Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

গর্ভকালীন সময়ে কোমর ব্যথা দূর করতে করণীয়

নারী জীবনের একটি বড় স্বপ্ন হলো মা হওয়া। তবে এ সময় একজন গর্ভবতী মায়ের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কোমর ব্যথা তার মধ্যে অন্যতম। বিশেষ করে তৃতীয় ট্রাইমিস্টার বা গর্ভকালীন শেষ ভাগে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়।
আমাদের মেরুদণ্ডের লাম্বার রিজন বা কোমরে অংশে একটি সি আকৃতির কার্ভ বা বাঁকা অংশ থাকে, যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় লাম্বার লরর্ডোটিক কার্ভ বলা হয়, এটি আমাদের কোমরকে নড়াচড়া করতে সাহায্য করে।
গর্ভকালীন সময়ে, বিশেষ করে শেষ তিন মাসে যখন বাচ্চার ওজন ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে, তখন মায়ের পেটের আকৃতিও বাড়তে থাকে। এতে এই বাড়তি ওজন বহন করতে মায়ের মেরুদণ্ডের কোমরের অংশের মাংসপেশিগুলোকে বেশি একটিভ বা সক্রিয় থাকতে হয়।
পাশাপাশি গর্ভবতী মা পেটের বাড়তি ওজন বহন করে কিছুটা পিছনের দিকে বাঁকা হয়ে যায়। এতে কোমরের মাংসপেশি ও স্পাইনাল লিগামেন্টগুলো ফেটিগ বা দুর্বল হয়ে যায়; তখন ব্যথা অনুভূত হয়। যেহেতু এই সময় ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়, তাই সাধারণত মায়েরা ব্যথা সহ্য করে থাকেন।
তবে প্রসব পরবর্তী সময়ে এই ওভার একটিভ মাংসপেশিগুলো আরো বেশি শিথিল ও দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ব্যথা আরো বেড়ে যায়। তবে অনেকেই ধারণা করে থাকেন সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য একটি ইনজেকশন দেওয়ার পর থেকে ব্যথা শুরু হয়েছে। তবে ইনজেকশন ব্যথার জন্য দায়ী নয়। মূলত কোমরের মাংসপেশি, লিগামেন্ট ও লাম্বার লাইনের স্বাভাবিক বক্রতা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই ব্যথার সৃষ্টি হয়।
করণীয়: গর্ভকালীন কোমর ব্যথা যেহেতু ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা যায় না, তাই ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা অনেক উপকারী। এ ক্ষেত্রে সুপারফিসিয়াল থার্মোথেরাপির পাশাপাশি কিছু থেরাপিউটিক ব্যায়াম করতে হয়। যেমন-স্ট্যাটিক ব্যাক মাসল এক্সসারসাইজ, পেলভিক ব্রিজিং এক্সারসাইজ ইত্যাদি। এগুলো গর্ভকালীন কোমরের মাংসপেশির শক্তি বজায় রাখে এবং গর্ভকালীন কোমর ব্যথা...

Read More
Health Image +

জিকা ভাইরাস

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভয়াবহ আকার ধারণ করায় সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগ ‘জিকা ভাইরাস’ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটি বলছে, মশাবাহিত এই রোগটির সম্ভাব্য আন্তর্জাতিক প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে রোগটি নিয়ে আরো ভয়াবহ তথ্য হলো, এটির প্রতিষেধক আসতে অনেক দেরি হবে। এর প্রভাবে মানুষের মৃত্যু না হলেও গর্ভস্থ শিশুর শারীরিক বৈকল্যের আশঙ্কা এটিকে সবার কাছে আতঙ্কের বিষয় করে তুলেছে।
জিকা ভাইরাস কী?
ইবোলা বা মার্সের মতো প্রাণঘাতী নয় রোগটি। এমনকি এইডস বা ক্যানসারের মতো নিশ্চিত মৃত্যুর আশঙ্কাও নেই এতে। মশাবাহিত রোগ জিকা ভাইরাসকে তুলনা করা যেতে পারে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া বা ওয়েস্ট নাইল রোগের সঙ্গে। জ্বর, অস্থি সন্ধিতে ব্যথা এটির লক্ষণ।
এটি কীভাবে ছড়ায়?
এডিস মশার কামড়ে রোগটি মানবদেহে ছড়ায়। জিকায় আক্রান্ত মায়ের শরীর থেকে ভাইরাসটি যেতে পারে গর্ভস্থ শিশুর দেহে। মা আক্রান্ত হওয়ার সাত দিনের মধ্যে এটি শিশুটির শরীরে বাসা বাঁধবে। কিন্তু সেটা কেন বা কীভাবে হয়, তা এখনো জানেন না চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিশু গর্ভে আসার আগে বাবার শরীর থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে।
রোগটির প্রকোপ কোন অঞ্চলে বেশি?
এ মুহূর্তে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন দক্ষিণ আমেরিকার বেশির ভাগ দেশের মানুষ। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে মধ্য আমেরিকা, পুয়ের্তোরিকো, মেক্সিকো এবং ক্যারিবিয়ান অঞ্চল।
এর আগে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব লক্ষ করা গিয়েছিল থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মিসর, সেনেগাল ও আইভরি কোস্টে। এবারে এটি ছড়াতে শুরু করেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল থেকে।
এর চিকিৎসা কী?
জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া শিশুদের রোগটিকে বলা হচ্ছে ‘মাইক্রোসেফ্যালি’। এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা দিয়েছে ব্রাজিল, কলম্বিয়া, এল সালভাদর, হন্ডুরাস ও জ্যামাইকায়। ব্রাজিলে গত কয়েক মাসে চার হাজার শিশু জন্ম নিয়েছে...

Read More
Health Image +

নামাজের ১১টি অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা

নামাজ হল ইসলাম ধর্মের প্রধান উপাসনাকর্ম। প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। কিন্তু অনেকেই জানেন না নামাজ সাস্থের জন্য অনেক উপকারী। নামাজ পড়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বেশকিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গের নাড়াচাড়া হয় যা এক প্রকার ব্যায়াম। এই ব্যায়াম স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। চলুন জেনে নেই নামাজ পড়ার ১১টি স্বাস্থ্য গত উপকারিতা সম্পর্কে:

১। নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়।
২। নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায়নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
৩। নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।
৪। নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে।
৫। নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে। ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।
৬। নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।
৭। নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩ বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।
৮। ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।
৯। কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।
১০। নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
১১। কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত্ন নেওয়া হয়। ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি...

Read More
Health Image +

বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার সহজ ১০টি টিপস

অার্থ্রাইটিস বা বাতের ব্যথার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। একটু বয়স হলেই আমাদের চারপাশের অনেকেই এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। এই রোগ হলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। তাছাড়া বেশ কষ্ট পোহাতে হয়। অথচ কয়েকটি সহজ টিপস অনুসরণ করেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকা যায়। আর আজকে বাতের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার জন্য ১০টি পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ আদনান মুশফিক। চলুন জেনে নিই টিপসগুলো-
১. মেরুদণ্ড ও ঘাড় নিচু করে কোনো কাজ করবেন না।
২. বিছানায় শোয়া ও উঠার সময় যেকোন একদিকে কাত হয়ে হাতের উপর ভর দিয়ে শোবেন ও উঠবেন।
৩. ব্যথার জায়গায় নির্দিষ্ট সময় ধরে গরম বা ঠাণ্ডা ভাপ দিন। সময়টা ১০ থেকে ১৫ মিনিট হলে ভালো হয়।
৪. অনেকক্ষণ এক জায়গায় বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না। প্রয়োজনে এক ঘন্টা পর পর অবস্থান বদলাবেন।
৫. নিচু জিনিস যেমন- পিড়া, মোড়া বা ফ্লোরে না বসে চেয়ারে বসতে হবে। বসার সময় পিঠ ঠেস না দিয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে বসবেন।
৬. নরম ফোম ও জাজিমে শোয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এর বদলে উঁচু, শক্ত ও সমান বিছানায় শোবেন।
৭. মাথায় বা হাতে ভারী ওজন বা বোঝা বহন এড়িয়ে চলতে হবে। দাঁড়িয়ে বা চেয়ারে বসে রান্না করা যাবে না।
৮. চিকিৎসকের নির্দেশমতো নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। তবে ব্যথা বেড়ে গেলে ব্যায়াম বন্ধ রাখবেন।
৯. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখবেন। পেট ভরে খাওয়া নিষেধ। অল্প অল্প করে বার বার খাবেন। প্রতিবার খাবারের আগে কিছুটা পানি পান করে নিন।
১০. হাই হিল যুক্ত জুতা ব্যবহার করবেন না। নরম জুতা ব্যবহার করবেন। ব্যথা তীব্র হলে উঁচু কমোডে বসে টয়লেট করুন। ব্যথা বেশি অনুভূত হলে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকুন।

Read More
Health Image +

মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে ফেলুন সহজ উপায়ে

‘মাইগ্রেন’ অসহনীয় মাথা ব্যথার অপর নাম। আর দশটা মাথা ব্যথা থেকে ভিন্ন এই মাথা ব্যথা। সাধারণত মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার একপাশ থেকে শুরু হলেও আস্তে আস্তে এটি সম্পূর্ণ মাথায় ছড়িয়ে যেতে থাকে। মাথা ব্যথার সাথে আরও কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে মাইগ্রেনের সময়। ঘাড়সহ মাথা ব্যথা, আবছা দেখা, অস্বস্তিকর অনুভূতি, বমি বমি ভাব, শব্দ এবং উজ্জ্বল আলো, বিষন্নতা, অনিয়মিত ঘুম ইত্যাদি মাইগ্রেনের অন্যতম লক্ষ্যণ।

মাইগ্রেনের স্থায়ী কোন সমাধান নেই। ব্যথা কমানোর জন্য সাধারণত ব্যথানাশক ঔষুধ বা পেইনকিলার খেয়ে থাকেন। আবার অনেকে ঘরোয়া উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাবার চেষ্টা করে থাকে।
মাইগ্রেন ব্যথা দূর করার সহজ এবং কার্যকরী একটি উপায় হল হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ। বিট লবণ মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। এর জন্য বেশি কিছু করার প্রয়োজন পড়বে না।
যা যা লাগবে:
অর্ধেকটা লেবুর রস
হিমালয় সল্ট বা বিট লবণ
যেভাবে তৈরি করবেন:
১। প্রথমে অর্ধেকটা লেবুর রস করে নিন।
২। এর সাথে এক টেবিল চামচ উচ্চ পরিবেশিত ঘনত্ব সম্পন্ন হিমালয় মিশিয়ে নিন।
৩। সাধারণত অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মেশানো হয়ে থাকে। তবে আপনি চাইলে একগ্লাস লেবুর রসের সাথে হিমালয় ক্রিস্টাল সল্ট মিশিয়ে নিতে পারেন।
৪। মাইগ্রেনের ব্যথার সময় এই পানীয়টি খেতে পারেন।
যেভাবে কাজ করে:
হিমালয় সল্টে ৮৪টির মত মিনারেল, ইলেক্ট্রোলাইট উপাদান আছে, যার মাত্র ১১৮টি উপাদান বৈজ্ঞানিকরা আবিস্কার করতে পেরেছেন। হিমালয় সল্টের কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। যাদের অ্যাসিডিটি সমস্যা আছে তারা অর্ধেকটা লেবুর রসের সাথে হিমালয় সল্ট মিশিয়ে পান করুন।
এই পানীয়টি আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা কমিয়ে দেবার পাশাপাশি বমি বমি ভাবসহ অন্যান্য শারীরিক সমস্যাও দূর করে দিবে। এটি ব্যথা হ্রাস করে আপনাকে কাজে শক্তি যুগিয়ে থাকে।
সতর্কতা:...

Read More
Health Image +

নারীদের হার্ট অ্যাটাকের ৭টি লক্ষণ

সাধারণত নারীদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো পুরুষদের সঙ্গে সব সময় মেলে না—বিশেষজ্ঞদের মতামত এমনই। উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাকের কারণ।

হার্ট অ্যাটাকের মরণ ছোবল থেকে রক্ষা পেতে ছোট্ট কিছু লক্ষণ রয়েছে, সেগুলো জানা জরুরি। জেনে নিই নারীদের হার্ট অ্যাটাকের সাত লক্ষণ সম্পর্কে:
১. অবসন্নতা –
বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর অন্তত ৭০ শতাংশ নারী অভিযোগ করেন, যে মাসে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, সে মাসে একটু বেশিই অবসন্ন লেগেছিল তাঁদের। এ সময়ে তাঁদের স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অবসন্ন লেগেছিল।
২. ঘুমের অসুবিধা –
অবসন্নতার পাশাপাশি ঘুমের অসুবিধা হয়। হার্ট অ্যাটাকের মাসখানেক আগে থেকেই কম ঘুমের সমস্যা হতে থাকে। তাই ঘুমের সমস্যা হলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবেন না।
৩. উদ্বেগ ও মানসিক চাপ –
মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের জন্য একটি ঝুঁকির কারণ। গবেষণায় বলা হয়, অনেক নারীই হার্ট অ্যাটাকের আগে ভীষণভাবে মানসিক চাপের ভেতর সময় পার করেন। তাই উদ্বেগ থাকলে একে সামলানোর চেষ্টা করুন।
৪. হজমে সমস্যা এবং বমি বমি ভাব –
হার্ট অ্যাটাকের আগের সময়টায় সাধারণত পাকস্থলীতে ব্যথা, ইনটেসটাইনাল ক্রাম্প, বমি বমি ভাব এবং হজমে সমস্যা ইত্যাদি হতে দেখা যায়। তাই এ ধরনের বিষয় এড়িয়ে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫. শ্বাস ছোট হয়ে আসা –
ফুসফুসে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো না হলে এটি পর্যাপ্ত পরিমাণ বাতাস গ্রহণ করতে পারে না। এতে শ্বাস ছোট হয়ে আসে, শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।কাজকর্ম করার সময় বা সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গেলে ভালোভাবে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। হার্ট অ্যাটাকের একটি অন্যতম কারণ এটি। এ রকম হলে আগে থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬. ঠান্ডা ও ফ্লু হওয়া –
অনেকেরই হার্ট অ্যাটাকের আগে ঠান্ডা ও ফ্লু হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঘর্মাক্ত ত্বক বা মাথা ঘোরানোর...

Read More
Health Image +

ফুসফুস ক্যানসারের আট লক্ষণ

অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণগুলো বোঝা যায় না। রোগ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর লক্ষণগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। অনেকের ক্ষেত্রে পর্যায়-৩ এ চলে যাওয়ার পর হয়তো ধরা পড়ে।
তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে ফুসফুসে ক্যানসারের কিছু লক্ষণের কথা।
১. কফ, যেটা যাচ্ছে না –
কফ যদি দীর্ঘদিন থাকে তবে সতর্ক হোন। যদি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে কফ এক-দুই সপ্তাহের বেশি থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা ফুসফুস ক্যানসারের কারণ হতে পারে।
২. কফে পরিবর্তন –
যদি আপনি ধূমপায়ী হোন, তবে দীর্ঘস্থায়ী কফে কিছু পরিবর্তন দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। যেমন : কাশি কর্কশ শোনালে, গম্ভীর শব্দ হলে, কফের সাথে বেশি শ্লেষ্মা ও রক্ত গেলে-এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।
৩. শ্বাসে ছোট হওয়া –
শ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হওয়া ফুসফুসে ক্যানসারের একটি লক্ষণ। এটা শ্বাসপথ বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসের পথ সরু হওয়ার কারণে হতে পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৪. বুকে ব্যথা –
পিঠে, বুকে এবং কাধে ব্যথা ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে; যা কফের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অস্বাভাবিক কফ ও ব্যথা লক্ষ করলে হেলাফেলা করবেন না।
৫. শ্বাসে যদি হুইসেলের মতো শব্দ হয় –
শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে ব্লক হলে, পথ সরু হয়ে গেলে শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ হুইসেলের মতো শোনায়। তবে এটি অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যার কারণেও হতে পারে। এটা ফুসফুসের ক্যানসারেরও একটি লক্ষণ। অ্যাজমার হোক বা অ্যালার্জির কারণে হোক- এটি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৬. ফেঁসফেঁসে গলা –
কণ্ঠস্বর কর্কশ বা ফেঁসফেঁসে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। এই লক্ষণ সাধারণত কাশি বা কফের সময় হয়। তবে এটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি হয় তবে সতর্ক হওয়া...

Read More
Health Image +

জিকা ভাইরাসের ৭টি বিষয় জানা জরুরি

জিকা ভাইরাস
বর্তমানে সবচেয়ে আলোচিত খবরগুলোর মধ্যে ‘জিকা ভাইরাস’ অন্যতম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেসি’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছে। জীবনযাত্রাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই অবলম্বনে জানানো হলো জিকা ভাইরাসের সাতটি জরুরি বিষয়ের কথা। যেগুলো জানা জরুরি।

১. জিকা ভাইরাস এডিস মশার কামড়ে ছড়ায়। এডিস মশা থেকে ডেঙ্গুজ্বরও হয়।
২. যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে জিকা ভাইরাস। সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে।
৩. জিকা ভাইরাসের লক্ষণগুলো হলো মাথাব্যথা, জ্বর, গাঁটে ব্যথা, র‍্যাশ, পেশিতে ব্যথা, চোখ লাল হওয়া ইত্যাদি। এই সবগুলো লক্ষণ যদি দুই থেকে সাত দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এমন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জ্বর কমানোর এবং ব্যথা প্রশমনের ওষুধ খেতে হবে। আর বিশ্রাম নিতে হবে।
৪. জিকা ভাইরাস প্রতিরোধে কোনো ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। তবে গবেষকরা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছেন। এ ছাড়া যে দেশে জিকা ভাইরাস রয়েছে সে দেশে ভ্রমণে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৫. সাধারণ মানুষের বেলায় বিষয়টি খুব মারাত্মক না হলেও জিকা ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গর্ভের শিশু। শিশু ছোট মাথা নিয়ে জন্মায়। এতে শিশু প্রতিবন্ধী হতে পারে। এদের বুদ্ধির বিকাশ কম হয়।
৬. ১৯৪৭ সালে উগান্ডার জিকা অরণ্যে এটি প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল। তাই একে ভাইরাসকে জিকা ভাইরাস বলা হয়। বর্তমানে এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ লোকই দক্ষিণ আমেরিকার বাসিন্দারা। এর আগে থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মিসর, সেনেগাল ও আইভরি কোস্টে এর প্রার্দুভাব দেখা গিয়েছিল। তবে এবার এটি ব্রাজিল থেকে ছড়াতে শুরু করেছে।
৭. জিকা প্রতিরোধে মশারোধী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। রাতে মশারি টাঙিয়ে ঘুমানো, ফুলহাতা জামা-কাপড় পরা, ঘর পরিষ্কার রাখা-এই কাজগুলো করতে হবে। এ ছাড়া ফুলের টব, টয়লেট...

Read More
Health Image +

খালি পেটে রসুন খাওয়ার উপকারিতা

অনেকের ধারণা সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া হয়তো স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আবার অনেকে বিশেষ করে দাদী নানীরা মনে করেন এটি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি। এত তর্ক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে বৈজ্ঞানিকরা প্রমাণ করেছেন খালি পেটে রসুন শরীরের ভেতরে অ্যান্টিবায়েটিক তৈরি করে থাকে। যা অনেক রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। এছাড়া আরও কিছু কারণ আছে যার কারণে খালি পেটে রসুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকার।

১। রসুন হাইপারটেশন বা উচ্চ রক্তচাপ প্রতিরোধ করে থাকে। এটি শুধু রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে না, হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে। এর পাশাপাশি লিভার এবং ব্লাডার সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
২। পেটের নানা সমস্যা যেমন ডায়রিয়া প্রতিরোধ করতে রসুন বেশ কার্যকরী। সকালে খালি পেটে রসুন নার্ভ সিস্টেমকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে।
৩। রসুন আপনার স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এটি পাকস্থলিতে উৎপাদিত অ্যাসিডের ভারসাম্য বজায় রাখে। রসুন অত্যন্ত শক্তিশালী উপাদান যা ডায়াবেটিস, হতাশা, ট্রাইপাস, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে দেহের সার্বিক উন্নয়ন সাধান করে থাকে।
৪। পেটের নানা অসুখ ভাল করার পাশপাশি রসুন হজমশক্তি বৃদ্ধি করে থাকে। এটি খাবারে রুচি বৃদ্ধিতেও রসুন বেশ কার্যকরী।
৫। যক্ষা, নিউমিনিয়া, ব্রংকাইটিস,দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালী শ্লেষ্মা, হাঁপানি, অ্যাজমা, হুপিং কাশি সর্বোপরি শ্বাসযন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে থাকে রসুন। তবে হ্যাঁ অব্যশই খালি পেটে খেতে হবে রসুন।
যেভাবে খাবেন:
সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে দুই কোয়া রসুন খেয়ে ফেলুন। তারপর পানি পান করুন। রসুন চিবিয়ে খান।
সতর্কতা:
১। রসুন খাওয়ার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন রসুনে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা। রসুনে অ্যালার্জি থাকলে কাঁচা রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এর পরিবর্তে রসুনের স্যাপ্লিমেন্টরী খেতে পারেন।
২। রসুন খাওয়ার পর যদি ত্বকে র‍্যাশ দেখা দেয়, অথবা শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি...

Read More