Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

অ্যাজমার কষ্ট হতে পরিত্রাণ পাবার সহজ ঘরোয়া উপায়



অ্যাজমা মানুষের শ্বসনতন্ত্রের একটি ব্যাধি। অ্যাজমা হলে শ্বাসক্রিয়ায় সমস্যা হয়। এটা অনেকসময় তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যার ফলে ফুসফুসে বায়ু চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। অ্যালার্জি, স্ট্রেস, বায়ু দূষণ, ঠাণ্ডা বাতাস, শ্বসন তন্ত্রের সংক্রমণ, তীব্র আবেগ, সংরক্ষিত খাদ্য ও অন্য কোন অসুখের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে অ্যাজমা হতে পারে। এছাড়াও জিনগত কারণে, স্থূলতা, দীর্ঘস্থায়ী অ্যালার্জি এবং অত্যধিক ধূমপান অ্যাজমা সৃষ্টির জন্য দায়ী।

শ্বাসকষ্ট, কাশি,বুক ভারী হয়ে থাকার অনুভূতি এগুলো অ্যাজমার লক্ষণ। অ্যাজমার চিকিৎসায় ইনহেলার ও ঔষধ দেয়া হয়ে থাকে যা বেশ দামী ও দীর্ঘদিন ব্যাবহার করতে হয়। যদি আপনি ইনহেলার ও ঔষধের উপর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে থাকতে ক্লান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে কিছু প্রাকৃতিক উপায় আছে যার মাধ্যমে অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।আসুন জেনে নেই সেই উপায়গুলো খোঁজ

১। স্বাভাবিক ভাবে দম নেয়ার চেষ্টা করুন
যখনই অ্যাজমার শ্বাসকষ্ট শুরু হবে আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত হয়ে বসুন । আপনার চোখ বন্ধ করে শ্বাস নিন ও কল্পনা করার চেষ্টা করুন যে আপনার ফুসফুসটি প্রসারিত হচ্ছে ও সাদা আলোতে ভরে যাচ্ছে এবং আপনার শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক হচ্ছে।এভাবে দুইবার করুন তারপর আপনার চোখ খুলুন। এভাবে চর্চা করলে আপনি অনেক ভালো অনুভব করবেন।

২। কফি
কফির ক্যাফেইন রাসায়নিক ভাবে থিওফিলিন এর মত, যা অ্যাজমার একটি ভালো ঔষধ এবং এটি বায়ু চলাচলের পথকে পরিস্কার করে। তাই এক কাপ গরম কফি খেতে পারেন।

৩। আদা
আদাতে এমন অনেক উপাদান আছে যা অ্যাজমার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। আদার প্রদাহ রোধী উপাদান শ্বাসনালীর সংকোচন রোধ করে ও শ্বাস নালীর প্রদাহ কমায়। বর্তমানের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে আদায় এমন কিছু উপাদান আছে যেটা শ্বাস নালীর পেশীকে শিথিল করতে পারে যা শ্বাসকষ্টের সময় সংকুচিত হয়ে যায়।তাই শ্বাস কষ্ট কমাতে প্রতিদিন ২ কাপ আদা চা খান। আদার সাথে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

৪। হলুদ
হলুদে প্রদাহ রোধী উপাদান আছে। প্রাথমিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, হলুদের গুঁড়া অ্যাজমা উপশম করতে পারে। ১ কাপ দুধে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

টিপস
- যখনই অ্যাজমার কষ্ট শুরু হবে বুকে ও পিঠে সরিষার তেল মালিশ করুন। এতে শ্বাস কষ্ট কমবে।
- গরম পানি দিয়ে গোসল করুন
- আপনার ঘর বিশেষ করে বেড রুম ধুলাবালি মুক্ত রাখুন।
- প্রতি সপ্তাহে আপনার বিছানার চাদর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
- ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন।
- ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড আছে এমন খাবার খান।
- আপনার এক মাসের খাদ্য তালিকা লিপিবদ্ধ করুন এবং আপনার অ্যাজমার লক্ষণ গুলো ও লিপিবদ্ধ করে রাখুন। ফুড অ্যালার্জির সাথে অ্যাজমার সম্পর্ক আছে, তাই কোন খাবারে আপনার অ্যালার্জির সমস্যা হচ্ছে আর কোনটা খেলে ভালো অনুভব করছেন সেটা নির্ণয় করে খাদ্য নির্বাচন করুন।
- ধূমপান করবেন না।
- খুব বেশি গন্ধযুক্ত খাবার ও পারফিউম বর্জন করুন।
উপরের পদ্ধতি গুলো অনুসরণ করেও যদি আপনার অ্যাজমার সমস্যা ভালো না হয় তাহলে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।