Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

যেসব কারণে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে আপনার লিভারের

লিভার আমাদের শরীরের একটি অত্যন্ত জরুরি অঙ্গ। শরীরের কার্যপ্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখার জন্য, খাবার হজম এবং রক্তের বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান পরিশোধন করার গুরুত্বপূর্ণ কাজটি সাধারণত লিভার করে থাকে।
আর তাই শরীরের এই বিশেষ অঙ্গের দরকার বিশেষ যত্ন। কিন্তু প্রতিনিয়ত আমাদেরই কিছু ভুলের কারণে ক্ষতি হচ্ছে আমাদের লিভারের। জেনে নিন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে যেগুলো আপনার লিভারের ক্ষতি করছে প্রতিনিয়ত।
সকালে ঘুম থেকে উঠে মূত্রত্যাগ না করা
অনেকেই সকালের ঘুম নষ্ট হওয়ার ভয়ে মূত্রচাপ থাকলেও সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে মূত্রত্যাগ করেন না। আবার অনেকেই রাতের বেলা এতো কম পানি খান যে সকালে মূত্রচাপ থাকে না। সকালে একবারও মূত্রত্যাগ না করেই নাস্তা খেয়ে নেন। সকালে মূত্রত্যাগ না করার অভ্যাসের কারণে লিভারের ক্ষতি হয়।
ধূমপান / মদ্যপান
যারা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাদের লিভার বেশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। ধূমপান করলে সিগারেটের ক্ষতিকর উপাদান গুলো লিভারের ক্ষতি করে। এছাড়াও যাদের মদ্যপানের অভ্যাস আছে তাদেরও লিভারের সমস্যা দেখা দেয় যা খুব দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয় মানুষকে। তাই লিভারকে সুস্থ রাখতে চাইলে ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করাই ভালো।
অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া
যাদের অতিরিক্ত মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস আছে তাদের লিভার বেশ দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কোমল পানীয়ের প্রতি যারা মাত্রাতিরিক্ত দূর্বল তাদের লিভার বেশ দ্রুত ক্ষতির সম্মুখীন হয়।তাই লিভার ভালো রাখতে চাইলে মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো।
ঘুমে ব্যাঘাত
ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে পুরো শরীরেই পরে বিরূপ প্রভাব। আর এই বিরূপ প্রভাব থেকে লিভারও রক্ষা পায় না। তাই লিভার ভালো রাখতে চাইলে পরিমিত ঘুম প্রয়োজন।
ওষুধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা
অনেকেও ওষুধের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল। নিয়মিত ঘুমের ওষুধ, কাশির ওষুধ, অ্যান্টি ডিপ্রেসেন্ট ইত্যাদি খেয়ে অনেকেই...

Read More
Health Image +

গুণে ভরপুর ধনিয়া পাতা

ধনিয়া পাতাকে আমরা সালাদ এবং রান্নার স্বাদ বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করে থাকি। ধনিয়া পাতা রান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ আরও বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু শুধু স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়ানোর কাজেই ধনিয়া পাতার গুণাগুণ শেষ হয়ে যায় না।
ধনিয়া পাতা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো একটি তৃণ জাতীয় খাবার। সালাদে এবং রান্নায় ব্যবহার করুন ধনিয়া পাতা। এছাড়াও ধনিয়া পাতার জুস তৈরি করে খেতে পারেন।
ধনিয়া পাতায় রয়েছে ফাইবার, ম্যাংগানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং প্রোটিন। তাই ধনিয়া পাতাকে সাধারণ কিছু ভাবার কোনো কারণ নেই। চলুন দেখে নিই ধনিয়া পাতার অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।
ধনিয়া পাতা দেহের খারাপ কোলেস্টোরল (এলডিএল) এর মাত্রা কমায় এবং দেহের জন্য উপকারী ভালো কলেস্টোরল (এইচডিএল) এর মাত্রা বাড়ায়।
ধনিয়া পাতা হজম শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করে এবং আমাদের পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে।
ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য ধনিয়া পাতা অনেক বেশি কার্যকরী। এটি ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং রক্তের সুগারের মাত্রা কমায়।
ধনিয়া পাতার ফ্যাট স্যলুবল ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভিটামিন এ ফুসফুস এবং পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে।
ধনিয়া পাতায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা বাতের ব্যথা সহ হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা উপশমে কাজ করে।
স্মৃতিশক্তি প্রখর এবং মস্তিস্কের নার্ভ সচল রাখতে সাহায্য করে ধনিয়া পাতা।
ধনিয়া পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন যা রক্তস্বল্পতা রোগ দূর করতে সহায়তা করে।
ধনিয়া পাতার ভিটামিন কে অ্যালঝেইমার রোগের চিকিৎসায় বেশ কার্যকরী।

Read More
Health Image +

অতিরিক্ত কাজের চাপ মহিলাদের যেসব শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে

অতিরিক্ত কাজের চাপ নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই বেশ ক্ষতিকর। কিন্তু যেহেতু নারীদেহ পুরুষদের তুলনায় চাপটা একটু কমই সহ্য করতে পারে সেহেতু একটু বেশি কাজের চাপেই নারীরা হয়ে পড়েন শারীরিক ভাবে অসুস্থ।
কাজের একটু বাড়তি চাপ মহিলাদের শরীরে সৃষ্টি করে নানা সমস্যা। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক অতিরিক্ত কাজের চাপ মহিলাদের যে শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে।
*কাজের চাপে না খাওয়া এবং সঠিক খাবার না খাওয়া নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। কিন্তু পুরুষের চাইতে মহিলাদের শরীরে বেশি দুর্বলতার সৃষ্টি হয় এই কারনে।
*সঠিক খাবার না খাওয়ার কারণে পুরুষের চাইতে মহিলাদের দেহে দ্রুত আয়রন এবং প্রোটিনের অভাব দেখা দেয় যা রক্ত স্বল্পতার সৃষ্টি করে।
*কাজের অতিরিক্ত চাপ নারীদেহের হরমোনের মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না। এতে করে থায়রয়েড সমস্যায় পড়তে দেখা যায় অনেক মহিলাকে।
*চাকুরীজীবী মহিলাদের সব চাইতে বড় সমস্যায় পড়তে দেখা যায়। ঘরের বাইরের কাজের পাশাপাশি তাদের করতে হয় ঘরের কাজ। এতে চাপটা অনেক বেশীই পরে যায়।
*ঠিকমতো সব কিছু সামলাতে গিয়ে কম ঘুমান অনেকে। এতে শুরু হয় অনিদ্রা জনিত সমস্যা। এছাড়া সব কিছু সামলানোর দুশ্চিন্তায় মহিলারা আক্রান্ত হন উচ্চ রক্ত চাপ এবং বিষণ্ণতা রোগে।
*মাঝে মাঝে অতিরিক্ত কাজের চাপ, রক্তস্বল্পতা এবং হরমোনের তারতম্যের কারণে নারীরা ভোগেন মাসিকের নানা সমস্যায়। এই সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে গেলে গর্ভধারণে সমস্যায় পড়েন অনেক নারী।

Read More
Health Image +

ইবোলা থেকে সুরক্ষার ৫ মন্ত্র

বর্তমনে বিশ্বে ইবোলা ভাইরাস অন্যতম এক আতয্কের নাম। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে প্রায় দেড় হাজার মানুষ। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এতে আতঙ্কিত না হয়ে জনসাধারণকে সচেতনভাবে চলা ফেরার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।
বেসরকারি সহযোগিতা সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ড. উনিশ কৃষ্ণ সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইবোলা প্রাণঘাতী হলেও তা বায়ুবাহিত নয়। ফলে তা ফ্লুর মতো শণাক্ত করা যায় না। তবে ইবোলা ভাইরাস এড়ানো খুবই সহজ। কমপক্ষে পাঁচটি বিষয় এড়িয়ে চললে এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
সাবান ও পানির ব্যবহার
ইবোলা ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত সাবান ও পরিষ্কার পানি দিয়ে হাত ধৌত করতে হবে। হাত শুকানোর জন্য পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে।
সাধারণ সাবান ব্যবহার ইবোলা ভাইরাস ধ্বংস করার কার্যকর ওষুধ।তবে, বস্তি ও গ্রাম এলাকায় পরিষ্কার পানি নিশ্চিত করা খুবই কঠিন কাজ।এছাড়া, এ ভাইরাস এড়াতে করমর্দন বন্ধ করতে হবে। কারণ, ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে অন্য ব্যক্তি খুব সহজেই সংক্রমিত হয়ে যায়।
সংস্পর্শ এড়ানো
যদি কোনো ব্যক্তি ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বলে সন্দেহ হয়, তবে তার সংস্পর্শ এড়াতে হবে। এমনকি খুব নিষ্ঠুর মনে হলেও খুবই আপনজনও যদি এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয় তার সংস্পর্শ এড়িয়ে থাকতে হবে।
সকলের এটা স্মরণ রাখতে হবে, এ ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির প্রসাব, পায়খানা, বমি, রক্তক্ষরণ, নাসিক্যের তরল পদার্থ ও বীর্যের মাধ্যমে ছড়াতে পারে।
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ সমূহের মধ্যে জ্বর, মাংসপেশী ও হাত-পায়ের জোড়ায় ব্যথা, গলা ও মাথা ব্যথা, বিষণ্নভাব, বিতৃষ্ণা, ঘন ঘন বমি এবং ডায়রিয়া উল্লেখযোগ্য।
এ লক্ষণগুলো দেখা গেলে আক্রান্তদের যতো দ্রুত সম্ভব চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া প্রয়োজন। এমনকি আক্রান্তদের পোশাক, বিছানা চাদরও স্পর্শ করা যাবে না। সম্ভব হলে তাদের ব্যবহৃত...

Read More
Health Image +

যে ৬ টি কারণে আনারস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

বাজারে এখন চোখ বুলালেই চোখে পড়ে ছোট ছোট আনারস। ছোট্ট এবং হলদে প্রায় আনারসগুলো যে কারো নজর কাড়তে বাধ্য। শুধু নজর কাড়া নয় এই আনারসগুলো স্বাদেও বেশ অতুলনীয়। এক টুকরো আনারস মুখে দিলে অমৃতের স্বাদ পাওয়া যায়।
যে কোনো ধরনের ফাস্টফুড জাতীয় খাবারের তুলনায় এই ছোট্ট ছোট্ট একেকটা আনারস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর তা বলাই বাহুল্য। তারপরও অনেকে জেনে শুনে আনারস খেতে চান না। কিন্তু এই সময়ে আনারস খাওয়া শরীরে জন্য অত্যন্ত জরুরী। জানতে চান আনারসের স্বাস্থ্য উপকারিতা? চলুন তবে দেখে নেয়া যাক আনারস খাওয়া কেন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
দেহের পুষ্টির অভাব দূর করে আনারস:
আনারস পুষ্টির বেশ বড় একটি উৎস। আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এই সকল উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন অল্প পরিমানে আনারস খেলে দেহে এইসকল পুষ্টি উপাদানের অভাব থাকবে না।
ওজন কমায় আনারস:
শুনতে বেশ অবাক লাগলেও আনারস আমাদের ওজন কমানোয় বেশ সাহায্য করে। কারন আনারসে প্রচুর ফাইবার রয়েছে এবং অনেক কম ফ্যাট। সকালের যে সময়ে ফলমূল খাওয়া হয় সে সময় আনারস এবং সালাদে আনারস ব্যবহার অথবা আনারসের জুস অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। তাই ওজন কমাতে চাইলে আনারস খান।
হাড়ের সুস্থতায় আনারস:
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং ম্যাংগানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। প্রতিদিনের খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমান আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় আনারস:
আনারসের ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। প্রতিদিন আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কম...

Read More
Health Image +

প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকার ৫টি শারীরিক লক্ষণ

প্রাত্যহিক জীবনের নানান কাজের চাপ, প্রিয় মানুষের সাথে সম্পর্কের টানা পোড়েন ইত্যাদি নানান কারণে প্রতিটি মানুষই কম বেশি মানসিক চাপে ভোগে।
কিন্তু মানসিক চাপটা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায় তাহলে তা শরীরের জন্য ডেকে আনতে পারে বড় কোনো ক্ষতি। কিন্তু কিভাবে বুঝবেন যে আপনার মানসিক চাপটা শরীরের সহন ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ? জেনে নিন প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকার ৫টি শারীরিক লক্ষণ সম্পর্কে।
চুল পরে যাওয়া:
প্রচন্ড মানসিক চাপ থাকলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য হারিয়ে যায়। তাই এসময়ে চুল পড়া বেড়ে যায়। হঠাৎ চাকরী চলে গেলে কিংবা সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে অনেকেরই প্রচুর চুল পড়া শুরু হয়। সাধারণত দিনে ১০০ চুল পড়লে সেটাকে স্বাভাবিক হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু এর চাইতে বেশি চুল পড়লেই বুঝে নিন যে আপনি প্রচন্ড মানসিক চাপে আছেন।
ঘন ঘন পেট ব্যাথা:
ব্রেইনের সাথে পুরো শরীরের সম্পর্ক আছে। আর তাই মানসিক চাপ গেলে পুরো শরীরের সকল কার্যপদ্ধতিতেই তার প্রভাব পরে। মানসিক চাপ অনেক বেশি থাকলে স্বাভাবিক হজম প্রক্রিয়াতে ব্যাঘাত ঘটে এবং গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়। ফলে ঘন ঘন পেট ব্যাথা হতে পারে।
চোখের পাতা কাঁপা:
অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে চোখের পাতার মাংশপেশী ঘন ঘন কাঁপতে থাকে। খুব বেশি সময়ের জন্য না হলেও বেশ কয়েক মিনিট স্থায়ী হতে পারে এই সমস্যা। এই পরিস্থিতিতে চোখ বন্ধ করে বড় শ্বাস নিয়ে নিজের শরীরকে কিছুটা শিথিল করার চেষ্টা করুন।
ব্রণের উপদ্রব:
প্রচন্ড মানসিক চাপে থাকলে ব্রণের উপদ্রব হতে পারে। হরমোন এর ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কারণে চুলের মতই ত্বকেও নানান সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক চাপ বেশি থাকলে ঘন ঘন ব্রণ উঠতে পারে। মানসিক চাপ না কমলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া বেশ মুশকিল।
পিঠ ব্যাথা:
অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে...

Read More
Health Image +

লিভারের রোগ

লিভার শরীরের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং রাসায়নিক ফিল্টারপ্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। তাই লিভার যদি কোনো কারণে কার্যমতা হারায়, তবে মারাত্মক স্বাস্থ্যসমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
লিভারের রোগ হলে কি করবেন
লিভারের রোগীর কোন উপসর্গ দেখা দিলে বা সন্দেহ হলে অথবা আপনার শরিরে ভাইরাসের সংক্রমন নিশ্চিত হলে দেরী না করে বিশেষজ্ঞ চিকিতসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে সব চেয়ে ভাল হয় লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। তিনি আপনার রোগ নির্ণয় করে এর কারণ, রোগের জন্য সৃষ্ট জটিলতা এবং রোগের বর্তমান অবস্থা জেনে প্রয়োজনীয় চিকিতসা ও উপদেশ দিবেন। হেপাটাইটিস এ ও ই জনিত রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাল হয়ে যায়।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে জটিলতাও দেখা দিতে পারে। হেপাটাইটিস ই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮% গর্ভবতী মা মারা যায়। যখন শেষ তিনমাসের সময় মা তীব্রভাবে হেপাটাইটিস ই প্রদাহে ভোগেন। অন্যদের ক্ষেত্রে জীবন সংহারী একিউট হেপাটিক ফেইলিউর নামক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই জন্ডিস কে কখনও অবহেলা করবেন না। ক্রনিক হেপাটাইটিসের জন্য দায়ী হেপাটাইটিস বি ও সি এর বিরুদ্ধে কার্যকর ঔষধ গুলির সবই এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। তাই এ ক্ষেত্রেও হতাশ না হয়ে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
লিভার রোগ প্রতিরোধে আপনার করণীয়
 হেপাটাইটিস বি এর টীকা নিন
 ঝুঁকিপূর্ণ আচারণ যেমন-অনিরাপদ যৌনতা, একই সুঁই বা সিরিন্জ বহুজনের ব্যবহার পরিহার করুন।
 নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ও ডিজপজেবল সুঁই ব্যবহার করুন। ব্লেড, রেজার, ব্রাশ; খুর বহুজনে ব্যবহার বন্ধ করুন।
 শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন করুন।
 শাক সবজি ও ফলমূল বেশি করে খান আর চর্বি যুক্ত খাবার কম খান।
 মদ্যপান ও অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।
 বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহন করুন।
...

Read More
Health Image +

রসুন সারায় ১০টি অসুখ

রসুন এক দারুণ পেনিসিলিন জাতীয় মসলা। আমরা নিত্যদিন বিভিন্ন তরকারীতে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি এই মসলাটি। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানি না এর গুণাগুণের মাত্রা কতখানি। আপনি অবাক হয়ে যাবেন যদি জানেন যে এই রসুন মানুষের দেহে এমন কোনো রোগ বালাই নেই যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ ওয়েবসাইট ‘মেডলাইন প্লাস’ জানিয়েছে, বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কোলন, রেক্টাল, পাকস্থলী, ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, মূত্রথলি ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন ব্যবহার করে থাকেন।
মিনারেলস সমৃদ্ধ মসলা রসুন। এর পরিমাণ এত বেশি যে কারো কারো কাছে এটি মিনারেলসের মিনি স্টোর হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফসফরাস, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্লোরিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও ভিটামিন ‘সি’।
এটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ভাইরাল হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখে।
১. প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক :
রসুনে থাকা ভিটামিন ‘সি’র কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। কেননা এই ভিটামিন স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে তা রক্তনালি নমনীয় রাখে।
২. রক্ত চলাচলে সহায়তা :
রসুনে ‘অ্যাজোইন’ নামক এক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এ পদার্থ রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে রক্তের কোলেস্টরল কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
৩. হরমোন নিঃসরণ :
রসুনে থাকা সালফার আমাদের শরীরের নানা হরমোন নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।
৪. হৃদরোগজনিত সমস্যা :
হৃদজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভীষণ কার্যকর এ ভেষজ। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত, এটি উচ্চ রক্তচাপও কমিয়ে দেয়।
৫. রোগজীবাণু ধ্বংস :
রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ পদার্থ ক্ষত সারাতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া পদার্থটি যক্ষা, আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতির রোগজীবাণু ধ্বংস করে।
৬. ঠান্ডা কমায় :
ঠান্ডা লাগা, গলা বসে যাওয়া কিংবা গলাব্যথা,...

Read More
Health Image +

ডায়াবেটিসে চিন্তা নেই

ডায়াবেটিস হতে পারে সব বয়সী মানুষের। তবে বেশি দেখা দেয় পঞ্চাশোর্ধ্বদের। যখন খাদ্যের মাধ্যমে শরীরে জমা গ্লুকোজ শক্তিতে রূপান্তরিত হতে পারে না, তখন রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে খাদ্য হজমের পর তা চর্বি, প্রোটিন ও কার্বহাইড্রেটে পরিণত হয়। এতে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয় মানুষ।

ডায়াবেটিস এমন একটি ব্যাধি যা পুরোপুরিভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। তবে সঠিক নিয়ম মেনে চললে সুস্থভাবে জীবনযাপন করা সম্ভব। শুধু প্রয়োজন সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করা।
ক্ষুধা নাকি তৃষ্ণা?
রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তৃষ্ণা বেড়ে যায়। অনেকে ভাবেন ক্ষুধার্ত, তবে সেটা বেশিরভাগ সময়ই ভুল। এমন মনে হলে একগ্লাস পানি পান করুন। বিশ মিনিট পর যদি দেখেন ক্ষুধা অনুভূত হচ্ছে না তবে সেটা তৃষ্ণাই ছিল। তবে বিশ মিনিট পরও যদি একই অনুভূত হয় তাহলে একটা আপেল ও কয়েক ধরনের বাদাম খেতে পারেন। যেমন চীনাবাদাম, আমন্ড, কাজুবাদাম।
প্রতিদিন ফাইবার
ডায়াবেটিসের রোগীরা দৈনিক ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম ফাইবার নিন। একটি নাশপতিতে ৫ গ্রাম, আপেলে ৪ গ্রাম ও ১/২ কাপ পালংশাকে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। তিনবেলা আহারে পর্যাপ্ত ফাইবারের ব্যবস্থা রাখুন।
বাড়‍ুক শক্তি
আশ্চর্য হলেও সত্যি। পুদিনা পাতার ঘ্রাণ শক্তি বর্ধন করে ও কাজে উৎসাহ বাড়ায়। গরম পানিতে পুদিনা পাতা দিয়ে ভ্যাপার নিতে পারেন। এতে ক্লান্তিভাব কেটে যাবে ও কাজে উদ্যম পাবেন। এছাড়াও পুদিনার চা-ও খেতে পারেন।
ত্বকের যত্ন
ডায়াবেটিসের রোগীদের ত্বকের যত্ন নেয়া খুবই প্রয়োজন। কারণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে ঘাম নিঃসরণ কম হয়। ফলে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে আসে। বিশেষ করে পায়ের যত্ন নেয়া খুবই জরুরি। শরীরকে আর্দ্র রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
বাড়তি ওজন কমান
ওজন কমানোর সঙ্গে ডায়াবেটিস রোগীদের সুস্থতা অনেকাংশে জড়িত। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাথমিকভাবে...

Read More