Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

শিশুর লিভারে সমস্যার লক্ষন ও করনীয়

সন্তানের সুস্বাস্থ্যের জন্য বাবা মা সর্বদাই উদগ্রীব হয়ে থাকেন। সন্তানের সামান্য অসুস্থতাও মা বাবার কাছে আতংকের বিষয়। আর তাও যদি হয় লিভার সমস্যা, তাহলে তো শুধু মা বাবারই নয় সকলেরই শরীর শিউরে উঠে। কিন্তু মেনে নিতে কষ্টদায়ক হলেও, আজকাল অনেক শিশুই বেশ কিছু কারনে লিভার সমস্যায় ভুগে থাকে। তাই শিশুর লিভারের সমস্যা বোঝার উপায়, কারন ও কিছু চিকিৎসা সম্পর্কে অবগত থাকুন।

সনাক্তঃ
সাধারনত শিশুর হজমে সমস্যা থেকেই লিভারে সমস্যার সুত্রপাত হয়। এছাড়াও আনুসাঙ্গিকভাবে দেখা যায় জন্ডিসজনিত নানা লক্ষণ।
আশংকাজনকভাবে এসময় শিশুর ওজন হ্রাস পায়।
লিভারে সমস্যা হলে, শিশুর শরীরে ফ্লুইড জমে শরীর ফুলে যায়।
খুব ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে, ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস ও বিভিন্ন প্যারাসাইট এর সংক্রমনের মাধ্যমে শরীরে হেপাটাইটিস বি, নন এল, নন বি থেকে লিভারে সমস্যা হতে পারে।
অনেকসময় ম্যালেরিয়া জ্বর থেকেও লিভারে সমস্যা হতে পারে।
আজকালকার শিশুরা প্রচুর ফাস্টফুড খেতে পছন্দ করে। অতিরিক্ত ফাস্টফুড থেকেও লিভারে ফ্যাট জমে, লিভার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসাঃ
লিভারের সমস্যার লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হলে, অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হবে।
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্লাড টেস্ট করে লিভারের অবস্থা ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
সহজেই হজম হয়, শিশুকে এমন খাবার খাওয়াতে হবে।
অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
শিশুকে কম তেল, কম মসলাযুক্ত খাবার খাওয়াতে হবে।
বেশী করে ডাবের পানি, শরবত, গ্লুকোজ দিতে হবে।
ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বন্ধ করতে হবে।
এসবকিছু মেনে চললে আপনার সন্তান লিভার সংক্রান্ত অসুখগুলো থেকে খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ফেরত আসবে।

Read More
Health Image +

কৃমি রোগের আক্রমন, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ

কৃমি আমাদের দেশে একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। যে কোনো বয়সের মানুষের কৃমি হতে পারে। তবে শিশু কিশোরদের মাঝে কৃমির সংক্রমণ বেশি দেখা যায়৷ অবশ্য ছোট শিশু যেমন : পাঁচ মাস বয়স পর্যন্ত, যখন শুধু মাত্র মায়ের বুকের দুধই পান করে, তখন সাধারণত কৃমি হয় না৷ আমাদের দেশের মানুষের সুতা কৃমি, কেঁচো ও হুক কৃমির সংক্রমণ বেশি হলেও ফিতা কৃমির সংক্রমণ ও দেখা যায়৷
কৃমি
কৃমি হচ্ছে মানুষের সবচেয়ে ক্ষতিকর ও বৃহৎ পরজীবী। এটি মানুষের দেহে বাস করে এবং শরীর থেকে খাবার গ্রহণ করে বেঁচে থাকে ও বংশ বৃদ্ধি করে৷ কৃমি অনেক ধরনের আছে৷ তবে আমাদের দেশে কেঁচো কৃমি, বক্র কৃমি ও সুতা কৃমিতে আক্রান্তের হার বেশি৷
এরা সাধারণত মানুষের অন্ত্রে বসবাস করে এবং দেখতে কেঁচোর মতো এবং এই কৃমির রঙ হালকা হলুদ হয়ে থাকে যা পরিণত অবস্থায় ৬ থেকে ১৪ ইঞ্চি লম্বা হতে দেখা যায় ।
কিভাবে মানুষ কে আক্রমন করে
সাধারণত অপরিষ্কার শাকসবজি ফলমূল, নোংরা খাবার, দূষিত পানির মাধ্যমে কেঁচো কৃমির ডিম আমাদের মুখে প্রবেশ করে অথবা আক্রান্ত ব্যাক্তির কাপড় চোপর, হাত-পা ঠিকমতো না ধুলে নখের মধ্যে বা আঙুলের ভাঁজে লেগে থাকা ডিম খাদ্যের মাধ্যমে আমাদের পেটে চলে যায়। সেখান থেকে খাদ্যনালীর ক্ষুদ্রান্তে এ ডিম চলে যায় এবং ক্ষুদ্রান্তের এনজাইম বা পাচকরসের মাধ্যমে ডিম থেকে লার্ভা বের হয়৷
লার্ভাগুলো রক্তের মাধ্যমে যকৃত, হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসে প্রবেশ করে৷ এরপর ফুসফুসের এলভিওলাই ছিদ্র করে শ্বাসনালী দিয়ে অন্ননালী পার হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করে ক্ষুদ্রান্ত্রে এসে পূর্ণতা লাভ করে এবং ডিম পাড়ে৷
একটা স্ত্রী কৃমি দৈনিক প্রায় ২ লাখ ডিম পারে মানুষের অন্ত্রে এবং ১০-৪০ দিনের মধ্যে ডিমের ভেতর বাচ্চা কৃমি তৈরী হয় এবং পরে তা...

Read More
Health Image +

মাইগ্রেন কমাতে চৌম্বক চিকিৎসা

লাখ লাখ রোগী মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন এই দুনিয়ায়। ওষুধ খেয়েও এই রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মার্কিন বিজ্ঞানীরা এবার এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে আবিষ্কার করলেন ‘পেইন জ্যাপার’ নামে এক ধরনের চুম্বকীয় পদার্থ। এর মাধ্যমে দু’ঘন্টার মধ্যে একজন রোগী অনেকটাই আরাম পেতে পারেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, এই যন্ত্রটির নাম সিঙ্গল পালস ট্রান্সক্র্যানিয়্যাল ম্যাগনেটিক স্টিমুলেশন সংক্ষেপে এসটিএমএস। এই চুম্বকীয় পদার্থ বিদ্যুৎ সংযোগের সাহায্যে মস্তিষ্কের কোষকে সজাগ করে তোলে। মাইগ্রেন থেকে আরাম পেতে প্রথম কাজ হিসেবে এই যন্ত্রটি মাথার পেছনের অংশে সুইচ অন করে। এটা মাথার ভেতর শর্ট সার্কিট ঘটিয়ে ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরেলিভ ফার্ম ইতিমধ্যে ১৬০ জন রোগীর মাধ্যমে এই যন্ত্রাংশটি পরীক্ষা করেছে। এদর মধ্যে পুরুষ ও মহিলা দুইই ছিল। এই পরীক্ষার পর রোগীদের একটি করে গেজেট ও ডামি যন্ত্রাংশ দেয়া হয়েছে।
এই রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ যন্ত্রটি ব্যবহার করে দুই ঘণ্টার মধ্যে রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এই সমস্ত রোগীরা ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা মাইগেনের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছিলেন।

Read More
Health Image +

ঘরোয়া চিকিত্‍সায় মধু

প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ মধু ব্যবহার করে আসছে। কখনো তা ব্যবহৃত হয়েছে খাবার হিসেবে, কখনো ওষুধের অনুষঙ্গ হিসেবে। বিশেষ করে ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিত্‍সাশাস্ত্রে মধুর ব্যবহার বেশ ব্যাপকভাবেই দেখা যায়। আর যাবেই না বা কেন? মধুর গুণ এবং উপকারিতাও কম নয়! জেনে নিন কিছু শারীরিক সমস্যার ঘরোয়া চিকিত্‍সায় মধুর ব্যবহার।
দুর্বলতা
মধু তাপ ও শক্তির একটি অত্যন্ত ভালো উৎস। এতে যে শর্করা থাকে তা সহজেই হজম হয় ও রক্তের সাথে মিশে যায়। মধুতে রয়েছে ডেক্সট্রিন, যা সরাসরি রক্তে প্রবেশ করে এবং তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করে। ফলে দেহ সহজেই শক্তির জোগান পায়। দুই চা চামচ মধু এক কাপ ফুটানো পানির সঙ্গে খেলে শরীর ঝরঝরে হয় ও দুর্বলতা কেটে যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য
১ চা চামচ খাঁটি মধু ১ কাপ উষ্ণ গরম পানির সাথে মিশিয়ে সকালবেলা খালিপেটে পান করলে কোষ্ঠবদ্ধতা এবং অম্লত্ব দূর হয়।
রক্তস্বল্পতা
মধু খেলে উপকার পাওয়া যায় রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়াতেও। মধু রক্তের হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে। ফলে এটি রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে। মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কপার, লৌহ ও ম্যাঙ্গানিজ।
ব্যথা
মধু যেকোনো ধরনের ব্যথাকে প্রশমিত করে এবং জীবাণুনাশকের কাজ করে। বিশেষ করে ফোঁড়া ও ক্ষতের ব্যথায় বেশ ফলদায়ক। সমপরিমাণ মধু ও চিনির সাথে দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথা বা ফোঁড়ার স্থানে লাগান। সম্ভব হলে হালকা ম্যাসাজ করুন। জাদুর মতো কাজ করবে। পিঁপড়া বা মৌমাছির কামড়ে আক্রান্ত স্থানে মধু লাগালেও ব্যথা কমে যায়।
অনিদ্রা
ঘুমের সমস্যায় হালকা গরম দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়। আধা গ্লাস হালকা গরম দুধের সাথে ২ চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল দেয়। আর ঘুমটাও গভীর ও শান্তির হয়।
সর্দি-কাশি
সাধারণ সর্দি-কাশিতে মধু খুবই উপকারী। ১ চা চামচ...

Read More
Health Image +

সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর কোমল পানীয়

ধূমপান করা স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা ক্ষতিকর তা আমরা সকলেই জানি। ধূমপানের ফলে শরীরের কি কি ক্ষতি হয় তা কারো অজানা নয়। এর কারণে সিগারেটের প্যাকেটেও লেখা থাকে ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’।
কিন্তু আপনি জানেন কি সিগারেটের মতোই কোমল পানীয় আমাদের দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর? কিন্তু কোনো কোমল পানীয়ের বোতলে লেখা থাকে না এর খারাপ দিকটি সম্পর্কে।
ধূমপান করলে আমাদের দেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হতে থাকে। ফলে আমরা অল্প বয়সেই বেশ বুড়িয়ে যাই। একই জিনিস ঘটতে পারে কোমল পানীয়ের ক্ষেত্রে। প্রতিদিন আধা লিটার কোমল পানীয় পান করলে আমাদের দেহ যতোটা বুড়িয়ে যায় তা প্রায় ৪.৬ বছরে আমাদের বয়স বাড়ার সমান। 
কোমল পানীয় বিশেষ করে চিনি সমৃদ্ধ এই কোমল পানীয়গুলো আমাদের দেহের কোষগুলোর বয়স অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও চিনির মাত্রা দেহে বেড়ে গেলে মারাত্মক রোগের সম্ভাবনাও বাড়িয়ে তোলে এই কোমল পানীয়।
গবেষণায় দেখা যায় টেলোমেরেস যা শ্বেত রক্ত কণিকায় থাকে এবং আমাদের দেহকে নানা ধরণের রোগের হাত থেকে প্রতিরক্ষার কাজ করে তা অতিরিক্ত কোমল পানীয় পানের ফলে এর দৈর্ঘ্য কমে যায়। যার কারণে আমরা অনেক মারাত্মক রোগে আক্তান্ত হতে পারি।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, ইউসিএসএফ এর প্রোফেসর এলিসা এপেল বলেন, ‘প্রতিদিন চিনি সমৃদ্ধ কোমল পানীয় এবং সোডা পান করার ফলে দেহে নানা রোগের সম্ভাবনা দেখা দেয় এবং এই চিনি দেহের কোষগুলোর বার্ধক্যের জন্যও অনেকাংশে দায়ী থাকে’।
এই টেলোমেরেসের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়া আমাদের জীবনকালের সাথে সম্পৃক্ত। ধূমপানের কারণে আমাদের দেহের শ্বেত কণিকার এই টেলোমেরেসের দৈর্ঘ্য কমে যায়, একইভাবে কমে যায় কোমল পানীয় পানের ফলে।
টেলোমেরেসের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ার ফলে দীর্ঘমেয়াদী বার্ধক্যজনিত রোগ, হৃদপিণ্ডের সমস্যা, ডায়বেটিস এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারও দেহে বাসা বাঁধে।

Read More
Health Image +

ডায়েটিং থেকে ক্যান্সার

ওএমজি! ডায়েটিং থেকে ক্যান্সার! হ্যাঁ, অতি সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই ভয়ংকর তথ্যটি৷ আপনি যদি ভেবে থাকেন, ডায়েটিং করছেন বলেই আপনি একেবারে নো রিস্ক জোনে রয়েছেন, তাহলেই রিস্কটা সবচেয়ে বেশি৷ শুধু ক্যান্সার নয়, ভুলভাল ডায়েটিং থেকে শরীরে থাবা বসাতে পারে ডায়েবেটিজ সহ নানারকম জটিল রোগও৷
আমেরিকা, নরওয়ে আর দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু গবেষকের মতে, ওজন যত কম হতে থাকে, ততই কিছু বিষাক্ত ও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর (জৈব পদার্থ) পদার্থ মিশতে থাকে রক্তে৷ ফলে রক্ত ক্রমশ দূষিত হয়ে পড়ে৷ পরীক্ষার জন্য ৪০ বছরের বেশি বয়সের ১০৯৯ জনের উপর পরীক্ষা চালিয়েই এই তথ্যটি খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা৷ গত দশ বছর ধরে এদের পরীক্ষা করা হয়েছে, যারা প্রবলভাবে ডায়েটিং করছেন৷
আর যতবারই এদের রক্তপরীক্ষা করা হয়েছে, ততবারই এদের রক্তে দূষিত পদার্থের মাত্রা বেশি পাওয়া গিয়েছে৷ কারণ মাত্রাতিরিক্ত কম খেলে শরীরের হজম প্রক্রিয়া ঠিকমতো হয় না৷ ফলে অনেক ক্ষতিকর পদার্থ জমতে থাকে শরীরে৷ কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা নিজেদের মতে ডায়েটিং করে ক্ষতি করি নিজেদের স্বাস্থ্যেরই৷ এতে বিগড়ে যায় পুরো বডি কানিজমটা৷
কম খেয়ে থাকা লোকজনের রক্ত পরীক্ষা করে তার মধ্যে এমন কিছু রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে যা স্তন ক্যান্সার, অ্যালজাইমার্স-এর মতো রোগের সম্ভাবনাই শুধু বাড়ায় না, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতাকেও কমিয়ে দেয় কয়েকগুণ৷ আর এই দূষিত পদার্থগুলো রক্তে থাকতে থাকতে ক্রমশ জন্ম দেয় ক্যান্সারের৷ এমনকী সম্ভাবনা থেকে যায় জটিল স্নায়ুরোগে আক্রান্ত হওয়ারও৷

Read More
Health Image +

ফুড পয়জনিং হতে মুক্তির প্রাকৃতিক উপায়

অনেক মানুষই আছেন যারা কোনো না কোনো সময় একবার হলেও ফুড পয়জনিং সমস্যায় ভুগেছেন। ফুড পয়জনিং মূলত হয়ে থাকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা যে সকল খাবারে টক্সিন থাকে এগুলোর জন্য।
তাছাড়া আরও কিছু লক্ষন হল বমি বমি ভাব, বমি হওয়া, মাথা ব্যথা, মাথা ঘোরা, পেটে ব্যথা, ও ডায়রিয়া। ফুড পয়োজনিং হলে তা কখনোই ভালো হয়ে যাবে চিন্তা করে এড়িয়ে যাবেন না।
যখন আপনি ফুড পয়জনিং সমস্যায় ভুগবেন তখন দেহ থেকে প্রচুর পানি বেড়িয়ে যায়।। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি খাওয়া উচিৎ এবং ফুড পয়জনিং সমস্যায় ঘরে বসেই এর চিকিৎসা করা যায়। জেনে নিন উপায়গুলো।
আদা
দেহের যেকোন ধরণের সমস্যা সারিয়ে তোলার ক্ষমতা আদার মধ্যে আছে এবং ফুড পয়জনিং সারিয়ে তুলতেও খুব সহায়ক।
১. ফুড পয়জনিং সমস্যায় দুপুরে খাওয়ার পরে এক কাপ আদা চা খেয়ে নিন এটি হার্টের জ্বালাপোড়া রোধ করবে, বমি ও অন্যান্য সমস্যাও রধ করবে। আদা চা বানাতে প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে তাতে গ্রেট করা আদা দিয়ে বয়েল করে নিন। তারপর সামান্য চিনি মিশিয়ে খেয়ে নিন।
২. আদা জুসের সাথে মধু মিশিয়ে নিন তারপর দিনের মধ্যে বেশ কয়েকবার এই মিশ্রণটি খেয়ে নিন। এটি দেহের জ্বালাপোড়া ও ব্যথা রোধ করবে।
৩. চাইলে আদা গ্রেট করে আপনি চিবিয়েও খেতে পারেন।
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার
অ্যাপেল সাইডার ভিনেগারে আছে এলকালাইন উপাদান যা দেহের মেটাবলিজমে সাহায্য করে। তাছাড়া ফুড পয়জনিং হওয়ার লক্ষণগুলোও রোদ করে থাকে এই ভিনেগার। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল আস্তরণ প্রসারিত করে এবং ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
১. এক গ্লাস পরিষ্কার পানির সাথে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন।
২. চাইলে আপনি সরাসরি ৩ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার খেয়ে নিয়ে পারেন।
লেবু

Read More
Health Image +

কালি জিরার স্বাস্থ্য গুন

সব রোগের মোহা ঔষুধ কালি জিরা। আজকে এই রোগ এর কিছু উপকার সম্পর্কে আপনাদের জানাব। আসুন জেনে নেই কালি জিরার স্বাস্থ্যগুন
১. অরুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
২. চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
৩. মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪. কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।
৫. চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।
৬. মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
৭. জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।
৮. সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
৯. কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল­ এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।
১০. কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।
১১ . দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
১২ . কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।
১৩. দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ...

Read More
Health Image +

ঘুমের প্রেসক্রিপশন

নানা সময়ে নানান হিসাব কষে বলা হয়েছে যে মানুষ তাঁর জীবনের মূল্যবান এক তৃতীয়াংশ সময় অপচয় করে শুধুমাত্র ঘুমিয়ে। এই সময় বাঁচানোর প্রচেষ্টারও কমতি ছিল না বিখ্যাত সব লোকেদের। যেমন ধরুন প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মারগারেট থ্যাচার ,যিনি রাতে ঘুমাতেন মাত্র ৪ ঘণ্টা। কিংবা ধরুন শিল্পী সালভাদর দালি’র কথা, যে কিনা চেষ্টা করতেন যতটা কম সম্ভব ঘুমিয়ে সমস্ত নষ্ট না করতে। কিন্তু আসলে কি এই স্বল্প ঘুম সাধারন একজন মানুষের শরীর ও সুস্থতার জন্য যথেষ্ট?
লেখক ও গবেষক জিম হর্ন তাঁর ‘ Sleepfaring’ বই তে লিখেছেন গড়ে ৮০% মানুষ রাতে ছয় থেকে নয় ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটান, এবং বাকি 20% অন্যান্যদের তুলনায় বেশী বা কম ঘুমান। অর্থাৎ, বেশিরভাগ মানুষই মনে করেন তাদের শরীরের জন্য নুন্যতম ৬-৯ ঘণ্টার ঘুম প্রয়াজন। ধরুন আপনাকে বলা হল নিজের প্রাত্যহিক ঘুমের সময়সূচি পরিবর্তন জন্য।
কিন্তু এই সময়সূচি পরিবর্তন আপনার জন্য কতটা সহজ হবে? যদি আপনি নিজেকে প্রতিদিন বিছানা থেকে কয়েক ঘন্টা আগেই উঠিয়ে নিতে চান পর্যাপ্ত না ঘুমিয়ে এবং আশা করেন যে আপনার শরীর শেষ পর্যন্ত অভ্যস্ত হয়ে যাবে… তবে দুঃখজনকভাবে সেই চেষ্টার ফলাফল হবে নেতিবাচক। স্বল্প ঘুমের অভ্যাস আপনার জীবনে তা কেমন প্রভাব ফেলতে পারে আসুন দেখে নেই।
সঠিক মাত্রার ঘুমের অভাবে বিরূপ প্রভাবের প্রচুর প্রমাণ আছে। আর সেগুলো যে শুধু স্বল্প মেয়াদী তাই নয়, বরং তার দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলো আরও উদ্বেজনক বলে প্রমানিত হয়েছে গবেষণায়। স্বল্প মেয়াদী প্রভাবের ফলাফলে সাধারণত দেখা যায় যে স্বল্প ঘুম প্রাথমিক ভাবে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মকাণ্ডে মনোযোগের অভাব ঘটায়। আর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবগুলোর আমাদের বিভ্রান্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত তোলে। অপর্যাপ্ত ঘুম বাড়িয়ে দেয় স্থূলতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও ঝুঁকি ।
এবার তবে...

Read More