Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণ

হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। যে কেউ যেকোনো সময় এর শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাপনে অনিয়ম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এর লক্ষণগুলো জানা থাকলে একটি জীবন হয়তো বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে হার্ট অ্যাটাকের কিছু লক্ষণের কথা তুলে ধরেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
ভারতের গুরগাঁওয়ের কলম্বিয়া এশিয়া হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অনিল বনশাল হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাব্য কিছু লক্ষণের কথা জানিয়েছেন।
হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কয়েকটি লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বুক ভার হয়ে আসা, পেটের ওপরের অংশে অসহনীয় ব্যথা অনুভব করা, বাঁ হাত ব্যথা, চোয়াল ও ঘাড় ব্যথা এবং শ্বাসকষ্ট। এই লক্ষণগুলো টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নিকটস্থ কোনো হাসপাতালে যাওয়া এবং ইসিজি করা প্রয়োজন।
প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, হার্ট অ্যাটাকের এসব লক্ষণ দেখা যাওয়ার পরও বিষয়টিকে এড়িয়ে যান অনেকে। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক হলে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়াটা খুব জরুরি।
হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য লক্ষণের মধ্যে রয়েছে বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা ও ঘাম হওয়া। বুকে প্রচণ্ড চাপও অনুভব করতে পারেন আপনি। মনে হতে পারে, বুক যেন ভেঙে আসছে।
হার্ট অ্যাটাক হলে পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময় বুকব্যথার লক্ষণ দেখা দেয়। অন্যদিকে, নারীদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, বমি বমি ভাব, চোয়াল ও মেরুদণ্ডে ব্যথা হয়।

Read More
Health Image +

তিল ও তিলের তেলের প্রয়োগ

১.সকালবেলা এক মুঠো তিল চিবিয়ে খেলে বল ও পুষ্টি পাওয়া যায় সেইসঙ্গে দাঁত এতো মজবুত হয়ে যায় যে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত নড়ে যায় না, ব্যথা করে না, পড়েও যায় না।
২. এইভাবে তিল খেলে অর্শের উপশম হয়।
৩. বলা হয়ে থাকে তিলে চুনের মাত্রা বেশি আছে সেই জন্যে বাচ্চাদের জন্যে উপকারী। প্রতিদিন বাচ্চাদের তিলের নাড়– বা তিল পাপড়ি খাওয়ালে বাচ্চারা হৃষ্টপুষ্ট হয়।
৪. যে সব শিশু রাতে বিছানায় প্রস্রাব করে তাদের কালো তিল আর তার সঙ্গে এক টুকরো মুলো খাওয়ালে ওই বদ-অভ্যাস দূর হয়।
৫. শরীরের পুড়ে যাওয়া জায়গায় তিল পিষে নিয়ে, জলে ধোওয়া ঘি ও কর্পূর মিশিয়ে প্রলেপ দিলে সুফল পাওয়া যায়। তিলের তেল গরম করে লাগালেও আশ্চর্য সুফল পাওয়া যায়।
৬. যদি শরীরের কোনো অংশ খুব জ্বালা করতে থাকে তাহলে তিল দুধ দিয়ে পিষে প্রলেপ লাগালে দাহ বা জ্বালা দূর হয়।
৭. যদি টাটকা ক্ষত বা ঘা না সারে তাহলে তিল পিষে নিয়ে মধু আর ঘি মিশিয়ে লাগালে অনেক ওষুধ বা মলমের চেয়ে বেশি কাজ দেয়।
৮. শূল ব্যথায় শুঁঠ ও হিং মেশানো তিলের তেল মালিশ করলে তাড়াতাড়ি আরাম পাওয়া যায়।
৯. শীতকালে ফাটা হাত-পা এমনকি গাল বা ঠোঁটেও তিলের তেল লাগালে উপকার হয়।
১০. রসুন দিয়ে গরম করা তিল তেলের ফোঁটা কানে দিলে কানের ব্যথা সেরে যায়।
১১. তিল তেলের আর একটি বিশেষ গুণ এই তেল বাতঘœ-অর্থাৎ বাত সারিয়ে দেয়।
১২. তিলের তেল সারা শরীরে তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে এবং তাড়াতাড়ি হজম হয় এবং শরীরকে নিরোগ রাখে।
১৩. অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলের উপকারিতা বা পুষ্টিগুণ কিছু কম নয়। স্বাদের দিক থেকে বরঞ্চ অলিভ অয়েলের চেয়ে তিলের তেলই বেশি ভাল।
১৪. তিল তেল মলকে বদ্ধ...

Read More
Health Image +

দেহে ভিটামিনের অভাব জনিত কিছু লক্ষণ ও এর প্রতিকার

সঠিক খাদ্যাভ্যাস না থাকলে দেহে ভিটামিনের অভাব এবং এই সম্পর্কিত রোগে ভোগা খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার। মুখের স্বাদের কথা ভেবে যখন আমরা আমাদের খাদ্য তালিকা থেকে নানা ধরণের ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাবার বাদ দিয়ে দিই তখন আমাদের দেহে অভাব হয় ভিটামিনের। এবং আমরা ভুগি নানা ধরণের রোগে। দেহে ভিটামিনের অভাব হলে তার লক্ষণ দেখা যায়। কিন্তু ভিটামিনের অভাব হলে কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যা আমরা একেবারেই বুঝে উঠতে পারি না। এইধরনের অদ্ভুত লক্ষণ যে আমাদের দেহে ভিটামিনের অভাবের কারণে হয়ে থাকে তা আমাদের একেবারেই অজানা থাকে।
১) লাল ও সাদা ব্রণ
মুখ, বাহু, থাই এবং দেহের পেছনের অংশে লাল ও সাদাটে রঙের ব্রণ উঠলে আমরা তা নিয়ে মোটেও চিন্তিত থাকি না। ভাবি সাধারণ ব্রণের সমস্যা। কিন্তু আসলে দেহের এইসকল স্থানে লালচে ও সাদাটে রঙের ব্রণ উঠা ভিটামিন এ ও ডি এবং এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের অভাবের লক্ষণ।
প্রতিকারঃ সূর্যের আলোতে বের হন, একটানা অনেকক্ষণ এসি ঘরে থাকবেন না, প্রচুর পরিমাণে মাছ, শাকসবজি ও ডিম রাখুন খাদ্য তালিকায়।
২) হাত পা এবং দেহের নানা অংশ অবশ হয়ে যাওয়া
হাত পা বা দেহের নানা অংশ অবশ হয়ে যাওয়ার ভুগে থাকেন অনেকেই। বেশীরভাগ সময় আমরা ভাবি একটানা একভাবে বসে থাকা কিংবা নার্ভের ওপর চাপ পড়ার ফল এটি। কিন্তু এগুলো ভিটামিন বি৯, বি৬ এবং বি১২ এর অভাবজনিত লক্ষণ। এই ভিটামিনের অভাবের কারণে বিষণ্ণতা, রক্তস্বল্পতা, দুর্বলতা এবং হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার মতো লক্ষণও দেখা যায়।
প্রতিকারঃ লাল চালের ভাত, বাদাম, ডিম, মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, কলা, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং সবুজ শাক রাখুন খাদ্যতালিকায়।
৩) ঠোঁটের দুই কিনার ফাটা
ঠোঁট ফাটা এবং ঠোঁটের দুই কিনার ফাটা একই জাতীয়...

Read More
Health Image +

ধূমপানে পুরুষের হাড়ে দুর্বলতা বাড়ে

প্রচলিত ধারণায় নারীদেরই অস্টিওপোরোসিস বা হাড়ের দুর্বলতার বড় শিকার বলে মনে করা হয়। কিন্তু পুরুষেরাও এই ঝুঁকিতে থাকেন। আর সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান পুরুষদের হাড়ের দুর্বলতা এবং মেরুদণ্ড ভাঙার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। ইন্দো এশিয়ান নিউজ নিউইয়র্ক থেকে এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসাবিষয়ক নির্দেশনায় এখন নারী ধূমপায়ীদের অস্টিওপোরোসিস পরীক্ষার কথা বলা হলেও পুরুষ ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে তা বলা হয় না। কিন্তু দেশটির ন্যাশনাল জুইশ হেলথ হাসপাতালের এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও এই পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপানের ইতিহাস এবং ক্রনিক অসস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই হাড়ে দুর্বলতার জন্য ঝুঁকি হিসেবে কাজ করে।
ন্যাশনাল জুইশ হেলথের গবেষক এলিজাবেথ রেগান বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় বলা হয়েছে, বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ী নারী-পুরুষ সবারই অস্টিওপোরোসিস পরীক্ষা করানো প্রয়োজন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই পরীক্ষায় ধূমপানের ইতিহাস আছে, এমন পুরুষদের অন্তর্ভুক্ত করা এবং এর চিকিৎসা করানো হয়তো হাড়ভাঙা রোধে সহায়ক হতে পারে।’
গবেষকেরা ৪৫ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩ হাজার ৩২১ জন বর্তমান ও সাবেক ধূমপায়ীর স্বাস্থ্য তথ্য পর্যালোচনা করেন। এতে দেখা গেছে, ৫৫ শতাংশ পুরুষেরই ‘লো বোন ডেনসিটি’ সমস্যা আছে এবং এই সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ৬০ শতাংশই মেরুদণ্ডে ভাঙার সমস্যায় পড়েছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি অ্যানালস অব দ্য আমেরিকান থোরাসিক সোসাইটির সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।

Read More
Health Image +

হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হওয়ার প্রধান ৫ টি লক্ষণ

“করোনারি আর্টারি ডিজিজ” যাকে আমরা সাধারণত হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া হিসেবেই বুঝে থাকি, নিঃসন্দেহে এটি অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। এই রোগটি মূলত অতিরিক্ত কলেস্টোরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হয়ে থাকে যা হৃদপিণ্ডের ধমনীকে ধীরে ধীরে ব্লক করে ফেলে। হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহী ধমনী চিকন হয়ে যাওয়া বা ব্লক হয়ে গেলে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা শুরু হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তের সাথে অক্সিজেন প্রবাহ কমে আসে। এইসকল কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় যা রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয় একেবারেই। কিছু লক্ষণে বুঝে নেয়া যায় ধমনী ব্লক হয়েছে কি না। এই সকল লক্ষণ রোগীর সুস্থতার জন্য সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১) শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া
সামান্য সময় হাঁটা, সিঁড়ি দিয়ে ১-২ তলা পর্যন্ত উঠা বা অন্যান্য দৈনন্দিন ছোটোখাটো কাজ করে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠা, ছোটো ছোটো নিঃশ্বাস নেয়া এবং নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া ধমনীতে ব্লক হওয়া প্রধান লক্ষণ। যখন আমাদের হৃদপিণ্ডের ধমনীতে ব্লক থাকার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পৌছায় না তখন এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
২) বমি বমি ভাব
হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অনেক বেশি বমি বমি ভাব হওয়া। এর পাশাপাশি পেটের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হওয়াও অবহেলা করা উচিত নয় একেবারেই।
৩) মাথা ঘোরানো ও দুর্বলতা অনুভব করা
ধমনীতে ব্লক তৈরি হলে রক্তের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে না। এর ফলে মাথা ঘোরানো, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করা এবং উদ্বেগ ও অস্থিরতা অনুভূত হয়। এইসকল ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। এবং যতো দ্রুত...

Read More
Health Image +

চিরতার চমক

এই সময়ের অসুখগুলোর মধ্যে বসন্ত অন্যতম। দিনে গ্রীষ্মকালীন গরম আর ভোরে শীতকালের মতো ঠান্ডা। এই ঠান্ডা-গরমের সংমিশ্রণে বেড়েই চলছে বসন্তের জীবাণু, হাঁচি, কাশি, সর্দি, টনসিলে ইনফেকশনের পরিমাণ। এই অসুখগুলোর বিরুদ্ধে উৎকৃষ্ট হাতিয়ার হলো চিরতা। বাজারে চিরতার পাতলা ডালপালা বিক্রি হয়। এগুলো ধুয়ে পরিষ্কার করে গ্লাস বা বাটিতে পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ওই পানি খেতে হয়।
সংক্রামক অসুখগুলোর বিরুদ্ধেও রয়েছে চিরতার অগ্রণী পদক্ষেপ। চিরতা দেহের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। গবেষণা করে দেখা গেছে, যাঁরা নিয়মিত তিতা খাবার খান, তাঁদের অসুখ হওয়ার প্রবণতা কম থাকে। যেকোনো কাটা, ছেঁড়া, ক্ষতস্থান দ্রুত শুকায়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য চিরতা ভীষণ জরুরি পথ্য। চিরতার রস দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে ডায়াবেটিস থাকে নিয়ন্ত্রণে। উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চরক্তচাপ, অতি ওজনবিশিষ্ট ব্যক্তির জন্যও চিরতা দরকারি। টাইফয়েড জ্বর হওয়ার পর আবারও অনেকের প্যারাটাইফয়েড জ্বর হয়। তাই টাইফয়েড জ্বরের পরে চিরতার রস, করলা খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। চিরতার রস কৃমিনাশক, বীর্যবর্ধক হিসেবে কাজ করে। তারুণ্য ধরে রাখতেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। শরীরের ঝিমুনিভাব, জ্বরজ্বর লাগা—এই সমস্যাগুলো দূর করে চিরতার রস। দেখতে কালচে কাঠির মতো। কিন্তু এর গুণ বহুবিধ। যারা নিয়মিত তিতা বা চিরতার রস খায়, তাদের ফুট পয়জনিং (খাবারের মাধ্যমে দেহে রোগজীবাণু ঢুকে দেহে অসুখ তৈরি করা) হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। এ ছাড়া চিরতা রক্ত পরিষ্কারক হিসেবেও কাজ করে।
যাঁদের ডায়াবেটিস নেই কিন্তু রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় সর্বদা বেশি থাকে, তাঁদের জন্য চিরতা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। সর্বোপরি বিবেচনায়, চিরতা হোক আপনার নিত্যসঙ্গী।

Read More
Health Image +

আয়োডিনে ভরপুর ৮ টি সহজলভ্য খাবার

যদি সুস্থ থাকতে চান, আয়োডিন যুক্ত লবন খান’। দেহের সুস্থতা, বুদ্ধিমত্তার বিকাশ আর গলগন্ড রোগ প্রতিরোধে আয়োডিন একটি বিশেষ উপকারী খাদ্য উপাদান। বিশেষত বাড়ন্ত শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্যে আয়োডিনের প্রয়োজনীয়তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খাবার লবনে আয়োডিন আছে কিনা এটা পরীক্ষা করাটাও কিন্তু বেশ সহজ। কয়েক দানা ভাতের সাথে খানিকটা লবন আর লেবুর রস মিশিয়ে ভালো করে মাখালে যদি তা বেগুনী রঙ ধারণ করে তবে বুঝতে হবে এতে আয়োডিন আছে। রঙ না হলে বোঝা যাবে এতে আয়োডিন নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো খাবার লবনে আয়োডীন আছে কি নেই সেটা পরীক্ষা করার বদলে আয়োডিনে পূর্ণ খাবারগুলো খেলেই তো হয়। আমরা অনেকেই কিন্তু জানি না আমাদের দৈনন্দিন অনেক খাবারই কিন্তু আয়োডিনের দারুন উৎস। তাই জেনে নিন আয়োডিনে ভরপুর ৮ টি সহজলভ্য খাবারের নাম-
১. দুধ: দুধে কমবেশী প্রায় সকল পুষ্টি উপাদানই বিদ্যমান। কিন্তু এতে যে আয়োডিনও আছে তা হয়তো আপনি আগে জানতেন না। শরীরের জন্যে অতি দরকারী ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি’র পাশাপাশি এক কাপ পরিমাণ দুধে থাকে ৫৬ মাইক্রোগ্রাম আয়োডিন।
২. চিংড়ি: সামুদ্রিক মাছ সাধারণত আয়োডিনের ভালো উৎস। প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের পাশাপাশি এই সুস্বাদু খাবারে আছে আয়োডিন। ৩ আউন্স পরিমাণ চিংড়িতে ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পর্যন্ত আয়োডিন পেতে পারেন আপনি।
৩. টুনা মাছ: বাজারে এই মাছটি ক্যানে বা এমনিতেই পাওয়া যায়। এম্নিতে মাছটি রান্না করে খেতে পারেন। তবে ক্যানে থাকা টুনা মাছে আয়োডিনের পরিমাণ বেশী থাকে। ৩ আউন্স ওজনের ১ ক্যান টুনা মাছে প্রোটিন, ভিটামিন ডি ও আয়রন ছাড়াও প্রায় ১৭ আউন্স পর্যন্ত আয়োডিন থাকে।
৪. সেদ্ধ ডিম: সেদ্ধ ডিম তো কতভাবেই খাওয়া যায়। তরকারী, স্যান্ডুইচ, সালাদ বা এমনি এমনিই!আপনি কি জানেন একটি সেদ্ধ ডিমে...

Read More
Health Image +

গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার বেশ সহজ ৪ টি ঘরোয়া সমাধান

খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম এবং স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়ার ফলে অনেককেই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়। বিশেষ করে খাবার সময় একটু আগে-পরে হলে এবং বেশি ভাজাপোড়া ও তেল মসলা জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া পড়লে এই সমস্যাটি বড় আকার ধারণ করা শুরু করে। কিন্তু এই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তা করবেন না। ঘরোয়া কিছু সমাধানে খুব সহজেই গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

১) আদা/পুদিনা চা
আদা/পুদিনা চা গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। আদা ও পুদিনার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা উপশমে কাজ করে। ২ কাপ পানিতে ১ মুঠো পুদিনা পাতা বা ১ টেবিল চামচ আদা কুচি একটু ছেঁচে দিয়ে ফুটাতে থাকুন। পানি শুকিয়ে ১ কাপ হয়ে এলে এতে ১-২ চা চামচ মধু মিশিয়ে পান করুন, বেশ ভালো ও দ্রুত ফল পাবেন।
২) তেজপাতা ও কমলালেবুর খোসা
তেজপাতা ও কমলালেবুর খোসা পানিতে ৫ মিনিট ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর এই পানি পান করে নিন চায়ের মতো করেই। কোনো ধরণের চিনি জাতীয় কিছু মেশাতে যাবেন না। এতে করে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা দূর হবে বেশ দ্রুত।
৩) আপেল সাইডার ভিনেগার
২ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনেগার ১ কাপ পরিমাণে পানিতে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি ছোটো ছোটো চুমুকে অল্প করে পান করে নিন। এতে করেও গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন বেশ দ্রুত।
৪) রাঁধুনি সজ
রান্নার কাজে রাঁধুনি সজের ব্যবহার বেশ পরিচিত। এই মসলাটি গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা উপশমে বেশ ভালো একটি উপাদান। ১ চা চামচ পরিমাণে রাঁধুনি সজ মুখে পুরে অল্প চিবিয়ে চুষে খেতে থাকুন। দেখবেন বেশ দ্রুত উপশম হচ্ছে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা।

Read More
Health Image +

রক্ত শূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়

রক্তশূন্যতার সমস্যা যে কোন সময়, যে কোন বয়সেই হতে পারে। এবং বিশেষ বিশেষ কিছু কারণে আমাদের দেহে রক্তশূন্যতা দেখা দিয়ে থাকে।
দেহে রক্তশূন্যতার কারণে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে যায়। দেখা দেয় আরও নানা রকমের সমস্যা। তাই এই সমস্যা দূর করতে চাইলে আপনি ঘরোয়া ভাবেও কিছু কাজ করলে উপকৃত হবে। চলুন জেনে নেই উপায় গুলো।
রক্তশূন্যতা কী?
আমাদের রক্তে যখন লোহিত রক্ত কণিকা হ্রাস পায় তখন বুঝতে হবে আপনি রক্তশূন্যতায় ভুগছেন। দেহে রক্তশূন্যতার কারণে যেসব উপসর্গ দেখা দিতে পারে তা হলো-
১। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
২। মাথা ঘোরা
৩। শ্বাসকষ্ট
৪। বুকে ব্যথা
৫। মাথা ব্যথা
৬। বেশি ক্লান্ত থাকা
জেনে নিন রক্তশুন্যতা দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায়ঃ
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে ডুমুর ফল
দেহের রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে প্রতিদিন ৩-৪ টি ডুমুর ফল খেতে পারেন
ভিটামিন বি-১২ প্রতিদিন
রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে প্রতিদিন ভিটামিন বি-১২ খেতে পারেন।
আয়রন জাতীয় খাবার অথবা আয়রন ট্যাবলেট
রক্তশূন্যতায় ভুগছেন এমন কোন ব্যক্তির এই সমস্যা হওয়ার প্রথম কারণ হল তার দেহে আয়রণের অভাব। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রণ যুক্ত খাবার রাখুন কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আয়রণ পিল খেতে পারেন।
ইপসাম সল্ট দিয়ে গোসল করুন
গোসল করার জন্য পরিমাণ মত পানি নিয়ে তাতে একটু ইপসাম সল্ট মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে গোসল করুন। আর যদি এই উপায়ে গোসল করতে ভালো না লাগে তাহলে আপনার পা চুবিয়ে রাখুন ইপসাম সল্ট মেশানো পানিতে।
ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন
প্রতিদিন অন্তত দুইবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে গোসল করুন। দেহে রক্তশূন্যতা দুর করার জন্য এটি খুব ভালো সমাধান।
রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির জন্য দেহ মালিশ করুন
দেহ মালিশ করলে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। তাই প্রতিদিন আপনার দেহের হাত, পা, বাহু ম্যাসেজ করুন রক্তশূন্যতা দূর করতে।
প্রতিদিন ২-৩...

Read More