Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

ধূমপানের চাইতেও ভয়ংকর আগরবাতির ধোঁয়া



এশিয়ার বিভিন্ন মন্দির-মসজিদ থেকে শুরু করে ইউরোপের হিপ্পি আড্ডা পর্যন্ত পৃথিবীজুড়ে জ্বালানো হয় আগরবাতি। কিন্তু মিষ্টি সৌরভের এই ধোঁয়া যে ধূমপানের চাইতেও ভয়ংকর ক্ষতি করে চলেছে আপনার শরীর জুড়ে, তা কী জানেন আপনি?

আমাদের সাধারণ ধারণা, শুধুমাত্র সিগারেটের ধোঁয়াই আমাদের জন্য ক্ষতিকর। এই ধারনাটা কিন্তু ভুল। আগরবাতির সুবাসিত ধোঁয়া আমরা পছন্দ করলেও এরও আছে মারাত্মক অপকারিতা। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর ক্ষতির পরিমাণ সিগারেটের ধোয়ার চাইতেও বেশি।

একটি গবেষণায় দেখা যায়, আগরবাতি বা ধূপের এই ধোঁয়া সিগারেটের ধোয়ার চাইতে বেশি মিউটাজেনিক, জেনোটক্সিক এবং সাইটোটক্সিক। এই ভারী ভারী কথাগুলোর অর্থ হলো, ধূপের ধোঁয়া শরীরের কোষে জেনেটিক মিউটেশন ঘটাতে পারে এবং কোষের ডিএনএতে এমন সব পরিবর্তন আনতে পারে যা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেক গুণ।

এই গবেষণার তথ্যের আলোকে, যাদের ফুসফুসে কোনো রোগ আছে বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তাদের আগরবাতি না জ্বালানোই ভালো। শুধু তাই নয়, ছোট শিশু এবং হবু পিতামাতারও এই ধোঁয়া থেকে দূরে থাকা উচিৎ। যে কোনো ধরণের ধোঁয়াই শিশুদের ফুসফুস গঠনের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলে। রান্নার ধোঁয়াও বিশ্বজুড়ে মানুষের ফুসফুসের বিভিন্ন রোগের জন্য দায়ী।

কিন্তু আগরবাতির ধোঁয়া সিগারেটের চাইতে ক্ষতিকর কেন হবে? এতে তো নিকোটিন নেই, তাই না? সাধারণত কাঠির ওপর বিভিন্ন সুগন্ধি এসেনশিয়াল অয়েল এবং কাঠের গুঁড়োর প্রলেপ দিয়ে তৈরি করা হয় আগরবাতি। একে যখন পোড়ানো হয় তখন বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে ক্ষতিকর বিভিন্ন কণা। এগুলো নিঃশ্বাসের সাথে ফুসফুসে গেলে তৈরি করতে পারে প্রদাহ। এখন পর্যন্ত বায়ুদূষণের সাথে আগরবাতির সম্পর্ক নিয়ে তেমন গবেষণা হয়নি। তবে লাং ক্যান্সার, শিশুদের লিউকেমিয়া এবং ব্রেইন টিউমারের সাথে এর সম্পর্ক পাওয়া গেছে।