Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

পেটে গ্যাসের সমস্যা থেকে দূরে থাকুন খুব সহজ ১০ টি কাজে



হজমের সমস্যার কারনে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হয় এবং পেট ফুলে থাকে। এই সমস্যাটা এখন প্রায় বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই সাধারণ ঘটনা। আমাদের ত্রুটিপূর্ণ জীবনযাপনের এবং খাদ্যাভ্যাসের কারনে বদহজম বা পেটে গ্যাস হওয়ার মতো পেটের বেশির ভাগ সমস্যা হয়ে থাকে। তবে মাঝে মাঝে কোন খাবারের অ্যালার্জির কারনেও এই সমস্যা হতে পারে।

অনেকের ডাল, শিমবীজ, বিচি জাতীয় খাবারে, সিরিয়াল, আঁশ জাতীয় খাবার, ডিম, মাংস ইত্যাদি খাবারে পেটে গ্যাস হওয়ার সমস্যা হতে পারে। তাই এই ক্ষেত্রে যাদের সমস্যা হয় তাদের খুঁজে বের করতে হবে নির্দিষ্ট কোন খাবারগুলোতে এই সমস্যা হয় কি না । তখন চেষ্টা করে দেখতে হবে যে সেই খাবারগুলোই একটু অন্য ভাবে রান্না করে, বা অন্য কোন উপকরণ মিশিয়ে একটু বেশি সময় নিয়ে রান্না করে খেলে হজম ভালো ভাবে হয় কিনা।যেমন কারো যদি দুধে অ্যালার্জি থাকে তাহলে দুধের সাথে ওটস বা সামান্য ডার্ক চকলেট মিশিয়ে নিয়ে অ্যালার্জির সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
বদহজম ও পেট ফুলে থাকার সমস্যার কারনে অস্বস্তিও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। কারন এই সমস্যার জন্য প্রতিবার খাবার পরেই গ্যাসের কারণে পেট ফুলে থাকে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সহজ ও দ্রুত কিছু উপায় জানা থাকা উচিত।

এখানে কিছু সাধারন পরামর্শ দেয়া হলে যা খাবার ভালো ভাবে হজম হতে সাহায্য করার পাশাপাশি পেটের গ্যাস ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত করে পেটের ব্যাথাও দূর করবে।

ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেতে হবে
পেট ফুলে থাকা বা গ্যাসের সমস্যা সাধারণত হয়ে থাকে খাবার ভালো ভাবে হজম না হওয়ার কারনে। ভালো করে চিবিয়ে খাবার খেলে তা সহজে হজম হয়।কারন খাবার হজমের প্রথম ধাপ শুরু হয় চর্বণ প্রক্রিয়ায় খাবার ভেঙ্গে লালার সাথে মিশে যাওয়ার মাধ্যমে।

খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে কিনা লক্ষ্য করা
কোন খাবারে যদি অ্যালার্জি থাকে তবে সেটার কারনে পেট ফোলা বা বদহজম হতে পারে। সে ক্ষেত্রে খাবারগুলো খুঁজে বের করে সেগুলো বাদ দিতে হবে। অনেক সময় কিছু কিছু মানুষের দুধের কারনে অ্যালার্জি হয় যাকে বলে ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স। এর ফলে তারা দুধে থাকা ল্যাক্টোজ সুগার হজম করতে পারে না।

ধীর গতিতে খাবার গ্রহন
পেটে গ্যাস হওয়া কমাতে চাইলে ধীরে খাবার খান। কারন যখন খুব দ্রুত খাবার খাওয়া হয় তখন খাবারের সাথে কিছু বাতাসও পেটে ঢুকে যায় এবং ফোলা ভাবের সৃষ্টি করে।

কম খাবার বার বার খান
পেটে গ্যাস হওয়ার সমস্যা থাকলে ৩ বেলা বেশি করে খাবার পরিবর্তে কম সময়ের বিরতি দিয়ে কম খাবার বার বার খান।এভাবে খেলে খাবার সঠিক ভাবে হজম হবে এবং গ্যাস হওয়ার সমস্যা কমবে।

পেটে ম্যাসেজ করুন
পেটে ম্যাসেজ করলে তা পেটের গ্যাস দূর করতে সাহায্য করে। খুব আলতো ভাবে গোল করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে পেটে ম্যাসেজ করলে তা পেটে আঁটকে থাকা গ্যাস বের হতে সাহায্য করে।

পুদিনা পাতার চা পান করুন
পুদিনা পাতাতে থাকা মেন্থল পাকস্থলীকে প্রশমিত করে।পুদিনা পাতা হজমে এবং পেটের গ্যাস দূর করতেও সাহায্য করে। তাই খাবার পর এক কাপ পুদিনা চা খেলে তা পেট ফোলা ভাব কমায়।

এলাচ
কিছু এলাচ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেলে পেটের গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে এবং তা হজমের জন্য ঔষধ হিসেবে কাজ করে। যদি হঠাৎ বেশি খাওয়া হয়ে যায় তা হজম করতেও এলাচ ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

কার্বনেটেড ড্রিংকস বর্জন করুন
এসব পানীয়তে কার্বন ডাই অক্সাইড থাকার কারনেই বুদবুদের সৃষ্টি হয় আর এগুলো খেলে পেটে আটকে থেকে পেট ফুলে যায় এবং গ্যাসের সৃষ্টি হয়। তাই সব সময় চেষ্টা করতে হবে এইসব চিনি জাতীয় ও কার্বনেটেড পানীয় গুলো না খেয়ে শুধু পানি পান করার।

পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে
বেশি করে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে যেমন পালং শাক, কলা, বাদাম ইত্যাদি। কারন পটাশিয়াম দেহের তরলের ভারসাম্যতা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ফলে তা পাকস্থলীর অতিরিক্ত তরলের জন্য ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

পেটের গ্যাস বের করে দিতে হবে
পেটের গ্যাস জমে থাকলে তা পেট ফুলে থাকে এবং ব্যাথা করে। তাই কিছুক্ষণ হেঁটে বা হালকা ব্যায়াম করে গ্যাস বের করার ব্যবস্থা করতে হবে তা নাহলে এর কারনে অস্বস্তির সৃষ্টি হতে পারে।