Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

গর্ভাবস্থার টুকিটাকি সমস্যাগুলো থেকে থাকুন সাবধান



গর্ভধারণের সময়টায় শরীরে বিভিন্ন ধরণের জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর মাঝে কিছু কিছু হতে পারে বেশ অস্বস্তিকর। তবে খাদ্যভ্যাসে ছোট কিছু পরিবর্তন আনলেই এসব সমস্যার সুরাহা করা যেতে পারে। জেনে নিন কোন সমস্যার জন্য কী করবেন।

১) বমি ভাব এবং বুক জ্বালাপোড়া
সাধারণত এ দুটি সমস্যাকে একসাথে মর্নিং সিকনেস বলা হয়ে থাকে। শরীরের ভেতরে আরেকটি প্রাণ বেড়ে ওঠার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে গিয়েই এ সমস্যা হয়। মর্নিং সিকনেস এড়াতে অল্প অল্প করে বেশ কয়েকবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। শুকনো খাবার অথবা সহজে হজম হয় এমন খাবার খান, যেমন কলা। যথেষ্ট পানি পান করুন। আর এড়িয়ে চলুন ফ্যাটি এবং মশলাদার খাবার।

২) কোষ্ঠকাঠিন্য
এ ব্যাপারে কেউ কথা বলতে চান না, কিন্তু সমস্যাটি খুব বিরক্তিকর। এর জন্য হালকা এক্সারসাইজ করা, যথেষ্ট ঘুমানো এবং পানি পান জরুরী। হোল গ্রেইন, ফল এবং সবজি নিয়মিত খেলে সমস্যাটি চলে যাবে।

৩) পায়ের পেশিতে টান
গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রাইমেস্টারে পায়ের পেশিতে টান লেগে ব্যাথা হওয়াটা বেশ দেখা যায়। সাধারণত শরীরে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাসের ভারসাম্য ব্যহত হলে এ সমস্যাটি দেখা যায়। এর জন্য পান করতে পারেন দুধ। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়ামে পূর্ণ খাবার যেমন বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন।

৪) শরীরে পানি আসা
হাতে-পায়ে পানি এসে ফুলে যাবার সমস্যাটা এ সময়ে দেখা যায়। হালকা ব্যায়াম করতে হবে। এর পাশাপাশি বেশ সোডিয়াম আছে এমন খাবার বর্জন করতে হবে, যেমন প্রক্রিয়াজাত খাবার। পাতে লবণ না নিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। আর বেশি করে পানি পান করুন। এতে ফোলা ভাব কমে যাবে।
হালকা ফোলা ভাব সাধারণত দেখা যায় কিন্তু হঠাৎ করে মুখ বা চোখের আশেপাশে ফুলে যাওয়াটা হতে পারে প্রি-এক্লাম্পশিয়ার লক্ষণ। একইভাবে হঠাৎ একটি পা ফুলে যাওয়া হলে পারে ব্লাড ক্লট তৈরি হয়ে যাওয়ার লক্ষণ। এই দুই লক্ষণের যে কোন একটি দেখা দিলেই দ্রুত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।