Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

প্রতিদিন মাত্র ১টি কলা খেয়ে দূরে রাখুন ১২টি স্বাস্থ্য সমস্যা

অতি পরিচিত সস্তা একটি ফল হল কলা। সারা বছর পাওয়া যায় এই ফলটি। কিন্তু এই ফলটি খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি না। আবার অনেকে মনে করেন কলা শরীরকে মোটা করে তোলে। অথচ নিয়মিত কলা খেলে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। কলা দৈনন্দিন অনেক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে দেহকে সুস্থ রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন একটি কলা, আর দেখুন এর ম্যাজিক। তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কলার রাখার উপকারিতা-
১। কলা একটি আঁশযুক্ত ফল। এটি হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। হজমের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন একটি করে কলা খান।
২। শরীরে হিমোগ্লোবিন ও ইনসুলিনের জন্য প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-বি৬ প্রয়োজন। আর কলাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-বি৬ আছে, যা দেহে পুষ্টি যোগিয়ে থাকে।
৩। প্রতিদিন ৩টি করে কলা খেলে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করবে। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কলা রাখুন, দেখবেন রক্তচাপ আপনার নিয়ন্ত্রনে চলে এসেছে।
৪। প্রতিদিন ব্যায়াম করার আগে ২ টি কলা খেয়ে নিন। এটি আপনার দেহের রক্তে শর্করার পরিমান ঠিক রাখবে এবং তার সাথে ব্লাড সুগারও নিয়ন্ত্রন করবে।
৫। কলাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন আছে। ফলে নিয়মিত কলা গেলে দেহের রক্ত শূন্যতা দূর হয়ে যায়।
৬। কলা ওজন কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, কলা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরার অনুভূতি দিয়ে থাকে। ফলে অন্য কোন খাবার খাওয়ার রুচি ও আগ্রহ থাকে না। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে থাকে।
৭। এক গবেষণায় বলা হয়েছে আঁশযুক্ত খাবার কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি কমিয়ে থাকে। প্রতিদিন কলা খান আর হৃদ রোগ থেকে দূরে থাকুন।
৮। শরীরের পেশির সুস্থতার জন্যও কলা বেশ উপকারী। ব্যায়ামের আগে কিংবা পরে কলা খান এটি আপনার পেশীর...

Read More
Health Image +

ওষুধ ছাড়াই দূর করুন উটকো মাথাব্যাথা

বলা নেই কওয়া নেই- হঠাৎ করেই মাথাব্যাথা শুরু হয়ে যাওয়া ভীষণ বিরক্তিকর ব্যাপার। মাথাব্যাথার সহজ প্রতিকার হিসেবে আমরা টপাটপ পেইনকিলার খেতেই অভ্যস্ত। কিন্তু শরীরের জন্য আদতে ক্ষতিকর এসব ওষুধ না খেয়ে যদি সাধারণ কিছু খাবার খেয়েই মাথাব্যাথা দূর করা যায়, তাহলে কেমন হয়?
পেইন কিলার খেতে যারা অভ্যস্ত, তারা জেনে রাখুন অতিরিক্ত পেইন কিলার খেলে একটা সময় আপনার শরীরে এর ক্ষতি ফুটে উঠতে থাকবে। আর যারা পেইন কিলারের থেকে দূরে থাকতে চান, তাদের জেনে রাখা ভালো মাথাব্যাথা কমানোর এসব খাবারের গুণ। এখন থেকে মাথা ব্যাথা করলে নির্দ্বিধায় খেয়ে নিতে পারেন এগুলো।
বেক করা আলু
পটাশিয়াম এমন একটা খনিজ যা মাথাব্যাথা প্রাকৃতিকভাবে কমায়। পটাশিয়ামের খুব ভালো একটা উৎস হলো বেক করা আলু, খোসাসহ। মাথাব্যাথার সময়ে এটা খেলে আর পেইন কিলারের দরকার হবে না।
কলা
কলাতে শুধু পটাশিয়াম না, বরং ম্যাগনেশিয়ামও থাকে অনেকটা। মাথাব্যাথা কমানোর পাশাপাশি এটা আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করবে।
তরমুজ
মাথাব্যাথার অন্যতম বড় একটি কারণ হলো শরীরে পানির অভাব। পানির অভাব হলে পেইন কিলার খেলে আসলে তেমন লাভ হয় না। এর বদলে পানিতে ভরপুর ফল, যেমন তরমুজ খাওয়াটা উপকারে আসবে। এর পাশাপাশি তরমুজে থাকা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামও আপনার মাথাব্যাথা কমিয়ে দেবে।
আনারস
তাজা আনারসও আপনার উপকারে আসতে পারে। আনারসে আছে ব্রোমেলাইন নামের এক ধরণের এনজাইম। এটা প্রাকৃতিক পেইন কিলারের মতো কাজ করে।
শসা
শসাতেও প্রচুর পানি থাকে, ফলে এটি তরমুজের মতোই কাজ করে মাথাব্যাথা কমাতে।
কফি
অতিরিক্ত কফি পান করলে মাথাব্যাথা কমবে না, বরং বাড়বে। কিন্তু পরিমিত পরিমাণে কফি পান মাথাব্যাথা দূর করতে চমৎকার কাজ করে। এক কাপ কফি হঠাৎ মাথাব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু সারাদিন ধরে কফি পানে আপনার উপকারের বদলে ক্ষতিই...

Read More
Health Image +

ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করবে ৭টি সুপার ফুড

আজকাল ডায়াবেটিস খুব সাধারণ একটি রোগে পরিনত হয়েছে। অনেককেই এই রোগটিতে আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এই রোগটির কোন প্রতিকার নেই তবে খাবার ও জীবনযাপনের ধারায় পরিবর্তন এনে এবং কিছু সাধারণ ঘরোয়া পদ্ধতির মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ডায়াবেটিসের উপর স্থূলতাও প্রভাব সৃষ্টি করে। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন দেহের ওজনের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং কি খাচ্ছেন সেদিকে নজর রাখা। বিশেষজ্ঞরা যেসব খাবারে ওমেগা৩ ফ্যাট এবং বেশি পরিমানে খাদ্যআঁশ আছে সেসব খাবার গ্রহন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
বেশ কিছু খাবার আছে যেগুলো ব্যাপক ভাবে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এখানে কিছু সুপার ফুডের কথা জানাচ্ছি যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানোর সাথে সাথে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
অ্যাভোকাডো
মনোস্যাচুর‍েটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো যা হজমক্রিয়াকে ধীর করে এবং রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া অ্যাভোকাডোতে থাকা ভাল ফ্যাট ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
পেয়ারা
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এক প্রকার সুপার ফুড হচ্ছে এই পেয়ারা। পেয়ারা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি এবং খাদ্যআঁশ সমৃদ্ধ রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তিসিবীজ
উচ্চ মাত্রার অমেগা৩ ফ্যাটি এসিড আছে তিসিবীজে। তাই প্রতিদিনের খাবারে তিসিবীজ যোগ করলে রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।
পিনাট বাটার
গবেষণায় দেখা যায় পিনাট বাটার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এতে আরো রয়েছে মনোস্যাচুরাটেড ফ্যাট যা হৃদস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারি।
আপেল
আপেল হচ্ছে খাদ্যআঁশের চমৎকার একটি উৎস যা রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আপলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি রেডিক্যালের প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করে যা রক্তের সুগার বাড়ায়।
ডিম
গবেষণায় পাওয়া গেছে যে ডিম যদিও উচ্চ কোলেস্টেরল সমৃদ্ধ তবুও এটি রক্তের সুগার কমাতে সাহায্য করে।
মাছ
বিশেষজ্ঞরা সাধারণত ডায়াবেটিসের রোগীদের মাছ খেতে বলেন। মাছ হচ্ছে ওমেগা৩ ফ্যাটি...

Read More
Health Image +

ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে যে ৭টি দারুণ খাবার

ক্যান্সার ‘মরণ ব্যাধি’ নামে পরিচিত। এই মরণ ব্যাধিও প্রতিরোধ করা সম্ভব খাবার দিয়ে। কি শুনে অবাক লাগছে? কিছু খাবার আছে যা মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখা হলে এবং তার সাথে নিয়মিত ব্যায়াম করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। ক্যান্সার প্রতিরোধ করবে এমনই কিছু খাবারের নাম জেনে নেওয়া যাক।
১। গাজর
গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন আছে যা বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন ফুসফুস ক্যান্সার, শ্বাসনালী ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার, অন্ত্র ক্যান্সার এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর বা এক গ্লাস গাজরের রস পান করুন।
২। রসুন
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যারা রসুন খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এটি ক্যান্সারের জীবাণু প্রতিরোধ করে। এমনকি কিছু ক্যান্সারের জীবাণু ভেঙ্গে ফেলে। প্রতিদিন একটি খোয়া রসুন খান, এটি আপনার ভেতর ক্যান্সার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
৩। টমেটো
টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএ এর কোষ নষ্ট করে ফেলে। এছাড়া এতে ‘লাইকোপিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ টি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
৪। বাদাম
বাদামে সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান আছে। বাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখুন। এ ছাড়াও বাদামের মাখনও আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।
৫। হলুদ
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এক গবেষণায় বলা হয়েছে হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ, বা মাছ ও মাংসের মত তরকারিতে প্রয়োজন মত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।
৬। গ্রিন টি
সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট...

Read More
Health Image +

আলসারের লক্ষণগুলো

বর্তমান সময়ে পেটের যে রোগটিতে বেশিরভাগ মানুষ ভুগে থাকেন তা হল আলসার। পেটের ভিতর ক্ষত বা ঘা হওয়াকে আলসার বলা হয়ে থাকে। আলসারকে সাধারণ রোগ ভেবে অবহেলা করলে পরবর্তীতে এটি অনেক মারাত্নক আকার ধারন করতে পারে। শুরুতে যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হয়ে তবে সম্পূর্ণভাবে আলসার ভাল হওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নিই আলসারের লক্ষণগুলো।
১। বুক জ্বালাপোড়া
আলসারের প্রথম এবং শুরুর লক্ষণ হল বুক জ্বালাপোড়া করা। মশলাদার খাবার বা তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর বুক ও পেটের সংযোগস্থলে জ্বালাপোড়া করে থাকবে। এবং তার সাথে সাথে টক ঢেঁকুর আসা। এটি আলসারের প্রথম ও প্রাথমিক লক্ষণ।
২। অস্বাভাবিক পেট ব্যথা
নাভির ডান বা বাম পাশে অল্প একটু জায়গায় চিন চিন ব্যথা অনুভূত হওয়া। অনেক সময় পেটের কোথাও ব্যথা অনুভূত না হয়ে বুকের মাঝখানে চাপ চাপ ব্যথা হওয়া এবং অস্বস্তি বোধ করা। আবার অনেক সময় এই ব্যথা পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে যেতে পারে। অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্সের ফলে এই ব্যথা হয়ে থাকে। কখন কখনও এই রকম পেটে ব্যথার কারণে রাতে ঘুম থেকে উঠে বসে থাকতে পারে রোগী।
৩। রক্তবমি
অনেক সময় আলসারের রোগীর রক্তবমি হতে পারে। তবে বমির সাথে টাটকা রক্ত বের হবে না। বমি ও রক্ত মিশে খয়েরি রং এর বমি হতে পারে। যদি এমন হয় তবে বুঝতে হবে আলসার অনেক মারাত্নক পর্যায়ে চলে গেছে। অতিসত্বর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৪। পেট ফাঁপা ওবায়ু ত্যাগ
কোন কিছু না খেয়েই পেট ভরা মনে হবে। পেটের গ্যাসের কারণে পেট ভরা মনে হয়ে থাকে। খাবারের পর পর বা যেকোন সময় অস্বস্তির সাথে পেট ফাঁপা অনুভূত হবে। কিছুক্ষণ পর পর বায়ু ত্যাগের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৫। খাবারের অরুচি
আলসারের রোগীর খাওয়ার প্রতি...

Read More
Health Image +

গর্ভাবস্থার টুকিটাকি সমস্যাগুলো থেকে থাকুন সাবধান

গর্ভধারণের সময়টায় শরীরে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর মাঝে কিছু কিছু হতে পারে বেশ অস্বস্তিকর। তবে খাদ্যভ্যাসে ছোট কিছু পরিবর্তন আনলেই এসব সমস্যার সুরাহা করা যেতে পারে। জেনে নিন কোন সমস্যার জন্য কী করবেন।
১) বমি ভাব এবং বুক জ্বালাপোড়া
সাধারণত এ দুটি সমস্যাকে একসাথে মর্নিং সিকনেস বলা হয়ে থাকে। শরীরের ভেতরে আরেকটি প্রাণ বেড়ে ওঠার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়েই এ সমস্যা হয়। মর্নিং সিকনেস এড়াতে অল্প অল্প করে বেশ কয়েকবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। শুকনো খাবার অথবা সহজে হজম হয় এমন খাবার খান, যেমন কলা। যথেষ্ট পানি পান করুন। আর এড়িয়ে চলুন ফ্যাটি এবং মশলাদার খাবার।
২) কোষ্ঠকাঠিন্য
এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে চান না, কিন্তু সমস্যাটি খুব বিরক্তিকর। এর জন্য হালকা এক্সারসাইজ করা, যথেষ্ট ঘুমানো এবং পানি পান জরুরী। হোল গ্রেইন, ফল এবং সবজি নিয়মিত খেলে সমস্যাটি চলে যাবে।
৩) পায়ের পেশিতে টান
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে পায়ের পেশিতে টান লেগে ব্যাথা হওয়াটা বেশ দেখা যায়। সাধারণত শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ভারসাম্য ব্যহত হলে এ সমস্যাটি দেখা যায়। এর জন্য পান করতে পারেন দুধ। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়ামে পূর্ণ খাবার যেমন বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন।
৪) শরীরে পানি আসা
হাতে-পায়ে পানি এসে ফুলে যাবার সমস্যাটা এ সময়ে দেখা যায়। হালকা ব্যায়াম করতে হবে। এর পাশাপাশি বেশ সোডিয়াম আছে এমন খাবার বর্জন করতে হবে, যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার। পাতে লবণ না নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর বেশি করে পানি পান করুন। এতে ফোলা ভাব কমে যাবে।
হালকা ফোলা ভাব সাধারণত দেখা যায় কিন্তু হঠাৎ করে মুখ বা চোখের আশেপাশে ফুলে যাওয়াটা হতে পারে প্রি-এক্লাম্পশিয়ার লক্ষণ। একইভাবে হঠাৎ একটি পা ফুলে যাওয়া...

Read More
Health Image +

ভুলেও অবহেলা করবেন না হার্ট অ্যাটাকের এই ৯টি লক্ষণ

হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক সাধারণ আর দশটি রোগের মত নয়। প্রথমে খুব সাধারণ কিছু লক্ষণ দেখা দিলেও পরবর্তীতে সেটি অবহেলার কারণে হার্ট অ্যাটাকের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। medicinenet.com এর মতে আমেরিকায় প্রতি বছর ১.১ মিলিয়ন আমেরিকান হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এদের মধ্যে ৪,৬০,০০০ লক্ষ মানুষের হার্ট অ্যাটাক মারাত্নক পর্যায়ে হয়ে থাকে। প্রতিটি হার্ট অ্যাটাকের যে কিছু নিদিষ্ট ও সাধারণ কারণ থাকবে, তা কিন্তু নয়। webmd.com এর মতে সব সময় হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে বুকে ব্যথা হবে, তা নয়। বুকে ব্যথা ছাড়াও কিছু লক্ষণ আছে যা হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
১। বুকে ব্যথা
হার্ট অ্যাটাকের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ হয় বুকে ব্যথা। সাধারণত বুকের মাঝখান থেকে প্রচন্ড চাপ ব্যথা অনুভূত হয়। আস্তে আস্তে সেই ব্যথা চোয়ালে অথবা বাম কাঁধ ও বাহুতে ছড়িয়ে পড়ে থাকে। এই রকম ব্যথা দেখা দিলে অব্যশই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
২। শ্বাস কষ্ট ও দম ফুরিয়ে যাওয়া
যদি আপনার অ্যাজমা বা অন্য কোন সমস্যা না থাকে এবং হঠাৎ করে শ্বাস কষ্ট সমস্যা দেখা দেয় মূলত হৃদরোগ থেকে ফুসফুসে পানি জমা সহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে ঠান্ডা ছাড়াও শ্বাস কষ্ট এর সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া, মুখ দিয়ে নিঃ শ্বাস নেওয়াও ভবিষ্যত হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ।
৩। ঘাম হওয়া
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের পূর্ব লক্ষণ। বিশেষ করে ডায়াবেটিকস রোগীর ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা ছাড়া অতিরিক্ত ঘাম, বুক ধড়ফড়, হঠাৎ শরীর খারাপ লাগা শুরু হলে অব্যশই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
৪। কাশি
আপনার যদি দীর্ঘদিন কাশির সমস্যা থাকে, এবং তার সাথে সাদা বা গোলাপি কফ বের হয়। তবে বুঝতে হবে আপনার হার্ট ঠিকমত কাজ করছে না। ভবিষ্যতে হার্ট অ্যাটাক...

Read More
Health Image +

ঘরে বসেই প্রেগনেন্সি নিশ্চিত হতে ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস

গর্ভধারণ যে কোন নারীর জন্যেই নিঃসন্দেহে আনন্দদায়ক একটি বিষয়। নিজ দেহের ভেতরে একটি নতুন প্রাণের আগমণের শব্দ শুনতে কার না ভালো লাগে! কিন্তু অনেক সময় কোন কোন নারী গর্ভধারণের বেশ কয়েক মাস বুঝেই উঠতে পারেন না যে তিনি গর্ভবতী কিনা। যেহেতু বাচ্চার নিরাপত্তার স্বার্থে গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস অত্যন্ত সতর্কতার সাথে থাকা প্রয়োজন তাই কোন নারী গর্ভবতী কিনা একটু সতর্ক হয়ে কয়েকটি লক্ষণ মিলিয়ে নিলেই কিন্তু তিনি ঘরে বসেই নিশ্চিত হতে পারেন। প্রেগনেন্সি বোঝার জন্য আপনাদের জন্য রইল ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস৷
১. পিরিয়ড কি নির্দিষ্ট সময়ে হয়েছে?
প্রতিমাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে নারীদের পিরিয়ড হয়ে থাকে (সাধারণত ২৮ দিন পর পর)। সেক্ষেত্রে, খেয়াল রাখুন আপনার পিরিয়ড ঠিক সময়ে হচ্ছে কিনা। যদি ২৮ দিন পর পিরিয়ড না হয়, তাহলে হয়তো আপনি গর্ভধারণ করেছেন। অন্যান্য লক্ষণগুলো মিলিয়ে নিতে পারেন তখন।
২. সামান্য রক্তপাত
পিরিয়ডের সময় যদি স্বাভাবিক রক্তপাতের বদলে খুব সামান্য পরিমাণ রক্তপাত হয়ে বন্ধ হয়ে যায়,এই চিহ্নটিকে অবহেলা করবেন না। এটি হতে পারে গর্ভধারণের লক্ষণ।
৩. মাথা ঘোরা, বমি ও হজমে সমস্যা
সাধারণত সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি প্রচন্ড দূর্বল, মাথা ঘোরা ও বিষন্ন লাগে এবং সেই সাথে প্রায়ই হজমে সমস্যা বা কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। হতে পারে, আপনার গর্ভধারনের অন্যতম লক্ষণ এটি।
৪. ক্রমাগত ক্লান্তি
যদি হঠাৎ করে সারাক্ষণ নিজেকে ক্লান্ত মনে হয় এবং সময়ে অসময়ে কেবল ঘুমোতে ইচ্ছে করে, যা আপনার স্বাভাবিক রুটিনের বাইরে, অন্যান্য লক্ষণগুলোর সাথে এই লক্ষণটি জানিয়ে দেয় আপনি হয়তো গর্ভধারণ করেছেন।
৫. বার বার প্রস্রাবের চাপ
খেয়াল করুন, আপনি কি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশীবার, বার বার প্রস্রাবের চাপ অনুভব করছেন? গর্ভধারণের অন্যতম লক্ষণ এটি।
৬. স্তনে পরিবর্তন
গর্ভধারণ করার ফলে আপনার স্তনের...

Read More
Health Image +

অ্যাজমার কষ্ট হতে পরিত্রাণ পাবার সহজ ঘরোয়া উপায়

অ্যাজমা মানুষের শ্বসনতন্ত্রের একটি ব্যাধি। অ্যাজমা হলে শ্বাসক্রিয়ায় সমস্যা হয়। এটা অনেকসময় তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যার ফলে ফুসফুসে বায়ু চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। অ্যালার্জি, স্ট্রেস, বায়ু দূষণ, ঠাণ্ডা বাতাস, শ্বসন তন্ত্রের সংক্রমণ, তীব্র আবেগ, সংরক্ষিত খাদ্য ও অন্য কোন অসুখের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে অ্যাজমা হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণে, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জি এবং অত্যধিক ধূমপান অ্যাজমা সৃষ্টির জন্য দায়ী।

শ্বাসকষ্ট, কাশি,বুক ভারী হয়ে থাকার অনুভূতি এগুলো অ্যাজমার লক্ষণ। অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার ও ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে যা বেশ দামী ও দীর্ঘদিন ব্যাবহার করতে হয়। যদি আপনি ইনহেলার ও ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যার মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।আসুন জেনে নেই সেই উপায়গুলো খোঁজ
১। স্বাভাবিক ভাবে দম নেয়ার চেষ্টা করুন
যখনই অ্যাজমার শ্বাসকষ্ট শুরু হবে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত হয়ে বসুন । আপনার চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন ও কল্পনা করার চেষ্টা করুন যে আপনার ফুসফুসটি প্রসারিত হচ্ছে ও সাদা আলোতে ভরে যাচ্ছে এবং আপনার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে।এভাবে দুইবার করুন তারপর আপনার চোখ খুলুন। এভাবে চর্চা করলে আপনি অনেক ভালো অনুভব করবেন।
২। কফি
কফির ক্যাফেইন রাসায়নিক ভাবে থিওফিলিন এর মত, যা অ্যাজমার একটি ভালো ঔষধ এবং এটি বায়ু চলাচলের পথকে পরিস্কার করে। তাই এক কাপ গরম কফি খেতে পারেন।
৩। আদা
আদাতে এমন অনেক উপাদান আছে যা অ্যাজমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আদার প্রদাহ রোধী উপাদান শ্বাসনালীর সংকোচন রোধ করে ও শ্বাস নালীর প্রদাহ কমায়। বর্তমানের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে আদায় এমন কিছু উপাদান আছে যেটা শ্বাস নালীর পেশীকে শিথিল করতে পারে যা...

Read More