎস। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে কমলায় রয়েছে নারিজেনিনের মতো বায়োঅ্যাক্টিভ উপাদান যা উন্নত মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিইনফ্লামাটর। এছাড়া রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে শরীরের অক্সিজেনের অণু স্থিতিশীল করতে এবং ফ্রি রাডিক্যালস নিষ্ক্রিয় করতে সাহায্য করে। এই নিষ্ক্রিয় করার ক্ষমতার কারণে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং সহজে বয়সের ছাপ পড়ে না। তাছাড়া ত্বক ভিতর থেকে উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে কমলা। তাই একটু বেশি বয়সি মহিলাদের জন্য কমলা খুবই উপকারী।
ত্বকের জন্য ভালো কমলার ভিটামিন ত্বক নমীয়, কোমল এবং সুন্দর করতে সাহায্য করে। প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কমলা ব্যবহার করে। ওজন কমাতে সাহায্যকরে কমলা ক্যালরি ফ্রি ফল হিসেবে পরিচিত। আর এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই কমলার পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক পুষ্টি যেমন থিয়ামাইন, নিয়াসিন, ভিটামিন বি সিক্স, ম্যাগনেশিয়াম এবং কপার রয়েছে কমলায়। ওষুধ শোষণ শরীরে ওষুধ গ্রহণে সাহায্য করে কমলা। এই ফলের রস ওষুধের বায়োকেমিক্যাল ও সাইকলজিকাল প্রভাব শরীরে গ্রহণের মাধ্যমে দ্র“ত সুস্থ হতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি চোখের জন্য ভিটামিন এ দরকার। আর কমলায় বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। হৃদস্পন্দন এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে কমলায় আছে প্রচুর...

Read More
Health Image +

নিয়মিত রাত জাগা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়


আমাদের অনেকের গভীর রাত পর্যস্ত কাজ করার অভ্যেস।কিংবা রাত জেগে টিভি দেখার বদ অভ্যাস রয়েছে কারও কারও।তবে এভাবে ঢালাও রাত জেগে কাজ করা, টিভি দেখা ঠিকনা না। এ বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন। মনে রাখবেন, জীবনের চেয়ে কাজ বা টিভি’র প্রোগাম বড় নয়। বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের গবেষকদের এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাত জেগে কাজ করলে দেহের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় ব্যাপক ধস নামে। অপূরণীয় ক্ষতি হয় দেহের। গবেষকরা সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন তথ্যই পেয়েছেন। রাতের বেলায় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা। রাতের ঘুম কখনো দিনে ঘুমিয়ে পোষানো যায় না। যুক্তরাজ্যের স্পি রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা দেখেছেন, রাত জেগে কাজের যে কুফল তা গভীরতর আণবিক স্তরে পরিলক্ষত হয়। রাত জাগার ক্ষতির পরিমাণ ভয়াবহতম বলে মনে করেন তারা। গবেষকরা জানান, মানুষের শরীরে একটি দেহ ঘড়ি রয়েছে, যার ছন্দ হচ্ছে রাতে ঘুম আর দিনে কাজ। রাতে জাগার ফলে হরমোন পরিবর্তন, দেহের তাপমাত্রায় রদবদল, মেজাজ ও মস্তিষ্কে ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘প্রসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সে ‘ সাময়িকীতে। রাত জাগা ২২ ব্যক্তিকে নিয়ে তারা গবেষণা করে শারীরিক পরিবর্তনের বিষয়গুলো খেয়াল করেন। তাদের দাবি, রাতে অনিয়মিতভাবে কাজ করলে শরীরে কী ধরনের ক্ষতি হয় গবেষণার ফলে তা জানা সম্ভব। সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সিমন আর্চার জানিয়েছেন, মানুষের জিনের ৬ শতাংশ ক্ষত্রে রাত জাগার ফলে পরিবর্তন দেখা দেয়। অনিয়মিতভাবে রাত জেগে কাজ করার ফলে দেহ ঘড়ির ছন্দ রক্ষাকারী জিন ৯৭ শতাংশ কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। উদাহরণ টেনে তারা বলেছেন, একটি বাড়িতে যদি সব ঘরে ঘড়ি থাকে এবং সব ঘড়িতে উল্টা-পাল্টা সময় দেখায়- তবে ঘরের অবস্থা যা হতে পারে,...

Read More
Health Image +

নারী দেহে মাছের তেলের ১০টি উপকারিতা

বিভিন্ন গবেষণাতেই বের হয়েছে যে নারী দেহে ফিশ অয়েলের উপকারিতা অনেক বেশি। ২০-৩০ বছর অথবা মধ্যবয়স্ক সব নারীরাই ফিশ অয়েল ক্যাপসুল খেতে পারেন। এবং প্রতিদিন ব্যবহারে শারীরিক ভাবে অনেক উপকারিতা লাভ করতে পারেন। চলুন তাহলে জেনে নিই ফিশ অয়েলের উপকারিতা সম্পর্কে ।স্তন ক্যান্সার রোধ করেদৈনিক ওমেগা-৩ ফিশ অয়েল সেবন করলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ৫০% ঝুকি কবে যায়। ওমেগা-৩ ও ডিএইচএ-৩ তে প্রাকৃতিক ভাবেই অ্যান্টি প্রদাহজনক পদার্থ আছে যা ক্যান্সারের কোষ তৈরিতে বাধা প্রদান করে এবং তা শরীর থেকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। ব্যথা কমাতেঅনেক নারীর মাসিকের সময় শরীরের যে ব্যথা হয়, ওমেগা-৩ এর ফ্যাটি এসিড সেই ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
সুস্থ ভ্রুন উৎপাদনে সহায়তা করেনারীদের গর্ভধারণ সময়ে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য। এবং এটি সন্তান ও মায়ের মধ্যে অক্সিজেন ও পুষ্টি বিনিময় করতে সহায়তা করে। শিশুদের মস্তিস্কের বিকাশ ঘটতে সাহায্য করে। একটি শিশুর মস্তিস্কের সুস্থ বিকাশের জন্য প্রচুর পারিমানে ডিএইচএ ওমেগা-৩ এর প্রয়োজন হয়। যদি কোন গর্ভবতী নারী যথেষ্ট পরিমানে ডিএইচএ সেবন না করে থাকে তখন মায়ের মস্তিষ্ক থেকে শিশুরা ডিএইচএ পেয়ে থাকে। এবং গবেষণায় বলা হয়েছে যে একজন নারী সন্তান জন্মদানের পর তারা তাদের মস্তিস্কের ৩% কোষ হারাতে পারেন।
হাই -ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে গর্ভকালে অনেক নারীদেরই হাই ব্লাড প্রেশার থাকে যা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর। তাই এই সময় ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য এবং সুস্থ সন্তান জন্মদানে ওমেগা-৩ এর উপকারিতা অনেক। সঠিক তারিখেসন্তান প্রসব ওমেগা-৩ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য নির্ধারিত সময়ের পূর্বে প্রসবের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এবং সন্তান সুস্থ ও সম্পূর্ণরূপে বিকশিত কিনা তা নিশ্চিত করে। সন্তান প্রসবের সময়ের বিষণ্ণতা প্রতিরোধ করে। ক্লিনিকাল গবেষণায় বলা হয়েছে যে,...

Read More
Health Image +

ক্যান্সার লাইফস্টাইল কিংবা জিনগত কারণ নয়, ক্যান্সারের বড় কারণ দুর্ভাগ্য

লাইফস্টাইল কিংবা জিনগত কারণ নয়, ক্যান্সারের বড় কারণ দুর্ভাগ্য! ধূমপান, মদ্যপান, অপরিমিত খাদ্য গ্রহণ, ফাস্টফুড আর মুটিয়ে যাওয়ার মতো লাইফস্টাইল এবং জিন বা বংশগত কারণকে ক্যান্সারের বড় কারণ মনে করার একটা প্রবণতা অনেকের মধ্যে আছে। কিন্তু তা মোটেই ঠিক নয়।
সম্প্রতি বিবিসি, টেলিগ্রাফ ও জিনিউজ অনলাইনের এক খবরে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দুই-তৃতীয়াংশ ক্যান্সারের পেছনে লাইফস্টাইল কিংবা জিনগত কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব ক্যান্সারের কারণ স্রেফ দুর্ভাগ্য! বাকি এক-তৃতীয়াংশ ক্যান্সার হয় পরিবেশ, লাগামহীন জীবনাচার বা লাইফস্টাইল এবং জিনগত কারণে। ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকতে মদ ও ধূমপান পরিহার, পরিমিত খাদ্য গ্রহণ, অতিরিক্ত মোটা না হওয়া আর পরিকল্পিত জীবন-যাপনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা মানুষকে সতর্ক করে বলে আসছিলেন, আজেবাজে খাবার থেকে সৃষ্ট টিউমার, ব্যায়াম না করা কিংবা বংশগত জিনত্রুটি ক্যান্সারের প্রধান কারণ। তবে এখন বলা হচ্ছে বদভ্যাস পরিহার করে পরিকল্পিত জীবন-যাপন করলেই ক্যান্সার থেকে মুক্ত থাকা যাবে তার নিশ্চয়তা নেই।
এক গবেষণায় জানা গেছে, বেশিরভাগ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে জীবন-যাপন প্রণালির কোনো সম্পর্ক নেই। সতর্ক থেকেও এসব এড়ানো সম্ভব নয়। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিন এবং ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষকরা যৌথভাবে ক্যান্সার নিয়ে গবেষণা চালান।
গবেষক দল বলছেন, বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ হয় কোষের বিভাজনের ক্ষেত্রে কোনো না কোনো জটিলতার কারণে। লাগামহীন জীবনাচার কিংবা ডিএনএ'র ত্রুটির সঙ্গে যার কোনো সম্পর্কই নেই। আর এই কোষ বিভাজনটা মানুষের নিয়ন্ত্রণের সম্পূর্ণ বাইরে। এমনকি গবেষণায় জানা গেছে, সুস্থ থাকার জন্য কোষ বিভাজন যতবেশি প্রয়োজন হয়, ক্যান্সারের আশঙ্কাটাও ততই বেড়ে যায়। এই প্রথমবার বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করতে সক্ষম হলেন, কেন কোনো ক্যান্সার অন্যগুলোর চেয়ে বেশি ভিন্ন। যেমন অন্ত্রের চেয়ে মলদ্বারে কেন ক্যান্সার বেশি...

Read More
Health Image +

তামাকের মতই চিনি আমাদের দেহে বেশি ক্ষতি করে

চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী। এজন্য খাদ্যপণ্যে চিনির পরিমাণ শতকরা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তাই একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়। এক জরিপে দেখা যায়, স্থূলতা ও ডায়াবেটিস সংক্রান্ত রোগে শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা প্রতিবছর পাঁচ’শ কোটি পাউন্ড ব্যয় করে থাকেন।

এ বিষয়ে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (হু) জানায়, বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির। স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে। জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি এ ধরনের খাদ্যপণ্যকে শিশুদের নাগাল থেকে দূরে রাখার বিষয়ে সর্তক করেন অসীম।

Read More
Health Image +

মানুষের ৭টি কাজ দৈহিক সুস্থতা দেয়

দিনশেষে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়তেই ঘুম! কিন্তু কেবল ঘুমিয়ে গেলেই হবে আর তাতেই কেটে যাবে সমস্ত ক্লান্তি? একদম নয়! কেবল ঘুমালেই শরীরের যত্ন ও আরাম হয় না, সুস্থ ও সুন্দর থাকতে চাইলে শরীরের চাই আরও একটু বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। যতটুকু প্রয়োজন তার সবটুকুই প্রতিটি মানুষের করা সম্ভব নয় তবুও ৭টি কাজের তালিকা যা মেনে চললে অসুখ-বিসুখে পড়ার সম্ভাবনা কমে যাবে বলে বিশ্বাস করতে পারেন। ওজনটাও কমবে, ত্বক হবে সুন্দর, স্ট্রেস থাকবে দূরে, চুল পড়া বন্ধ হবে এবং চমৎকার ঘুমিয়ে সকালটা শুরু হবে একদম ক্লান্তিহীন ভাবে।
১) ডিনারের অভ্যাসটা একদম বদলে ফেলুন
গভীর রাতে ভাত খাওয়া কিংবা ভাত খেয়েই বিছানায় চলে যাবার অভ্যাস আজ থেকে একদম বাতিলের খাতায়। এতে উপকার তো কিছু হয়ই না, উল্টো ওজন বাড়ে এবং বদহজম হয়। সেইসাথে রাজ্যের ক্লান্তি ও আলস্য ভর করে শরীরের। আপনি যদি স্বাভাবিক ওজনের হয়ে থাকেন এবং ওজন বাড়া নিয়ে কোন চিন্তা না থেকে থাকে, তাহলেও রাতের খাবারটা ঘুমানোর অন্তত ২/৩ ঘণ্টা আগে সেরে নিন।
শেষটা করুন যতটা সম্ভব তেল-মশলা জাতীয় খাবার পরিহার করতে। এতে হজমের সমস্যা হবে না ও ঘুম হবে চমৎকার। আর যদি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে বা কমাতে চান, তাহলে সময়ের সাথে সাথে খাদ্য তালিকায় আনুন আমূল পরিবর্তন। রাতের বেলা ভারী কিছু খাবার একদম খাবেন না। লাল আটায় গড়া দুটো রুটি, সাথে এক টুকরো মাছ বা মাংস, এক বাটি অল্প তেলে রান্না সবজি বা সালাদ দিয়ে রাতের খাওয়া সারুন। খেতে পারেন ফলের সাথে দুধ দিয়ে রান্না করা ওটস। রাত ৮ টার পর আর কিছুই মুখে দেবেন না পানি ছাড়া।
২) এক কাপ উষ্ণ দুধ প্রতিদিন
আপনার ওজন বা বয়স যেমনই হোক...

Read More
Health Image +

চোখের রোগ উপসর্গ ও তার চিকিৎসা বিষয়ে কিছু তথ্য

চোখের অস্টিগম্যাটিজম :
চোখের কর্নিয়া এবং লেন্সের প্রদাহ হলে তাকে চোখের অস্টিগম্যাটিজম রোগ বলে।
উপসর্গ :
• ঝাপসা দৃষ্টি
• চোখে ব্যথা
• মাথাব্যথা
• চোখ দিয়ে পানি পড়া।
চিকিৎসা
ওষুধ এবং সার্জারির দ্বারা এর চিকিৎসা করা হয়।
চোখের হাইপারোপিয়া :
হাইপারপিয়া হলো চোখের একটি রোগ, যার ফলে দরের জিনিস বা বস্তু দেখতে সমস্যা হয়।
উপসর্গ :
• মাথাব্যথা
• দরদৃষ্টি সমস্যা
চিকিৎসা
চোখের ডাক্তারের পরামর্শ মতো চিকিৎসা নেয়া উচিত।
চোখের এমব্লায়োপিয়া :
বাড়ন্ত শিশুদের চোখের এই সমস্যা হতে দেখা যায়। চোখে খুব পরিষকারভাবে কিছু দেখতে না পারাকে এমব্লায়োপিয়া বলে।
উপসর্গ :
• চোখের ব্যথা
• দুরদৃষ্টি সংক্রান্ত সমস্যা।
চিকিৎসা
ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
চোখের প্রেসবায়োপিয়া :
বয়স বাড়ার সাথে সাথে চোখের এই সমস্যা হতে পারে। চোখের লেন্স প্রেসবায়োপিয়ার ফলে দুর্বল হয়ে আসে।
উপসর্গ :
• চোখে ব্যথা
• মাথাব্যথা
• চোখে অস্বস্তি অনুভূতি
চিকিৎসা
ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ, চশমা এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
চোখের ইউভিটিস :
চোখের ফাইব্রিয়াসে চোখের স্ফীতি সমস্যাকে ইউভিটিস রোগ বলে।
উপসর্গ :
• চোখের ব্যথা
• চোখ লাল হয়ে যাওয়া
• আলোতে সপর্শকাতরতা
• ঝাপসা দৃষ্টি
চিকিৎসা
কর্টিকোস্টেরয়েড ওষুধ এবং চোখের ড্রপের দ্বারা এর চিকিৎসা করা হয়।
কালো চোখ সমস্যা :
চোখের চার পাশের রক্তনালীর জমাটবদ্ধতার ফলে এই রোগের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে চোখের চার পাশ কালো হয়ে যায়।
উপসর্গ :
• চোখের রঙের পরিবর্তন
• চোখ দিয়ে পানি পড়া।
চিকিৎসা
ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
আই সকেট ফ্র্যাকচার :
চোখের প্রতিবন্ধকতা বজায় রাখতে চোখের চারপাশে যে হাড় এবং গর্ত থাকে তাতে ফ্র্যাকচার হলে বা তা ভেঙ্গে গেলে তাকে আই সকেট ফ্র্যাকচার বলে।
উপসর্গ :
• ঝাপসা দৃষ্টি
• চোখের চার পাশে নীল হয়ে যাওয়া
• চোখের স্নায়ুর সমস্যা
• মাথাব্যথা ইত্যাদি।

Read More