Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

শীতে হাঁপানি রোগীদের জন্য কিছু পরামর্শ

শীতকাল হাঁপানি রোগীদের জন্য বেশ কষ্টকর একটা সময়। বছরের অন্যান্য সময়ের থেকে এই সময়টায় হাঁপানি রোগীদের একটু বেশি সাবধানে চলতে হয়। শীতের সময়টায় আবহাওয়া শুষ্ক আর ধুলোবালির প্রকোপ বেড়ে যায়। তাই হাঁপানি প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি সতর্ক থাকতে হয়। বিনা সতর্কতায় হাঁপানি রোগীর জীবনে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
সেকারণেই সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ বলবো শীতে হাঁপানি রোগীরা সুস্থ থাকতে বিষয় গুলো মেনে চলবেন।
আগুন বা ধোঁয়ার পাশে বসবেন না:
শীতের সময় আমরা আগুনের পাশে বসতে সবাই পছন্দ করি। কিন্তু শীতের সময় একটু উষ্ণতা পাওয়ার আশায় হাঁপানি রোগীদের অগ্নিকুণ্ডের পাশে বসলে চলবে না। এতে আপনার আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অগ্নিকুণ্ডের ধোঁয়া ফুসফুসে ঢুকলে হাঁপানি রোগীরা মারাত্মক বিপদে পড়তে পারে। তাই শীতে হাঁপানি রোগীরা অগ্নিকুণ্ডের থেকে দূরে থাকুন।
মুখ ঢেকে রাখুন:
হাঁপানি রোগীরা শীতে সুস্থ থাকতে মুখ খোলা রেখে না বাইরে বের হয়ে একটি মাফলার বা স্কার্ফ দিয়ে নাক মুখ ভালো করে ঢেকে বেরোবেন। কারণ শীতের ঠাণ্ডা বাতাস আপনার নাক মুখ দিয়ে ভিতরে গেলে বা ফুসফুসে প্রবেশ করলে হাঁপানি রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়বে।
আপনার হাত ধুয়ে নিন:
শীতের সময়টায় সুস্থ থাকতে কিছু সময় পর পর আপনার হাত ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করুন। যাতে কোন রোগ জীবাণু হাতের মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রবেশ করতে না পারে। এক্ষেত্রে ভালো কোন হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন আর সাথে চাইলে গরম পানি ব্যবহার করতে পারেন।
ধূমপান বন্ধ রাখুন:
ধূমপান বন্ধ রাখা হাঁপানি রোগীদের জন্য সবথেকে বড় প্রতিরোধ ব্যবস্থা। হাঁপানিতে ধূমপানের ফলে সৃষ্ট ধোয়া একটি উত্তেজক হিসাবে কাজ করে। এটি রোগীর ফুসফুসে গিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। শীতের সময়টায় ধূমপান রোগীর জন্য মারাত্মক সমস্যার জন্ম দেয়। তাই শীতে হাঁপানি...

Read More
Health Image +

কোথায় কোথায় ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে

আপনারই সমবয়সী বা সহকর্মী। আজ সকাল থেকেই বলছিলেন চোয়ালে সামান্য ব্যথা। বিকেল গড়াতেই বুকে যন্ত্রণায় ঢলে পড়লেন। ডাক্তার দেখেই বললেন হার্ট অ্যাটাক! সময় মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ায় তিনি বেঁচে গিয়েছেন।
তবে এই ঘটনা ভয় ধরিয়ে দিয়েছে মনে। তবে কি বুকে ব্যাথা, ঘাম হওয়া ছাড়াও হার্ট অ্যাটাকের অজানা লক্ষণও রয়েছে? চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন অবশ্যই রয়েছে। কাজেই কোনও অদ্ভুত যন্ত্রণা, অস্বস্তিকর অনুভূতি অবহেলা করবেন না।

ঠিক কী কী ধরনের ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে?
১। মাথা ছিঁড়ে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা।
২। বুকের ডান দিক, চোয়াল, গলা, কাঁধ, হাতে চিনচিনে ব্যথা বা অদ্ভুত অস্বস্তি।
৩। কোমর বা পিঠের দুই হাড়ের মাঝখানে ব্যথা।
৪। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা।
৫। কবজিতে যন্ত্রণা।
৬। হাতের তালু ও পায়ের পাতায় জ্বালার অনুভূতি।
এর কোনােটা যদি আপনার বা আপনার পরিবারের হয় তাহলে এক মুহূর্তও দেরি করবেন না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব হাসপাতালে যান বা বাড়িতে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডাকুন। সতর্ক থাকলে বড় বিপদ এড়াতে পারবেন।

Read More
Health Image +

রক্তগ্রহণ ছাড়াও অন্য যে সকল বিষয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগীর সতর্কতা প্রয়োজন

বর্তমানে আমাদের দেশে থ্যালাসেমিয়ায় (Thalassaemia) আক্রান্ত হওয়ার হারটা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কিন্তু এ রোগ নিয়ে মানুষের মাঝে তেমন সচেতনতা গড়ে উঠেনি। মানুষ সাধারণত নিয়মিত রক্ত গ্রহণকেই একমাত্র নিরাময় হিসেবে জানে। নিয়মিত রক্ত গ্রহণ যেমন আবশ্যক তেমনি আরও কিছু বিষয় আছে যা এর মতই গুরুত্বপূর্ণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এ সম্পর্কে।
১. প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম (Calcium) সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য একটি অন্যতম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উৎস। এটি দেহের হাড়কে মজবুত ও শক্তিশালী রাখে, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের হাড়ের জটিলতা থেকে রক্ষা করে। এর আরেকটি উপকারিতা হল শরীর থেকে আয়রন শোষণে সাহায্য করে।
২. প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি (Vitamin D) রাখুন। যেমন ডিম, মাছ ইত্যাদি।
৩. নিয়মিত খাবারের পর লাল চা বা গ্রিন টি পান করুন। এগুলো শরীরের আয়রন কমাতে সাহায্য করে।
৪. এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই বিভিন্ন ছোঁয়াচে-রোগজীবাণু থেকে সাধ্যমত দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৫. আয়রন (Iron Rich Food) জাতীয় খাবার থেকে যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ অতিরিক্ত আয়রন হৃৎপিণ্ড ও দেহের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে। প্রতিনিয়ত রক্তগ্রহনের ফলে আয়রন স্বাভাবিকভাবে মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায় আর তাই এটি থেকে বিরত থাকা উত্তম। কিছু আয়রন জাতীয় খাবার হল গরু মাংস, লাল শাক, পালং শাক, কচু, কলা, আপেল ইত্যাদি।
পরামর্শ.কম এ স্বাস্থ্য ও রূপচর্চা বিভাগে প্রকাশিত লেখাগুলো সংশ্লিষ্ট লেখকের ব্যক্তিগত মতামত ও সাধারণ তথ্যের ভিত্তিতে লিখিত। তাই এসব লেখাকে সরাসরি চিকিৎসা বা স্বাস্থ্য অথবা রূপচর্চা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পরামর্শ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। স্বাস্থ্য/ রূপচর্চা সংক্রান্ত যেকোন তথ্য কিংবা চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের/বিউটিশিয়ানের শরণাপন্ন হোন।

Read More
Health Image +

গরম দুধ এবং মধু মিশ্রিত ড্রিংক পান করার অসাধারণ ৭টি স্বাস্থ্যগুণ

দুধের স্বাস্থ্যগুণের কথা সবার জানা। আর মধুকেও বলা হয় অনেক রোগের নিরাময়ক। দাদী নানীরা ঠাণ্ডা, কাশি লাগলে বা অসুখ হলে মধু মিশানো গরম দুধ খাওয়ার কথা বলতেন। এখনও অনেকেই ঠান্ডা জ্বর বা অসুখের সময় মধু মিশানো গরম দুধ পান করে থাকেন। মধু মিশ্রিত দুধ খুবই ভাল একটি হেলথ ড্রিংক।
যেভাবে তৈরি করবেন মধু ও দুধ মিশ্রিত হেলথ ড্রিংক –
এক গ্লাস গরম দুধে এক টেবিল চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। যাতে মধু গ্লাসের তলায় থেকে না যায়। ডায়াবেটিকস রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শে মধু দুধ পান করুন।
স্বাস্থ্যগুণ সমূহ –
১। মনোবল বৃদ্ধি –
সকালে এক গ্লাস গরম দুধে Hot milk মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনাকে সারাদিনের কাজের এনার্জি দিবে। দুধের প্রোটিন এবং মধুর শর্করা মিশে আপনার মেটাবলিজমকে উদ্দীপিত করে থাকে। এই পানীয়টি ছোট বড় সবাই খেতে পারে।
২। হাড় গঠনে –
গবেষণায় দেখা গেছে মধু Honey ধীরে ধীরে খাদ্য থেকে পুষ্টি সারা দেহে পরিবহন করে থাকে। বিশেষ করে দুধের ক্যালসিয়ামকে মধু সারা শরীরের পরিবহন করে থাকে। তাই মধু দুধ শুধুমাত্র শরীরে পুষ্টি প্রদান করে থাকে না পাশাপাশি হাড় মজবুত করে থাকে।হাড়জনিত রোগ প্রতিরোধ করে থাকে।
৩। স্ট্রেস দূর করতে –
গরম দুধ এবং মধু নার্ভকে শিথিল করে স্ট্রেস কমিয়ে থাকে। আপনি যদি অনেক বেশি দুশ্চিন্তায় থাকেন তবে দিনে দুইবার গরম দুধ, মধু পান Drink Honey করুন। এটি আপনাকে রিল্যাক্স করে দিবে।
৪। অনিদ্রা দূর করতে –
বিভিন্ন ঘুম বিশেজ্ঞদের মতে গরম দুধ এবং মধু ঘুম পারাতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস গরম দুধ এবং মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি আপনার ঘুম আনাতে সাহায্য করবে। আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকলে নিয়মিত এটি পান করুন।
৫।...

Read More
Health Image +

শীতে স্বাস্থ্য সমস্যা ও তার প্রতিকার

শীতকালে মাথা ব্যাথা, পেটে সমস্যা এসবও শীতকালে অহরহ হয়ে থাকে। নাক বন্ধ, গলা ব্যাথা এসব সমস্যার কারণে শীতকাল অনেকের কাছেই বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে ও কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এসব সমস্যা থেকে অনেকখানি সমাধান পাওয়া যায়।
সর্দি, কাশি, গলা ব্যাথা এগুলো শীতে বেশি সমস্যা করে থাকে। এগুলো থেকে রক্ষা পাওয়ার কিছু সহজ উপায় আলোচনা করা হল –
# সর্দির সমস্যার সমাধান :
১। নাক দিয়ে জল পড়লে নাকের প্রত্যেক কোণায় অন্তত ১০ বার করে চাপ প্রয়োগ করুন। এমনভাবে চাপ প্রয়োগ করবেন যাতে নাক প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। চোখের যে অংশ দিয়ে জল বের হয় তার ঠিক নিচে অনুরূপে ১০ বার চাপ প্রয়োগ করুন। কানের লতি ম্যাসাজ করুন ১০ সেকেন্ড। নাক জল দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং বড় করে শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন।
২। নাক ঝাড়ুন কিন্তু বেশি জোরে নয়।
৩। ভিক্স বা একই রকম গন্ধযুক্ত কিছু নাকের ঠিক নিচে লাগান। ভিক্সের কৌটার কাছে নাক নিয়ে বড় করে নিঃশ্বাস নিন।
৪। জল ফুটিয়ে একটি পাত্রে রাখুন। পাত্রের একটু উপরে মুখ নিন এবং জলের উত্তপ্ত বাষ্পে বড় করে শ্বাস নিন। এটি করার সময় একটি বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ও পাত্র ঢাকার চেষ্টা করুন যাতে বাষ্প সরাসরি মুখে আসে এবং তা উত্তপ্ত থাকে। জলে একটু কর্পূর মিশিয়ে নিলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। এটি বন্ধ নাক খুলতে অনেক কার্যকর।
৫। যেকোন ভালো অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ সেবন করলে তা কাজে দেয়। যেমন – ফেনাডিন, ওরাডিন প্রভৃতি। তবে এটি করার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
# কাশি ও তার সমাধান :
১। খুশখুশে কাশি দূর করতে আদা চা বা যেকোন গরম পানীয় বেশ কার্যকর। পর্যাপ্ত...

Read More
Health Image +

মস্তিষ্কের শক্তি বৃদ্ধি করবে এই ৭টি খাবার

সুস্বাস্থ্যের জন্য আমরা অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকি। এমনকি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে আমরা খেয়ে থাকি নানা রকমের খাবার। কিন্তু মস্তিষ্ক কার্যক্ষম করতে আমরা কি করে থাকি? কিছুই না। U.K. এক গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার ক্ষুধা নিবারণ করার সাথে সাথে আপনার নার্ভের ক্ষতি করে থাকে।Katzexecutive chef at Food As Medicine and founder of Healing Kitchens Institute in Bolinas, California বলেন “ আমরা দেখেছি আমাদের মস্তিষ্কের কোষ পূর্ণবিন্যাস হয় সঠিক ডায়েট এবং ব্যায়ামের উপর নির্ভর করে। আমরা অনেক খাবার খাই যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকার, কিন্তু কিছু খাবার আছে যেগুলো আসলে আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ”।
১। ফ্যাটি ফিশ বা তৈলাক্ত মাছ
এসেন্সিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড (EFAS) শরীরে তৈরি হয় না, এটি খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তৈলাক্ত মাছে EPA এবং DHA আছে। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের জন্য অনেক প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। সয়াবিন, মিষ্টি কুমড়া বীচি, কাজুবাদাম তেল, সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে।
২। কাঠবাদাম
Katz এর মতে কাঠবাদাম শরীরে ইনফ্ল্যামেশন দূর করে মুড ভাল করে থাকে। এর সাথে মস্তিষ্কের বয়স কমিয়ে দেয়। নিয়মিত কাঠবাদাম খাওয়া হতাশা দূর করে দেয়।
৩। পালং শাক
Tufts University এর মতে পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে, যা স্মরণশক্তি হ্রাস রোধ করে। আরেক গবেষণায় দেখা গেছে যেসব মহিলারা পালং শাক খেয়েছেন তাদের স্মরণশক্তি যারা পালং শাক খাননি তাদের থেকে বেশি হয়ে থাকে।
৪। ডার্ক চকলেট
অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ডার্ক চকলেট স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারি কিন্তু এর ক্যাফিন উপাদান মস্তিষ্কের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চকলেটে ফ্ল্যাভোনয়েড নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল সচল রেখে রক্তে কোলেস্টেরল এবং রক্তচাপ ঠিক রাখে।
৫। বিট
ব্রেন...

Read More
Health Image +

অ্যাভাকাডোর ৫টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

আমাদের দেশে অ্যাভাকাডো ফলটি এখনো বেশি পাওয়া যায় না এটি মূলত মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকার ফল। তবে চাষ করলে আমাদের দেশের মাটিতেও ফলতে পারে। আমাদের দেশে যেমন: পেয়ারা, আম-জাম-কাঁঠাল, আমলকী, বেল, জাম্বুরা প্রভৃতি উপকারী ফল রয়েছে, বিদেশি ফলের মধ্যে রয়েছে আপেল-আঙুর, যাদের গুণের শেষ নেই অ্যাভাকাডো তেমনি একটি খুব উপকারী ফল। এটা যেন সর্বরোগের মহৌষধ! দেখুন এটা কীভাবে আমাদের শরীর-স্বাস্থ্যের উপকার করে:
১. অ্যাভাকাডোতে রয়েছে প্রচুর আঁশ ও মনো-আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আরও আছে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ দ্রব্য, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভিটামিন সি ও ই। তা ছাড়া বয়স্ক মানুষের হাড়ের জন্য উপকারী ভিটামিন কে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য পটাশিয়াম, চোখ ভালো রাখতে লুটেইন এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ বি ভিটামিন ফোলেট রয়েছে এই ফলে। তবে সব উপাদানই কম পরিমাণে।
২. ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় দেখা গেছে অ্যাভাকাডো খেলে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরল কমে, কারণ এই ফলে ফাইটোস্টেরল নামের উদ্ভিদ স্টেরল রয়েছে, যা ক্ষুদ্রান্তে কোলেস্টেরল সংশ্লেষণে বাধা দেয়।
৩. অন্য এক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখা গেছে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে যাঁরা অ্যাভাকাডো খান, তাঁদের ট্রাইগ্লিসারাইড কমে যায়।
৪. অ্যাভাকাডো ‘ভাসকুলার হেলথ’ অর্থাৎ রক্ত সঞ্চালন ও রক্তবাহী ধমনি-শিরা কর্মক্ষম রাখতে সাহায্য করে। ওজন কমাতেও অ্যাভাকাডো সুফল দেয়। দিনে আধাটা অ্যাভাকাডো খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৫. তবে একটাই সমস্যা, অ্যাভাকাডোতে ক্যালরি বেশি। একটি ফলে প্রায় ২৫০ ক্যালরি। তাই যারা উঁচু ক্যালরির খাবার খেতে অভ্যস্ত, তাদের অ্যাভাকাডো বেশি খাওয়া চলবে না, এমনকি দিনে একটি অ্যাভাকাডোও অনেক বেশি হয়ে যাবে!

Read More
Health Image +

গলা ব্যথা উপশমের কিছু কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়

শীতে একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে গলা ব্যথা ও গলা বসে যাওয়া। শীতকাল শুরু হলে হঠাৎ করেই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়াতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। এটি সাধারনত তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও এক ধরনের ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আরো কিছু কারণে এই সমস্যা হতে পারে যেমন, এলার্জি জনিত কারণ, বায়ু দূষণ, শুষ্ক আবহাওয়া ও টনসিল জনিত সমস্যা ইত্যাদি। গলায় সমস্যা হলে কথা বলায় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এবং অতিরিক্ত ব্যথা হলে গলা অনেক সময় ফুলেও যায়।
তাই শীতে বিশেষ করে শীতের শুরুতে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। তারপরেও সমস্যা হয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
গলা ব্যথা হলে কিছু পদ্ধতি অনুসরন করে এই ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
পদ্ধতি ১
উপাদেয় উপাদানঃ কিসমিস।
কিসমিস গলা ব্যথা উপশমে অত্যন্ত উপদেয় একটি উপাদান। ব্যথা কমে যাবার আগ পর্যন্ত এটি নিয়মিত খেলে গলা ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়।
পদ্ধতি ২
উপাদেয় উপাদানঃ আদা / আদার রস।
আদা / আদার রস গলার সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকরী । আদা টুকরো করে অথবা আদার রস করে সেবনে গলার সমস্যা থেকে খুব সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
পদ্ধতি ৩
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, চা-পাতি, আদা, তুলসি পাতা।
১ কাপ পরিষ্কার ফুটানো পানি পাত্রে নিয়ে এতে ১/২ চা চামচ টুকরো করা আদা, ১/২ চা চামচ চা-পাতি, ২-৩ টি তুলসি পাতা দিয়ে ৫-১০ মিনিট চুলায় গরম করতে হবে। ৫-১০ মিনিট পরে এটি নামিয়ে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর যখন হালকা গরমে পরিণত হবে তখন পানি পান করে নিতে হবে। এটি পানে গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়, তুলসি পাতায় ভেষজ গুণ রয়েছে যা গলা ব্যথা সারাতে অত্যন্ত কার্যকরী।
পদ্ধতি ৪
উপাদেয় উপাদানঃ...

Read More
Health Image +

শীতে খোস পাঁচড়া থেকে মুক্তি পেতে দরকারি কিছু টিপস

শীতে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। শীতে ত্বকের সমস্যাগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই হয় ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়ার কারণে। এ জন্য ত্বক ময়েশ্চার দিয়ে তৈলাক্ত রাখতে হয়। ফলে এ ধরনের সমস্যা থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া যায়।
শীতে ঠান্ডার কারণে অনেকেই নিয়মিত গোসল করেন না। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখেন না। শীতের একই পোশাক বেশির ভাগ সময় পরে থাকেন। কাপড়-চোপড় নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এসব কারণে শীতে খোস পাঁচড়া বা স্ক্যাবিস বেশি দেখা যায়।
স্ক্যাবিস একটি ছোঁয়াচে রোগ। সারকপটিস স্ক্যাবি নামক ক্ষুদ্র মাইটের সংক্রমণে এটি হয়ে থাকে। এ পরজীবীটি উষ্ণ পরিবেশে থাকতে পছন্দ করে। স্ত্রী মাইটগুলো ছয় সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি করে ডিম পাড়ে। পরে ডিমগুলো থেকে বাচ্চা মাইটের জন্ম হয়। শীতকালে শীতের পোশাক পরিধানের কারণে ত্বক উষ্ণ থাকে। এতে করে খোস পাঁচড়ার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা দেয়।
যেহেতু রোগটি ছোঁয়াচে, সেহেতু খুব সহজেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আক্রান্ত হয়। সাধারণত একই বিছানায় শোয়া বা ঘনিষ্ঠ মেলামেশা থাকলে, একই কাপড়-চোপড় ব্যবহার করলে রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি একসঙ্গে খেলাধুলা করলে, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচর্যাকারীদেরও হতে পারে স্ক্যাবিস। মাইট শরীরের বাইরে অর্থাৎ কাপড়-চোপড়, কাঁথা-বালিশ, আসবাবপত্রে দুই থেকে তিনদিন বেঁচে থাকতে পারে। ফলে এ সময় এগুলো কেউ ব্যবহার করলেও হতে পারে খোস পাঁচড়া।
শরীরের উষ্ণ অংশে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই স্ক্যাবিস হয়ে থাকে। সাধারণত, হাতের আঙুলের ফাঁকে, কবজিতে, কনুই ও কনুইয়ের সম্মুখভাগে, স্তনের বোঁটায়, স্তন ও বুকের ত্বকের মধ্যস্থানে, নাভি, তলপেট এবং যৌনাঙ্গের আশপাশে এবং শরীরের ভাঁজগুলোতে। তা ছাড়া পুরুষদের ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গের অগ্রভাগে এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের তলায়, মাথায়, ঘাড় ও গালেও দেখা যায়।
স্ক্যাবিস চেনার জন্য চিকিৎসকের দরকার নেই। আপনি নিজেই পারবেন স্ক্যাবিস নির্ণয়...

Read More