Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে মেনে চলুন এই ছোট্ট ১০ টি বিষয়

ক্যান্সার এমন একটি মরণব্যাধি যার প্রতিষেধক আজ পর্যন্ত আবিষ্কার হয় নি। ক্যান্সারে আক্রান্তের অনেক কারণই রয়েছে। তবে এই ক্যান্সার আক্রান্তের বেশীরভাগ কারণ মানুষের জীবনযাপনের উপরেই নির্ভর করে থাকে। অর্থাৎ আপনার দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজ ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য এবং কমানোর জন্যও দায়ী। তাই এই মরণব্যাধির হাত থেকে নিজে এবং নিজের পরিবারকে বাঁচাতে চাইলে সতর্ক থাকতে হবে। দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলতে হবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেবে অনেকাংশেই।
১) প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফলমূল খান
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন আঁশযুক্ত খাবার এবং ফলমূল ও শাকসবজি। ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কনট্রোল এর গবেষণা অনুযায়ী আপনি যতোটা নিরামিষ ভোজী হবেন ততোই আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি কমবে।
২) ওজনের দিকে কড়া নজর রাখুন
ওজন একেবারেই বাড়তে দেবেন না। আপনার দেহের উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী যতোটা ওজন থাকা উচিত ততোটা ধরে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ বাড়তি ওজন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকাংশে।
৩) লাল মাংস খাওয়া একেবারে বন্ধ করুন
গবেষণায় দেখা যায় গরুর লাল মাংস সরাসরি ক্যান্সারের কোষ গঠনে ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে তাই আজ থেকেই লাল মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪) শারীরিক পরিশ্রম
আপনি দেহকে যতোটা সক্রিয় রাখতে পারবেন আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি ততো কমবে। অলস দেহ ক্যান্সারের কোষ গঠনের অন্যতম প্রধান উৎস।
৫) প্রসেসড খাবার থেকে দূরে রাখুন
গবেষণায় দেখা যায় প্রতিবছর শুধুমাত্র আর্টিফিশিয়াল প্রসেসড খাবার খাওয়ার কারণে হাজার হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার, রঙ ও প্রসেসড খাবার থেকে দূরে থাকুন।
৬) ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূর থাকুন
ধূমপান ও মদ্যপান দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনের জন্য দায়ী। কারণ নিকোটিন এবং অ্যালকোহল নানা শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি দেহে ক্যান্সারের কোষ...

Read More
Health Image +

ন্যাপকিন ও হতে পারে নারীদের জরায়ুর ক্যান্সারের কারণ

আধুনিক যুগের কর্মব্যস্ত নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়গুলোতে তাদের প্রধান সঙ্গী হয়ে ওঠে স্যানিটারি ন্যাপকিন। এই স্যানিটারি ন্যাপকিনই হতে পারে জরায়ু ক্যান্সারের কারণ! বিশ্বব্যাপী ৭৫% নারীই পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যৌনাঙ্গে চুলকানি, র‍্যাশ ও ব্যথা বোধ করেন। যার জন্য বেশিরভাগই দায়ি থাকে স্যানিটারি ন্যাপকিন।
আসুন জেনে নেয়া যাক বিজ্ঞানের দৃষ্টি থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্বাস্থ্যঝুঁকি।
ইউএস এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির গবেষণায় পাওয়া গেছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ডাইঅক্সিন (Dioxin) নামক এক ধরণের কেমিকেল। যা সরাসরি ক্যান্সারের জন্যে দায়ী। এছাড়া জরায়ুর নানা ধরনের সংক্রমণের জন্যেও দায়ী থাকে।
এই এজেন্সির ১৯৯৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতিটি স্যানিটারি ন্যাপকিনে ডায়োক্সিন থাকে ৪০০ পিপিটি। এই ডায়োক্সিন সন্তাণ ধারণ ক্ষমতা ও জরায়ুর নানা ধরনের রোগের জন্যও দায়ী।
দীর্ঘ সময় ধরে সুরক্ষা দেয় যে ন্যাপকিন গুলো, সেগুলো রক্তকে জেলে পরিণত করে ফেলে। কিন্তু ৫ ঘন্টা পরেই সেখানে ফাঙ্গাস জন্মাতে শুরু করে। আর ত্বকের সংস্পর্শে এসে নানা ধরনের জরায়ুর সংক্রমণ, লাল র‍্যাশ সহ চুলকানী হতে পারে।
প্যাডের নিচে থাকা প্লাস্টিকের কারণে রক্ত যেমন বাইরে বের হতে পারে না, তেমনি বাতাস চলাচলেও বাধা পড়ে। ফলে স্যাঁতসেঁতে অবস্থায় সহজেই ব্যাক্টেরিয়া জন্ম নেয়। এ থেকে সংক্রমণও হতে পারে।
প্রস্তুত প্রক্রিয়ার বিভিন্ন সময়ে নানা কেমিক্যাল ওয়াশের প্রয়োজন হয়। এর ফলে কিছু কেমিকেল রয়েই যায়। যা ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
যে কোম্পানীর ন্যাপকিনই ব্যবহার করুণ না কেন, চেষ্টা করুন, তা দীর্ঘ সময় ব্যবহার না করার। ব্যবহারের জন্য তুলোর তৈরি ন্যাপকিন বেছে নিন। যা পাঁচ ঘন্টা পর পর বদলে নেয়া যায়।

Read More
Health Image +

সবুজ আপেল খাওয়ার ১০ টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আপেলের গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। এই সুস্বাদু ফল আমাদের সবারই খেতে কমবেশি ভালো লাগে এবং নারী-পুরুষ সবার জন্যই আপেল খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি।
ডাক্তারদের মতামত অনুযায়ী প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না খুব একটা। আপেল সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে, লাল ও সবুজ। লাল আপেলের গুণাবলি সম্পর্কে আমরা সবাই জানি।
কিন্তু সবুজ আপেলের বিশেষ গুণগুলো সম্পর্কে হয়তো অনেকেরই ধারনা নেই। তাই চলুন আজ জেনে নিই আমাদের দেহের সুস্থতায় সবুজ আপেলের গুনাবলি সম্পর্কে কিছু তথ্য।
# সবুজ আপেলে আছে প্রচুর:- পরিমানে ফাইবারসবুজ আপেলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদান হল ফাইবার, যা সবুজ আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণে। সবুজ আপেলের এই ফাইবার উপাদান আমাদের পেটের যে কোন সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে ও পরিপাক প্রক্রিয়া সঠিক ভাবে হতে সহায়তা করে।
# কোলন ক্যানসার রোধ করে:- সবুজ আপেলের ফাইবার উপদান আমাদের দেহকে কোলন ক্যানসার রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে।
# ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই:- সবুজ আপেল আমাদের পেটের সুস্থতায় অনেক সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া সবুজ আপেলের মধ্যে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই যা আমাদের দেহের জন্য খারাপ। তাই আপনি নিশ্চিন্তে ডায়েট করতে পারেন সবুজ আপেল খেয়ে।
# কোলেস্টেরল মাত্রা খুব কম:- বলাই হয়েছে কে সবুজ আপেলে কোন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই এবং যতটুকু আছে তাও মাত্রায় খুব কম। যেহেতু সবুজ আপেলে প্রচুর পরিমানে ফাইবার উপাদান আছে তা দেহের কোলেস্টেরল মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখে।

Read More
Health Image +

ফ্ল্যাট স্যান্ডেল পরার অজানা স্বাস্থ্য ঝুঁকি

আমরা অনেক সময়েই শুনে থাকি হিল জুতো পরার কারণে পায়ের অনেক ক্ষতি হয়। পায়ের হাড়ে ব্যথা, হাঁটুর জয়েন্ট ক্ষয়ে যাওয়া সহ আরও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় হিল জুতো পড়লে। আর এ কারণে অনেকেই ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা জুতো পরেন। কিন্তু ফ্ল্যাট জুতোও কি আপনার পায়ের জন্য ভালো? না, একেবারে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা জুতোরও রয়েছে কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি যা হয়তো আপনি জানেন না। আজকে জেনে নিন সবসময় ফ্ল্যাট জুতো ও স্যান্ডেল পরার অজানা কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পর্কে।
১) ফ্ল্যাট জুতো পড়লে পা মাটি, পানি বা রাস্তার খুব কাছাকাছি থাকে। এতে করে খুব সহজেই পায়ের নখ এবং আঙুল ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারে। খুব সহজেই পায়ে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করে। সুতরাং একেবারে ফ্ল্যাট জুতো পড়ার ব্যাপারে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। অন্তত বর্ষাকালের সময়টাতে।
২) ফ্ল্যাট জুতো পড়লে পায়ের পুরো পাতার উপরেই চাপ পড়ে। এতে চাপ কিছুটা কমলেও পায়ের পেছনের অংশের উপরেই চাপটা বেশি পড়ে থাকে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় হয় পেশী।
৩) দীর্ঘদিন ধরে পাতলা সোলের জুতো পড়ার ফলে পায়ের পাতার স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। হ্যামার টো নামক সমস্যা অর্থাৎ পায়ের পাতা বাঁকা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা ফ্ল্যাট জুতো পড়ার কারণেই মূলত হয়ে থাকে।
৪) সারাদিন হাঁটাচলা করতে হলে অনেকেই ফ্ল্যাট জুতো বেছে নেন। কিন্তু আমরা যখন সারাদিন হেঁটে বা দাঁড়িয়ে কাজ করে থাকি তখন হাঁটাহাঁটি করার ফলে আমাদের পায়ের পাতা পা পায়ের তলার সাথে এই ফ্ল্যাট জুতোর ঘর্ষণ বেশি হয় এবং পায়ের পাতার তালুতে জ্বলুনি ও ফোসকার সৃষ্টি হয় যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক।
৫) পায়ের পাতা ছড়িয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয় ফ্ল্যাট জুতোর ব্যবহারে। আপনি যখন ফ্ল্যাট জুতো পড়েন তখন পা ফেলার সময় পুরো পায়ের পাতা সমান ভাবে পড়ে।...

Read More
Health Image +

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরকাল দূরে রাখবে ৬ টি দারুণ কার্যকরী খাবার

বেশিরভাগ মানুষই কোনো না কোনো বয়সে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকেন। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা খুব বেশি মারাত্মক কিছু নয় যদি এর চিকিৎসা খুব দ্রুত করে ফেলা সম্ভব হয়। তা না হলে পাইলস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই সাবধান থাকুন সকলে। আজকে চিনে নিন দারুণ সব খাবারের তালিকা যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূরে রাখবে চিরকাল। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন এই খাবারগুলো এবং সুস্থ থাকুন।
১) আপেল
আপেলের খোসার মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার যা খাবার হজমের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়াও আপেলের প্যাক্টিন নিশ্চিত করে পরিপাকতন্ত্রের সঠিক কর্মক্ষমতা। সবচাইতে ভালো ফলাফল পেটে প্রতিদিন খালি পেটে অন্তত ১ টি আপেল খেয়ে নিন।
২) কলা
কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এবং এর পটাশিয়াম বৃহদান্ত্র ও ক্ষুদ্রান্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
৩) গাজর
অত্যন্ত সুস্বাদু এই সবজিটি প্রক্রিতিক ডায়াটেরি ফাইবারের বেশ ভালো উৎস। মাত্র আধা ইঞ্চির ৭ খণ্ড গাজরে রয়েছে প্রায় ১.২ গ্রাম ফাইবার। প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে দূরে রাখবে চিরকাল।
৪) শসা
শসার বেশীরভাগ অংশই পানি দিয়ে তৈরি, আর শসার ডায়াটেরি ফাইবার শসাকে করে তোলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার মহৌষধ। দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করতে সক্ষম নিয়মিত শসা খাওয়ার অভ্যাস।
৫) কমলা
উচ্চমাত্রার ফাইবার সমৃদ্ধ কমলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে একটি বা দুটি কমলা খাওয়া অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করবে।
৬) কাঠবাদামের তেল
কাঠবাদামের তেল কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে কার্যকরী। কাঠবাদামের ল্যাক্সাটিভ ইফেক্ট হজম ত্বরান্বিত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রতিদিন রাতে ১ গ্লাস দুধে ২ টেবিল চামচ কাঠবাদামের তেল মিশিয়ে পান করলে সমস্যার দ্রুত সমাধান পাওয়া সম্ভব।

Read More
Health Image +

ব্রেইন স্ট্রোকের যে মারাত্মক লক্ষণগুলো অবহেলা করছেন আপনি

প্রতি বছর স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে সমস্যা হওয়ার কারণেই মূলত স্ট্রোক হয়। স্ট্রোক প্রধানত দু ধরণের হয়ে থাকে। আইস্কেমিক স্ট্রোক, যার কারণে মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধে এবং রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং হেমোরেজ স্ট্রোক, যার কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহকারী শিরা ফুটো হয়ে মস্তিষ্কে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। দুধরণের স্ট্রোকই মারাত্মক ক্ষতিকর। স্ট্রোকের কারণে মিনিটে ১.৯ মিলিয়ন মস্তিস্কের কোষ নষ্ট হয়। তাই শারীরিক এমন কোনো লক্ষণ যা স্ট্রোকের আভাস প্রদান করে তা মোটেও অবহেলা করবেন না। কিন্তু অনেকেই স্ট্রোকের মারাত্মক কিছু লক্ষণ একেবারেই পাত্তা না দিয়ে সমস্যায় পড়েন। আজকে জেনে নিন কোন লক্ষণগুলো অবহেলা করার কারণে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে পড়ছেন আপনি।
১) দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা
একটি জিনিসকে দুটি দেখতে পাওয়া, ঘোলাটে দৃষ্টি, এক চোখে রঙ দেখতে না পাওয়া ইত্যাদি চোখের সমস্যা, ক্লান্তি বা বয়স হয়ে যাওয়ার লক্ষণ নয়। মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া বা রক্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে এই ধরণের সমস্যা হতে পারে। সুতরাং সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে যাওয়ার আগেই সতর্ক হোন, অবহেলা করবেন না।
২) হাত পা অবশ বোধ হওয়া
আপনি যদি মনে করেন উল্টোপাল্টা হয়ে শোয়ার কারণে বা অতিরিক্ত দুর্বলতার জন্য হাত পা অবশ হয়ে আসছে তাহলে আপনি হয়তো ভুল ভাবছেন। ঘুম থেকে উঠার পর যদি হাত পা অনুভূতি শূন্য ও অবশ লাগতে থাকে তাহলে মোটেও অবহেলা করবেন না। ইউনিভার্সিটি অফ মায়ামি নর্থ স্কুল অফ মেডিসিনের নিউরোলজি প্রোফেসর রালফ বলেন, এই ধরণের হাত পা অনুভূতি শূন্য ও অবশ লাগতে থাকা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার লক্ষণ যা মোটেই অবহেলার নয়।
৩) কথা বলতে অসুবিধা হওয়া
অনেকেই মনে করেন তাদের ব্যথানাশক ঔষধ বা অন্যান্য ঔষধের কারণে ঘুম...

Read More
Health Image +

‘হেপাটাইটিস এ’ প্রতিরোধে অবশ্যই মেনে চলুন এই গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি বিষয়

হেপাটাইটিস এ বর্তমানে সবচাইতে কমন একটি ভাইরাল হেপাটাইটিসের সমস্যা। যখন কোনো ব্যক্তি হেপাটাইটিস এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন তখন এই রোগের উৎপত্তি ঘটে। আর এই ভাইরাস মূলত আমাদের নাক মুখ পথেই দেহে প্রবেশ করে থাকে। তাই খুবই সাবধান থাকা উচিত আমাদের। কারণ হেপাটাইটিস এ, হেপাটাইটিস বি বা সি এর মতো অনেক বেশি মারাত্মক না হলেও হেপাটাইটিস এ রোগে আক্রান্তের নানা ক্ষতিকর দিক রয়েছে। আর তাই ‘হেপাটাইটিস এ’ প্রতিরোধে অবশ্যই পালন করুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
১) পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে কড়া নজর দিতে হবে। বাথরুম ব্যবহারের পর, বাচ্চার ডায়াপার পরিবর্তনের পর অবশ্যই খুব ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নেবেন। এবং যে কোনো ধরণের খাবার জিনিসে হাত দেয়ার আগেও এই কাজটি করবেন।
২) আমাদের বাসার নানা স্থানে লুকোনো জীবাণু রয়েছে। কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করতে গেলে প্রথমেই মন আসে বাথরুমের কথা। আর এই বাথরুমের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে হেপাটাইটিস এ সমস্যা সমাধান করতে হচ্ছে আমাদের।
৩) খাবার খাওয়ার বাসনকোসন কোনোভাবেই সিংকের উপরে না ধুয়ে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না। কাজের মহিলার অপেক্ষায় না থেকে অন্তত বাসনকোসন পরিষ্কার করতে রাখুন এবং রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা কমিয়ে ফেলুন।
৪) হেপাটাইটিস এ তে আক্রান্ত রোগীর জন্য আলাদা গ্লাস, প্লেট ও তোয়ালে রাখতে ভুলবেন না। কখনোই হেপাটাইটিস এ তে আক্রান্ত রোগীর ব্যবহার্য সেরে ফেলবেন।
৫) হেপাটাইটিস এ তে আক্রান্ত রোগীর সাথে যৌন মিলন এমনকি চুম্বন করা থেকে বিরত থাকুন। এমন যে কোনো কাজ থেকে বিরত থাকুন যেসকল কাজে মুখের লালাসহ দেহের অভ্যন্তরীণ লিক্যুইডের আদান প্রদান ঘটে।
৬) একই সিরিঞ্জ ও সুঁই অন্য কেউ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন খুবই সর্তকতার সাথে। এবং ড্রাগসের ব্যবহার একেবারে বন্ধ করুন।
৭) পানি পানের...

Read More
Health Image +

পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকুন খুব সহজ ১০ টি কাজে

হজমের সমস্যার কারনে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং পেট ফুলে থাকে। এই সমস্যাটা এখন প্রায় বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই সাধারণ ঘটনা। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ জীবনযাপনের এবং খাদ্যাভ্যাসের কারনে বদহজম বা পেটে গ্যাস হওয়ার মতো পেটের বেশির ভাগ সমস্যা হয়ে থাকে। তবে মাঝে মাঝে কোন খাবারের অ্যালার্জির কারনেও এই সমস্যা হতে পারে।
অনেকের ডাল, শিমবীজ, বিচি জাতীয় খাবারে, সিরিয়াল, আঁশ জাতীয় খাবার, ডিম, মাংস ইত্যাদি খাবারে পেটে গ্যাস হওয়ার সমস্যা হতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে যাদের সমস্যা হয় তাদের খুঁজে বের করতে হবে নির্দিষ্ট কোন খাবারগুলোতে এই সমস্যা হয় কি না । তখন চেষ্টা করে দেখতে হবে যে সেই খাবারগুলোই একটু অন্য ভাবে রান্না করে, বা অন্য কোন উপকরণ মিশিয়ে একটু বেশি সময় নিয়ে রান্না করে খেলে হজম ভালো ভাবে হয় কিনা।যেমন কারো যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে তাহলে দুধের সাথে ওটস বা সামান্য ডার্ক চকলেট মিশিয়ে নিয়ে অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
বদহজম ও পেট ফুলে থাকার সমস্যার কারনে অস্বস্তিও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কারন এই সমস্যার জন্য প্রতিবার খাবার পরেই গ্যাসের কারণে পেট ফুলে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সহজ ও দ্রুত কিছু উপায় জানা থাকা উচিত।
এখানে কিছু সাধারন পরামর্শ দেয়া হলে যা খাবার ভালো ভাবে হজম হতে সাহায্য করার পাশাপাশি পেটের গ্যাস ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে পেটের ব্যাথাও দূর করবে।
ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে
পেট ফুলে থাকা বা গ্যাসের সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে খাবার ভালো ভাবে হজম না হওয়ার কারনে। ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেলে তা সহজে হজম হয়।কারন খাবার হজমের প্রথম ধাপ শুরু হয় চর্বণ প্রক্রিয়ায় খাবার ভেঙ্গে লালার সাথে মিশে যাওয়ার...

Read More
Health Image +

প্রস্রাবের রঙ দেখে চিনে নিন নিজের স্বাস্থ্য সমস্যা

প্রতিদিন নানারকম খাবার খাই আমরা। আর সেই খাবার ও তার পরিমাণ অনেকটাই প্রভাবিত করে আমাদের প্রস্রাবের রঙকে। অনেক সময় কাজের পরিমাণের প্রভাবেও শরীর প্রভাবিত হয়। আর এই পুরো পরিবর্তনের প্রভাব পড়ে আমাদের দৈনন্দিন প্রস্রাবের রঙ এর ওপর। খাবার, কাজ ও পরিবেশের তারতম্য অনুযায়ী প্রত্যেকটি মানুষেরই প্রস্রাবের নানা রকম রঙ হয়। প্রত্যেক পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দৈনিক ১৩ কাপ ও নারীর দৈনিক ৮ কাপ পানি খাওয়া উচিত। এবং সেটা অবশ্যই তাদের ওজন ও কাজের ওপর ভিত্তি করে। এই পদ্ধতি মেনে চললে বা না চললে বেশ কিছু তারতম্য দেখা যায় দৈনন্দিন প্রস্রাবের রঙ এ। যদিও ব্যাপারটি খুবই তুচ্ছ এবং দৈনন্দিন জীবনে এর বাইরেও আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজ থাকে মানুষের, তারপরেও একটি সুস্থ জীবন যাপনের জন্যে প্রত্যেকেরই উচিত নিজের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখা। যার অন্যতম উপায় হচ্ছে দৈনন্দিন প্রস্রাবের রঙকে পর্যবেক্ষণ করা। আসুন জেনে নিই প্রস্রাবের কোন রঙটি আপনার শরীর সম্পর্কে ঠিক কি বলে।
১. সাদা- আপনি যথেষ্ট পানি পান করছেন। আরেকটু কম পানি খেলেও সমস্যা হবেনা।
২. হালকা হলুদ- আপনি স্বাভাবিক ও সুস্থ আছেন।
৩. স্বচ্ছ হলুদ- আপনি স্বাভাবিক আছেন।
৪. গাড় হলুদ- স্বাভাবিক। কিন্তু আরেকটু বেশি পানি পান করুন।
৫. মধুরঙা- খুব দ্রুত পানি পান করুন। আপনার শরীর চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না।
৬. বাদামী- আপনার কিডনিজনিত কোন সমস্যা রয়েছে। সুতরাং দ্রুত চিকিত্সকের সাথে দেখা করুন।
৭. গোলাপী বা লালচে- অতিরিক্ত পরিমাণে বিট বা জাম খাওয়া থেকে এমনটা হতে পারে। তবে যদি সেটা ন হয় তাহলে আপনার প্রস্রাবে রক্ত মিশতে শুরু করেছে। হতে পারে আপনার কিডনিজনিত সমস্যা, টিউমর বা কোনধরনের সংক্রমণ রয়েছে। চিকিত্সকের সাথে অতিসত্ত্বর দেখা করুন।
৮. কমলা- আপনার ফুসফুসের সমস্যা রয়েছে। তবে হতে পারে খাবারের...

Read More