বসের বকা খাওয়া বা প্রিয় মানুষটি ছেড়ে চলে যাওয়া বা অন্য যে কোন কারণে মানুষ তার কষ্টগুলো কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকে। মনোবিজ্ঞানীদের মতে কান্না আটকে রাখা উচিত নয়। কেঁদে ফেলা শরীর-মন দুইয়ের জন্য ভাল। কিন্তু যে কোন জায়গা বা পরিবেশে কেঁদে ফেলাটা বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই না। আমরা অনেকেই চাই না অন্য মানুষের সামনে কেঁদে ফেলতে। তাহলে কী করবেন? আসুন জেনে নিই, কান্না নিয়ন্ত্রণ করার সহজ ও ব্যতিক্রমী কিছু উপায়।
১। বড় করে একটা শ্বাস নিন
যখনই কান্না পাবে তখন শ্বাস নিন আস্তে আস্তে এবং গভীরভাবে। বড় করে একটা নিঃশ্বাস নিন তারপর আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এটি কয়েকবার করুন। অতিরিক্ত অক্সিজেন আপনার কান্নাকে ভেতর থেকে দূর করে দিবে আর তার সাথে আপনার মনকে অন্য দিকে পরিবর্তন করে দিবে।
২। এক পা পিছিয়ে যান
কাউকে দেখাতে চান না আপনার আবেগ? তাহলে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো থেকে পিছিয়ে যান। এইসময় নেওয়া কোন কাজ বা সিদ্ধান্ত সঠিক নাও হতে পারে।
৩। ১ থেকে ১০ পর্যন্ত গুনুন
হঠাৎ করে কান্না পেলে মনে মনে প্রথমে ১ থেকে ১০ গুনুন। এরপর আবার উল্টো দিক থেকে অর্থাৎ ১০ থেকে ১ গুনুন। গোনার সময় নাক দিয়ে বড় করে নিঃশ্বাস গ্রহন করুন এবং আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এটি আপনার মনযোগ কান্নার দিক থেকে গননার দিকে নিয়ে আসবে।
৪। চোখ ঘোরান
চোখের মনি ডান দিক থেকে বাম দিকে আবার বাম দিক থেকে ডান দিকে ঘোরান। এভাবে কয়েকবার করলে চোখ থেকে পানি সরে যায় আর কান্না আটকানো যায়। কাজটি অব্যশই এমনভাবে করবেন যাতে কেউ না দেখে। চোখের পাতা ঘন ঘন ফেলেও কান্না আটকানো সম্ভব।
৫। পানি পান করুন
এক গ্লাস পানি পান করুন। এটি আপনার গলায় জমে থাকা কান্নাকে ভিতরে নিয়ে যাবে। পানি পান আপনার গলার পেশীকে সহজ করে এবং আপনার নার্ভকে শান্ত করে দেয়।
৬। হাসুন
কান্না পেলে জোর করে হাসার চেষ্টা করুন। কাজটি কঠিন হলে এটি আপনার কান্না দূর করার সাথে সাথে আপনাকে কাজে মনযোগী করে তুলবে। তার সাথে কান্নার কারণটিকে ভুলিয়ে দেবে।
৭। নিজের সাথে কথা বলুন
নিজের সাথে কথা বলুন। নিজেকে বলুন “ঠিক আছে কষ্ট পেয়েছি কিন্তু এখন কান্নার সময় নয়। আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ আমি জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি এবং সামনে আরোও পাব”। নিজের প্রাপ্তিগুলোকে মনে করুন। দেখবেন কান্নার জায়গায় হাসি চলে এসেছে।