ওয়্যারলেস অ্যালার্জি সম্পর্কে অনেকের ধারণা না থাকলেও বর্তমানে তা ব্যস্ত নাগরিক জীবনের একটি বিড়ম্বনা হিসেবে দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মূলত ওয়াইফাই ইন্টারনেট, তারবিহীন যোগাযোগের যন্ত্রপাতি ও আধুনিক বিভিন্ন গ্যাজেটের কারণে এ অ্যালার্জি হয়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে আইএএনএস।
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক হাইপারসেনসিটিভিটি (ইএইচএস) বা ওয়্যারলেস অ্যালার্জি থেকে মাথাব্যথা ও প্রচণ্ড অবসাদের মতো সমস্যা হয়। তবে বিভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে এ প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন ধরনের হয়। অতিরিক্ত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের মাঝে থাকলে এ ধরনের অ্যালার্জি বেশি হয়।
ওয়াইফাই সিগন্যাল ছাড়াও মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত সিগন্যাল, ওয়াইফাই সংযুক্ত যন্ত্রপাতি যেমন, মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ ও অন্য গ্যাজেটের সমাহার বেশি হলে এ অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবা বাড়ে।
কিছুদিন আগে ফরাসী একটি আদালতে ৩৯ বছর বয়সী এক নারী অভিযোগ করেন, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কারণে তার মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে।
এরপর তাকে ওয়াইফাই ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন থেকে দূরে একটি এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়।
তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এ অ্যালার্জির বিষয়টিকে মারাত্মক কোনো সমস্যা বলে মনে করেন না। যদিও এর অস্তিত্ব অস্বীকার করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশনের কোনো নির্ধারিত মাত্রা এখনো নিরূপিত হয়নি। তবে বিষয়টির অস্তিত্ব যে রয়েছে, তা স্বীকার করেছে সংস্থাটি। এছাড়া এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যগত হুমকি সৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।