Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

হলুদ ব্যবহারে ১২টি ঘরোয়া চিকিৎসা

হলুদ, আমাদের প্রত্যেকের রান্নাঘরে ভীষণ সহজলভ্য একটি উপাদান। হলুদ ব্যতীত বাঙালিদের রান্না যেন কল্পনাই করা যায়না। সেই প্রাচীন কাল থেকেই হলুদ ব্যবহৃত হয়ে আসছে নানান রকম চিকিৎসায়, তবে আদুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সামনে যেন হারাতে বসেছে সেই চর্চা।
আবার অনেকেই আছেন যারা কিনা জানেন হলুদের ঔষধি গুণ সম্পর্কে, কিন্তু কি করে ব্যবহার করতে হবে সেটা ঠিক জানেন না। সকলের সুবিধার্থে ঘরোয়া চিকিৎসায় হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে আমাদের আজকের আয়োজন-
হলুদ কি?
হলুদ হচ্ছে আদা গোত্রীয় এক গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদের শিকড় বা মূল। হলুদ গাছের শিকড়কে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করা হয়, তার পর গরম চুলায় শুকানো হয়। এরপর এই শিকড়কে চূর্ণ করে গাঢ় হলুদ বর্ণের গুঁড়া পাওয়া যায়, যা আমরা ব্যবহার করে থাকি। আবার শুকনো হলুদ ছিলে নিয়ে পানিতে ভিজিয়েও ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে ভালো করে ধুয়ে কাঁচা হলুদের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য।
গবেষনায় হলুদের অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকারী ঔষধী কার্যকারীতা পাওয়া গেছে। অনেকেই আমরা জানি হলুদ এ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। যুগ যুগ ধরে গ্রামীন বাংলা ছাড়াও দক্ষিন এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এটি একটি প্রদাহ-নাশক ঔষধী হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রন্ধন প্রক্রিয়ায় হলুদ ব্যবহার করা হয় মূলত খাবারের মধ্যেকার জীবানুগুলোকে ধ্বংশ করার জন্য।
সাম্প্রতিক গবেষেনায় দেখা গেছে হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক একটি বায়ো-এক্টিভ যৌগ আছে, যা অগ্নাশয়ের(পেনক্রিয়েটিক) ক্যান্সার, আলজাইমার রোগ, কলোরেক্টাল ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, লিউকমিয়া প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। হলুদ এমন একটি ঔষধী মশলা যা লিভারের বিষক্রিয়া প্রতিহত করায় সবচেয়ে কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান।
আসুন, জেনে নেয়া যাক হলুদ দ্বারা করা যায় এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা-
 ১) রোদে পুড়ে বা অন্য কোনও কারণে ত্বকের রঙ কালো হয়ে গেলে হলুদ ভীষণ চমৎকার কাজে দিবে। সামান্য পরিমাণ শসার রস নিন, তাতে অল্প একটু হলুদ বাটা বা...

Read More
Health Image +

চোখের সমস্যা ও প্রতিকার

চোখ আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যঙ্গ। এই চোখকে কীভাবে নিরাপদ রাখতে হয় তা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। আবার অনেকে জেনেও সচেতনতার অভাবে তা মানি না। এবার চোখের সমস্যা ও প্রতিকার হয় বা কী করলে চোখ ভালো থাকবে তা নিয়ে কিছু দিক-নির্দেশনা দেয়া হলো।
লক্ষণ ও উপসর্গ
কঞ্জাঙ্কটিভার সবরকম প্রদাহের ক্ষেত্রেই চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে ওঠে। অন্যান্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে:
কঞ্জাঙ্কটিভার প্রদাহ যখন ব্যাকটেরিয়া দ্বারা উৎপন্ন হয়
চোখ থেকে পুজের মতো ঘন পদার্থ নিসৃত হয় এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাপড়িগুলো শক্ত এবং জড়সড় হয়ে ওঠে।
কঞ্জাঙ্কটিভার প্রদাহ যখন ভাইরাস দ্বারা উৎপন্ন হয়
 চোখ থেকে পানির মতো ঘন পদার্থ বের হওয়া, প্রায়শই যেকোন একটি চোখ থেকে এই নি:সরণ ঘটা এবং
 মাঝে মধ্যে চোখের পাতা যুক্ত হয়ে যাওয়া।
কঞ্জাঙ্কটিভার প্রদাহ যখন এ্যলাজির দ্বারা উৎপন্ন হয়
 চোখের চারপাশের ত্বকগুলো ফুলে ওঠে
 চোখে চুলকানির মতো হয়
 চোখে জ্বলা-পোড়া হয় এবং পানি পড়তে থাকে
 নাক দিয়ে পানি পড়া, এবং হাঁব্জি হওয়া
কঞ্জাঙ্কটিভার প্রদাহ যখন পরিবেগত প্রভাবক দ্বারা উৎপন্ন হয়
 চোখের ভেতর কিছু ঢুকেছে বলে মনে হওয়া
 চোখে জ্বলা-পোড়া হয় এবং পানি পড়তে থাকা
কী করা উচিত
ডায়াবেটিস ও চোখের ছানি :
চোখের লেন্স বা এর আবরণ (ক্যাপসুল) ঘোলা হয়ে যাওয়াকেই বলা হয় ছানি বা ক্যাটার্যাক্ট। আমাদের দেশে অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে চোখের ছানি। ছানির প্রথম অবস্থায় লেন্সের কিছু অংশ ঘোলাটে হয় এবং খুব ধীরে ধীরে দৃষ্টির প্রখরতা কমতে থাকে। প্রাথমিক অবস্থায় চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করলে দৃষ্টির প্রখরতা বাড়ানো সম্ভব। তবে ক্রমে ক্রমে লেন্স আরও ঘোলাটে হতে থাকে এবং ২-৩ বছরের মধ্যে প্রায় সম্পূর্ণ লেন্সই ঘোলা হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ এ অবস্থাকে...

Read More
Health Image +

প্রকৃতির ওষুধ পেয়ারা

পেয়ারা মেক্সিকো এবং দক্ষিণ আমেরিকার একটি ফল। বর্তমানে আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে হয়। পেয়ারা নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ একটি ফল। তাই এই ফলকে সুপার ফুড বলে।
পেয়ারায় প্রচুর পরিমাণে দ্রবীভূত খাদ্য আঁশ আছে। সেই সঙ্গে আছে অত্যধিক পরিমাণ ভিটামিন সি। পেয়ারা থেকে কমলালেবুর তুলনায় চার-পাঁচ গুণ বেশি ভিটামিন সি পাওয়া যায়। একটি পেয়ারায় যে পরিমাণ ভিটামিন সি আছে, তা আমাদের এক দিনের চাহিদার তিন গুণ। ভিটামিন-‘এ’র একটি ভালো উৎস। পেয়ারায় সমপরিমাণ কলার চেয়ে বেশি পটাসিয়াম আছে। এ ছাড়া আছে ভিটামিন বি, ভিটামিন ই ও ভিটামিন কে। খনিজ লবণের মধ্যে আছে ম্যাগনেসিয়াম, কপার ও ম্যাঙ্গানিজ।
অত্যধিক মাত্রায় দ্রবীভূত পেয়ারার খাদ্য আঁশ ল্যাক্সিটেভের মতো কাজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। এই আঁশ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং বিষক্রিয়া থেকে কোলনের উপরিভাগকে রক্ষা করে কোলন ক্যান্সার থেকে মুক্ত রাখে। পেয়ারার অতিরিক্ত মাত্রার ভিটামিন সি এন্টি অক্সেডিন্ট হিসেবে কাজ করে ফ্রি রেডিক্যালস নিষ্ক্রিয় করে দেয় এবং ত্বকের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এটা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, হাড়, রক্ত নালি এবং ত্বকের কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে। পেয়ারার ভিটামিন এ এবং ফ্লাভোনয়েড ত্বকের ক্যান্সার ও রাতকানা রোগ থেকে রক্ষা করে। এর লাইকোপিন সানস্ক্রিনের মতো ইউভি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচায় এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার হওয়া প্রতিরোধ করে।
পেয়ারার পটাসিয়াম হার্ট-রেটকে নিয়ন্ত্রণ করে ব্লাডপ্রেশারকে স্বাভাবিক রাখে। এর কপার হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ায় এবং থাইরয়েডের কার্যক্ষমতাকে ঠিক রাখে। পেয়ারা কোলেস্টেরল কমায়, স্কার্ভি প্রতিরোধ করে, অ্যাজমা এবং ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয়। এটা দাঁত ও মাড়ির ব্যথা কমায় এবং ঠাণ্ডা ও কফ নিয়ন্ত্রণ করে।

Read More
Health Image +

যে ৮টি খাদ্য প্রতিরোধ করে ক্যান্সার

বর্তমান যুগে ক্যান্সার মহামারী আকার ধারন করছে। প্রতিদিনই ক্যান্সারের মরণ ফাঁদে যোগ হচ্ছে মানুষ। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্যি যে এখন পর্যন্ত কোন বিজ্ঞানীর পক্ষে ক্যান্সারের প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়ে উঠেনি। তাই সব থেকে ভাল পথ হচ্ছে ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা। ক্যান্সার যাতে শরীরে বাসা বাঁধতে না পারে তার জন্য শরীরকে প্রস্তুত করা।
বিশ্বব্যাপী পরিচালিত অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম।
গবেষকরা বলেন, কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। সেগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। আসুন দেখে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় কোন কোন খাদ্য যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।
চীনাবাদাম:
চীনাবাদাম ভিটামিন ই এর সবথেকে ভালো উৎস। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ চীনাবাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চীনাবাদাম রাখুন। এ ছাড়াও এক চামচ চীনাবাদামের মাখন লাগানো এক টুকরো পাউরুটি আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।
জাম্বুরা:
জাম্বুরা, কমলালেবু , ব্রোকলি এই সব কিছুতে রয়েছে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ক্যান্সার হওয়ার জন্য দায়ী নাইট্রোজেন যৌগের গঠন রোধ করে। জাম্বুরা, কমলালেবু, ব্রকলী এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল খাদ্যনালী, মূত্রাশয়, স্তন ক্যান্সার, সার্ভিকাল ক্যান্সার, এবং পেট ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। তাই প্রতিদিন আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি রাখুন।
মিষ্টি আলু:
মিষ্টি আলু বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি সবজি। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চ মাত্রায় বিটা ক্যারোটিন শরীরে থাকলে তা কোলন, স্তন, পেট ও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় আরও প্রমানিত হয়, যে মহিলারা...

Read More
Health Image +

মরণব্যাধি এইডসের ওষুধ আবিষ্কার

অবশেষে মরণব্যাধী এইডসের ওষুধ আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছেন বিজ্ঞানীরা। এইডসের মতো প্রায় হুবহু মারাত্মক ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকটি বানরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিস্ময়কর সাফল্য পেয়েছেন তারা।
এটি এইচআইভি ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দীর্ঘদিনের গবেষণার পথে বড় ধরনের অর্জন বলে ধারণা করা হচ্ছে।সম্প্রতি নেচার সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে বুধবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অতি প্রাচীন ম্যাকাকু প্রজাতির বানরের দৈহিক গঠনের সাথে মানব দেহের বেশ মিল রয়েছে। সে কারণে আক্রান্ত এসব বানরের দেহে মারাত্মক এই ভাইরাস ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ করতে সক্ষম নতুন ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করে দেখা হয়।
এতে এসআইভি (সিমিয়ান ইম্যুনোডিফেসিয়েন্সি ভাইরাস) ভার্সনের এ ওষুধগুলো বারবার উচ্চমাত্রায় ব্যবহার করা হয়।এর আগে ২০১৩ সালেও বানরের ‍উপর পরীক্ষা চালিয়ে এইচআইভি ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা।
তবে তারা এবারের এ প্রচেষ্টা খুবই কার্যকর বলে অভিহিত করেছেন।যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার স্ক্রিপস রিসার্চ ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ও এ গবেষণা প্রধান মিশেল ফারজান বলেন, ‘এইচআইভি-১ মানব দেহে বিস্তারিত ভাইরাসের প্রধান গ্রুপ।
আমরা এই এইচআইভি ১-কে প্রতিরোধ করার মতো একটি দীর্ঘমেয়াদি কার্যকর ভ্যাকসিন অর্জনের পন্থা দেখাই।’গবেষণায় এর মূল ওষুধকে ইসিডিফোর-এলজি বলা হয়। এতে একটি কোষের আস্তরে থাকা প্রোটিনের (যেটি নির্দিষ্ট মলিকিউলগুলোকে এই আস্তরে বেঁধে রাখে।
যাতে এসব বিশেষ ধরনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের ফলে কোষের ভেতরে শোষণ করা যেতে পারে।) দুধরনের অনুকৃত উপাদান রয়েছে। একইসাথে প্রোটিনের ঢোকা ও বের হওয়ার কিছু পয়েন্টও রয়েছে।
যেখানে রোগ প্রতিরোধকারী কোষগুলোর মূল দূর্গ সিডিফোর কোষগুলোও রয়েছে। এই দূর্গের মুখে এসে এইচআইভি ভাইরাসগুলো ব্যাপকভাবে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
গবেষণায় এই ইসিডিফোর-এলজির অনুকরণেই এইডসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালানো হয়। মূলত প্রোটিনের ঢোকা ও বের হওয়ার যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা পাকাপাকিভাবে শুরু হওয়ার আগেই তাতে বিশেষ ধরনের...

Read More
Health Image +

চিনি তামাকের মতোই ক্ষতিকর

মিষ্টি খাবার মানেই জিভে জল আর মিষ্টি মানেই চিনি৷ অথচ এই চিনিই কিনা তামাকের মতো ক্ষতিকর! এমন অবিশ্বাস্য তথ্যই দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ইউনির্ভাসিটি অব লিভারপুলের গবেষক সায়মন ক্যাপওয়েল।
চিনিকে নতুন তামাক হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।তার এ গবেষণার ফলাফল জানার পর বিশ্বের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনবে বলে আশা করছেন সায়মন।
চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য একটি ক্যাম্পেইন দলের সদস্য হয়ে কাজ করছেন সায়মন।চিনির ক্ষতিকারক প্রভাব মানুষের স্থূলতা, বিভিন্ন রোগের সৃষ্টি ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধির পেছনে দায়ী।
এজন্য খাদ্যপণ্যে চিনির পরিমাণ শতকরা ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, জিরো ফ্যাট ইয়োগার্ট (দই) ক্যানে প্রায় পাঁচ চা-চামচ চিনি থাকে। টমেটো স্যুপে থাকে প্রায় চার চা-চামচ চিনি।
চকলেট বারে থাকে প্রায় আট চা-চামচ চিনি।একজন পূর্ণবয়স্ক নাগরিক দিনে ১২ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করে থাকেন। অনেকে আবার দিনে ৪৬ চা-চামচ চিনিও খেয়ে থাকেন।
চিনি আহরণের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন সর্বোচ্চ ১০ চা-চামচ চিনি গ্রহণ করতে পারেন, এর বেশি নয়।এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিশ্বব্যাপী স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে মৃত্যুর পেছনে মূল ভূমিকা চিনির।
উলফসন ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ মেডিসিনের গবেষক গ্রাহাম ম্যাকগ্রেগর বলেন, এখনই বিশ্বব্যাপী চিনির ক্ষতিকর দিক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।
এ বিষয়ে অপর এক চিকিৎসক জানান, চিনি কোনোভাবেই খাদ্যপণ্যের পুষ্টিমান বাড়ায় না, এমনকি ভোক্তাকে পরিতৃপ্তও করে না। স্থূলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চিনি টাইপ-২ ডায়াবেটিস রোগের সংক্রমণে ভূমিকা রাখে।
জনস্বাস্থ্যের জন্য এ ধরনের খাদ্যপণ্যকে শিশুদের নাগাল থেকে দূরে রাখার বিষয়ে সর্তক করেছেন চিকিৎসকেরা।

Read More
Health Image +

কান ব্যথা সারাতে পেঁয়াজ

যেকোনো ব্যথাই কষ্টদায়ক। আর কান ব্যথা মনে হয় একটু বেশিই কষ্টদায়ক। তবে পেঁয়াজের ব্যবহারে কান ব্যথা উপশম করা সম্ভব। পেঁয়াজে রয়েছে সংক্রমণ দমনকারী এক পদার্থ, যা কানের ব্যথা বা সংক্রমণে বেশ উপকারী।
প্রথমে একটি বা দুটি পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিন, তারপর গরম করুন এবং গরম পেঁয়াজের টুকরোগুলো একটি পরিষ্কার কাপড়ে ঢেলে পুটলি বেঁধে নিন।
লক্ষ্য রাখবেন পেঁয়াজ যেন অতিরিক্ত গরম না হয়। পুটলিটাকে যেখানে ব্যথা বা ফোলা সেখানে আধঘণ্টা ধরে রাখুন। ব্যথা দূর হয়ে যাবে।কানের ব্যথা সারানোর আরো একটি উপায় হচ্ছে, কানে ব্যথা হলে গরম অলিভ ওয়েলে একটি ছোট নরম কাপড় ভিজিয়ে সেটা কানের ঠিক পেছনে কয়েক মিনিট চাপ দিয়ে রাখুন। দেখবেন এতে অনেক আরাম বোধ করছেন এবং ব্যথাও কমে গেছে।

Read More
Health Image +

চমৎকার ঘুমের জন্য জরুরী যে খাবারগুলো

ঘুম না আসা কিংবা ভালো ঘুম না হওয়া একটি বিরক্তিকর ব্যাপার। অনেককেই এই সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। হয়তো দেখা গেল পরের দিন সকালে উঠতে হবে বলে শুয়ে পড়েছেন তাড়াতাড়ি কিন্তু ঘুম আসতে চাইছে না কিছুতেই। বিছানায় এপাশ ওপাশ করে কেটে যায় পুরো রাত। এই সমস্যা ধীরে ধীরে বেড়ে দাঁড়ায় অনিদ্রা রোগে।
বেশি মাত্রায় অনিদ্রা রোগ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত খারাপ। তাই শুরু থেকেই এই অনিদ্রার সমস্যা দূর করার উপায় খুঁজতে হবে। প্রকৃতিতেই মিলবে এই ঘুম না আসা সমস্যার ঔষধ। কিছু খাবার আছে যা ঘুমের জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। আসুন দেখে নেই সুখনিদ্রার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের একটি ছোট্ট তালিকা।
কলা:
কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম যা দেহের মাংসপেশির আড়ষ্টতা দূর করতে সাহায্য করে। এতে দেহ শান্ত হয় এবং ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে। তাই ঘুম না আসতে চাইলে একটি কলা খেয়ে নিতে পারেন।
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার:
দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার যেমন দই এসবে রয়েছে ‘ট্রায়াপ্টোফান’ নামক অ্যামিনো এসিড। এই অ্যামিনো এসিডটি মস্তিষ্কে ঘুমের উদ্রেক করে। তাই ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস গরম দুধ, পায়েস কিংবা এক বাটি দই সুখনিদ্রার জন্য বেশ কার্যকরী।
ছোলা:
ছোলায় আছে ভিটামিন বি৬ যা ঘুমের জন্য দরকারী ‘মেলাটোনিন’ নামক হরমোনের নিঃসরণ ঘটায় দেহে। এতে ঘুম দ্রুত আসে। তাই ঘুমাতে চাইলে খেয়ে নিতে পারেন সেদ্ধ বা পানিতে ভেজানো কাচা ছোলা।
ওটস:
ওটস খুব ভালো একটি ঘুমের উদ্রেককারি খাবার। এতে আছে প্রচুর পরিমানে ‘ট্রায়াপ্টোফান’। ইচ্ছে হলে দুধ দিয়ে ওটস খেয়ে নিতে পারেন। ভালো ঘুম হবে।

Read More
Health Image +

লবণ দিয়ে ৭টি অসাধারণ ঘরোয়া চিকিৎসা

লবণ ছাড়া রান্নার কথা যেন কল্পনাও করা যায় না। খাবার হিসেবে লবণ শরীরের জন্য যেমন উপকারী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ তেমনি ক্ষতিকরও বটে! তবে লবণ খাবারে যে স্বাদ যোগ করে, তা অন্য কিছু করতে পারে না। রান্নাঘরের এই উপকরণটি ছোটখাট দুর্ঘটনা ও শারীরিক সমস্যার চিকিত্সাাতেও খুবই ভালো ফল দেয়। জেনে নিন লবণ দিয়ে ঘরোয়া কিছু চিকিত্সা্র কথা -
১. রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম পানির আঁচ লেগে যেতেই পারে। আক্রান্ত স্থানে সাথে সাথে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বলুনি কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
২. মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যাওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। কাঁটা বেঁধা জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ গুলে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
৩. অল্প দাঁতব্যথা হলে রাতে ঘুমোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করুন। তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না, এমনকি পানিও নয়। পরপর তিনদিন করবেন এভাবে। দেখবেন, দাঁতব্যথা দূর হয়ে গেছে।
৪. গলা ব্যথাতেও লবণ-পানি সমান উপকারী। টনসিলের ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত কারণে গলা ব্যথায় উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন, আরাম পাবেন।
৫. পোকামাকড় কামড়ে দিলে আক্রান্ত স্থানে অনেক সময় চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে যায়। উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে ফেলুন। চুলকানো কমে যাবে।
৬. দাঁত হলদেটে হয়ে গেছে? দাঁতের সাদা রং ফিরে পেতে চান? লবণের সাথে খানিকটা লেবু মিশিয়ে সেটা দিয়ে দাঁত মাজুন। ৩ দিনেই দেখবেন দাঁতের সাদা রং ফিরতে শুরু করেছে।
৭. দাঁতের গোড়ায় ব্যথা করলে বা মাঢ়ি ফুলে গেলে লবণ মেশানো পানি তা উপশম করতে পারে। উষ্ণ গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তা কিছুক্ষণ...

Read More