Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

ফুসফুস ক্যানসারের আট লক্ষণ



অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণগুলো বোঝা যায় না। রোগ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর লক্ষণগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠে। অনেকের ক্ষেত্রে পর্যায়-৩ এ চলে যাওয়ার পর হয়তো ধরা পড়ে।

তবে কিছু লক্ষণ রয়েছে যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। হেলদি ফুড টিম জানিয়েছে ফুসফুসে ক্যানসারের কিছু লক্ষণের কথা।

১. কফ, যেটা যাচ্ছে না –
কফ যদি দীর্ঘদিন থাকে তবে সতর্ক হোন। যদি শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে কফ এক-দুই সপ্তাহের বেশি থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা ফুসফুস ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

২. কফে পরিবর্তন –
যদি আপনি ধূমপায়ী হোন, তবে দীর্ঘস্থায়ী কফে কিছু পরিবর্তন দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। যেমন : কাশি কর্কশ শোনালে, গম্ভীর শব্দ হলে, কফের সাথে বেশি শ্লেষ্মা ও রক্ত গেলে-এই লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান।

৩. শ্বাসে ছোট হওয়া –
শ্বাস-প্রশ্বাস ছোট হওয়া ফুসফুসে ক্যানসারের একটি লক্ষণ। এটা শ্বাসপথ বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসের পথ সরু হওয়ার কারণে হতে পারে। তাই এমন হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৪. বুকে ব্যথা –
পিঠে, বুকে এবং কাধে ব্যথা ফুসফুস ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে; যা কফের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অস্বাভাবিক কফ ও ব্যথা লক্ষ করলে হেলাফেলা করবেন না।

৫. শ্বাসে যদি হুইসেলের মতো শব্দ হয় –
শ্বাসপ্রশ্বাসের পথে ব্লক হলে, পথ সরু হয়ে গেলে শ্বাস প্রশ্বাসের শব্দ হুইসেলের মতো শোনায়। তবে এটি অন্যান্য অনেক শারীরিক সমস্যার কারণেও হতে পারে। এটা ফুসফুসের ক্যানসারেরও একটি লক্ষণ। অ্যাজমার হোক বা অ্যালার্জির কারণে হোক- এটি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

৬. ফেঁসফেঁসে গলা –
কণ্ঠস্বর কর্কশ বা ফেঁসফেঁসে হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। এই লক্ষণ সাধারণত কাশি বা কফের সময় হয়। তবে এটা যদি দুই সপ্তাহের বেশি হয় তবে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ফুসফুসের টিউমার কণ্ঠস্বরের স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেললে এই সমস্যা হয়।

৭. হঠাৎ ওজন কমে গেলে –
অন্য ক্যানসারের মতো এই ক্যানসারেও হঠাৎ করে ওজন কমে যায়। যদি অস্বাভাবিকভাবে আপনার ১০ পাউন্ডের বেশি ওজন কমে যায় তাহলে সতর্ক হোন।

৮. মাথাব্যথা –
ফুসফুসের ক্যানসার কখনো কখনো মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে এবং মাথা ব্যথা তৈরি করে। তবে অন্যান্য কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে। যাই হোক সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।