Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

ঘরে বসেই প্রেগনেন্সি নিশ্চিত হতে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

গর্ভধারণ যে কোন নারীর জন্যেই নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক একটি বিষয়। নিজ দেহের ভেতরে একটি নতুন প্রাণের আগমণের শব্দ শুনতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু অনেক সময় কোন কোন নারী গর্ভধারণের বেশ কয়েক মাস বুঝেই উঠতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী কিনা। যেহেতু বাচ্চার নিরাপত্তার স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সতর্কতার সাথে থাকা প্রয়োজন তাই কোন নারী গর্ভবতী কিনা একটু সতর্ক হয়ে কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিলেই কিন্তু তিনি ঘরে বসেই নিশ্চিত হতে পারেন। প্রেগনেন্সি বোঝার জন্য আপনাদের জন্য রইল ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস৷
১. পিরিয়ড কি নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে?
প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)। সেক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুন আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা। যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন। অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন।
২. সামান্য রক্তপাত
পিরিয়ডের সময় যদি স্বাভাবিক রক্তপাতের বদলে খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়,এই চিহ্নটিকে অবহেলা করবেন না। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।
৩. মাথা ঘোরা, বমি ও হজমে সমস্যা
সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচন্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সাথে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। হতে পারে, আপনার গর্ভধারনের অন্যতম লক্ষণ এটি।
৪. ক্রমাগত ক্লান্তি
যদি হঠাৎ করে সারাক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় এবং সময়ে অসময়ে কেবল ঘুমোতে ইচ্ছে করে, যা আপনার স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে, অন্যান্য লক্ষণগুলোর সাথে এই লক্ষণটি জানিয়ে দেয় আপনি হয়তো গর্ভধারণ করেছেন।
৫. বার বার প্রস্রাবের চাপ
খেয়াল করুন, আপনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশীবার, বার বার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করছেন? গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ এটি।
৬. স্তনে পরিবর্তন
গর্ভধারণ করার ফলে আপনার স্তনের...

Read More
Health Image +

রক্তস্বল্পতার হাত থেকে বাঁচাবে সহজলভ্য ৬ টি খাবার

রক্তস্বল্পতা খুব বেশী মারাত্মক পর্যায়ে না গেলে তেমন ক্ষতিকর কোনো সমস্যা মনে হয় না রোগীর কাছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, রক্তস্বল্পতার দরুন যে সকল রোগের উৎপত্তি ঘটে তা খুবই মারাত্মক। এছাড়াও রক্তস্বল্পতার রোগীদের থ্যালাসেমিয়ার বাহক ধরা হয়। তাই রক্তস্বল্পতাকে অবহেলা করা উচিত নয় মোটেই। বরং যতো দ্রুত সম্ভব এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন। মূলত দেহের আয়রনের অভাব থেকেই এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই রক্তস্বল্পতা সমস্যা দূর করতে দেহে আয়রনের পরিমাণ সঠিক রাখা প্রয়োজন। আর এর জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। আজকে চিনে নিন এমন সহজলভ্য কিছু খাবার যা রক্তস্বল্পতার হাত থেকে রক্ষা করবে আপনাকে।
১) লাল মাংস
রক্তস্বল্পতার রোগীদের জন্য আল মাংস খুবই উপকারী একটি খাবার। প্রচুর পরিমাণে আয়রনে ভরপুর লাল মাংস রক্তস্বল্পতা দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এবং সেই সাথে ত্বক ও মাংসপেশির সুরক্ষা করে।
২) চীনাবাদাম
ঘরে এনে চীনাবাদাম নিয়মিত খেতে দেখা যায় না তেমন কাউকেই। কিন্তু যদি আপনি রক্তস্বল্পতার হাত থেকে মুক্তি চান তাহলে প্রতিদিন চীনাবাদাম খান। চীনাবাদামের আয়রন আপনাকে রক্তস্বল্পতা থেকে দূরে রাখবে।
৩) ডিম
দিনে মাত্র একটি ডিম খাওয়ার অভ্যাস চিরকাল আয়রনের অভাব থেকে আপনাকে দূরে রাখবে। ডিমের মতো সহজলভ্য খাবার রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়।
৪) টমেটো
টমেটো খুবই সহজলভ্য একটি খাবার যা খুবই কার্যকরী রক্তস্বল্পতা দূর করতে। টমেটোর আয়রন, ভিটামিন সি এবং লাইকোপেন রক্তস্বল্পতা সহ নানা রোগের হাত থেকে আমাদের বাঁচায়। তাই খাদ্যতালিকায় যোগ করুন এই খাবারটিও।
৫) মধু
মধু এমনিতে খাওয়া হয়ে উঠে না। কিন্তু মধু খুবই কার্যকরী রক্তস্বল্পতা দূর করতে। চিনির পরিবর্তে নানা খাবারে যোগ করতে পারেন মধু। এতে চিনির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও বাচবেন এবং রক্তস্বল্পতাও দূর হবে।
৬) খেজুর
আমাদের দেশে এমন মানুষ খুবই কম...

Read More
Health Image +

ঝাল খেলে আয়ু বাড়ে

আয়ু বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এটা সব্বাই জানেন। কিন্তু বাঙালীদের খুব প্রিয় একটি খাবার আছে যা আয়ু বাড়াতে খুবই সহায়ক! আর তা হলো মরিচ।
চীনে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের ওপর গবেষণা করে দেখা যায়, যারা সপ্তাহে একবার বা দুইবার মরিচ খেয়ে থাকেন, অন্যদের তুলনায় তাদের মৃত্যুঝুঁকি কমে ১০ শতাংশ। যারা সপ্তাহে ৩ থেকে ৭ বার মরিচ খান তাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি কমে ১৫ শতাংশ। শুধু তাই নয়। যারা বেশি ঝাল খাবার খেয়ে থাকেন তাদের ক্যান্সার এবং ইস্কেমিক ধরণের হৃদরোগ হবার সম্ভাবনাও থাকে কম।
সাত বছর ধরে ৪,৮৫,০০০ মানুষের খাদ্যভ্যাস এবং স্বাস্থ্যের ব্যাপারে গবেষণা চালানো হয়। তাদের রেড মিট, ঝাল খাবার, সবজি খাওয়া এবং অ্যালকোহল পানের ওপর লক্ষ্য রাখা হয়। এক্ষেত্রে যাদের হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের ইতিহাস ছিলো তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। দেখা যায়, ঝাল খাবার যারা নিয়মিত খেয়ে থাকেন তাদের ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং ফুসফুসের সমস্যা থেকে মৃত্যু হবার ঝুঁকি কম থাকে। এর পাশাপাশি দেখা যায়, ঝাল খাওয়ার এই সুবিধা পুরুষের চাইতে নারীরা বেশি পেয়ে থাকেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ঝালের উৎস ছিলো মরিচ এবং শুকনো মরিচের চাইতে টাটকা কাঁচামরিচ এ ক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী বলে দেখা যায়। এ ছাড়াও যারা অ্যালকোহল পান করেন না তাদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর ঝুঁকি কম ছিলো।
ঝাল খাওয়ার খাওয়ার ফলে শরীর কিভাবে এতো উপকৃত হয়? দেখা যায়, ঝাল খাবার প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশন রোধ করে এবং শরীরে খারাপ ধরণের চর্বি জমা রোধ করে। এছাড়াও আমাদের পেটের বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়ার ওপর ঝাল প্রভাব ফেলে যেসব ব্যাকটেরিয়া ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এবং ওবেসিটির জন্য দায়ী। তবে এ ব্যাপারে একেবারে নির্ভুল তথ্যের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে স্বীকার করেন গবেষকেরা।
তবে অনেকে মনে করছেন,...

Read More
Health Image +

যে অজানা কারণে বাড়ছে আপনার ফুসফুসের ক্যান্সার ঝুঁকি

প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করছেন। এবং ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। দেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বিভিন্ন ক্যান্সারের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ফুসফুসে ক্যান্সার। এমন ভাবার কোনো কারণ নেই যে আপনি এখন সুস্থ রয়েছেন বলে আপনার ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা খুব সহজেই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারি। বিশেষ করে আমাদের কিছু ভুল কাজ এবং প্রতিদিনের নানা অস্বাস্থ্যকর বিষয়গুলোর কারণে বেড়েই চলেছে এই ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি। এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্রতিদিনের অস্বাস্থ্যকর কারণগুলো আমাদের কাছে থাকে অজানা।
১) ধূমপান করা
ধূমপান করলে ক্যান্সারে আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়ে তা সকলেই জানেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই প্রক্রিয়াটি খুব ধীর গতিতে হয়ে থাকে। যার কারণে ধূমপায়ী মানুষেরা বুঝতেই পারেন না তাদের ধূমপান করার অভ্যাসটি তাকে মৃত্যুর মুখে নিয়ে যাচ্ছে। আমেরিকার একটি গবেষণায় দেখা যায় ৯০% ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য দায়ী ধূমপান।
২) পরোক্ষ ধূমপান
আপনার বন্ধুটি যদি ধূমপায়ী হয়ে থাকেন এবং আপনি ধূমপান না করেও থাকেন তাহলে জেনে নেবেন আপনার বন্ধুটি নিজের যেমন ক্ষতি করছেন এবং আপনারও ক্ষতি করছেন। কারণ ধূমপান যারা করেন এবং যারা ধুমপায়ীদের আশেপাশে থাকেন ও ধোঁয়ার সংস্পর্শে আসেন তারাও ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকিতে থাকেন।
৩) রেডন
রেডন হচ্ছে একধরণের কেমিক্যাল উপাসান যা মানুষের দেহের সংস্পর্শে এলে ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে থাকে। রেডন মাটির নিচে যেখানে খুব বেশী আলোবাতাস পৌছায় না যেমন আন্ডারগ্রাইন্ড মাইনের মতো স্থানে উৎপন্ন হতে দেখা যায়। যারা গভীর মাটির নিচের এই মাইন বা এই ধরণের কোনো স্থানে খোঁড়াখুঁড়ি বা এই ধরণের কাজগুলো করেন তারা এই রেডনের সংস্পর্শে এসে ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকেন।
৪) নানা ধরণের কেমিক্যাল
অ্যাসবেস্টোস, আর্সেনিক, নিকেল, ক্রোমিয়াম ধরণের মৌলগুলোর অতিরিক্ত সংস্পর্শে আসার ফলে ফুসফুসে...

Read More
Health Image +

মজবুত ও সুস্থ হাড় পেতে জরুরী ১০ টি টিপস

আমাদের পুরো দেহের গঠনটাই ধরে থাকে হাড়ের তৈরি কঙ্কাল। একটিবার ভেবে দেখেছেন আমাদের দেহের হাড় যদি সঠিক অবস্থানে না থাকতো তাহলে দেহের গঠন কোন দিকে মোড় নিতে পারতো? আমরা অনেকেই ভাবি না এইসকল বিষয়। সৃষ্টিকর্তার দেয়া অপূর্ব সব উপহারগুলো অবহেলায় অপকারই বেশী করে থাকি। এর জন্য অবশ্য সাজাও আমাদেরই ভোগ করতে হয়। কারণ, অবহেলা এবং অযত্নের কারণে অনেক সময়েই নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ি আমরা। মাঝে মাঝে এমন কিছু মারাত্মক রোগ দেহে বাসা বাঁধে যা নিরাময় অসম্ভব। মৃত্যুই অবধারিত। হাড় সংক্রান্ত এমন অনেক রোগ রয়েছে যার পরিণাম বেশ ভয়াবহ। তাই হাড়ের সুস্থতার জন্য আমাদের নিজেদেরই। চিরকাল হাড়ের সুস্থতা ধরে রাখতে চাইলে কি জরুরী বিষয় ভুলে গেলে চলবে না একেবারেই।
১) গাঢ় সবুজ শাক সবজি, ব্রকলি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার ভিটামিন ডি এর অন্যতম প্রধান উৎস সমূহ যা হাড়ের জন্য অসাধারণ কার্যকরী খাবার। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তত একটি খাবার রাখা অত্যন্ত জরুরী।
২) চিরকাল হাড়ের সুস্থতায় কাজ করে খাবারের সালফার উপাদান। আর পেঁয়াজ ও রসুনের সালফার তাই হাড়ের সুস্থতার জন্য বিশেষভাবে কার্যকরী। গন্ধের কারণে রসুন খাওয়া বাদ দিলে চলবে না। প্রয়োজনে প্রতিদিনের খাবারে পেঁয়াজ রসুনের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
৩) কার্বোনেটেড কোমল পানীয়গুলো তাৎক্ষণিকভাবে তেষ্টা মেটাতে পারে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু এই জাতীয় কোমল পানীয়গুলোর ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অত্যন্ত জরুরী। এইসকল কার্বোনেটেড পানীয় পান করার ফলে প্রতিনিয়ত ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে আপনার দেহের হাড়। কোমল পানিয়ের ফসফরাস আমাদের দেহ থেকে ক্যালসিয়াম এবং কালসিয়ামের কর্মক্ষমতা দূর করে দেয়। সুতরাং সাবধান।
৪) উচ্চমাত্রা প্রাণীজ প্রোটিনের দিকে ঝোঁক সকলেরই বেশী থাকে। কারণ শাক সবজির চাইতে মুখে আমাদের স্বাদ বেশী লাগে এইসকল প্রাণীজ প্রোটিন। কিন্তু উচ্চ...

Read More
Health Image +

৫ টি শারীরিক সমস্যার সমাধান করবে শুধুমাত্র চীনাবাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা

চীনাবাদাম খেতে কমবেশী সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু বাসায় কিনে এনে চীনাবাদাম খাওয়া খুবই কম হয়। বাইরে গেলে তাও যদি পার্কে বা অন্যান্য স্থানে বসা হয় তখনই চীনাবাদাম খান অনেকে। কিন্তু বাদাম খাওয়ার অনেক ভালো স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। প্রতিদিন একমুঠো চীনাবাদাম খেলে নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা দূর হয় খুব সহজেই।
১) কোলেস্টোরল কমায়
কোলেস্টোরল সমস্যা খুবই কমন একটি সমস্যা। কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যাসহ নানা শারীরিক সমস্যার মূলে রয়েছে এই বাড়তি কোলেস্টোরল। চীনাবাদাম দেহের ক্ষতিকর কোলেস্টোরল কমাতে বিশেষভাবে কার্যকরী। বাদামের ভালো ফ্যাট কলেস্টোরল এবং ট্রাইগ্লিসারয়েড কমিয়ে ফেলে কোনো ধরণের ওজন বাড়ানো ছাড়াই।
২) রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
চীনাবাদাম রক্তের সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সকালের নাস্তায় চীনাবাদাম বা চীনাবাদামের বাটার খেলে প্রায় পুরো দিনই সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন অনায়াসেই।
৩) ওজন কমায়
ওজন কমানোর জন্য কিছুটা ভালো ফ্যাটের প্রয়োজন রয়েছে। আর চীনাবাদামে রয়েছে এমনই কিছু ভালো ফ্যাট। এর ক্যালোরি এবং ফ্যাট ওজন বাড়ানোর চাইতে ওজন কমিয়ে রাখতে বিশেষ কাজ করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন অল্প হলেও চীনাবাদাম খাওয়া উচিত ডায়বেটিসের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলেও।
৪) স্মৃতিশক্তি উন্নত করে
বয়স হতে না হতেই স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া শুরু করে অনেকেরই। এর কারণ হচ্ছে মস্তিষ্ক ধীরে ধীরে তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারায়। মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যের। চীনাবাদামকে বলা হয় মস্তিষ্কের খাবার। চীনাবাদামের ভিটামিন বি৩ মস্তিষ্কের সুস্থতা নিশ্চিত করে।
৫) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
খুব হুটহাট নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার সমস্যাকে মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়। চীনাবাদাম এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকেই উন্নত করতে কাজ করে থাকে। চীনাবাদামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে।

Read More
Health Image +

পুরুষের জন্মবিরতিকরণে ৭ ভবিষ্যৎ পদ্ধতি

নারীদের জন্য জন্মবিরতিকরণের নানা পদ্ধতি প্রচলিত থাকলেও পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু কনডম বাদে অন্যগুলোর কথা তেমন শোনা যায় না।
এ লেখায় থাকছে ভবিষ্যতে পুরুষের সম্ভাবনাময় কয়েকটি জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। এখনও এ ওষুধগুলো সেভাবে বাজারজাত না হলেও ভবিষ্যতে তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
১. ইঞ্জেকশন
ভ্যাসালজেল নামে একটি পলিমার জেল স্পার্ম ডাক্ট-এ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হয়। এটি স্পার্মকে বাইরে বের হতে দেয় না। কিন্তু অন্য ফ্লুইডগুলোকে বাইরে বের হতে বাধা দেয় না। এটি সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি) প্রতিরোধে কার্যকর না হলেও স্পার্ম আটকে দেওয়ায় জন্মবিরতিকরণে কার্যকর। ভারতে এর ট্রায়াল করা হয়েছে এবং মানুষের জন্য এটি নিরাপদ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
২. ক্লিন-শিটস পিল
যুক্তরাজ্যে ফেনোক্সিবেঞ্জামিন ও থাইরিওডাজাইন নামে ওষুধ উন্নয়ন করা হচ্ছে। এটি মাংসপেশির পরিবর্তন করে এবং এতে স্মার্ম সামনে এগোতে পারে না। এর ফলে বীর্যস্খলন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পুরুষেরা এ পদ্ধতি কতোখানি পছন্দ করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
৩. হার্বাল
গেন্ডারুসা নামে একটি হার্বাল-এর অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে একটি পিল তৈরি করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বানুর মাঝে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ওষুধটির বাস্তবতা, ডোজ ও নিরাপত্তা বিষয়ে এখনো গবেষণা করা বাকি আছে। সম্প্রতি ৩০০ পুরুষের ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়। এতে তাদের মাত্র একজন সঙ্গী গর্ভবতী হয়।
৪. ইমপ্ল্যান্ট
অ্যান্টি-ইপিন ওষুধ স্পার্মকে ডিম্বানুর দিকে সাঁতার কাটতে বাধা দেয়। অ্যান্টি-ইপিন ত্বকের নিচে প্রয়োগ করা যায়। এছাড়া এটি মুখেও খাওয়া যায়। এ ওষুধটির নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো গবেষণা করে দেখা হয়নি। তবে গবেষকরা এ ওষুধটির সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী।
৫. জেনেটিক ড্রাগ
জেকিউ১ একটি ওষুধ যা বিআরডিটি জিনের ওপর কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এটি স্পার্ম উৎপাদনে প্রভাব বিস্তার...

Read More
Health Image +

মাসিককালীন ব্যথায় করণীয় যা করতে হবে

মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথায় নীল হয়নি এমন মেয়েদের সংখ্যা খুব কম। সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার পর থেকেই কোন কারণ ছাড়াই মাসিককালীন ব্যথা হতে পারে। এছাড়াও কিছু রোগের কারণে মাসিক হতে পারে ব্যথাযুক্ত।
একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ডিসমেনোরিয়া। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের ৫০ ভাগ মেয়ের এ সমস্যায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হয়। শুধু এ সমস্যার জন্য প্রায় ৭০ ভাগ মেয়েকে ব্যথার ওষুধ সেবন করতে হয়। আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে ডিসমেনোরিয়ার হার অনেক বেশি।
ডিম্বাণু নিষিক্ত না হলে অনিষিক্ত ডিম্বাণু ও জরায়ুর ভেতরের স্তর মাসিকের সময় জরায়ুর সংকোচনের মাধ্যমে দেহের বাইরে চলে আসে। এ সংকোচনের ফলে জরায়ুর রক্তনালীগুলোও সংকচিত হয়। জরায়ুর কোষগুলো অক্সিজেনের অভাবে মারা যায়। এ সময় জরায়ু থেকে কিছু কিছু কেমিক্যাল নিসৃত হয়। এগুলো ব্যথার জন্য দায়ী।
আবার সংকোচন বাড়ানোর জন্য দেহ প্রোস্টাগ্লান্ডিন নিঃসরণ করে। এটিও ব্যথা বাড়ায়। এটি কিন্তু স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। তাই মাসিকের সময় ব্যথা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ব্যথা চরম আকার ধারণ করে।
ডিসমেনোরিয়া বা মাসিককালীন ব্যথা ২ প্রকার। প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি। প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়াতে জরায়ুতে কোন রোগ থাকে না। মাসিক শুরু হওয়ার সাথে সাথে ব্যথা শুরু হয়। ২-৩ দিন ব্যথা থাকে। বেশিরভাগ মেয়েরাই এ ধরণের ব্যথায় ভোগেন। জীবনের প্রথম মাসিকের সময় থেকেই এ ব্যথা শুরু হয়। সেকেন্ডারি ডিসমেনোরিয়া সাধারণত সন্তান জন্মদানের পর মেয়েদের প্রজননতন্ত্রে ইনফেকশনের কারণে দেখা যায়।
এছাড়াও ফাইব্রয়েড, অ্যান্ডোমেট্রিওসিস, অ্যাডেনোমায়োসিসও হতে পারে সেকেন্ডারি মাসিককালীন ব্যথা। এক্ষেত্রে মাসিকের আগে ও পুরো মাসিকের সময় জুড়ে ব্যথা থাকে। মাসিকের পর ধীরে ধীরে ব্যথা কমতে থাকে।
সাধারণত প্রাইমারি ডিসমেনোরিয়ায় আক্রান্তদের তেমন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার প্রয়োজন পড়ে না। সেকেন্ডারিতে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় করার জন্য হাই...

Read More
Health Image +

কখন জন্মবিরতিকরণ পিল ডেকে আনে বিপদ

সারা পৃথিবীতে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল পদ্ধতি হলো জন্মবিরতিকরণ পিল। এই পিলগুলো মূলত ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরন নামক দুইটি হরমোনের বিভিন্ন অনুপাতের সংমিশ্রন। এইসব সমন্বিত পিলের জন্মনিয়ন্ত্রণের সাফল্যও খুব বেশি, শতকরা প্রায় ৯৮ শতাংশের কাছাকাছি। জন্মনিয়ন্ত্রণ ছাড়াও মেয়েদের বিভিন্ন রোগে (যেমনঃ স্তনের বিভিন্ন নন-ক্যান্সারাস টিউমার, অনিয়মিত মাসিক, ডিম্বাশয়ের টিউমার বা সিস্ট, অস্বাভাবিক গর্ভধারণ ইত্যাদি) ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় এসব পিল। কিন্তু তারপরও প্রতিটি ঔষধের যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে, আর শরীরের অনেক অবস্থাতেই খাওয়া যায় না অনেক ঔষধ- জন্মনিয়ন্ত্রক পিলও তার ব্যতিক্রম নয়! তাই নব-দম্পতি বা যে কেউই যদি পরিবার পরিকল্পনার জন্য ডাক্তারের কাছে যান, তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু জিনিসের কথা ডাক্তারকে জানাতে ভুলবেন না।
যেসব অবস্থায় জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়া একেবারেই নিষিদ্ধঃ
ক্যান্সার-
বিশেষত স্তন কিংবা যৌনাঙ্গের ক্যান্সার হলে। গর্ভাশয় বা জরায়ুমুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও একথা প্রযোজ্য। কারণ ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন সমন্বিত পিল ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
যকৃতের কোন অসুখ-
আপনার লিভারে কোন অসুখ থাকলে বা পূর্বে হেপাটাইটিস বি বা সি হওয়ার কোন ইতিহাস থাকলে তা অবশ্যই ডাক্তারকে জানান। আপনার লিভারে পূর্বে কোন অপারেশন হয়ে থাকলে তাও জানিয়ে নিন ডাক্তারকে।
হৃদরোগ-
বিভিন্ন হৃদরোগে জন্মবিরতিকরণ পিল নিষিদ্ধ বলে চিকিৎসকেরা মনে করেন। এর মাঝে রয়েছে থ্রম্বোএমবলিজম (রক্তনালিকায় কোন কিছু জমে নালী বন্ধ হয়ে যায়)। বিভিন্ন থ্রম্বোএমবলিক ডিজঅর্ডারের মাঝে রয়েছে স্ট্রোক, হার্টে বা আর্টারিতে কোন ব্লক থাকা ইত্যাদি। তাই হৃদরোগের কোন চিকিৎসা নিয়ে থাকলেই সেটা পরামর্শ নেবার সময় ডাক্তারকে জানিয়ে রাখুন।
রক্তে লিপিডের মাত্রা-
ইস্ট্রোজেন সব সময়ই রক্তে লিপিডের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই যাদের অনেক আগে থেকেই রক্তে লিপিডের পরিমান বেশি, জন্মবিরতিকরণ পিল খাওয়ার আগে তাদের জন্য বাড়তি সচেতনতা জরুরি। বিশেষত যাদের শরীরে জন্মগতভাবেই...

Read More