Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

কমলার চাইতেও ২০ গুন বেশী ভিটামিন সি আছে আমলকীতে

আমলকী ফল হিসেবে একটি অনন্য ফল। এছাড়া এটি ভেষজ চিকিৎসায় একটি বিখ্যাত উদ্ভিদ। আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে প্রায় ৫০০০ হাজার বছরের বেশি সময় ধরে দেহের প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং দেহের পুনর্যৌবন প্রাপ্তির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হলদে সবুজ রঙের এই ফলটির রয়েছে আশ্চর্য ক্ষমতা। সারা বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ঋতুতে, বিভিন্ন আবহাওয়ায় মানুষ এই ফলটি খেয়ে থাকেন এবং ব্যবহার করে বিশেষ করেন এর টক, ঝাল, মিষ্টি ও তেঁতো স্বাদের জন্য।
জেনে অবাক হবেন যে একটি আমলকীতে প্রায় ২০টি কমলার সমান ভিটামিন সি থাকে। ১০০ গ্রাম তাজা আমলকীতে থাকে প্রায় ৪৭০-৬৮০ মিলিগ্রাম খাঁটি ভিটামিন সি। বিজ্ঞানে এই ফলকে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন সি কেন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি দেহকে ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্ত রাখে, হাড়কে মজবুত করে, প্রতিরোধক ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে এবং leukocytes বা শ্বেত কনিকা উৎপাদন করে।
আমলকীতে শুধু যে ভিটামিন সি-ই থাকে তা নয়। এতে আরো থাকে ফ্লেভোনয়েড, ট্যানিন এবং খনিজ পদার্থ। আমলকী খেলে সর্দি, কাশি থেকে শুরু করে অ্যাজমা, ব্রংকাইটিসের মত শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত রোগগুলো থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।
আমলকীর কিছু উপকারিতা এখানে উল্লেখ করা হলো-
যকৃতের বিষাক্ততা দূর করে
গবেষণায় দেখা যায় যে আমলকী যকৃতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিশেষ করে যক্ষ্মা রোগের ঔষধের নেতিবাচক প্রভাব পরার ফলে যেসব বিষাক্ততার সৃষ্টি হয় তা দূর করতে সাহায্য করে।
ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে
যখন দেহ ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াই করে তখন দেহের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অনেক সময় ক্যান্সার প্রতিরোধও করতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের প্রদাহ এবং নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী
যকৃতের এবং অগ্নাশয়ের প্রদাহ, ফোলা, ব্যাথা দূর করতে এবং সঠিকভাবে...

Read More
Health Image +

কিডনিতে পাথর হওয়ার যে কারণগুলো জানা নেই আপনার

কিডনি হচ্ছে আমাদের দেহের রক্ত পরিশোধনের অঙ্গ। আমরা যেসব খাবার খেয়ে থাকি তার পুষ্টি সরাসরি আমাদের দেহে ছড়ায় না। বরং খাবার গ্রহনের পর তার একটি অংশ কিডনি থেকে রক্তে যায়। এবং রক্তের মাধ্যমে পুরো দেহে সঞ্চালিত হয়। এছাড়াও শরীরে জমে থাকা অনেক রকম বর্জ্যও পরিশোধিত হয় কিডনিতে। কিডনির নানা সমস্যার মধ্যে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে কিডনিতে পাথর হওয়া। কিডনিতে পাথর হওয়ার সমস্যা বেশ মারাত্মক একটি সমস্যা। যদি কোনো কারণে কিডনিতে খনিজ পদার্থ আটকে যায় বা যে কোনো ব্যাকটেরিয়ার কারণে কিডনি দেহের বর্জ্য ঠিক মত পরিশোধিত করতে পারে তখন তা জমা হতে থাকে কিডনির ভেতরে। আর একেই আমরা মূলত কিডনির পাথর হিসেবে জানি। কিন্তু ঠিক কি কি কারণে এই কিডনি তার সঠিক কাজ করতে পারেন না তা জানেন কি? চলুন জেনে নেয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে যা হয়তো আপনার জানা নেই।
১) লেবু জাতীয় খাবার খুব কম খাওয়া
লেবু, কমলা,মালটা ইত্যাদি ধরণের citrus ফল কম খাওয়ার কারণে কিডনিতে পারথ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কারণ এই ধরণের ফলমূলে থাকে সাইট্রেট যা কিডনিতে পাথর হওয়া রোধে সহায়তা করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ধরণের ফল অবশ্যই খাবেন। যদি তেমন কিছু নাও পান তাহলে পানিতে লেবু চিপে পান করতে পারেন। তবে অবশ্যই তা পরিমিত পর্যায়ে।
২) পালং শাক বা অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার বেশী খাওয়া
পালং শাকে অনেক বেশী মাত্রায় অক্সালেট থাকে। অক্সালেট দেহের ক্যালসিয়ামের সাথে মিশে যায় এবং মূত্রনালির মাধ্যমে বের হয়ে যায়। এতে করে দেহে অক্সালেটের মাত্রা বেড়ে যায় যা কিডনিতে জমা হতে থাকে পাথর হিসেবে।
৩) ক্যালসিয়ামের অভাব
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে তা কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বৃদ্ধি করে। খাবারে পরিমিত ক্যালসিয়াম...

Read More
Health Image +

মধু পানি পানের ৬টি দারুণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

মধুর স্বাস্থ্যগত উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। আদিকাল থেকে ঔষধ হিসেবে মধু ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু মধু পানির উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জানা আছে কি? প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম পানির মধ্যে মধু মিশিয়ে পান করুন। আর দেখুন এর জাদুকরী প্রভাব। আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক মধু পানির গুণাবলি।
১। ঠান্ডা দূর করতে
মধুপানি গলা ব্যথা, কাশি, কফ দূর করতে সাহায্য করে থাকে। মধুতে ঠান্ডা নিরাময় করার উপাদান আছে যা গলা থেকে কফ দূর করে থাকে। তাই ঠান্ডা লাগলে এক গ্লাস গরম মধু পানি পানের পরামর্শ বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন।
২। ওজন কমাতে
ওজন কমাতে মধু পানি জাদুর মত কাজ করে থাকে। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কসুম গরম মধু পানি পান করুন। সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৩। কার্যশক্তি বৃদ্ধি
মধু হচ্ছে প্রাকৃতিক চিনি যা আমাদের দেহে এনার্জির সরবরাহ করে মধু দেহের মেদ না বাড়িয়ে। তাই প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস মধু পানি সারাদিনের কার্যশক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে।
৪। ত্বক পরিষ্কার রাখে
মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে যা ত্বকের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
৫। দেহের পানির পরিমাণ ঠিক রাখে
মধু পানি আপনার শরীরের পানি সরবারহ করে থাকে। ফলে সকালের এক গ্লাস পানি আপনার সারাদিনের পানির চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ করে থাকে।
৬। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
মধুতে এনজাইম আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার হজমে সমস্যা থাকে তবে খাওয়ার পর এক গ্লাস কুসুম গরম মধু পানি পান করুন, দেখবেন হজমের সমস্য দূর হয়ে গেছে।
সতর্কতা:
ডায়াবেটিস রোগীরা মধু পানি পান করা থেকে বিরত থাকবেন। যদি পান করতে...

Read More
Health Image +

সহজ ৩ টি উপায়ে দূর করুন বদহজমের সমস্যা

অতিরিক্ত খাওয়া এবং একটু বেশীই গুরুপাক খাবার খাওয়ার কারণে বদহজমের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। বিশেষ করে উৎসব অনুষ্ঠানের পরই এই ধরণের সমস্যা বেশী দেখা যায়। তেল, মশলা ও চর্বি জাতীয় খাবার সহজে হজম হতে চায় না বলেই এই সমস্যা বেশী দেখা দেয়। অনেক সময় অ্যান্টাসিড ধরণের ঔষধ খাওয়ার পরও সমস্যার সমাধান হয় না। তবে ঘাবড়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। খুব সহজে ঘরোয়া উপায়েই দূর করতে পারেন বদহজমের এই অস্বস্তিকর সমস্যা। চলুন তাহলে শিখে নেয়া যাক পদ্ধতিগুলো।
১) তুলসী পাতার ব্যবহার
তুলসী পাতার কার্যকরী গুণাবলী ইন্টেস্টাইনের সকল ধরণের গ্যাস দূর করে হজমের সমস্যা নিমেষেই দূর করতে পারে।
- এক মুঠো তুলসী পাতা একটু ছেঁচে নিয়ে সামান্য লবণ মিশিয়ে এমনিতেই খেতে পারেন। খুব দ্রুত দারুণ ফলাফল পাবেন।
- দুই কাপ পানিতে এক মুঠো তুলসী পাতা ছেঁচে দিয়ে জ্বাল দিন কিছুক্ষণ। পানি শুকিয়ে ১ কাপ পরিমাণে হয়ে এলে ছেঁকে মধু মিশিয়ে পান করুন চায়ের মতো করে। বেশ সহজেই হজমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
২) বেকিং সোডার ব্যবহার
পাকস্থলীর অপ্রয়োজনীয় অ্যাসিডের অতিরিক্ত নিঃসরণের ফলে অনেক সময় বদহজম হয়ে থাকে। এই সমস্যা দূর করতে বেশ কার্যকর এই বেকিং সোডা।
- আধা গ্লাস পানিতে আধা চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করে ফেলুন। দ্রুত বদহজমের সমস্যা দূর হবে। আধা গ্লাসের চাইতে বেশি পরিমাণে পান করেবেন না।
৩) গোলমরিচের ব্যবহার
বদহজমের সমস্যা হয় মূলত পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের অভাবে। এই সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গোলমরিচ। গোলমরিচ পাকস্থলীর ভেতরের গ্যাস্ট্রিক জুসের মাত্রা বাড়ায় এবং দ্রুত হজমে সহায়তা করে এবং বদহজম দূর করে।
- সামান্য গোলমরিচ গুঁড়োর সাথে গুড় এবং বাটারমিল্কের মিশ্রণ খুব সহজেই বদহজম দূর করতে পারে।
- গোলমরিচের গুঁড়ো, শুকনো পুদিনা...

Read More
Health Image +

চুলকানি দূর করার ৫টি কার্যকরী ঘরোয়া উপায়

অ্যালার্জি ছাড়াও হঠাৎ করে হাত-পায়ে চুলকানি শুরু হয়ে যেতে পারে। এটি খুব সাধারণ একটি ব্যাপার আর কিন্তু এই ব্যপারটি বিরক্তি পর্যায়ে চলে যায় যখন চুলকানি না থামে। আর বার বার চুলকাতে থাকে। সংবেদনশালী ত্বক যাদের তারা চুলকাতে চুলকাতে লাল করে ফেলে। এই চুলকানির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকেই বিভিন্ন মলম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু মলম ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তার চেয়ে যদি ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের চুলকানি দূর করা যায়, তা যেমন নিরাপদ তেমনি অনেক বেশি কার্যকর। জেনে নিন ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের চুলকানি দূর করার উপায়।
১। নারকেল তেল
নারকেল তেল ত্বকে ব্যবহারের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পণ্য। যে কোন প্রকার চুলকানি, পোকার কামড় বা অন্য কোন কারণে ত্বকে চুলকানি হলে যেখানে চুলকাবে সেখানে নারকেল তেল দিয়ে দিন। যদি সম্পূর্ণ শরীরে চুলকানি হয় তবে পুরো শরীরে নারকেল তেল মাখতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে নারকেল তেল মিশিয়ে গোসলও করে ফেলতে পারেন।
২। পেট্রোলিয়াম জেলি
যদি আপনি সেনসিটিভ ত্বকের অধিকারী হন তবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। শরীরের কোন অংশে চুলকানি হলে আপনি পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। এটি সবার ঘরেই থাকে, ফলে যেকোন সময়ই আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
৩। বেকিং সোডা
চুলকানি প্রতিরোধে বেকিং সোডা অনেক বেশি কার্যকরী। পানি ও বেকিং সোডা দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে নিন। এক অংশ পানির মধ্যে ৩ অংশ বেকিং সোডা দিতে হবে। তারপর চুলকানির জায়গায় এই পেষ্ট লাগান। দেখবেন চুলকানি অনেক কমে গেছে। বেকিং সোডা দিয়ে গোসলও করতে পারেন। এক্ষেত্রে বড় এক বালতি পানিতে ১/২ কাপ বেকিং সোডা মেশাতে হবে। বেকিং সোডা মেশানো পানিতে কমপক্ষে ৩০ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখার পর শরীর পানি...

Read More
Health Image +

অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার মারাত্মক কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি

বছরের যে সময়টাতে সবচাইতে বেশী মাংস খাওয়া হয় সকলের সে সময়টি হচ্ছে কোরবানির ঈদ। অন্যান্য সময়ে মাংস খাওয়া হলেও ঈদের সময়টাতেই অনেক বেশী খাওয়া হয় প্রায় সকলেরই। ঈদের আনন্দে মাংস খাওয়া উচিত, কিন্তু তা অবশ্যই নিয়ন্ত্রিত। অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, এই বিষয়টি ঈদের আনন্দের সাথে ভুলে গেলে চলবে না একেবারেই। কারণ অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার যে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে তা ঈদের আনন্দকে মাটি করে দিতে পারে মুহূর্তেই। তাই জেনে রাখুন অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার মারাত্মক কিছু স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং নিয়ন্ত্রণ করুন মাংসের পরিমাণ।
১) লাল মাংস রক্তনালী ব্লক ও শক্ত করে
লাল মাংসে পাওয়া যায় কারনিটাইন নামক একটি কম্পাউন্ড যা রক্তনালী ব্লক এবং অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস হওয়ার জন্য দায়ী। লাল মাংসে পাওয়া কারনিটাইন ইন্টেস্টাইনের ব্যাকটেরিয়ার সাথে মিলে ট্রাইমেথিলামাইন-এন-অক্সাইড গঠন করে যা হৃদপিণ্ড ড্যামেজ করার জন্য দায়ী।
২) অকাল মৃত্যু ঘটায়
হাভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথের একটি গবেষণায় জানা যায় যারা অতিরিক্ত লাল মাংস খান তাদের অকাল মৃত্যু ঝুঁকি অন্যান্যদের তুলনায় অনেক বেশী। এর কারণ হিসেবে গবেষকগণ জানান অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার ফলে দেহে ক্ষতিকর টক্সিনের পরিমাণ অনেক বেশী বেড়ে যেতে থাকে যার কারণে ক্যান্সারের সম্ভাবনা দেখা দেয়। এছাড়াও কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা বৃদ্ধি পায় বলে ধীরে ধীরে আয়ু কমে আসতে থাকে।
৩) ই. কলি ব্যাকটেরিয়া
এই ব্যাকটেরিয়াতে আক্রান্ত হতে পারেন খুব সহজেই যদি অতিরিক্ত লাল মাংস খাওয়ার অভ্যাস থেকে থাকে। এবং এই ব্যাকটেরিয়ার কারণে দেহে পানিশূন্যতার সৃষ্টি হয়, অ্যাবডোমিনাল ক্রাম্পের সমস্যা দেখা দেয় এবং সব চাইতে মারাত্মক সমস্যা কিডনি ফেইলিওর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
৪) ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়
জেএএমএ ইন্টারনাল মেডিসিনের একটি রিপোর্টে বলা হয়, ‘অতিরিক্ত এবং দীর্ঘদিন যাবত লাল মাংস খাওয়ার ফলে...

Read More
Health Image +

অতিরিক্ত ওয়াইফাই ব্যবহারে হতে পারে মাথাব্যথা ও অ্যালার্জি

ওয়্যারলেস অ্যালার্জি সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তা ব্যস্ত নাগরিক জীবনের একটি বিড়ম্বনা হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মূলত ওয়াইফাই ইন্টারনেট, তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্রপাতি ও আধুনিক বিভিন্ন গ্যাজেটের কারণে এ অ্যালার্জি হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক হাইপারসেনসিটিভিটি (ইএইচএস) বা ওয়্যারলেস অ্যালার্জি থেকে মাথাব্যথা ও প্রচণ্ড অবসাদের মতো সমস্যা হয়। তবে বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এ প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের হয়। অতিরিক্ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের মাঝে থাকলে এ ধরনের অ্যালার্জি বেশি হয়।
ওয়াইফাই সিগন্যাল ছাড়াও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত সিগন্যাল, ওয়াইফাই সংযুক্ত যন্ত্রপাতি যেমন, মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ও অন্য গ্যাজেটের সমাহার বেশি হলে এ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবা বাড়ে।
কিছুদিন আগে ফরাসী একটি আদালতে ৩৯ বছর বয়সী এক নারী অভিযোগ করেন, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে তার মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
এরপর তাকে ওয়াইফাই ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন থেকে দূরে একটি এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এ অ্যালার্জির বিষয়টিকে মারাত্মক কোনো সমস্যা বলে মনে করেন না। যদিও এর অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কোনো নির্ধারিত মাত্রা এখনো নিরূপিত হয়নি। তবে বিষয়টির অস্তিত্ব যে রয়েছে, তা স্বীকার করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত হুমকি সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

Read More
Health Image +

তেল চর্বি বেশী খেয়ে বুক জ্বালাপোড়া জেনে রাখুন ঝটপট সমাধান

ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেলেও ঈদের আমেজ এখনো চলে যায় নি। সেই সাথে এখনো কমে নি ঈদ আয়োজনের নানা পদের খাবার খাওয়ার ধুম। কিন্তু কোরবানির ঈদের এই অতিরিক্ত তেল চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে অ্যাসিডিটির অর্থাৎ বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা শুরু হয়ে যায়। অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক। এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যালজাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায় যার রয়েছে ক্ষতিকর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিকউপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে দ্রুত এই যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তির উপায়।
যা করবেন এবং যা করবেন না
- দ্রুত কলা বা আপেল যে কোনো একটি ফল খেয়ে নিন। অ্যাসিডিটি অনেকটাই কমে যাবে।
- শুয়ে থাকবেন না। থুঁতনি উঁচু করে রাখুন। এতে গ্যাসের সমস্যার কারণে বুক জ্বলা কমে যাবে।
- তাড়াহুড়ো করে গোগ্রাসে খাবার গিলবেন না। ধীরে সুস্থে খাবার চিবিয়ে খাবেন। গোগ্রাসে গিলে ফেললে খাবার হজম হতে সমস্যা হয় যার কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
- খাবারে যতো অনিয়ম হয় ততো অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই খাবারের সময়টা একটু নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
তাৎক্ষণিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে প্রাকৃতিক সমাধানগুলো অবলম্বন করতে পারেন যা খুবই সহজলভ্য এবং কার্যকরী।
১) আদা চা
যদি খাওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে এক কাপ আদা চা পান করে নিতে পারেন তাহলে খাওয়ার পর একেবারেই বুক জ্বলার সমস্যায় ভুগবেন না। খাওয়ার পর বুক জ্বলা শুরু হয়ে গেলেও আদা চা পান করার ফলে খুব দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
- ১ ইঞ্চি ৩ খণ্ড আদা কুচি একটু ছেঁচে ২ কাপ পানিতে ফুটিয়ে নিন।

Read More
Health Image +

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের প্রধান ১০ লক্ষণ

এই সময়টাতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা যায়। সাধারণ জ্বর দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীতে এটি ডেঙ্গু জ্বরে রূপ নেয়। ডেঙ্গু জ্বরের কিছু লক্ষণ আছে যা দেখলে বোঝা যায় রোগীটি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীকে অতি দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। আসুন জেনে নিই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণগুলো। এর যে কোনো দুটি লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
১।তীব্র মাথা ব্যথা
ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ হল তীব্র মাথা ব্যথা করা। মাথা ব্যথা এতটাই তীব্র হতে পারে যে এটি ব্রেন হেমোরেজের মতো সমস্যাও হতে পারে। যা মৃত্যুর কারণ হয় অনেক সময়।
২। হঠাৎ জ্বর
ডেঙ্গু জ্বর শুরুটা হয়ে থাকে তীব্র জ্বর দিয়ে। হঠাৎ করে হয়ে যেতে পারে তীব্র জ্বর। সাধারণত সেই জ্বরে তাপমাত্রা ১০২ ফারেনহাইটের উপরে উঠে যায় এবং তা সহজে নামে না।
৩। গিঁটে ব্যথা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ব্যক্তির গিঁটে ও মাংসপেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। সাধারণ পর্যায়ে এই ক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা ব্যথা নিরোধক ওষুধ দিয়ে থাকেন।
৪। পানি শূন্যতা
শরীরে পানির মাত্রা কমিয়ে দেয় ডেঙ্গু জ্বর। বেশি তাপমাত্রার কারণে শরী্রের পানি শুকিয়ে গেলে অনেক সময়ই শরীরে ফ্লুইডের ঘাটতি দেখা দেয়। এক্ষেত্রে রোগীকে স্যালাইন পান করতে দেওয়া উচিত। এতে কিছুটা হলেও পানির ঘাটতি কমে যাবে।
৫। রক্তক্ষরণ
ডেঙ্গু হলে শরীরের নানা জায়গায় রক্তক্ষরণ হতে দেখা যায়। বাইরের অঙ্গের পাশাপাশি শরীরের ভেতরের অঙ্গ যেমন মস্তিষ্কেও রক্তক্ষরণ হতে পারে। যা একজন রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়ে থাকে।
৬। রক্তে প্লেটলেট এর পরিমাণ কমে যায়
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীদের রক্তের প্লেটলেট নামতে থাকে খুবই দ্রুত। এটি শুধু রক্তপরীক্ষার মাধ্যমেই নির্ণয় করা সম্ভব।
৭। নিন্ম রক্তচাপ
রক্তে প্লেটলেট কমে যাওয়া এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় রক্তচাপ অনেকটা কমে যায়। এতে রোগী অনেক...

Read More