Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা আছে কিনা জানা যাবে ১৩ বছর আগেই

ক্যানসার মরণঘাতী রোগ যেকোনো সময় ক্যানসার আপনার শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্যানসার দেহে ছড়িয়ে পড়ার পর রোগী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন। এতে রোগী চিকিৎসা না পেয়ে মারা যান।
এখন থেকে তেমনটি আর ঘটবে না। ক্যানসার হওয়ার আগেই জানা যাবে এ রোগ দেহে সংক্রমণ করবে কিনা। তাও আবার ১৩ বছর আগে। অর্থাৎ ১৩ বছর আগেই আপনি জেনে যাবেন আপনার দেহে ক্যানসারে আক্রান্ত হবে কিনা। এই পরীক্ষা ১০০ শতাংশ সঠিক।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড ও নর্থ ওয়েস্টের বিজ্ঞানীরা এমন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে যেটি অনলাইন জার্নাল ইবায়োমেডিসিনে প্রকাশিত হয়েছে।
বিজ্ঞানীর লক্ষ্য করেন প্রতিটি ক্রোমোজোমের শেষ প্রান্তে টুপির মতো একটি অংশ রয়েছে। সেটি ডিএনএকে সুরক্ষিত রাখে । পরীক্ষায় দেখা গেছে , শরীরে ক্যানসার বাসা বাঁধার অনেক আগে থেকেই ক্রোমোজোমের সেই টুপি ক্রমশ জরাজীর্ণ চেহারা নেয়। বিশেষ এই টুপিটিকে গবেষকরা বলছেন টেলোমিয়ারস।
ক্যানসার হওয়া আগ থেকেই টেলেমিয়ার স্বাভাবিক অবস্থার চাইতে যতটা ক্ষুদ্র, তার থেকেও ক্ষুদ্রতর হতে থাকে। আক্রান্ত হওয়ার চার বছর আগে সেটি আর সংকুচিত হয় না। বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রেই গবেষকরা জিনের এই পরিবর্তনে মিল খুঁজে পেয়েছেন। জিনের টুপি দেখেই আগাম সতর্ক হয়ে যান আপনার ক্যানসার হবে কি না।

Read More
Health Image +

পেঁয়াজে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে সঙ্গে কোলেষ্টেরল নিয়ন্ত্রন

পেঁয়াজ ছাড়া কি রান্না চলে? প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজ না থাকলে যেন স্বাদই পাওয়া যায় না। শুধু কি তাই? সালাদের সাথে, সিঙ্গারার সাথে কিংবা ভাতের সাথে কাঁচা পেয়াজও খেয়ে থাকেন অনেকে।
কখনো কি ভেবে দেখেছেন এই অতি পরিচিত পেঁয়াজের হরেক গুণের কথা? পেঁয়াজের আছে নানান গুণ এবং এর স্বাস্থ্য উপকারিতাও অনেক।
একটি বড় পেঁয়াজে ৮৬.৮ শতাংশ পানি, ১.২ শতাংশ প্রোটিন, ১১.৬ শতাংশ শর্করা জাতীয় পদার্থ, ০.১৮ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.০৪ শতাংশ ফসফরাস ও ০.৭ শতাংশ লোহা থাকে। এছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন এ, বি ও সি আছে।
আসুন জেনে নেয়া যাক পেঁয়াজের স্বাস্থ্য উপকারিতা গুলোঃ
উপকারী কোয়ারসেটিনের উৎকৃষ্ট উৎস :
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কোয়ারসেটিন আছে যা পেয়াজের বাইরের হালকা বেগুনী ত্বকে থাকে। কোয়ারসেটিন রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়, রক্ত জমাট বাঁধা রোধ করে, হাঁপানির সমস্যা কমায়, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং ব্রঙ্কাইটিস সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে।
মজার ব্যাপার হলো এই উপকার পেতে সারাদিন পেঁয়াজ না খেলেও চলবে। গবেষকদের মতে দিনে মাত্র একটি মাঝারী আকৃতির রান্না করা কিংবা কাঁচা পেঁয়াজ খেলেই এই উপকারিতা পাওয়া যায়।
শরীরকে বিষ মুক্ত করে :
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সালফার যৌগ আছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। সালফারে এমিনো এসিড আছে যা রসুন ও ডিমে পাওয়া যায়। এই এমিনো এসিড গুলোকে মিথিওনাইন ও সিস্টাইন বলা হয়।
এই উপাদান গুলো শরীরকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ধাতুর থেকে মুক্তি দেয়। এমন কি এগুলো শরীর থেকে সীসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম বের করে দেয়। পেঁয়াজ ভিটামিন সি আছে যা শরীরকে বিশুদ্ধ করে এবং সীসা, আর্সেনিক ও ক্যাডমিয়াম থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
হৃৎপিণ্ডের জন্য উপকারি :
পেঁয়াজ রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না এবং রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। তাই...

Read More
Health Image +

মায়ের ব্যায়ামে শিশুর উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে

গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম অথবা শারীরিক চর্চা শিশুকে উচ্চ রক্তচাপের হাত থেকে সুরক্ষিত করে। গবেষনায় দেখা গেছে যেসব মা তাদের গর্ভাবস্থায় কাজের ভেতর থাকেন তাদের সন্তানেরা বেশি সুস্থ থাকে। এসব সন্তানদের বয়স ১০ বছরেও তাদের রক্তচাপ অনেক কম থাকে।
গবেষকেরা জানান, গর্ভাবস্থায় ব্যায়াম করলে শিশুদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে। যেসব গর্ভবতী নারী শেষের তিনমাস শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকেন তাদের শিশুদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে এবং যেসব শিশু কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয় তাদেরও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে।
কতটুকু ব্যায়াম করা প্রাসঙ্গিক?
গর্ভবতী নারীদের জন্য এনএইচএস ওয়েব সাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যায়াম করা বা শারীরিক পরিশ্রম করা সবসময় বিপদজনক নয়। গর্ভবতী নারীদের প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে ব্যয়ামের পরামর্শ দেয়া হয়। আরও বলা হয় ৩০ মিনিটের বেশি বিশেষ করে একঘন্টা যদি কেউ ব্যয়াম করে তাহলে সেটা এখলামশিয়ার মত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যেটা মা ও শিশু উভয়ের জন্যই মারাত্মক হুমকি স্বরূপ।
মার্কিন গবেষকেরা প্রথম এ ব্যাপারে রিপোর্ট প্রকাশ করে বলে শারীরিক সক্ষমতা সম্পন্ন নারীদের গর্ভের শিশুদের উচ্চরক্তচাপ অনেক কম হয় ও যা হৃদরোগের অন্যতম কারণ।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেমস পিভারনিক বলেন, তারা ৫১জন নারীর ওপর এক জরিপ চালিয়ে দেখেছেন যেসব শিশুরা কম ওজন নিয়ে জন্ম নেয় তাদের পরবর্তী জীবনে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভবনা থাকে কিন্তু তাদের মায়েরা যদি গর্ভাবস্থায় শারিরীক ভাবে কর্মক্ষম থাকে তাহলে তাদের এই ঝুঁকি অনেক কম থাকে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়, কম ওজন সম্পন্ন বাচ্চাদের হৃদরোগের সম্ভাবনা অনেক বেশি হয়।
১২ জনের ওপর চালান অপর এক জরিপে দেখা যায় যে, গর্ভাবস্থার শেষ তিনমাসে শারীরিক পরিশ্রম শিশুদের উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে এবং এটি মা ও সন্তানের উভয়ের জন্যই...

Read More
Health Image +

আপনার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করতে পারে যেসব অ্যাপ

স্মার্টফোন ব্যবহার করতে করতে এখন আমাদের এমন অবস্থা হয়েছে যে জীবন যাপনের সব সুবিধাই চলে আসছে হাতের মুঠোয়, অ্যাপ হিসেবে। এভাবে যে আমাদের চোখের বারোটা বাজছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই কারো। কিন্তু এই স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমেই যদি দৃষ্টিশক্তির উন্নতি করা যায় তবে কেমন হয়? দেখে নিন কি সেসব অ্যাপ।
১) UltimEyes
এ বছরের শুরুতে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকেরা তৈরি করেন এই অ্যাপ। এক্ষেত্রে তারা মস্তিষ্কের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য “নিউরোপ্লাস্টিসিটি” কাজে লাগান। মূলত দেখা যায়, মস্তিষ্কের কোষগুলোর মাঝে সংযোগ দৃঢ় করতে পারলে তারা নিজেদের কাজে ভালো হয়ে ওঠে। দৃষ্টিশক্তির সাথে সম্পর্কিত কোষগুলোর জন্যেও এটি প্রযোজ্য।
এই অ্যাপে একটি ধূসর ব্যাকগ্রাউন্ডের ওপরে কিছু ঝাপসা লাইন থাকে যাকে বলা হয় “Gabor patches”। এই প্যাটার্ন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়ে ওঠে।
২) GlassesOff
এতেও ব্যবহৃত হয় “Gabor patches” কিন্তু এখানে বলা হয় যে বর্তমানে যারা চশমা ব্যবহার করছেন, এই অ্যাপ ব্যবহারের ফলে তাদের চশমা ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে। যদিও প্রেসবায়োপিয়া ধরণের জটিলতা এই অ্যাপের মাধ্যমে কমার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু আপনার মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা তা অবশ্যই বাড়াতে পারে।
এসব অ্যাপ ব্যবহারে মস্তিষ্কে ঠিক কি ঘটে, এবং এদের প্রভাব কতটা দীর্ঘমেয়াদি তা যদিও এখনো গবেষকদের জানা নেই, তবে এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা উপকার পাচ্ছেন এবং তা যথেষ্ট ভালো সংবাদ।

Read More
Health Image +

এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়

এলার্জি লাখ লাখ মানুষের কাছে এক অসহনীয় ব্যাধি, এলার্জি হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ঔসুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া কিংবা শ্বাসকষ্ট হতে পারে, কারো ক্ষেত্রে এলার্জি সামান্য তম অসুবিধা করে, আবার কারো ক্ষেত্রে জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে।
ঘরের ধুলা-বালি পরিষ্কার করছেন? হঠাৎ করে হাঁচি এবং পরে শ্বাসকষ্ট অথবা ফুলের গন্ধ নিচ্ছেন বা গরুর মাংস, চিংড়ি, ইলিশ কিংবা গরুর দুধ খেলে শুরু হলো গা চুলকানি বা চামড়ায় লাল লাল চাকা হয়ে ফুলে ওঠা। এগুলি হলে আপনার এলার্জি আছে ধরে নিতে হবে। চলুন জেনে নেই এলার্জি থেকে মুক্তির উপায়:
বিছানা ও আসবাবপত্রে অ্যালার্জি
বিছানার চাদর, বালিশের কভার, বালিশ, লেপ, তোষক, মেট্রেস, কম্বল, মশারিতে প্রতিদিন আক্রমণ করে ধুলোবালি, জীবাণু ও ঘরোয়া জীবাণু মাইট ডাস্ট। ডাস্ট মাইটগুলো মাকড়সা জাতীয় ক্ষুদ্র কীট। লম্বায় এই কিটগুলো এক মিলিমিটারের তিন ভাগের এক ভাগেরও কম।
আমাদের শরীরের ত্বক থেকে প্রতিনিয়ত ঝরে যাওয়া অসংখ্য মৃত কোষ খেয়ে বেঁচে থাকে এই জীবাণু। এরা প্রতিনিয়ত প্রচুর বিষ্ঠা ত্যাগ করে। ঘরদোর, বিছানা যখন ঝাট দেয়া হয় তখন এই বিষ্ঠাগুলো বাতাসে ভেসে বেড়ায় এবং পুরো বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। ডাস্ট মাইটের বিষ্ঠাই আমাদের অনেকের শরীরে অ্যালার্জি আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ।
টিপস
বিছানার ডাস্ট মাইট থেকে পরিত্রাণ পেতে বিছানার চাদর, বালিশের কভার, লেপের কভার, মশারি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এছাড়া ঘরের চারপাশে ঝাট দিয়ে মেঝে পানি ও ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করলে অ্যালার্জেন থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। তাছাড়া প্রতিদিন উঠোনে বা বেলকনিতে আসা রোদে লেপ, কম্পল, কাঁথা, তোষক মেট্রেস শুকিয়ে নেয়া উচিত। রোদের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মিতে হাউজ ডাস্ট মাইট মরে যায়।
বাসাবাড়িতে চেয়ার, টেবিল, সোফা, খাট, আলমারি, ওয়ারড্রোব, কাঠের বিভিন্ন আসবাবপত্রের ফাঁকে ফাঁকে ধুলোবালি ও...

Read More
Health Image +

অসুখবিসুখ দূরে রাখতে প্রতিদিন খাওয়া উচিত যে ৮টি খাবার

রোগের ক্ষেত্রে বলা হয়ে থাকে প্রতিকারের চেয়ে রোগউত্তম। আর বিভিন্ন অসুখবিসুখ প্রতিরোধ করতে সাহায্য আমাদের অতি পরিচিত সাধারণ কিছু খাদ্য। এর মধ্যে কিছু খাবার আমরা নিয়মিত খেয়ে থাকি, আবার কিছু খাই কালেভদ্রে। জেনে নিন অতি পরিচিত ৮টি খাবারের কথা, যেগুলোর অসাধারণ গুণাবলী অসুখবিসুখ রাখবে দূরে।
১. লেবু
লেবু একটা জিনিস যা সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই ভাতের পাতে প্রতিদিন খান লেবু। লেবু রুচি বর্ধক তো বটেই, সেই সাথে নানা রোগের প্রতিরোধকও। বিশেষ করে ঠাণ্ডাজনিত ও ঘা জাতীয় রোগ দূর করতে লেবু সহায়তা করে।
এছাড়া হৃদরোগ প্রতিরোধেও লেবু ভূমিকা রাখে। একটি মাঝারি আকৃতির লেবু থেকে ৪০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাওয়া যায়, যা একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট।
২. রসুন
প্রতিদিন এক কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে রাখবে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ থেকে দূরে। রসুন প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পরিচিত। রসুনে প্রোটিনের পাশাপাশি থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন সি। রসুন কৃমি নাশক, শ্বাস কষ্ট কমায়, হজমে সহায়তা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
৩. পেঁয়াজ
পেঁয়াজ বলবর্ধক ও রোগরোগ। পেঁয়াজের সালফার যৌগ রক্তের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়। শরীরে ইনসুলিন ও হজমশক্তি বাড়াতেও সহায়তা করে পেঁয়াজ।
৪. কাঁচামরিচ
অবিশ্বাস্য মনে হলেও কাঁচা মরিচেই রয়েছে সর্বোচ্চ ভিটামিন সি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচে রয়েছে ১৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি। এতে পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, প্রতি ১০০ গ্রামে ৩২২ মিলিগ্রাম। এ কারণেই প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে যায়।
কাঁচা মরিচ হাড়, দাঁত, মাড়ি ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচ মেটাবলিজমের হার বাড়িয়ে ক্যালরি পোড়াতে সহায়তা করে। ফলে ওজন কমে। নিয়মিত...

Read More
Health Image +

প্রতিদিনের খাবারেই লুকিয়ে আছে ক্যানসারের কারণ

আপনার খাবার ঘরে এই জিনিসগুলোর অবশ্যই দেখা মিলবে৷ আর এগুলোতে এমন কিছু উপাদান আছে, যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে৷
সেই সব খাদ্যের তালিকাই তুলে ধরা হলো৷ খবর ডিডব্লিউর।
সাদা ময়দা
ময়দা সাদা করার জন্য গমকে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এবং তাতে ক্লোরিন ব্যবহার করা হয়৷ এই একই ক্লোরিন কিন্তু কাপড়ের রং ওঠাতেও
ব্যবহার করা হয়৷ বলা বাহুল্য, এই ক্লোরিন ব্যবহারের ফলে খাদ্যের সব পুষ্টিগুণ কমে যায়৷
বণাক্ত স্ন্যাকস
পট্যাটো বা আলুর চিপসে অতিরিক্ত লবণ থাকে৷ তাই খুব বেশি চিপস খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত৷
ক্যানসার সৃষ্টির জন্য সব ধরনের উপাদান রয়েছে এই চিপসে৷ এছাড়া চিপসকে মচমচে করতে যে অ্যাক্রিলামাইড ব্যবহার করা হয়,
সেই একই উপাদান পাওয়া যায় সিগারেটেও৷
লাল মাংস
অল্প মাত্রায় এ ধরনের মাংস খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক নয়৷ কিন্তু ‘লাল মাংস’ যদি খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে কোলন বা
প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়৷ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুযায়ী, রেড মিট বা গরু, ছাগল এবং
ভেড়ার মাংসে এক ধরনের সিলিসিক অ্যাসিড থাকে, যেটা ক্যানসারের কারণ৷
কোমল পানীয়
কোকাকোলা, পেপসি এবং এ ধরনের অন্যান্য পানীয়তে উচ্চ মাত্রায় চিনি রয়েছে, যা কৃত্রিমভাবে রং করা৷ এ ধরনের কোমল পানীয় ভীষণ ক্ষতিকর৷
এছাড়া কৃত্রিম সুইটেনারে বেশি মাত্রায় সোডিয়াম থাকে৷ যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও মাদক প্রশাসন জানিয়েছে,
এ সব কোমল পানীয় গ্রহণ করলে মানুষের মস্তিষ্ক রাসায়নিক দ্রব্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে৷
ভেজিটেবল তেল
সূর্যমুখী তেলে এক ধরনের রং ব্যবহার করা হয়, যাতে তা ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে৷ এই তেলে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা স্বাস্থ্যকর৷
কিন্তু তেলে যদি রঙের পরিমাণ বেশি হয়, তবে তা স্তন ও প্রস্টেট ক্যানসারের কারণ হতে পারে৷ ক্লিনিকাল ইনভেস্টিগেশন জার্নালে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে...

Read More
Health Image +

হার্টের ওষুধই ডেকে আনছে মৃত্যু

রক্ষকই ভক্ষক, নাকি সর্ষের মধ্যেই ভূত? বিকল হৃদযন্ত্রের চিকিৎসায় ব্যবহৃত শতাব্দী প্রাচীন প্রাণদায়ী ওষুধই ঘটাতে পারে অকালমৃত্যু। এমন চমকে ওঠার মতো তথ্য জানা গিয়েছে জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায়।
হার্টের সমস্যায় ডাইজক্সিন-এর ব্যবহার নতুন নয়। বস্তুত এই জীবনদায়ী ওষুধের ওপর গত ১০০ বছরের ওপর নির্ভর করেছেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় এই ডাইজক্সিনকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সংশয়। মনে করা হচ্ছে, atrial fibrillation অথবা congestive heart failure-এর
মতো হৃদযন্ত্রের সমস্যায় এই ওষুধের অনিয়ন্ত্রিত প্রয়োগ ডেকে আনতে পারে হঠাৎ মৃত্যু।
১৯৯৩ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যের পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ফ্র্যাঙ্কফুর্টের জে ডব্লিউ গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই দুই হৃদযন্ত্রজনিত অসুখের জেরে মৃত্যুতে ডাইজক্সিনের ভূমিকা খতিয়ে দেখেছেন। দেখা গিয়েছে, এর মধ্যে অন্তত তিন লাখ ২৬ হাজার ৪২৬ জন রোগী ডাইজক্সিন প্রয়োগের পর মারা গিয়েছেন।
সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, ডাইজক্সিন প্রয়োগের ফলে atrial fibrillation এবং congestive heart failure-এর মতো সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের ২১ শতাংশ মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে। এই দুই ধরনের হৃদরোগীদের ক্ষেত্রে সাধারণত ডাইজক্সিন প্রয়োগ করা হয়।
তবে এই ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার মাত্রা সম্পর্কে চিকিৎসকদের অত্যন্ত সাবধান হতে হয়। নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় ডাইজক্সিন যেমন ফলদায়ী, তেমনই নিয়ন্ত্রণ রেখা ছাড়িয়ে গেলে তার ফল হয় মারাত্মক।
এই কারণে ডাইজক্সিন ব্যবহারকারী রোগীদের নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করে তাতে ডাইজক্সিনের মাত্রার ওপর নজর রাখাই বিধেয়। গ্যেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক তথা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক স্তেফান হনলুজার জানিয়েছেন, ‘বিভিন্ন সাক্ষ্য বিশ্লেষণের পর একটি সত্যে উপনীত হওয়া গিয়েছে: ডাইজক্সিন ব্যবহার অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।’ সম্প্রতি ইউরোপীয় হার্ট জার্নালে এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।

Read More
Health Image +

কাঁচা দুধ পানে মৃত্যুও হতে পারে

কাঁচা দুধ পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে খাদ্য বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সমুহ আশঙ্কা রয়েছে।
সবচেয়ে বিপজ্জনক হচ্ছে যে, এতে আক্রান্ত হবার আশাংকা ১০০ গুণেরও বেশী। এক্ষেত্রে পাস্তুরিত দুধ সবচেয়ে ভালো।
সর্বশেষ এক সমীক্ষায় এ তথ্যটি উঠে এসেছে। কাঁচা দুধ পান করলে যেসব অসুখ হতে পারে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-ডায়রিয়া, বমি বমি ভাব, কাপুনি, জ্বর এবং কখনও কখনও আরও বেশি বিপজ্জনক পরিস্থিতি যেমন-কিডনি অকেজো অথবা মৃত্যুর মত কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। নতুন এই রিপোর্টটি প্রকাশিত হয়েছে এইডস জার্নালে। কাঁচা দুধ সাম্প্রতিককালে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, কাঁচা দুধে প্রাকৃতিক উপাদান, প্রোটিন, পাস্তুরিত দুধ থেকে বেশী থাকে এবং এটাকে অধিক স্বাস্থ্যসম্মত মনে করা হয়। ধারনা করা হয়- কাঁচা দুধ পান করলে এলার্জির সম্ভাবনা কম থাকে। কিন্তু নতুন এই গবেষনায় ফুটে উঠছে ভিন্ন চিত্র। এতে দেখা যায়, কাঁচা দুধে নানা ধরনের বিপজ্জনক ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব রয়েছে। আর এইসব ভয়ানক ব্যাকটেরিয়া খাদ্য বিষক্রিয়া সৃষ্টি করে। বিশেষ করে শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্কদের জন্য এটা খুবই বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এই রিপোর্টটি করার জন্য গবেষকরা ১০০০টি আর্টিকেল ও ৮১টি জার্নালের ওপরও সমীক্ষা চালিয়েছেন। অন্যতম প্রধান গবেষক সিসি লি জানান, কাঁচা দুধ কখনও কখনও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কাঁচা দুধ পান করা থেকে মানুষকে নিরুৎসাহিত করছি বিশেষ করে যারা বয়স্ক, গর্ভবতী নারী ও শিশু।

Read More