Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

যে ভিটামিনগুলো একসাথে সেবন করবেন না কখনোই

ভিটামিন- আমাদের শরীরকে সুস্থ আর সুন্দর রাখার জন্যে অন্যতম দরকারী একটি উপাদান। যদিও এর প্রায়গুলোই আমাদের শরীরে উত্পন্ন হয়ে থাকে, কিছু কিছু সময় সেখানে ঘাটতি তৈরি হয়। এছাড়াও কিছু ভিটামিন রয়েছে যেগুলো আমাদের শরীর ঠিক উত্পন্ন করতে পারেনা। আর তাই প্রায়ই নানারকম দরকারে ভিটামিন ট্যাবলেট কিনে খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে মানুষের। ভিটামিন খাওয়া ভালো। কিন্তু কখনো ভেবেছেন কি যে একই সাথে দুটো ভিটামিন খেলে কী অবস্থা হবে? বিশেষ করে নীচের এই ভিটামিনগুলো? কেবল অসুস্থতা নয়, প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মতন পরিস্থিকিও তৈরি করতে পারে আপনার ক্ষেত্রে দুটো ভুল ভিটামিন একসাথে নিলে। আসুন জেনে আসি ভিটামিনগুলোকে।
১. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম একদম না!
সাধারণত মানুষ ক্যালশিয়ামের ভিটামিন বেশি গ্রহন করে থাকে। হাড় ও দাঁত শক্ত হওয়ার জন্যেই এমনটা করে থাকেন তারা। চিকিত্সকদের পরামর্শের এই ভিটামিনটি প্রায় সময়েই জায়গা করে নেয়। তবে ক্যালসিয়াম এমনিতে ভালো হলেও একটি খনিজ হিসেবে এর সাথে অন্য আরেকটি ভিটামিন গ্রহন করলে ক্যালসিয়াম অপর ভিটামিনটির কার্যক্ষমতাকে নষ্ট করে তদেয় অনেকটা পরিমাণে। ঠিক একই রকমটা হয় ম্যাগনেশিয়ামের ক্ষেত্রেও। আর তাই অন্য ভিটামিনের সাথে তো নয়ই, ক্যালসিয়াম আর ম্যাগনেশিয়ামও এখসাথে কখনো না গ্রহন করাটাই উচিত। বরং, একটি সকালে সেবন করলে অন্যটি রাতে গ্রহণ করাই ভালো।
২. নিয়াসিন ও ভিটামিন এ পরিহার করাই ভালো!
সাধারণত পুষ্টির জন্যে নিয়াসিন ভিটামিন গ্রহন করে মানুষ। অপুষ্টিজনিত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে এটি সেবনের পরামর্শ দেন চিকিত্সকেরা। তবে এর সাথে যদি ভিটামিন এ বা সি ও ই ভিটামিন গ্রহণ করা হয় তাহলে নিয়াসিনের ক্ষমতা অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়।
৩. ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে খাওয়া যাবেনা একসাথে!
রক্তের সমস্যা দূর করার জন্যে চিকিত্সকেরা রোগীদেরকে ভিটামিন কে সেবনের পরামর্শ দেন। তবে এটি...

Read More
Health Image +

লোয়ার ব্যাক পেইন থেকে মুক্তির সহজ উপায়

ভারী কোন কিছু ওঠানোর জন্য হয়তো ভুল ভাবে ঝুঁকেছিলেন, যার কারণে আপনার কোমরে ব্যাথা করছে অথবা আপনার আরথ্রাইটিসের সমস্যা আছে ইত্যাদি কত কারণেই পিঠে ব্যথা হয়ে থাকে। কারণ যাই হোক না কেন, সমস্যা হলো আপনি লোয়ার ব্যাক পেইনে আক্রান্ত। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে আমেরিকার প্রতি ৪ জনের মধ্যে ১ জন লোয়ার ব্যাক পেইনে ভোগেন। প্রায় সব মানুষই জীবনের কোন না কোন সময় লোয়ার ব্যাক পেইন এ আক্রান্ত হন। এর নির্দিষ্ট কোন প্রতিকার নেই। কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনি ভালো থাকতে পারেন। আসুন জেনে নেই এর প্রতিকার গুলো সম্পর্কে।
১। জবুথবু হয়ে বসে থাকবেন না
লোয়ার ব্যাক পেইনের সবচেয়ে মামুলি কারণ হচ্ছে ভুল ভাবে বসার ধরণ। জবুথবু হয়ে বসলে জয়েন্টে, মাংসপেশীতে এবং ডিস্কে চাপ পড়ে ফলে ব্যাথার সৃষ্টি হয়। তাই বাড়িতে বা বাসায় সোজা হয়ে বসুন।
২। এন্ডোরফিনের নিঃসরণ বাড়ান
এন্ডোরফিন একপ্রকার হরমোন যা ব্যাথা কমাতে সক্ষম। এন্ডোরফিন ব্যথার অনুভূতি মস্তিষ্কে প্রেরণ করতে বাঁধা প্রদান করে। এছাড়াও এন্ডোরফিন দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও হতাশা উপশম করে যা ক্রনিক ব্যাক পেইন এর সাথে সম্পর্কিত। এই এন্ডরফিনের নিঃসরণ বাড়াতে এ্যারোবিক এক্সারসাইজ ও মেডিটেশন করুন।
৩। পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন
ব্যাক পেইনের রোগীদের দুই-তৃতীয়াংশেরই ঘুমের সমস্যা হতে দেখা যায়। যারা ইনসমনিয়াতে ভোগেন তাদের পিঠের ব্যথাও মাত্রাতিরিক্ত হতে দেখা যায়। শুধু ব্যাথার চিকিৎসা করে এই দুষ্ট চক্র হতে বের হওয়া যাবেনা। যদি ঘুমের সমস্যা থাকে তাহলে আগে তার চিকিৎসা করতে হবে।
৪। ঠাণ্ডা ও গরম থেরাপি নিন
ঠাণ্ডা থেরাপি নেয়ার উপকারিতা হচ্ছে- এটা প্রদাহ কমায় এবং নার্ভ এর খিঁচুনি বন্ধ করে ব্যথা কমানোর জন্য লোকাল এনেস্থেসিয়ার মত কাজ করে।
গরম থেরাপি নেয়ার উপকারিতা হচ্ছে, এটা রক্তের প্রবাহকে...

Read More
Health Image +

শীতের সর্দি-কাশি বাঁধা দিতে যে ৫ টি খাবার

কিছুদিনের মধ্যেই শীতকালের আগমন ঘটবে। ঋতু পরিবর্তনের এই সময়ে সর্দি-কাশি হওয়া খুব স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। কিন্তু সর্তকতার সাথে চলতে পারলে এই স্বাভাবিক ব্যাপারটিও রুখে দেয়া সম্ভব। খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার যোগ করে শীতের সর্দি-কাশি থেকে খুব সহজেই মুক্তি পেতে পারেন। চলুন তবে চিনে নেয়া যাক শীতের সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন সুপারফুডগুলো।
মাছ
মাছের ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে। ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি দেহে বাসা বাঁধতে পারে না।
রসুন
কাঁচা রসুনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সাধারণ ঋতু পরিবর্তনের সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে সবচাইতে ভালো কাজ করে। তাই প্রতিদিন ১-২ কোয়া কাসা রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন।
আদা চা
শীতের সর্দি-কাশি রুখে দিতে সাধারণ দুধ চা পান কড়া ছেড়ে দিন। আদার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গরম গরম চা ফ্লুয়ের বিরুদ্ধে বেশ ভালো কাজ করে।
মাশরুম
মাশরুমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ভিটামিন এবং ফাইবার যা সর্দি-কাশি রোধের পাশাপাশি দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।
মিষ্টি আলু
শীতের খাবার এই মিষ্টি আলুর রয়েছে এই শীতকালের নানা ফ্লু জনিত রোগের হাত থেকে মুক্তির ক্ষমতা। এর ভিটামিন এ আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করতে বেশ কার্যকরী

Read More
Health Image +

নিয়মিত হাঁটার ২০টি উপকারিতা ও ৫টি টিপস

আমরা জানি যে আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ এমন ভাবেই তৈরী যেন তা আমাদের উপকারে আসে। আমাদের দেহের সম্পূর্ণ ভর বহন করে পা এবং এ জন্যই পা-কে সেই ভাবেই প্রস্তুত করা হয়েছে। আমরা এটাও জানি যে প্রাকৃতিক সমাধানের উপরে আর ভালো কোন সমাধান হয় না, আর তাই এটা সহজেই অনুমেয় যে হাটা-হাটি একটি ভালো কাজ। নিয়মিত হাটার ফলে আমাদের দেহ যেমন থাকে সুস্থ্য, তেমনি আমাদের আয়ুও বাড়ে। আসুন, আমরা আজকের সম্পূর্ণায় দেখবো হাটার বিশ (২০) উপকারিতা, যা ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
১. নিয়মিত হাঁটলে হার্ট ভালো থাকে এবং হার্টে ব্লক তৈরী হয় না।
২. হাঁটা দেহের রক্ত চলাচল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ফলে ব্রেইন এবং হার্ট এট্যাকের ঝুকিও কম হয়।
৩. প্রতিদিন হাঁটলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। নিয়মিত হাটলে ৬০% উচ্চরক্তচাপের রোগী ঔষধ ছাড়াই নিন্ত্রণে রাখতে পারেন।
৪. হাঁটলে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং মেদ ভূড়িও কম হয়।
৫. হাঁটার ফলে রক্তে চর্বির পরিমান কমে যাওয়ার ফলে ধমণীতে ফলক সৃষ্টি হতে পারে না।
৬. অনেকেরই বুকে এবং পেটে চর্বি জমার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিতে থাকেন। প্রতিদিন এক (১) ঘন্টা হাটলে চর্বি কমে গিয়ে ঝুঁকিও কমে আসে।
৭. নিয়মিত হাঁটলে যাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি আছে তাদের মধ্যে প্রায় ৬৩% লোকের স্ট্রোকের ঝুকি কম হয়।
৮. নিয়মিত হাঁটার ফলে হার্ট বিট প্রতিদিন ২০,০০০-৩০,০০০ বার স্পন্দিত হয় যার ফলে আপনার দৈনন্দিন বাড়তি কাজের চাপে হার্টের উপর প্রভাব কম পড়ে। এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন আট (৮) কিলোমিটার হাঁটেন, তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়।
৯. যাদের ডায়বেটিকস আছে, তারা যদি প্রতিদিন হাঁটেন, তাহলে ডায়বেটিকস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
১০. হাঁটার ফলে রাতের ঘুম ভালো হয়, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় ও ক্ষুধা বাড়ে।
১১....

Read More
Health Image +

খুসখুসে কাশির চিকিৎসা ঘরে বসেই করুন

নানা কারনে শুকনো বা খুসখুসে কাশি হতে পারে। যেমন, ঠাণ্ডাজনিত, ইনফেকশন এর জন্য, অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া স্বরূপ অথবা বংশগত কারণ । কারণ যেটাই হোক এই খুসখুসে কাশির যন্ত্রণা অনেক। শীতকাল এই কাশি হওয়ার মোক্ষম সময়। শীতের বিশেষ করে রাতে এই কাশি যদি একবার শুরু হয় তাহলে কখন যে থামবে তার কোন গ্যারান্টি থাকেনা। আবার এই রোগের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা ও ডাক্তার দিতে হিমশিম খান। তবে আপনি একটু সচেতন হলে আমরা এই নাছোড়বান্দা কাশিকে কিছুটা হলেও বসে রাখতে সক্ষম হব।
তাই আসুন জেনে নেই কাভাবে ঘরোয়াভাবেই এই খুসখুসে কাশির চিকিৎসা করবেন।
ঠাণ্ডা বাতাস থেকে দূরে থাকুন
আপনার যদি খুসখুসে কাশির সমস্যা থাকে তাহলে নিজেকে যতোটা পারুন ঠাণ্ডা বাতাস থেকে দূরে রাখুন। এই শীতের সময়টাতে প্রায় দিনই ভীষণ ঠাণ্ডা বাতাস বইবে, তার সেটা আপনার জন্য নতুন বিপদের সৃষ্টি করবে। তাই সরাসরি ঠাণ্ডা বাতাস থেকে যতোটা নিজেকে দূরে রাখতে পারবেন তত বেশি এই কাশির হাত থেকে রক্ষা পাবেন।
গরম পানি
খুসখুসে কাশির জন্য শীতকালে এই সমস্যায় পীড়িত মানুষগুলোকে একটু বাড়তি যত্নে থাকতে হয়। অন্যান্য সময় যেমন ই থাকুন না কেন শীতের এর সময়টাই আপনাকে সাবধানে থাকতে হবে। গোসলের সময় পারলে গরম পানি ব্যবহার করুন, এমনকি দিনে দুন তিন ঘণ্টা পর পর খানিকটা গরম পানি পান করতে থাকুন। বিশেষ করে রাতে ঠাণ্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
আদা চিবানো
সামান্য একটা টুকরা আদা নিয়ে চিবুতে থাকুন। আর দেখুন আপনার কাশি কেমন থেকে যাবে। আপনি চাইলে আদাতে একটু লবণ মিশ্রিত করতে পারেন। প্রতিদিন এই আদা খাওয়াতে আপনার খুসখুসে কাশি অনেকটাই কমে আসবে।
তুলসী চা
সকাল বিকাল এক কাপ করে তুলসী পাতার চা পান করুন। খুসখুসে কাশিতে অনেকটা আরাম...

Read More
Health Image +

মানবদেহের অজানা ১০টি তথ্য

পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল গঠনতন্ত্র হচ্ছে মানবদেহ। এই মানবদেহ নিয়েই রয়েছে বেশ কিছু অজানা ও মজার তথ্য।
১. প্রত্যেক ব্যক্তিরই জিহবার ছাপ আলাদা, আঙ্গুলের ছাপের মতো।
২. আমাদের মাথার খুলি ২৬ ধরণের ভিন্ন ভিন্ন হাড় দিয়ে তৈরি।
৩. একজন মানুষের চামড়ার ওপর রয়েছে ১ কোটি লোমকূপ।
৪. আ্পনি যদি ৭০ বছর বেঁচে থাকেন তবে এ সময় ৩০০ কোটিবার স্পন্দিত হবে হৃদপিন্ড।
৫. আমরা জন্মগ্রহণ করি ৩০০ হাড় নিয়ে কিন্তু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর আমাদের দেহে ২০৬ টি হাড় থাকে।
৬. মানুষের দেহের সবচেয়ে শক্তিশালী পেশি হল জিহ্বা।
৭. চোখ খোলা রেখে হাঁচি দেওয়া সম্ভব নয়। হাঁচির সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার।
৮. সারাজীবনে ১০ হাজার লালা উৎপন্ন করে লালাগ্রন্থি।
৯. ১৮ বছর বয়সে মানুষের মস্তিস্কের গঠন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে প্রায় ১ হাজার নিউরন নষ্টও হয়ে যেতে পারে। মানবদেহের মাত্র ২ শতাংশ ওজনের হলেও মস্তিস্ক শরীরের ২০ শতাংশ শক্তি ব্যবহার করে। মস্তিস্ক কখনোই বিশ্রাম করেনা, ঘুমের মধ্যেও কাজ করতে থাকে।
১০. মানবদেহের প্রতিটি কণাকে কোটি বছর পুরোনো বলে মনে করা হয়। এছাড়া দেহের ৭০ শতাংশই পানি।

Read More
Health Image +

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এলাচির গুণাগুণ

এলাচ সুগন্ধি যুক্ত একটি মসলা। এলাচকে বলা হয় মসলার রানী। খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এলাচ।এখানে এলাচ থেকে আপনি যেসব স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন তা তুলে ধরা হল।
এলাচ ও আদা সমগোত্রীয়। আদার মতোই পেটের নানা সমস্যা এবং হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে এলাচ অনেক কার্যকরী। বুক জ্বালাপোড়া, বমি ভাব, পেট ফাঁপা, অ্যাসিডিটির হাত থেকে মুক্তি পেতে এলাচ মুখে দিন।
দেহের ক্ষতিকর টক্সিন দূর করে দিতে এলাচের জুড়ি নেই। এলাচের ডিউরেটিক উপাদান দেহের ক্ষতিকর টক্সিন পরিষ্কারে সহায়তা করে।
রক্তনালীতে রক্ত জমে যাওয়ার সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। এলাচের রক্ত পাতলা করার দারুণ গুনটি এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। প্রতিদিন এলাচ খেলে রক্তের ঘনত্ব সঠিক থাকে।
এলাচের ডিউরেটিক উপাদান উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম। দেহের বাড়তি ফ্লুইড দূর করে এলাচ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে সহায়তা করে।
মুখে খুব বেশি দুর্গন্ধ হয়? একটি এলাচ নিয়ে চুষতে থাকুন। এলাচ মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে।
নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস মুখের দুর্গন্ধের পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন, মুখের ফোঁড়াসহ দাঁত ও মাড়ির নানা সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত এলাচ খাওয়ার অভ্যাস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এলাচ দেহে ক্যান্সারের কোষ গঠনে বাঁধা প্রদান করে থাকে।
এলাচের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বকে বয়সের ছাপ, রিংকেল ইত্যাদি পড়তে বাঁধা প্রদান করে। এলাচ ত্বকের ক্ষতি পূরণেও বেশ সহায়ক।
এই মসলা খাবারে অতিরিক্ত স্বাদ বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হলেও রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এর রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপকারিতা যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী ভূমিকা পালন করে। আশা করি, এখন থেকে আপনারাও এ যথাযথ ব্যবহার করবেন।

Read More
Health Image +

মাদকাসক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা সম্পর্কিত কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

অন্যান্য ভয়াবহ কিছু রোগের মত মাদকাসক্তি একটি জটিল রোগ। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এই রোগ চিকিৎসা ও সু-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব। দিনের পর দিন মাদক নেয়ার ফলে ব্যক্তি নিজে যেমন অনেক অসহায় হন তেমনি তার পরিবার ও আপনজনেরা বিমর্ষ আশাহত হয়ে পড়েন।
একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজেও বুঝতে পারেন তার এই রোগটি দিন দিন জটিল হচ্ছে কিন্তু মাদকের ভয়াবহ থাবা থেকে নিজেকে উদ্ধার করার কোন মানসিক শক্তি আর অবশিষ্ট থাকেনা। তাই বুঝলেও তিনি কার্যকরী কোন পদক্ষেপ নিতে পারেন না এবং কেউ তাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসলেও তাদেরকে ভুল বুঝেন। এই রোগ নিরাময়ে কোন ব্যক্তি একা নয় বরং সম্মিলিত ভাবে একটি টিম গঠন করে কাজ করতে হয়।
মাদকাসক্ত নিরাময়কারী টিমের সদস্যরা হলেন:
১. মাদকাসক্ত ব্যক্তি নিজে
২. ব্যক্তিটির পরিবার
৩. মাদকাসক্ত নিরাময়কারী প্রতিষ্ঠান
৪. একজন কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট বা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট
৫. একজন সাইকিয়াট্রিস্ট (severe বা গুরুতর হলে)
যেমন প্রত্যেক রোগের স্টেজ বা পর্যায় থাকে তেমনি মাদকেরও কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় (মাদকাসক্ত শুরুর প্রথম ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে যদি মাদকাসক্ত নিরাময়ের পরিকল্পনা নেয় যায় তবে খুব ভাল ফলাফল হয়। তবে কয়েক বছর যাবত মাদকাসক্তিও নিরাময় সম্ভব।
মাদকাসক্ত নিরাময়ের তিন রকম চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে:
ক. শুধুমাত্র ঔষধ সেবনের মাধ্যমে
খ. ঔষধ ও মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার মাধ্যমে
গ. নিরাময় কেন্দ্রে থেকে ঔষধ ও মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার মাধ্যমে
এখানে উল্লেখযোগ্য যে সর্বশেষ পদ্ধতিটি অত্যন্ত কার্যকর। তবে বেশীরভাগ নিরাময় কেন্দ্রে ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত থেকে সেবা নেয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ৬ মাস সময় পর্যন্ত থেকে এই সেবা নিলে সেটি অনেক বেশী উপকারী।
যদিও এই ক্ষেত্রে মাদকাসক্ত ব্যক্তি এত দীর্ঘদিন পরিবার থেকে দূরে থাকতে চান না। যদি...

Read More
Health Image +

সাইনাসের যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তি পান ঘরোয়া উপায়ে

সাইনোসাইটিস রোগটির সঙ্গে আমরা অনেকেই কমবেশি পরিচিত। এটি একটি সাধারণ রোগ। শতকরা পঁচিশ ভাগ মানুষ এই রোগে ভুগে থাকে। তবে সাধারণ রোগ হলেও যাদের এই রোগ হয়েছে তারাই বোঝেন এর কী অসহ্য যন্ত্রণা।
সাইনাস কি?
আমাদের মুখমণ্ডল ও মস্তিষ্কের হাড়গুলোকে হালকা রাখার সুবিধার্থে নাকের চারপাশে বাতাসপূর্ণ এক ধরনের বায়ুকুঠরি আছে, মেডিকেল সায়েন্সে যাদের সাইনাস বলা হয়। সাইনোসাইটিস হলো ওই সাইনাসগুলোর ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ।
সাইনাসে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গঃ
নাকের আশপাশে অনবরত ব্যথা হওয়া।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা করা ও সব সময় নাক বন্ধ থাকা।
নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া ও সর্বক্ষণ মাথা ভার ভার মনে হওয়া।
খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে না পারা।
বিমর্ষ ভাব, অস্থিরতা এবং কাজে অনীহা।
সাইনাস রোগটাই এমন যে ওষুধে কমানো যায় না সহজে, বরং অনেক সময় ঘরোয়া উপায়গুলো বেশ কাজে আসে। তেমনই কিছু ঘরোয়া টোটকা নিয়ে আজকের এই ফিচার।
আদা
সাইনাসের সমস্যা কমাতে আদা খুব কার্যকরী। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি বা প্রদাহ নাশক উপাদান খুব সহজে সাইনাস জনিত সমস্যা কমিয়ে তোলে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো তাজা আদা কেটে টুকরো করে এক কাপ পানিতে করে ১০ মিনিট ফুটিয়ে সেই পানি পান করতে পারেন। আবার আদা সরাসরি কেটে চিবিয়ে খেতে পারেন।
গরম পানি
সাইনাসের সমস্যা সারাতে গরম পানি আরও একটি উপকারি উপাদান। কেবল মাত্র কয়েক গ্লাস গরম পানি নিয়ম করে পান করলেই সাইনাসের সমস্যা অনেকখানি কমে যায়।
দারুচিনি
দারুচিনি সাইনাসের সমস্যা কমাতে ভীষণ উপকারি একটি ভেষজ উপাদান। এক টেবিল চামচ দারুচিনি, এক থেকে দুই টেবিল চামচ চন্দন পাউডার ও পাই মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই পেস্ট আপনার কপালে লাগিয়ে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। দেখবেন সাইনাসের সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
পুদিনা

Read More