Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

হলুদের ৫ টি ঔষধি ব্যবহার

আমরা রান্নায় যে হলুদের গুঁড়া ব্যবহার করি তা পেতে প্রথমে হলুদ গাছের শিকড়কে কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করতে হয়। তারপর সেদ্ধ হলুদ শুকিয়ে শিকড়কে চূর্ণ করে গাঢ় হলুদ বর্ণের গুঁড়া পাওয়া যায়। তবে যুগ যুগ ধরে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে নানা রোগের ঔষধ হিসেবে। চীনারা হলুদকে ভাবে একটা হার্বাল পণ্য হিসেবে।

রূপের যত্নে যে হলুদ অনন্য সে কথা আমরা জানি। কিন্তু হলুদ যে রোগের ঔষধ সেটা কি জানি? হলুদের অসংখ্য স্বাস্থ্য-উপকারী ঔষধী কার্যকারিতা রয়েছে। হলুদ এ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। জেনে নিন কাঁচা হলুদের পাঁচটি ঔষধি ব্যবহার। এতে ঘরেই নিতে পারেন কিছুটা স্বাস্থ্যসেবা।
১। ক্ষত সারাতে:
সাধারণ কাটাছেঁড়ায় হলুদ এন্টিসেপটিক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। ক্ষত দ্রুত সারাতে বাটা হলুদে উষ্ণ পানি মিশিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিন। দ্রুত সেরে উঠবে।
২। দাগ দূর করতে:
রোদে পোড়া দাগ, বয়সের বলিরেখা, ত্বকের ছোপ ছোপ কালো দাগ দূর করতে কাঁচা হলুদের সাথে সামান্য পরিমান শসার রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন পনেরো-বিশ মিনিট। কিছুদিনের মাঝেই দাগ দূর হবে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়বে।
৩। সর্দি-কাশিতে:
সর্দি-কাশিতে হলুদ খুব উপকারী। এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে বাটা হলুদ, সামান্য মাখন এবং গোলমরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন। কাশিতো দূর হবেই, গলা ব্যথা থাকলেও সেরে যাবে।
৪। অন্ত্রের রোগ সারাতে:
অন্ত্রের রোগে হলুদ মহৌষধ। অন্ত্রের রোগ থেকে মুক্তি পেতে এক চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদের রস পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন খান। অন্ত্রের রোগ সেরে যাবে। আবার ডায়রিয়া সারাতেও হলুদ অনন্য।
৫। রক্ত পরিষ্কার করতে:
হলুদ দেহের রক্ত পরিষ্কার করে বিশ্বাস করে আর্য়ুবেদ শাস্ত্র। রক্তের ঘাটতি বা রক্ত শুন্যতা দেখা দিলে হলুদ বাটা খেলে উপকার পাওয়া যাবে। হলুদ রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে।...

Read More
Health Image +

দেশে টিকাদান কর্মসূচিতে নিউমোনিয়ার টিকাও দেওয়া হবে শিশুদের

দেশে টিকাদান কর্মসূচিতে নিউমোনিয়া টিকা ও পোলিও ইনজেকশন যুক্ত হতে যাচ্ছে। চলতি বছর থেকে টিকাদান কর্মসূচিতে নিউমোনিয়া প্রতিষেধক নিউমোকক্কাল টিকা ও পোলিওর জন্য মুখে খাওয়ানোর টিকার পরিবর্তে ইনজেকশন দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ রাজধানীর শিশু হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
দেশে পাঁচ বছরের নিচে শিশুমৃত্যুর এক-পঞ্চমাংশের কারণ মিউমোনিয়া। এ রোগের টিকার বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের পরিকল্পনায় ছিল। শিশুমৃত্যুর হার কমানোর জন্য সরকার ১৯৭৯ সাল থেকে যক্ষ্মা, পোলিও, ডিপথেরিয়া, হুপিং কাশি, টিটেনাস ও হামের টিকা দেওয়া শুরু করে।
বর্তমানে সম্প্রসারিত জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির আওতায় এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ৯টি রোগের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগে নিয়ম মাফিক সব টিকা নেওয়া শিশুর হার বর্তমানে ৮৫ শতাংশ। এই সাফল্যের ফলে আরও পাঁচটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার নিয়মিত সময়ের আগেই।
শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পেরেছে। নিয়মিত টিকাদানের ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ দু’বার গ্যাভি বেস্ট পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে।

Read More
Health Image +

যে ৫ ধরণের শারীরিক ব্যথা অবহেলা করা হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ!

আমাদের অনেকেই কমবেশি একটি বদঅভ্যাস রয়েছে। আর তা হচ্ছে, শারীরিক সমস্যা একেবারে মারাত্মক পর্যায়ে না গেলে আমরা অবহেলাই করতে থাকি। মাথাব্যথা হচ্ছে প্রচন্ড, আমরা ডাক্তার না দেখিয়েই নিজের মতো করে একটি ব্যথানাশক ঔষধ খেয়ে ফেলি। একেবারেই পাত্তা দিই না ছোটোখাটো অনেক ব্যথা।
কিন্তু এই অবহেলার কারণে হয়তো রোগটি ধীরে ধীরে শরীরের অনেক বেশি ক্ষতি করছে, অথবা ছড়িয়ে পড়ছে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যা আমরা একেবারেই বুঝতে পারছি না। তাই কিছু ধরণের শারীরিক ব্যথা অবহেলা না করাই ভালো। কারণ অবহেলার কারণে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন আপনি।
১) বুকে ব্যথা
বুকে ব্যথা হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অনেকের ভিন্ন মতামত দেখা যায়। অনেকে ভাবেন গ্যাসের কারণে বুকে ব্যথা হচ্ছে। আবার অনেকের মতে বুকে পিঠে ভারী কিছু চেপে বসে থাকার সমস্যা অতিরিক্ত মানসিক চাপের কারণে হয়।
হ্যাঁ, বিষয়গুলো সত্যি, কিন্তু যদি বুকে ব্যথার সাথে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া, ছোটো ছোটো শ্বাস নেয়া এবং অনেকটা সময় বুকে ব্যথা দূর না হওয়ার বিষয়টি অবহেলা করবেন না। এগুলো হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে। দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।
২) অতিরিক্ত মাথাব্যথা
অনেকেই ভাবেন ঘুম কম হওয়া, রোদে ঘোরা এবং মাইগ্রেনের কারণেই মাথাব্যথার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু খুব হুট করে অস্বাভাবিক মাথাব্যথা হতে পারে অ্যানিউরিজমের লক্ষণ যা স্ট্রোকের কারণে হয়। এছাড়াও সকালের ঘুম থেকে উঠার পর মাথাব্যথা শুরু হওয়া ব্রেইন টিউমারের লক্ষণ। সুতরাং সাবধান থাকুন, সতর্ক থাকুন।
৩) তলপেটে ব্যথা ও গ্যাস হওয়া
যদি প্রায় ২-৩ সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে তলপেটে ব্যথা এবং সেই সাথে পেটে গ্যাস হওয়া, খাবার খেতে না পারার সমস্যা থাকে তাহলে সাবধান হয়ে যান। ২০০৭ সালে দ্য গাইনোকোলজিক ক্যান্সার ফাউন্ডেশন তাদের গবেষণায় প্রকাশ করেন এই ধরণের...

Read More
Health Image +

দেশে বেড়েছে এইচআইভি আক্রান্তের রোগীর সংখ্যা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জানিয়েছেন, সরকারি হিসেবে দেশে বর্তমানে এইচআইভি চিহ্নিত তিন হাজার ৬৭৪ জন। তবে ঝূঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৩০০ জন। সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
সামশুল হক চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে এইচআইভি চিহ্নিত ব্যক্তির সংখ্যা ৩ হাজার ৬৭৪ জন। এ ছাড়া ঝূঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ১৪ হাজার ৩০০ জন। জাতীয় এইডস/এসটিডি কর্মসূচির মাধ্যমে ঝূঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে ৪৭টি সেবা কেন্দ্রের (ড্রপ ইন সেন্টার) মাধ্যমে ২৭ জেলায় সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সেবা প্রধান করা হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, এই কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আওতায় এইডস প্রতিরোধে একটি স্থায়ী প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গঠন করা হয়েছে। এইচআইভি টেস্টের জন্য ২০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে শুরু হতে যাচ্ছে। এরমধ্যে ৫টি মেডিকেল কলেজসহ ১১টি সরকারি কাঠামোর মধ্যে।

Read More
Health Image +

জ্বর হলে যে সব খাবার খাবেন

সময়টা গ্রীষ্মকাল হলেও, বেশ কিছুদিন ধরে ‍আবহাওয়ার তারতম্য দেখা দিচ্ছে। এই ভীষণ গরম আবার এই নামছে ঝুমঝুম বৃষ্টি, সেইসঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। আবহাওয়ার এ তারতম্যের কারণে এসময় ঠাণ্ডা-কাশি ও গলাব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমন অবস্থায় অনেকের জ্বরও হয়। আর জ্বর মানেই খাওয়ায় অরুচি।
প্রিয় খাবারও জ্বরের সময় পানসে লাগে। জ্বর বেশি হলে হজম ক্ষমতা কমে যায় ও শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তবে দ্রুত সুস্থতার জন্য এসময় সঠিক খাদ্যতালিকা মেনে চলা প্রয়োজন। জ্বরের সময় উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার, ভিটামিন সি ও প্রচুর পানি ও পানিজাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন। দেখে নিন ভালো করে, পরে কাজে দেবে।
রুটি
গমের রুটি সহজপাচ্য। তাই জ্বর হলে সকাল ও রাতের খাবারে হাতে গড়া গমের রুটি রাখতে পারেন। তবে রুটিতে তেল বা ঘি ব্যবহার না করাই ভালো।
পানিজাতীয় সবজি
জ্বরের সময় শরীরে পানির চাহিদা পূরণে প্রচুর পরিমাণে পানি জাতীয় সবজি খাওয়া উচিত। যেমন- মিষ্টি কুমড়া, লাউ, টমেটো, বাঁধাকপি, গাজর ও শসা। এসব সবজি শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে সুস্থতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।
স্যুপ
বেশিরভাগ সময় ঠাণ্ডা থেকেই জ্বর হয়। জ্বরে আরাম পেতে দু’বেলা টমেটো বা গাজরের স্যুপ খেতে পারেন। স্যুপ শরীরের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে।
আপেল
জ্বরের সময় প্রতিদিন অন্তত একটি আপেল খাওয়া উচিত। আপেল শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে। এছ‍াড়াও এটি ভাইরাল ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে।
জুস
জ্বরের সময় প্রচুর পানি করা প্রয়োজন। পানির পাশাপাশি বিভিন্ন মৌসুমী ফলের জুসও খেতে পারেন। এসময় লেবু কমলা ও মালটার জুস খেলে দ্রুত মুখে রুচি ফিরে আসবে।
ভেষজ চা
তুলসি, আদা, লেবু ও লবঙ্গ চা খেতে পারেন। পানিতে আট থেকে ১০ মিনিট আদা ও লবঙ্গ সেদ্ধ করুন। এবার কাপে তুলসি পাতা রেখে লেবুর রস দিন। উপর...

Read More
Health Image +

৫টি সাধারণ কাজের মাধ্যমে দাঁতের শিরশিরে ব্যথা দূর করার টিপস

ঠাণ্ডা বা গরম জাতীয় কিছু খেতে ফেলে দাঁতে যে শিরশিরে ধরণের অনুভুতি এবং তীব্র ব্যথার সৃষ্টি হয় একেই বলা হয় টুথ সেনসিটিভিটি। বিভিন্ন কারণে দাঁতের উপরের প্রতিরক্ষা এনামেলের স্তর ক্ষয়ে যাওয়ার কারণে দাঁতের সেনসিটিভ অংশ উন্মুক্ত হয় পড়ে।
এতে করে ঠাণ্ডা বা গরম খাবার খাওয়ার সময় নার্ভে শিরশিরে অনুভুতি ও ব্যথার সৃষ্টি করে যা অনেক বেশি অস্বস্তিকর ও যন্ত্রণাদায়ক। আজকে জেনে নিন এই ধরণের যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী কিছু টিপস।
১) অ্যাসিডিক খাবার এবং পানীয় থেকে দূরে থাকুন
অ্যাসিডিক খাবার এবং পানীয়ের অ্যাসিড উপাদান দাঁতের উপরের এনামেলের স্তর ক্ষয় করতে থাকে। ফলে দাঁতের এই ঠাণ্ডা গরমে শিরশিরে যন্ত্রণাদায়ক ব্যথা বাড়ে। তাই অ্যাসিডিক খাবার যেমন লেবু ও লেবু জাতীয় ফল, পানীয় ইত্যাদি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এবং স্বাভাবিক খাবার খাওর আধা থেকে ১ ঘণ্টা পর দাঁত ব্রাশ করুন।
২) সেনসিটিভ দাঁতের জন্য উপযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন
বাজারে সেনসিটিভ দাঁতের জন্য আলাদা ধরণের টুথপেস্ট কিনতে পাওয়া যায় যা দাঁতের উপরে প্রতিরক্ষা স্তর তৈরি করে এবং দাঁতের এই ধরণের সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। আপনার স্বাদের জন্য উপযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
৩) দাঁত ব্রাশে পরিবর্তন আনুন
অনেকেই দাঁত অনেক বেশি ঘষে ব্রাশ করেন এবং ব্রাশ নির্বাচনের সময় শক্ত ব্রিসল কেনেন। এই কাজটি দাঁতের জন্য বেশ ক্ষতিকর। বেশি শক্ত ব্রিসলের ব্রাশ এবং জোরে ঘষে ব্রাশ করার কারণে দাঁতের উপরের এনামেলের ক্ষয় হতে পারে। তাই সতর্ক থাকুন।
৪) দাঁতে দাঁত ঘষার অভ্যাস পরিহার করুন
অনেকেই কারণে অকারণে এবং ঘুমের মধ্যে অভ্যাসবশত দাঁতে দাঁত ঘষার মতো ক্ষতিকর কাজ করেন। এর ফলেও দাঁতের উপরের এনামেলের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দাঁতের শিরশিরে ব্যথার সৃষ্টি হয়। তাই এই অভ্যাস পরিবর্তন...

Read More
Health Image +

১২টি সহজলভ্য ভেষজ চিকিৎসা

অসুখ বিসুখ তো প্রত্যেকদিন লেগে আছে কারো না কারো। সেই সাথে লেগে আছে কেটে- ছিলে যাওয়া, পুড়ে যাওয়ার মতন নানান রকম দুর্ঘটনা। সব কিছুর ক্ষেত্রে কি আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায়? অনেক অসুখ বিসুখ আছে, যাদের চিকিৎসা শতভাগ ঘরোয়া ভাবেই সম্ভব।
একটা জিনিস ভাবুন তো, পুরানো আমলে তো চিকিৎসা ব্যবস্থা এত উন্নত ছিল না। তখন মানুষ কি দিয়ে চিকিৎসা করতেন নিজেদের? হ্যাঁ, তখন চিকিৎসা হতো ভেষজ বা হারবাল উপায়ে। এই ভেষজ চিকিৎসা একদিকে যেমন নিরাপদ, তেমনই সহজলভ্য আর নিরাময় ক্ষমতা সম্পন্ন। আসুন, জেনে নেই কয়েকটি সহজ ভেষজ চিকিৎসা সম্পর্কে।
১) দাঁত ব্যথা করছে খুব? একটি পেয়ারার পাতা নিয়ে ভালো করে চিবাতে থাকুন। চিবিয়ে রস বের করে নিন। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা উপশম হয়।
২) শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে হবে রোজ কমপক্ষে একবার। নিয়মিত সেবনে কষ্ট নিরাময় হবে।
৩) পেট ফাঁপা কেবল বাচ্চাদের নয়, বড়দেরও অসুখ। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হবে।
৪) অনেকেরই গায়ে প্রচণ্ড ঘামের দুর্গন্ধ হয়। গা না হলেও পায়ে তো হয়য়ই। বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থান মুছুন কয়েকদিন। নিরাময় হবে।
৫) ঠোঁটের দু’পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মত হয়। গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
৬) পেটে কৃমির সমস্যা খুব যন্ত্রণাদায়ক। বাচ্চাদের জন্য তো অবশ্যই। তেঁতুল পাতার রস সামান্য পানিতে মিশিয়ে খেলে কৃমির সমস্যা দূর হয়। পেটের কৃমি দূর করতে প্রতিদিন সকালে নাস্তার পর এক চামচ নারকেল খেতে পারেন। এতে পেটের কৃমি দূর হয়ে যাবে।
৭)...

Read More
Health Image +

কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণ এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা

কিডনি ইনফেকশন মানবদেহের মারাত্মক রোগগুলোর মধ্যে একটি। কিডনি ইনফেকশন ধরণের সমস্যাকে মূলত নীরব ঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ খুব সমস্যা না হওয়া পর্যন্ত কিডনি ইনফেকশনের সমস্যা ঠিকমতো বুঝে উঠা যায় না। যার কারণে চিকিৎসা পিছিয়ে পড়ে অনেকাংশেই।
এতে করে রোগীর মৃত্যুর আশংকা বাড়তে থাকে। তাই জেনে রাখা ভালো কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ, যাতে চিকিৎসায় খুব বেশি দেরি না হয়ে যায়।
কিডনি ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ-
১) অতিরিক্ত তাপমাত্রায় জ্বর হওয়া
২) জ্বরের সাথে নিয়ন্ত্রনবিহীন কাঁপুনি হওয়া
৩) বমি ভাব, বমি হওয়া এবং ডায়রিয়া
৪) ক্ষুধা মন্দা ভাব আসা
৫) অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব হওয়া
৬) পিঠের নিচের অংশের একদিকে ও কুঁচকিতে ব্যথা হওয়া
৭) ঘন ঘন প্রস্রাব
৮) প্রস্রাবের সময় জ্বলুনি ও জ্বালাপোড়া করা
৯) ঘোলাটে ধরণের প্রস্রাব হওয়া
১০) প্রস্রাবের সাথে রক্ত যাওয়া
লক্ষণগুলো দেখা দেয়া মাত্রই যতো দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত।
জেনে নিন ৩ টি কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা
রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা করার চাইতে, আগে নিজেকে রোগে আক্রান্ত ও মারাত্মক রোগাক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করা অর্থাৎ প্রতিরোধ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। তাই জেনে নিন কিডনি ইনফেকশন প্রতিরোধের ঘরোয়া ৩ টি কার্যকরী প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
১) বেকিং সোডা
বেকিং সোডা আমাদের ইউরিনারি ট্র্যাক্ট অর্থাৎ মূত্রনালির অ্যালকালাইনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন নিয়মিত ১ গ্লাস পানিতে ১ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে পান করলে কিডনি ইনফেকশনের সমস্যা দূর করা সম্ভব।
২) রসুন
প্রতিদিন ২-৩ কোয়া কাঁচা রসুন খাওয়ার অভ্যাস কিডনি ইনফেকশন দূরে রাখে। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান কিডনির সুস্ততায় দারুণ কার্যকরী।
৩) অ্যালোভেরা জুস
অ্যালোভেরা অর্থাৎ ঘৃতকুমারীর জুস নানা সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। অ্যালোভেরার জুস কিডনির ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে। তাই...

Read More
Health Image +

হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি খাটো মানুষের

নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে বিশ্বব্যাপী খাটো বা বেটে মানুষ সবচেয়ে বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। ধমনীতে পানি জমার মাধ্যমে মানুষ হৃদরোগের ঝুঁকিতে পড়ে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এ গবেষণা করে।
গবেষণায় বলা হয়, সাধারণত পুষ্টির অভাবে মানুষ খাটো বা বেটে হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে দরিদ্র জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। গবেষকরা ২ লক্ষ মানুষের ১৮০ প্রকারের জেনেটিক্সের উপর গবেষণা ওই গবেষণা চালায়।ওই ২ লক্ষ মানুষের মধ্যে করোনারি হৃদরোগে আক্রন্তের পাশাপাশি করোনারি হৃদরোগে আক্রান্ত নয় এমন লোকও ছিল।
বর্তমান বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর এক সাধারণ কারণ হলে হৃদরোগ। বিশ্বে প্রতি ৬ জন পুরুষের মধ্যে ১ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে। নারীদের ক্ষেত্রে এ হার প্রতি ১০ জনে ১ জন। গবেষণায় বলা হয়, প্রতি ২.৫ ইঞ্চি ব্যবধানে হৃদরোগের ঝুঁকি ১৩.৫ শতাংশ। ৫ ফুট লম্বা একজন মানুষের হৃদরোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা শতকরা ৩২ ভাগ।
এই উচ্চতার মানুষ সবচেয়ে বেশি হৃদরোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। যাদের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি বা তার উপরে তাদের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি ৩২ শতাংশের কম। গবেষণা আরও বলা হয়, জিনগত কারণে বেটে বা খাটো মানুষের ক্ষেত্রে এ ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।

Read More