নারীদের জন্য জন্মবিরতিকরণের নানা পদ্ধতি প্রচলিত থাকলেও পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু কনডম বাদে অন্যগুলোর কথা তেমন শোনা যায় না।
এ লেখায় থাকছে ভবিষ্যতে পুরুষের সম্ভাবনাময় কয়েকটি জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। এখনও এ ওষুধগুলো সেভাবে বাজারজাত না হলেও ভবিষ্যতে তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে গার্ডিয়ান।
১. ইঞ্জেকশন
ভ্যাসালজেল নামে একটি পলিমার জেল স্পার্ম ডাক্ট-এ ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করতে হয়। এটি স্পার্মকে বাইরে বের হতে দেয় না। কিন্তু অন্য ফ্লুইডগুলোকে বাইরে বের হতে বাধা দেয় না। এটি সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (এসটিডি) প্রতিরোধে কার্যকর না হলেও স্পার্ম আটকে দেওয়ায় জন্মবিরতিকরণে কার্যকর। ভারতে এর ট্রায়াল করা হয়েছে এবং মানুষের জন্য এটি নিরাপদ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
২. ক্লিন-শিটস পিল
যুক্তরাজ্যে ফেনোক্সিবেঞ্জামিন ও থাইরিওডাজাইন নামে ওষুধ উন্নয়ন করা হচ্ছে। এটি মাংসপেশির পরিবর্তন করে এবং এতে স্মার্ম সামনে এগোতে পারে না। এর ফলে বীর্যস্খলন বন্ধ হয়ে যায়। যদিও পুরুষেরা এ পদ্ধতি কতোখানি পছন্দ করবে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
৩. হার্বাল
গেন্ডারুসা নামে একটি হার্বাল-এর অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে একটি পিল তৈরি করা হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। এটি শুক্রাণুকে ডিম্বানুর মাঝে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ওষুধটির বাস্তবতা, ডোজ ও নিরাপত্তা বিষয়ে এখনো গবেষণা করা বাকি আছে। সম্প্রতি ৩০০ পুরুষের ওপর এটি প্রয়োগ করা হয়। এতে তাদের মাত্র একজন সঙ্গী গর্ভবতী হয়।
৪. ইমপ্ল্যান্ট
অ্যান্টি-ইপিন ওষুধ স্পার্মকে ডিম্বানুর দিকে সাঁতার কাটতে বাধা দেয়। অ্যান্টি-ইপিন ত্বকের নিচে প্রয়োগ করা যায়। এছাড়া এটি মুখেও খাওয়া যায়। এ ওষুধটির নিরাপত্তার বিষয়টি এখনো গবেষণা করে দেখা হয়নি। তবে গবেষকরা এ ওষুধটির সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদী।
৫. জেনেটিক ড্রাগ
জেকিউ১ একটি ওষুধ যা বিআরডিটি জিনের ওপর কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এটি স্পার্ম উৎপাদনে প্রভাব বিস্তার করে। ওষুধটি কাজ শুরু করতে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরুর পর ওষুধটি বন্ধ করা হলে এক থেকে তিন মাস সময় লাগে স্বাভাবিক হতে। ওষুধটি বাজারে পাওয়া যায় না। এটি বাজারে কবে ছাড়া হবে সে বিষয়েও কোনো তথ্য নেই।
৬. হরমোন পিল
অ্যান্ড্রোজেন ও প্রজেস্টোজেন হরমোন একত্র করে একটি হরমোন পিল বানানো হয়েছে। এটি শুক্রানু উৎপাদন বন্ধ করতে মস্তিষ্ক থেকে নির্দেশ পাঠায়। এ ওষুধটি পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক ও কার্যকর। তবে এর সাইড এফেক্টের কারণে ওষুধটি বাজারজাত করণ অনিশ্চিত।
৭. ব্রাইট পিল
প্রফেসর হাইম ব্রাইটবার্ট এ ওষুধটির জনক। এটি অস্থায়ীভাবে শুক্রানু উৎপাদন বন্ধ করে দেয়। ইঁদুরের ওপর গবেষণায় এ ওষুধটি কার্যকর বলে জানা গেছে। তবে ওষুধটির আরো উন্নয়ন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।