Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

ঘরে বসেই নির্ণয় করতে পারেন যে ৭ টি রোগ

অনেক সময় আমাদের অজান্তেই আমাদের দেহে নানা ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। আর প্রতিটি আশংকার জন্যে আলাদা আলাদা করে ডাক্তারের কাছে যাওয়া সব সময় সম্ভব হয়ে ওঠে না প্রায় সময়েই। অনেক সময় আপনি হয়তো টের পাচ্ছেন না, অথচ শরীরের ভেতরেরোগ ছড়িয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
কিন্তু আপনিই ঘরে বসে অন্য কারো সাহায্য না নিয়েই কিন্তু পরীক্ষা করে ফেলতে পারেন কিছু রোগের লক্ষণ। আর সময়মত ডাক্তারের কাছে যেতে পারলে সেটি কঠিন আকার ধারণের আগেই সেরে যাবার সম্ভাবনা বেশী।
তাই জেনে নিন, ঘরে বসেই কিছু রোগের পরীক্ষা করার সহজ উপায়ঃ
১। চোখের সমস্যাঃ
একটি থেমে থাকা গাড়ির পেছন দিক থেকে সোজাসুজি ২০ পা পিছিয়ে যান। এবার দেখুন তো, আপনি গাড়ির নম্বর প্লেটের সংখ্যাগুলো কোন অসুবিধে ছাড়াই পড়তে পারছেন কিনা! আপনি যদি ঝাপসা দেখেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার চোখের দৃষ্টিগত কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেরী না করে ডাক্তার দেখান।
২। রক্তের কোলস্টেরলের মাত্রাঃ
চোখের উপরিভাগ ও নিচের ত্বকের দিকে ভালোভাবে তাকান। দেখুন সেখানে কোন সমান অথচ সামান্য ফোলা হলুদ ভাব আছে কিনা! যদি থাক, তবে সেটি হল জমে থাকা ফ্যাটের লক্ষণ, যা আপনার রক্তের বাড়তে থাকা কোমস্টেরলের মাত্রার কথাই জানান দেয়। ভয় না পেয়ে ডাক্তার দেখান।
৩। ফুসফুসের সংক্রমণঃ
একটি মোম জ্বালান। এবার এটি থেকে ৩০ সেণ্টিমিটার দূরে দাঁড়িয়ে বুক ভরে শ্বাস নিয়ে ফুঁ দিন। যদি এটি না নিভে যায়, তাহলে হতে পারে এটি হাঁপানির প্রাথমিক অবস্থা।
সেই সাথে মিলিয়ে নিন, রাতে কি মাঝে মাঝেই কাশতে কাশতে আপনার ঘুম ভেঙ্গে যায়, খুব জোরে হাসলে বা শীতকালে হাঁচি বা কাশি শুরু হলে থামতেই চায় না অথবা মাঝে মাঝেই নিঃশ্বাস নেয়ার সময় বুকে চাপ অনুভব হয় বা বাঁশির মত...

Read More
Health Image +

যে উপকারী মসলাগুলো কমায় ক্যান্সারের ঝুঁকি

ক্যান্সারের মতো মারাত্মক মরণব্যধির কথা আমাদের কারোরই অজানা নেই। আজ পর্যন্ত প্রতিষেধক তৈরি না হওয়া এই মরণব্যধি তাই নির্মূলের চাইতে প্রতিরোধ সহজ। পুরো বিশ্বের অনেক গবেষণা অনুযায়ী বলা হয় ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতে হলে ২ ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রথমত, ডায়েট ও দ্বিতীয়ত, ব্যায়াম।
গবেষণায় দেখা যায় কিছু নির্দিষ্ট খাবারের মধ্যে ক্যান্সার প্রতিরোধের গুন রয়েছে। এবং এই ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব কিছু মসলার মাধ্যমেও। এগুলো প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখলে ও নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব।
আসুন দেখে নিই প্রতিদিনকার খাদ্য তালিকায় যে উপকারী মসলাগুলো যোগ করলে ক্যান্সারের হাত থেকে আপনি নিজেকে ও নিজের পরিবারকে রক্ষা করতে পারবেন।
হলুদ
মসলার রাজা হলুদ, কারণ আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি খাবারেই এই জিনিসটির ব্যবহার রয়েছে। সেই সাথে অনেক রোগের ঔষধও এই হলুদ। হলুদে রয়েছে পলিফেনল কারকিউমিন যা মূত্রনালির ক্যান্সার, মেলানোমা, স্তন ক্যান্সার, ব্রেইন টিউমার, প্যানক্রিয়েট ক্যান্সার ও লিউকোমিয়া প্রতিরোধে বিশেষভাবে কার্যকর।
জিরা
ফোটো নিউট্রিয়েন্টস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর জিরা দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি ক্যান্সার বৃদ্ধিকারি এনজাইমগুলোকে প্রতিহত করে থাকে।
জাফরান
জাফরানে রয়েছে প্রাকৃতিক স্যারোটেনয়েড ডাইকার্বোক্সি এসিড যা ক্রোসেটিন নামে পরিচিত। এই ক্রোসেটিন প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নির্মূলে বিশেষভাবে সহায়তা করে থাকে। যদিও এটি বিশ্বের সবচাইতে দামি মসলাগুলোর মধ্যে একটি, কিন্তু খুবই সামান্য পরিমাণে এই জাফরানের ব্যবহার আপনার দেহকে রাখবে ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত।
দারুচিনি
প্রতিদিন মাত্র আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে ক্যান্সারের ঝুঁকি মুক্ত রাখবে সারাজীবন। আয়রন, ক্যালসিয়ামে ভরপুর এই মসলাটি দেহে টিউমার বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে এবং ক্যান্সার দূরে রাখে। সকালে ১ কাপ দারুচিনির চা এবং রান্নায় সামান্য দারুচিনি গুঁড়ো যোগ করেই আপনি থাকতে পারেন নিশ্চিন্তে।
অরেগেনো
পিৎজা ও পাস্তার ওপরে টপিং হিসেবে...

Read More
Health Image +

৫ মিনিটে মাথাব্যথা দূর করতে ৩ টি প্রাকৃতিক পদ্ধতি

মাথা ব্যথার যন্ত্রণা অনেক ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে তাদের এই যন্ত্রণা টানা ২-৩ দিন ভোগ করতে হয়। মাথাব্যথা এমন একটি সমস্যা যে এটা নিয়ে কোনো ধরণের কাজ ঠিকমতো করা সম্ভব হয় না। যারা অতিরিক্ত মাথাব্যথার সমস্যায় ভোগেন তারা খুব ভালো করেই জানেন এর ভয়াবহতা।

অনেকেই মাথাব্যথার কারণে ডিসপ্রিন জাতীয় ঔষধ খেয়ে থাকেন যার রয়েছে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এই ধরণের ঔষধ না খেয়ে প্রাকৃতিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন পদ্ধতি ব্যবহার করে মাথাব্যথার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন আজকে শিখে নেয়া যাক এমনই ৩ টি প্রাকৃতিক পদ্ধতি, যা মাথাব্যথা সারাবে মাত্র ৫ মিনিটেই।
লেবুর খোসার পেস্ট
লেবুর খোসা মাথাব্যথা সারাতে বেশ কার্যকরী একটি জিনিস। লেবুর খোসার পেস্ট তৈরি করে হাতের কাছে রেখে দিতে পারেন।
প্রথমে ২/৩ টি লেবুর খোসা কেটে আলাদা করে নিন।
এবার শুধুমাত্র লেবুর খোসা বেটে ঘন পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
মাথাব্যথা শুরু হলে এই পেস্টটি কপালে লাগান বামের মতো করে। এতে তাৎক্ষণিক মাথাব্যাথা উপশম হবে।
গ্রিন টি ও লেবুর পানীয়
গ্রিন টী এর অ্যান্টিইনফ্লেমেশন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান খুব দ্রুত মাথাব্যথার হাত থেকে মুক্তি দেয়।
২ কাপ পানি চুলায় বসিয়ে ফুটিয়ে ১ কাপ পরিমাণ করে নিয়ে তা কাপে ঢালুন।
১ টি গ্রিন টির টি-ব্যাগ কাপে দিয়ে গ্রিন টি তৈরি করে নিন।
এবার ১ টি গোটা লেবুর অর্ধেকটা রস চিপে গ্রিন টিতে মেশান
এই পানীয়টি ছোটো ছোটো চুমুকে পান করুন। ৫ মিনিটে মাথাব্যথা দূর হয়ে যাবে।
দারুচিনি গুঁড়ো ও পুদিনার পেস্ট
দারুচিনি দাঁতের ব্যথার পাশাপাশি মাথাব্যথা সারাতেও বেশ কার্যকরী।
২ টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো নিন।
এতে পুদিনা পাতার রস চিপে দিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে নিন।
এই পেস্টটি মাথাব্যথা শুরু হলে কপালে...

Read More
Health Image +

চুলকানির ঘরোয়া কিছু প্রতিকার

জীবনে একবারও ত্বকে চুলকানি হয়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া অসম্ভব ব্যাপার। খুব সাধারণ এই ব্যাপারটি অসহ্যকর একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যখন ত্বকের চুলকানি বেড়ে যায়।
অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আশ্রয় নেয় নানান মলম বা ক্রিমের যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। চুলকানি থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে প্রাকৃতিক কিছু উপায়। ঘরোয়া এই উপায়গুলোতে খুব সহজেই ত্বকের ক্ষতি ছাড়াই চুলকানির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন আপনি। জেনে নিন চুলকানির ঘরোয়া কিছু প্রতিকার সম্পর্কে।
বেকিং সোডা
বেকিং সোডা চুলকানি প্রতিরোধে অত্যন্ত উপকারী। গোসলের সময়ে হালকা গরম পানিতে বেকিং সোডা দিয়ে গোসল করলে শরীরের চুলকানি অনেকটাই কমে যায়।
এক্ষেত্রে একটি চৌবাচ্চাতে ১ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে এবং বড় এক বালতি পানিতে ১/২ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি দিয়ে না ধুয়ে শুকিয়ে ফেলতে হবে।
লেবু
লেবুর রসে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা ত্বকের চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। চুলকানির প্রতিকার পাওয়ার জন্য লেবুর রস ব্যবহার করাও খুব সহজ। ত্বকের যে স্থানে চুলকানি অনুভূত হচ্ছে সেখানে লেবুর রস লাগিয়ে শুকিয়ে ফেলুন। চুলকানি কমে যাবে কিছুক্ষণের মধ্যেই।
তুলসী পাতা
তুলসী পাতায় আছে ইউজেনল যা একটি অ্যান্সথেটিক উপাদান। এই উপাদানটি চুলকানি কমিয়ে দিতে সহায়ক। এক মগ ফুটন্ত পানিতে ১৫/২০টি তুলসী পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস বের করে নিন। এরপর একটি পরিষ্কার টাওয়েলে পানিটি লাগিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থাতেই চুলকানির স্থানে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ আরাম অনুভূত হবে।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতারও আছে অ্যান্সথেটিক ও ইনফ্লেমেটরি উপাদান। চুলকানির প্রতিসেধক হিসেবে তাই পুদিনা পাতাও অত্যন্ত উপকারী। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক আউন্স পুদিনা পাতা জ্বাল দিয়ে নির্যাস তৈরি করে...

Read More
Health Image +

শিশুদের ত্বকের সমস্যা ও সমাধান

আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে শিশুদের ত্বকে নানারকম সমস্যা দেখা যায়। র্যা শ, চুলকানি, ত্বকের লাল হয়ে যাওয়া এরকম বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা আপনার শিশুকে কষ্ট দিতে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই। সঠিক চিকিত্সাে এবং সামান্য সচেতনতা আপনার শিশুকে রাখতে পারে সুস্থ।
ইনফ্যানটাইল সেবোরিক ডার্মাটাইটিস
ছোট শিশুদের বিশেষ করে যাদের বয়স এক বছরেরও কম সময় তাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি হয়। প্রায় ১০-১২% শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়।
লক্ষণ
শিশুদের মাথায় খুব খুশকি হয়।
গলায়, বগলে, থাইয়ের খাঁজে, ন্যাপি এরিয়ায় লাল লাল দাগ হয়, চামড়া উঠতে শুরু করে। মাঝে মাঝে রস বের হয়।
চোখের পাতায়, চোখের পলকে স্কেলস হতে পারে।
কী করবেন
নিয়মিত নারকেল তেল বা অলিভ অয়েল বাচ্চার চুলে লাগান। দুই থেকে তিন মাস মাথায় তেল লাগানো প্রয়োজন।
কিটোকোনিজল বা জিংক পাইরেথিওন সমৃদ্ধ শ্যাম্পু দিয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিন বার শিশুর চুল পরিষ্কার করুন। দুই থেকে তিন মাস এই চিকিত্সা় করতে হবে।
যেহেতু ত্বকে ইরিটেশন হয় তাই শিশুরা প্রায়ই এই জায়গাগুলো চুলকে ফেলে। ফলে চামড়া উঠে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তাই ডাক্তারের পরামর্শে কোনো মলমজাতীয় ওষুধ লাগান।
শিশুর গায়ে ভালো করে তেল মাখান। নারকেল তেল, অলিভ অয়েল বা আমন্ড অয়েল দিয়ে ভালো করে মাসাজ করে সাবান ব্যবহার করুন। বাচ্চার জন্য লিকুইড সোপ সবচেয়ে ভালো। সাবানের পিএইচ মাত্রা শিশুর ত্বকের পিএইচ মাত্রার সমান সেরকম সাবান শিশুর ত্বকের জন্য উপযোগী।
অ্যাটপিক প্রবলেম
আবহাওয়ার কারণে শিশুদের ত্বক অনেক সময় অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায়। তার সঙ্গে এগজিমার মতো সমস্যাও হতে পারে। বারবার হাঁচি হতে পারে, যাকে বলা হয় অ্যালার্জিক রাইনাইটিস। পরিবারে কারো যদি এগজিমা বা অ্যাজমা থাকে, তাহলে তা বাড়ির শিশুদের মধ্যে বংশগতভাবে চলে আসতে পারে। তবে এসব সমস্যা...

Read More
Health Image +

যে ৫ টি লক্ষণে বুঝে নেবেন নষ্ট হয়েছে দেহের হরমোনের ভারসাম্য

প্রতি মাসেরই একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের শরীরে হরমোনের ক্রিয়াকলাপ বেড়ে যায়। এ সময়ে হরমোন তাদের শারীরিক এবং মানসিক অবস্থার ওপর বেশ বড় প্রভাব রাখে।

পিরিয়ডের পর শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এলেও মাঝে মাঝে দেখা যায় অকারণেই অনেক দিন ধরে রয়ে গেছে এসব উপসর্গ। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য এভাবে ব্যহত হবার পেছনে থাকতে পারে গুরুতর কোনো শারীরিক সমস্যা। বিশেষ করে পাঁচটি লক্ষণ দেখতে পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়াটাই ভালো।
অবসাদ
অবসাদের অনেক অনেক কারণ থাকতে পারে। শুধুমাত্র ক্লান্তি মনে করে একে উড়িয়ে দেন অনেকেই। সারা সপ্তাহ কাজ বা পড়াশোনার ধকলের পর ক্লান্ত থাকাটা স্বাভাবিক।
কিন্তু সারাক্ষণই ক্লান্ত থাকা এবং তার পাশাপাশি ওজন বেড়ে যাওয়া, রুচির পরিবর্তন এবং বদহজমের উপসর্গ থাকলে তা হলে পারে আন্ডারঅ্যাকটিভ থাইরয়েডের লক্ষণ। কোনো কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্ত লাগলে ডাক্তারকে জানান।
ত্বকের অবনতি
ত্বকে ব্রণ ওঠার ব্যাপারটাকে অনেকেই হেলাফেলার দৃষ্টিতে দেখেন। কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মুখের নিচের অংশে ব্রণ ওঠার সাথে শরীরে উঁচুমাত্রার টেস্টোস্টেরনের সংযোগ থাকতে পারে।
দ্রুত পশম/চুলের উদ্ভব
শরীরের এখানে সেখানে হঠাৎ করে পশম জন্মাতে শুরু করতে পারে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে যাবার কারণে। আর টেস্টোস্টেরন এভাবে বেড়ে যেতে পারে যদি শরীরে এক ধরণের টিউমার থেকে থাকে।
অনিয়মিত পিরিয়ড
অবসাদের মতই অনিয়মিত পিরিয়ডের পেছনেও থাকতে পারে অনেক কারণ। যেমন স্ট্রেস, থাইরয়েডের সমস্যা, ইস্ট্রোজেনের অভাব অথবা PCOS (polycystic ovary syndrome)।
PCOS এর লক্ষণ হলো অনিয়মিত পিরিয়ড, অনিয়ন্ত্রিত ওজন বাড়া অথবা শরীরে পশমের আধিক্য। তবে পিরিয়ড অনিয়মিত হবার পেছনে এটাই কি কারণ কিনা তা জেনে নিতে হবে, এরপর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এর প্রতিকার করা যায়।
ঘুমের মাঝে ঘেমে যাওয়া
ইলেক্ট্রিসিটি যদি চলে না যায় বা আপনার বেডরুম যদি কোনো কারণে অতিরিক্ত গরম না হয়,...

Read More
Health Image +

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় যে ৭ টি সুঅভ্যাস

সাধারণত মস্তিষ্কের রক্তনালীর দুর্ঘটনা থেকেই স্ট্রোকের সমস্যা হয়ে থাকে। সারা বিশ্বে প্রতি ৬ সেকেন্ডে একজন ব্যক্তি স্ট্রোকে মারা যান। কখন কোনসময়ে একজন মানুষের স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে তা বলা যায় না। আসুন এমন কিছু সচেতনতা বা অভ্যাসের কথা জেনে নিই যেগুলো স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে অত্যন্ত কার্যকরী।
১. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ :
হাইপারটেনশন এক ধরনের উচ্চ রক্তচাপ। এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায় এবং অন্যান্য হার্টের সমস্যা তৈরি করে। এই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ আনার অভ্যাসটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে সহায়তা করে। এর জন্য লবণ কম খাওয়া, শারীরিক ব্যায়াম করা এবং মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। স্বাভাবিক রক্তচাপ স্ট্রোক হতে দেয় না।
২. হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ :
জন্মের সময়েই একজনের হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিতে পারে যা বংশানুক্রমেই ছড়িয়ে থাকে। এই হৃদরোগের ফলেই একজনের হাইপারটেনশন, স্থূলতা. ডায়বেটিস, উচ্চ কোলেস্টরেল ইত্যাদির সমস্যা হতে পারে।
এই হৃদরোগের ফলে করোনারি আর্টারির সমস্যাও, হার্টের ভাল্বের সমস্যা, হার্টের পেশীর সমস্যা, হার্টের বৃদ্ধি পাওয়া, অস্বাভাবিক হৃদস্পন্দন ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। প্রতিনিয়ত মেডিকেল চেকআপের মাধ্যমে হার্টের এই ধরনের সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
৩. উচ্চ কোলেস্টরেল কমানো :
উচ্চ কোলেস্টরেলের সমস্যা হার্টের বিভিন্ন রোগ তৈরি এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে থাকে। অতিরিক্ত ফ্যাটের কারণে এই ধরনের কোলেস্টরেলের সমস্যা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ডায়েটের অভ্যাসের মাধ্যমে উচ্চ কোলেস্টরেল নিয়ন্ত্রণে এনে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।
৪. ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ :
ডায়বেটিসের কারণে বিভিন্ন ধরনের হার্টের সমস্যা এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগের সৃষ্টি হতে পারে। রক্তে সুগারের আধিক্যে এই ডায়বেটিস হয়ে থাকে। জন্মের সময়েই বা পরবর্তীতেও এই রোগটি একজনের হতে পারে।
বিভিন্ন শারীরিক ব্যায়াম, খাদ্যের বাছবিচার, ইনসুলিন ট্রিটমেন্ট ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব যা একজনের স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুলাংশে কমিয়ে আনে।
৫. স্থূলতা...

Read More
Health Image +

থাইরয়েডের সমস্যায় করণীয়

থাইরয়েডের সমস্যা এখন স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে সেটা যেন একটু বেশিই। হাইপোথাইরয়েডিজমের জন্য ওজন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
থাইরয়েড গ্ল্যান্ডের কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে প্রয়োজন যথাযথ পুষ্টি গ্রহণ, সেই সাথে ওজন নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরি। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে কোন খাবার গুলো আপনাকে উপকার দেবে আর কী কী করলে আপনি উপকার পাবেন, সে সব সম্পর্কে আসুন জেনে নেয়া যাক:
১। আয়োডিন যুক্ত খাবার গ্রহণ:
যদিও আয়োডিন যুক্ত লবণের মাধ্যমে আমরা আয়োডিন গ্রহণ করে থাকি। তবে লবণ কম পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। কলা, গাজর, স্ট্রবেরি, দুধ, সামুদ্রিক মাছ এবং দানাশস্যে আয়োডিন রয়েছে।
এগেুলোকে রাখতে হবে প্রতিদিনের খাবার তালিকায়। শাকপাতা ও মৌসুমি সবজিতেও রয়েছে আয়োডিন। তাই ডায়েটিং এর নামে খাবার তালিকা থেকে এগুলো বাদ দিলে চলবে না।
২। প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ:
থাইরয়েড ম্যানেজমেন্টের জন্য প্রোটিন খুবই জরুরি। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখবেন। চিজ, পনির, ডিম, ফ্রেশ সি ফুড, মুরগির মাংস পরিমিত খেলে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ঠিক মত কাজ করতে পারবে।
৩। জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন:
বার্গার, হটডগ, চিপস প্রভৃতি জাঙ্কফুড থেকে দূরে থাকুন। এ সব প্রসেসড খাবারের বাড়তি লবণ কোষের সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়। আর এগুলো শরীরে মেদ জমতে সহায়তা করে। তাই যথাসম্ভব এই খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন। বাড়িতে তৈরি ওয়েল ব্যালেন্সড খাবার খান।
৪। নিয়মিত ব্যায়াম করুন:
থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে প্রপার ডায়েটের সাথে সাথে প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যায়াম করা জরুরি। ব্যায়ামের জন্য নিতে পারেন অভিজ্ঞ কোন ইন্সট্রাকটরের পরামর্শ। সাইক্লিং কিংবা সুইমিং থাইরয়েডের জন্য খুব উপকারী। যোগাসনও খুব কাজে দেয় বলে জানিয়েছেন অনেকে।
৫। পরিমিত ঘুম:
থাইরয়েড ভালো ভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজন রাতের ভালো ঘুম...

Read More
Health Image +

শিশুরাও হতে পারে উচ্চ রক্তচাপের শিকার

অনেকেই মনে করেন উচ্চ রক্তচাপের প্রবণতা বয়স বাড়ার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তবে তা একেবারেই নয়। শিশুদের মধ্যেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। শিশু যদি স্থূলকায় হয়, ফলমুল ও শাকসবজি এড়িয়ে চলে এবং মাঠে খেলাধুলার থেকে কম্পিউটার গেমসে বেশি অভ্যস্ত হয়, তবে অভিভাবকদের সতর্কতা প্রয়োজনীয়। কারণ এই ধরনের শিশুরাই উচ্চ রক্তচাপের শিকার হতে পারে!
প্রায় ১০ হাজার শিশুর উপর এক গবেষণা চালিয়ে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এই তথ্য প্রকাশ করেছে। এই গবেষণায় দেখা গেছে শিশুদ্র মধ্যে ৩ থেকে ৪ শতাংশ এই রোগের শিকার। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী শিশুরাও রয়েছে।
ইন্ডিয়ান জার্নাল এফ এন্ডোক্রাইনোলজি অ্যান্ড মেটাবলিজমের এক প্রকাশনায় এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মুখ্য গবেষক উমেশ কপিল জানিয়েছেন, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত শিশুদের প্রায় ৭০ শতাংশই শিশুই বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের উচ্চরক্তচাপের মাত্রাও বৃদ্ধি পাবে।
এটি এড়িয়ে জন্য তাদের পরিমিত খাবার খেতে হবে এবং নিয়মিত শরীরচর্চার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। বর্তমানে শিশুরা দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় বসে সময় কাটায় ফলে এই ধরনের রোগের প্রকোপ বাড়ছে। এছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় নুনসমৃদ্ধ জাঙ্ক ফুডও উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী।

Read More