লিভার শরীরের সবচেয়ে বড় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ, যা খাদ্য হজমে সহায়তা করে এবং রাসায়নিক ফিল্টারপ্রক্রিয়া হিসেবে কাজ করে। তাই লিভার যদি কোনো কারণে কার্যমতা হারায়, তবে মারাত্মক স্বাস্থ্যসমস্যা এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
লিভারের রোগ হলে কি করবেন
লিভারের রোগীর কোন উপসর্গ দেখা দিলে বা সন্দেহ হলে অথবা আপনার শরিরে ভাইরাসের সংক্রমন নিশ্চিত হলে দেরী না করে বিশেষজ্ঞ চিকিতসকের পরামর্শ নিন। এক্ষেত্রে সব চেয়ে ভাল হয় লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ। তিনি আপনার রোগ নির্ণয় করে এর কারণ, রোগের জন্য সৃষ্ট জটিলতা এবং রোগের বর্তমান অবস্থা জেনে প্রয়োজনীয় চিকিতসা ও উপদেশ দিবেন। হেপাটাইটিস এ ও ই জনিত রোগ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভাল হয়ে যায়।
তবে কোন কোন ক্ষেত্রে জটিলতাও দেখা দিতে পারে। হেপাটাইটিস ই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৮% গর্ভবতী মা মারা যায়। যখন শেষ তিনমাসের সময় মা তীব্রভাবে হেপাটাইটিস ই প্রদাহে ভোগেন। অন্যদের ক্ষেত্রে জীবন সংহারী একিউট হেপাটিক ফেইলিউর নামক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই জন্ডিস কে কখনও অবহেলা করবেন না। ক্রনিক হেপাটাইটিসের জন্য দায়ী হেপাটাইটিস বি ও সি এর বিরুদ্ধে কার্যকর ঔষধ গুলির সবই এখন আমাদের দেশে পাওয়া যায়। তাই এ ক্ষেত্রেও হতাশ না হয়ে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
লিভার রোগ প্রতিরোধে আপনার করণীয়
হেপাটাইটিস বি এর টীকা নিন
ঝুঁকিপূর্ণ আচারণ যেমন-অনিরাপদ যৌনতা, একই সুঁই বা সিরিন্জ বহুজনের ব্যবহার পরিহার করুন।
নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন ও ডিজপজেবল সুঁই ব্যবহার করুন। ব্লেড, রেজার, ব্রাশ; খুর বহুজনে ব্যবহার বন্ধ করুন।
শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রন করুন।
শাক সবজি ও ফলমূল বেশি করে খান আর চর্বি যুক্ত খাবার কম খান।
মদ্যপান ও অন্যান্য নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করুন।
বিশুদ্ধ পানি ও খাবার গ্রহন করুন।
ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রনে রাখুন।