Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

প্রাকৃতিক উপায়ে গলা ব্যথা কমাবেন যেভাবে

হঠাৎ করে শুরু হয়ে যেতে পারে গলা ব্যথা। ব্যথা এত তীব্র হতে পারে যে খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দিতে হয় অনেক সময়। সব সময় এই গলা ব্যথা নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাহলে কী করবেন? প্রকৃতির কাছেই আছে সমাধান। ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে গলা ব্যথা কমানো যায় এই বিষয়ে জেনে নিই, ঘরোয়া উপায়গুলো।
১। লবণ পানি
আদিকাল থেকে গলা ব্যথার উপশম হিসেবে লবণ পানির ব্যবহার হয়ে আসছে। ১ কাপ গরম পানির মধ্যে ১/৪ চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিন। দিনে ৩-৪ বার এই পানি দিয়ে কুলকুচা করলে গলার ফারিংগাল অঞ্চলের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক হয়। এর ফলে ভেতরে জমে থাকা ঠান্ডা কফ বের হয়ে এসে গলা পরিস্কার করে ফেলে। এছাড়া গলার ইনফেকশন অবস্থারও উন্নতি করে। ফলে গলাব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই নির্মূল হয়ে যায়।
২। লেবুপানি
গলা ব্যথা দূর করতে লেবুপানি অনেক বেশি কার্যকরী। ১ কাপ পানির মধ্যে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচা করুন। এটি গলার ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।
৩। হলুদপানি
হলুদে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকে যা ব্যথা উপশম করে থাকে। ১ কাপ গরম পানিতে, ১/২ চাচমচ হুলুদ গুঁড়া এবং ১/২ চাচমচ লবণ মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে কয়েকবার কুলকুচা করুন। কিছুক্ষণের মধ্যে গলা ব্যথা কমে যাবে।
৪। লবঙ্গ চা
১ থেকে ৩ চামচ লবঙ্গের গুঁড়া পানির মধ্যে মিশিয়ে নিন। এরপর এটি দিয়ে গলায় কুলকুচা করুন। এতে অ্যান্টিব্যক্টিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামাটরি উপাদান থাকে যা গলা ব্যথা কমিয়ে দেয়।
৫। আদা, মধু লেবু পানি
১ চাচামচ আদা পাউডার/কুচি, মধু, ১/২ কাপ গরম পানি, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রথমে আদাপানি দিয়ে কুলকুচা করুন...

Read More
Health Image +

পিরিয়ড সম্পর্কে যে জরুরী কথাগুলো জেনে রাখা উচিত প্রত্যেক নারীর

পিরিয়ড অর্থাৎ মাসিক ঋতুচক্র (Menstruation) নারী জীবনের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পূর্বে ধারণা করা হতো পিরিয়ড অনেক অপবিত্র একটি বিষয়। কিন্তু বর্তমানে অনেকের দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছে। কোনো নারীর নিয়মিত পিরিয়ড হওয়ার অর্থ তিনি স্বাভাবিকভাবে সন্তান ধারণে সক্ষম। কিন্তু আজও নারীদের এই মাসিক চক্রটি সম্পর্কে অনেকেই অনেক কিছু জানেন না। এবং না জানার কারণে পিরিয়ড সংক্রান্ত নানা সমস্যায় ভুগে মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেক নারীই। তাই নিজেদের প্রতি মাসের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সম্পর্কিত কিছু জরুরী তথ্য আজ জেনে নিন।
১) পিরিয়ডের সঠিক সময়
সাধারণত ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সের মধ্যে বেশীরভাগ মেয়েদেরই মাসিক এই শারীরিক প্রক্রিয়াটি শুরু হয়ে যায় এবং ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। তবে ১৫ বয়সের পরও যদি নিয়মিত পিরিয়ড শুরু না হয় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। পিরিয়ড সাধারণত ২৮ দিন থেকে শুরু করে ৩০/৩৫ বা ৪০ দিন পরপর পর্যন্ত হতে পারে। তবে ২৮ থেকে ৩০ দিন পরপর হওয়া ভালো লক্ষণ। পিরিয়ড যদি অনিয়মিত হয় অর্থাৎ কোনো মাস বাদ চলে যায় এবং ১০-২০ দিন পর পর হতে থাকে তাহলে অবহেলা না করে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
২) পিরিয়ডের ব্যপ্তিকাল
বয়স ভেদে এবং শারীরিক গঠনের নানা বিষয়াদি বিবেচনায় ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে পিরিয়ডের সময়কাল। তবে এক্ষেত্রে প্রতি মাসেই যে একই সময়ব্যাপী চলবে তা নাও হতে পারে। আবার খুব বেশি তারতম্য হলেও অবহেলা করা উচিত নয়। যদি খুব দ্রুত অর্থাৎ ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পিরিয়ড শুরু হয়ে যায় তাহলে তা দেহে ফাইবারয়েড, হিমোগ্লোবিনের অভাব বা আয়রনের অভাবের লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে।
৩) পিরিয়ডের সাথে দেহের ফ্যাটের সম্পর্ক
যদি বডি ম্যাস ইনডেক্স...

Read More
Health Image +

ধূমপানের চাইতেও ভয়ংকর আগরবাতির ধোঁয়া

এশিয়ার বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ থেকে শুরু করে ইউরোপের হিপ্পি আড্ডা পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে জ্বালানো হয় আগরবাতি। কিন্তু মিষ্টি সৌরভের এই ধোঁয়া যে ধূমপানের চাইতেও ভয়ংকর ক্ষতি করে চলেছে আপনার শরীর জুড়ে, তা কী জানেন আপনি?
আমাদের সাধারণ ধারণা, শুধুমাত্র সিগারেটের ধোঁয়াই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এই ধারনাটা কিন্তু ভুল। আগরবাতির সুবাসিত ধোঁয়া আমরা পছন্দ করলেও এরও আছে মারাত্মক অপকারিতা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ক্ষতির পরিমাণ সিগারেটের ধোয়ার চাইতেও বেশি।
একটি গবেষণায় দেখা যায়, আগরবাতি বা ধূপের এই ধোঁয়া সিগারেটের ধোয়ার চাইতে বেশি মিউটাজেনিক, জেনোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক। এই ভারী ভারী কথাগুলোর অর্থ হলো, ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোষে জেনেটিক মিউটেশন ঘটাতে পারে এবং কোষের ডিএনএতে এমন সব পরিবর্তন আনতে পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।
এই গবেষণার তথ্যের আলোকে, যাদের ফুসফুসে কোনো রোগ আছে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাদের আগরবাতি না জ্বালানোই ভালো। শুধু তাই নয়, ছোট শিশু এবং হবু পিতামাতারও এই ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা উচিৎ। যে কোনো ধরণের ধোঁয়াই শিশুদের ফুসফুস গঠনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। রান্নার ধোঁয়াও বিশ্বজুড়ে মানুষের ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।
কিন্তু আগরবাতির ধোঁয়া সিগারেটের চাইতে ক্ষতিকর কেন হবে? এতে তো নিকোটিন নেই, তাই না? সাধারণত কাঠির ওপর বিভিন্ন সুগন্ধি এসেনশিয়াল অয়েল এবং কাঠের গুঁড়োর প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় আগরবাতি। একে যখন পোড়ানো হয় তখন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতিকর বিভিন্ন কণা। এগুলো নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে গেলে তৈরি করতে পারে প্রদাহ। এখন পর্যন্ত বায়ুদূষণের সাথে আগরবাতির সম্পর্ক নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে লাং ক্যান্সার, শিশুদের লিউকেমিয়া এবং ব্রেইন টিউমারের সাথে এর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।

Read More
Health Image +

খাবারের ক্ষেত্রে যে ৮টি টিপস প্রত্যেক তরুণীর অবশ্যই মেনে চলা উচিত

আজকাল তরুণীরা খাবার নিয়ে অনেক চিন্তা করেন। কী খাব আর কী খাব না? তবে দেখা যায় অনেক চিন্তার পরেও তারা ভুল খাবারগুলোই বারবার গ্রহণ করেন। আবার যে খাবারগুলো তাদের দেহে প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করবে, সেগুলোকে এড়িয়ে চলেন। ফলে অল্পতেই মোটা হয়ে যান, হাইয়ে যায় ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য। কী করবেন? তরুণীদের খাবারের ব্যাপারে বিভিন্ন দারুণ টিপস।
১) শরীর চর্চা:
মেয়েদের মধ্যে শরীর চর্চা বিষয়ে এক ধরনের অবহেলা দেখা দেয়। তারা নিজের ওজন কমানোর জন্য শুধু না খেয়ে থাকাকেই মূলমন্ত্র বলে মনে করে। কিন্তু এই খারাপ অভ্যাসটি দীর্ঘমেয়াদে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। মনে রাখতে হবে না খেয়ে সুস্থ থাকা সম্ভব নয়, সুস্থ থাকতে হবে পর্যাপ্ত খাদ্য গ্রহণ করে। শরীরকে ফিট রাখতে প্রতিটি তরুণীরই নিয়মিত শরীর চর্চা করা উচিত।
২) খাবার গ্রহণ করুন বুঝে শুনে:
একজন তরুণীর কার্বোহাইডেটযুক্ত খাবার যেমন ভাত, রুটি, মিষ্টি যথাসম্ভব কম গ্রহণ করা উচিত। এর বদলে প্রোটিনযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া সুস্থ থাকার জন্য রান্নায় তেলের ব্যবহারও যথাসম্ভব কম করতে হবে।
৩) বয়স, ওজন এবং উচ্চতা অনুয়ায়ী ক্যালরির পরিমাণ ঠিক করে নিন:
একজন তরুণীর বয়স, ওজন এবং উচ্চতা অনুযায়ী ক্যালরি গ্রহণ করতে হবে। সঠিক ক্যালরির পরিমাণ এবং পরিপূর্ন ডায়েটের চার্ট পেতে পুষ্টিবিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। তবে এটুকু বলা যায় যারা অনেক বেশি পরিশ্রম করেন, তাদের বেশি ক্যালরি গ্রহণের প্রয়োজন হয়। আর যারা কম পরিশ্রম করেন তার ক্যালরি গ্রহণ করা উচিত।
৪) ফাইবারযুক্ত খাবার বেশি গ্রহণ করুন:
ফাইবারযুক্ত খাবার তরুণীদের জন্য এক আদর্শ খাবার। ফাইবারযুক্ত খাবার অনেক সময় পর্যন্ত পাকস্থলীতে থাকে তাই এগুলো ক্ষুধাকে কমিয়ে দেয়। এগুলোকে দেহের ওজন কমাতেও বেশ সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই ফাইবারযুক্ত...

Read More
Health Image +

অ্যালার্জি নিরাময়ে জাদুকরী পানীয়

অ্যালার্জির সমস্যা অনেক বিরক্তিকর একটি সমস্যা। যাদের এই সমস্যা রয়েছে তাদের যেসকল জিনিস এবং খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলোর সংস্পর্শে এলেই চুলকোনি, র‍্যাশ উঠা এবং চাকা মতো ফুলে উঠার সমস্যায় পড়তে দেখা যায় যা খুবই যন্ত্রণাদায়ক। যাদের অ্যালার্জি অনেক মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে তাদের অ্যালার্জি উদ্রেককারী জিনিস থেকে দূরে থাকার এবং প্রয়োজনে ঔষধ সেবন করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকগণ। কিন্তু অ্যালার্জির ঔষধের সবচাইতে বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে ঘুম এবং তন্দ্রাচ্ছন্নতা। তবে ঘরোয়া উপায়েও কিন্তু এই অ্যালার্জি নিরাময় সম্ভব এবং তা হবে একেবারেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন ভাবে। রান্নাঘরের টুকিটাকি দিয়েই অনায়াসে অ্যালার্জি নিরাময়ের জাদুকরী পানীয় তৈরি করে নিতে পারেন। চলুন তাহলে দেখে নেয়া যাক পানীয়টি তৈরির পদ্ধতি এবং এর কার্যকারিতা।
যা যা লাগবে:
- ২ টি আপেল
- ২ টি গাজর
- ১ টি বড় বিটরুট
পদ্ধতি:
- প্রতিটি উপকরণ ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিন।
- ব্লেন্ডারে বা জুসারে দিয়ে ব্লেন্ড করে রস ছেঁকে নিন অথবা জুসারে জুস তৈরি করে নিন।
- চাইলে না ছেঁকেও খেতে পারেন, কারণে এই সবজি ও ফলের আশও অনেক উপকারী।
- ব্যস, প্রতিদিন ১ গ্লাস পান করে নিন। দেখবেন অ্যালার্জির উদ্রেক অনেক কমে গিয়েছে।
কার্যকারণ ও উপকারিতা:
আপেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি এবং সি যা আমাদের দেহের পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে এবং হজম সংক্রান্ত নানা সমস্যা দূরে রাখে। বিটে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটেইন, এনজাইম এবং ভিটামিন এ যা গলব্লাডার ও লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়ক। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং গাজরের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান লিভার এবং পরিপাকতন্ত্রকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে। আর এই সকল পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এই পানীয়টি আমাদের দেহের অভ্যন্তরীণ...

Read More
Health Image +

ঋতুস্রাবের ব্যথা কম করার দারুণ কার্যকরী ১০ টিপস

ঋতুস্রাব মেয়েদের স্বাভাবিক একটি বিষয়। আর এই সময়ে পেটে ব্যথা কম বেশি সব মেয়েদের হয়ে থাকে। অনেকের ব্যথার পরিমাণটা এত বেশি হয়ে থাকে যে মাসিকের সময় তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মে বাধা সৃষ্টি হয়। ঔষধ খাওয়া ছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায় আছে যা পেট ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক ঘরোয়া উপায়গুলো
১। গরম পানির প্যাক
পেটে ব্যথার জায়গায় গরম পানির সেঁক দিতে পারেন। হট ব্যাগের মধ্যে গরম পানি নিয়ে পেটের ওপর দিতে পারেন। এটি আপনার ব্যথা অনেকটা কমিয়ে দেবে। এছাড়া গরম পানি দিয়ে গোসলও করতে পারেন। এটিও আপনার পেটের ব্যথা কমিয়ে কিছুটা স্বস্তি হবে।
২। দুধ
প্রতিদিন সকালের নাস্তায় এক গ্লাস দুধ পান করুন। এটি আপনার শরীরের ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করবে। যদি আপনি দুধ খেতে না পারেন তবে ক্যালসিয়ামের ট্যাবলেট খেতে পারেন।
৩। আদা
আদা বেশ উপাকারী ঋতুস্রাবের ব্যথা রোধের জন্য। আদা চা পান করলে এই সময় বেশ ভাল উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া কয়েক টুকরো আদা গরম পানিতে সেদ্ধ করে চাইলে এর সাথে মধু বা চিনি যোগ করে এটি দিনে তিন-চারবার পান করতে পারেন।
৪। পেঁপে
ঋতুস্রাবের ব্যথা রোধের জন্য পেঁপে খাওয়া বেশ কার্যকরী। ঋতুস্রাবের সময় নিয়মিত কাঁচা পেঁপে খান। কাঁচা পেঁপে মাসিকের ব্যথা কমিয়ে দেয়।
৫। ল্যাভেন্ডার অয়েল
মাসিকের ব্যথার সময় পেটে কয়েক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মালিশ করুন। ১০- ১৫ মিনিটের মধ্যে এটি আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে অনেকখানি।
৬। অ্যালোভেরা রস
অ্যালোভেরা রসের সাথে মধু মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করে ফেলুন। মাসিকের ব্যথার সময় এটি পান করুন। দিনে কয়েকবার এটি পান করুন। ব্যথা অনেকখানি কমিয়ে দেবে এই পানীয়টি।
৭। ধনে বীজ
ধনে বীজে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটোরি উপাদান রয়েছে, যা মাসিক ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।...

Read More
Health Image +

সাদা রঙের মৃত্যু

চিনির মজাদার স্বাদ অনেকেরই খুব প্রিয়। এমন অনেকেই আছেন যারা চিনি বা চিনির তৈরি মিষ্টি খাবার ছাড়া একদিন ও চলতে পারেন না। কিন্তু তাদের জন্য দুঃসংবাদ হচ্ছে চিনি কারোরই বন্ধু নয়। চিনিতে থাকা কিছু হরমোন আপনার মস্তিস্কে চিনিপ্রীতি সৃষ্টি করলেও মূলত চিনি আমাদের দেহের জন্য শত্রুই। আধুনিক গবেষণায় দেখা যায় যে চিনি এবং চিনির তৈরি খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিধ্বংসী পদক্ষেপ নেয়।
আমরা যদি বিগত ৩০০ বছরে মানুষদের চিনি খাওয়ায় প্রবণতার দিকে নজর দিই তাহলে দেখা যায়-
১৭০০ সালের দিকে প্রতি বছর একজন মানুষ গড়ে প্রায় ৪ পাউন্ড চিনি খেত।
১৮০০ সালের দিকে প্রতি বছর একজন মানুষ গড়ে প্রায় ১৮ পাউন্ড চিনি খেত।
১৯০০ সালের দিকে একজন মানুষের চিনি খাওয়ার পরিমান বেড়ে গড়ে প্রায় ৯০ পাউন্ডে চলে আসে।
২০১২ সালের দিকে গড়ে প্রায় ৫০% মানুষ প্রায় আধা পাউন্ডের মত চিনি খায় প্রতিদিনে। যা বছরে প্রায় ১৮০ পাউন্ডের মত গিয়ে দাঁড়ায়।
১৮৩০ সালের দিকে প্রতি এক লক্ষ মানুষের মাঝে মাত্র ৩ জনের ডায়াবেটিস থাকতো। আর ২০১২ সালের দিকে প্রতি লক্ষ মানুষের মাঝে প্রায় ৮০০০ মানুষেরই ডায়াবেটিস আছে।
খাবারে চিনির উৎস- ১৯০০ সাল থেকে প্রায় ১০ গুন বেশি চিনি খাওয়ার প্রবণতা রয়েছে এখনকার ছেলে মেয়েদের মাঝে। জেনে অবাক হবেন যে দেহে চিনির প্রভাব কোকেনের চেয়ে ১০ গুন বেশি মারাত্মক। চিনি ডোপামিন নামক একটি রাসায়নিক উপাদান উৎপন্ন করে যা মস্তিস্কে সুখি এবং ভালো একটি নেশার অনুভূতি সৃষ্টি করতে পারে। অনেক গবেষণায় দেখা যায় যে চিনি হচ্ছে একটি ক্যান্সার কোষ উৎপাদক খাবার। তাই এটি হচ্ছে আরো একটি কারন এই সাদা রঙের মৃত্যু খাবারটি থেকে দূরে থাকা।
কোন কোন খাবারে চিনি থাকে
সাদাচিনি, লাল চিনি, ম্যাপল সিরাপ, গুড়,...

Read More
Health Image +

হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মাঝে মূল পার্থক্য

আমরা অনেক সময়ই বলতে শুনে থাকি ‘হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুবরণ করেছেন’ বা ‘স্ট্রোক করে প্যারালাইসিস হয়েছেন/ হ্যামোরেজ হয়েছে’ কিংবা ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে আক্রান্ত হয়েছেন’। কিন্তু এই মেডিক্যাল টার্মগুলোর সম্পর্কে কতোটা পরিচিত আপনি? অনেকেই জানেন না এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে। আপনি জানেন কি, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যেকার মূল পার্থক্য? অথবা এগুলো কখন এবং কোন অবস্থায় হয়ে থাকে? আজ চলুন, চিকিৎসকের ভাষায়, জেনে নেয়া যাক হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে মূল পার্থক্যগুলো।
হার্ট অ্যাটাক:
‘হার্ট অ্যাটাক মূলত হৃদপিণ্ডে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা জনিত কারণে হয়ে থাকে। হৃদপিণ্ড আমাদের পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালন করে থাকে। কিন্তু হার্টের রক্ত সঞ্চালনকারী শিরা যদি কোনো কারণে ব্লক হয়ে যায় তাহলে হার্ট পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পায় না, আর একারণেই হার্ট অ্যাটাক হয়'।
- হৃদপিণ্ডের শিরা ব্লক হয়ে যাওয়ার কারণে হৃদপিণ্ডে কম রক্ত পৌছায় সেই সাথে অক্সিজেনের মাত্রাও কমে যায়, যার ফলে হার্ট ফেইল করে। আর একারণেই হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা দেখা দেয়।
- যদি কেউ হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয় তাহলে যতো দ্রুত সম্ভব চিকিৎসার প্রয়োজন, কারণ যতো দেরি হবে ততো ক্ষতির সম্ভাবনা বাড়তে থাকে যা অনেক সময় রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
- হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হিসেবে, ‘বুকে চাপা ব্যথা, এবং চাপ অনুভব করা; হাত, কাধ, ঘাড়, চোয়াল ইত্যাদি ব্যথা করা; ঘন ঘন শ্বাস নেয়া; ঠাণ্ডা ঘাম হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ দেখলে আমরা হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে বলে ধরে নিই। তবে হার্ট অ্যাটাক হলে হার্ট একেবারেই বিট করা বন্ধ করে দেয় না।
- পারিবাড়ে হার্টের রোগী থাকলে, উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা হলে, ডায়াবেটিস, অনেক বেশী ওজন, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস রয়েছে যাদের তারা অনেক বেশী হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে থাকেন।
স্ট্রোক:
হার্ট অ্যাটাক...

Read More
Health Image +

নিজের দেহ সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানলে অবাক হবেন আপনিও

আপনার নিজের দেহ সম্পর্কে আপনি ঠিক কতোটা জানেন? যদি আপনি মনে করে থাকেন সব অনেক কিছুই জানেন তাহলে ভুল বুঝছেন। কারণ প্রতিবারই বিজ্ঞানীদের নতুন গবেষণার মাধ্যমে দেহ সম্পর্কে এমন সব তথ্য বেড়িয়ে আসছে যা সত্যিই বিস্ময়কর। কারো ধারণাই হতে পারে না শুধুমাত্র রক্তমাংসের তৈরি এই দেহে এতো ধরণের সূক্ষ্ম কার্যকলাপ ঘটে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত। আজকে এমনই কিছু বিস্ময়কর তথ্য আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতেই আমাদের ফিচার। চলুন জেনে নেয়া যাক মানবদেহ সম্পর্কিত অবিশ্বাস্য কিছু তথ্য।
১) চুল পড়া নিয়ে চিন্তিত থাকেন সবসময়? তাহলে জেনে রাখুন একজন পুরুষের দিনে গড়ে ৪০ টি এবং নারীদের ৭০ টি।
২) রক্ত লবণাক্ত তা আমরা সকলেই জানি, কিন্তু ঠিক কতোটা তা জানেন কি? আপনার দেহের রক্তে যতোটা লবণ রয়েছে ঠিক ততোটাই লবণ রয়েছে একটি মহাসাগরে।
৩) উচ্চতা নিয়ে কি অনেক দ্বিধায় রয়েছেন? তাহলে জেনে রাখুন মজার একটি তথ্য। আপনি জানেন কি, সকালের তুলনায় রাতে আপনার উচ্চতা কম থাকে?
৪) প্রতিদিন আপনার হৃদপিণ্ড আপনার দেহে প্রায় ১,০০০ বার রক্ত সঞ্চালন করে থাকে।
৫) চোখের পাপড়ি পড়ে গেলে ভয় পাবেন না। একটি চোখের পাপড়ির আয়ুষ্কাল মাত্র ১৫০ দিন। এরপর তা আপনাআপনিই ঝরে পড়ে যায়।
৬) আপনার ভ্রুতে কটা চুল রয়েছে তা জানেন কি? গড়ে একজন মানুষের ভ্রুতে চুল থাকে ৫০০ টির মতো।
৭) গড়ে একজন মানুষের দেহে প্রায় ১০০ বিলিয়ন নার্ভ সেল রয়েছে।
৮) কংক্রিট বেশ শক্ত তাই না? তাহলে নিজের হাড় নিয়ে গর্ববোধ করুন, কারণ আপনার হাড় কংক্রিটের চাইতে প্রায় ৪ গুন শক্ত।
৯) আপনার হাঁটুর যে বাটিটি দেখতে পান এবং অনুভব করেন তা কিন্তু জন্ম থেকেই ছিল না। ২-৬ বছর বয়সের মধ্যে হাঁটুর এই চাকতিটি হয়।
১০) নিজের শিশুটির বেড়ে...

Read More