Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হওয়ার প্রধান ৫ টি লক্ষণ

“করোনারি আর্টারি ডিজিজ” যাকে আমরা সাধারণত হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়া হিসেবেই বুঝে থাকি, নিঃসন্দেহে এটি অনেক মারাত্মক একটি সমস্যা। এই রোগটি মূলত অতিরিক্ত কলেস্টোরল এবং ফ্যাটি প্লাকের কারণে হয়ে থাকে যা হৃদপিণ্ডের ধমনীকে ধীরে ধীরে ব্লক করে ফেলে।হৃদপিণ্ডের রক্ত প্রবাহী ধমনী চিকন হয়ে যাওয়া বা ব্লক হয়ে গেলে পুরো দেহে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা শুরু হয় এবং মস্তিষ্কে রক্তের সাথে অক্সিজেন প্রবাহ কমে আসে।

এইসকল কারণে হার্ট অ্যাটাক হয় যা রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। তাই ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে অবহেলা করা উচিত নয় একেবারেই। কিছু লক্ষণে বুঝে নেয়া যায় ধমনী ব্লক হয়েছে কি না। এই সকল লক্ষণ রোগীর সুস্থতার জন্য সতর্কতার সাথে লক্ষ্য রাখতে হবে।
১) শ্বাসপ্রশ্বাসে কষ্ট হওয়া
সামান্য সময় হাঁটা, সিঁড়ি দিয়ে ১-২ তলা পর্যন্ত উঠা বা অন্যান্য দৈনন্দিন ছোটোখাটো কাজ করে অল্পতেই হাঁপিয়ে উঠা, ছোটো ছোটো নিঃশ্বাস নেয়া এবং নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া ধমনীতে ব্লক হওয়া প্রধান লক্ষণ। যখন আমাদের হৃদপিণ্ডের ধমনীতে ব্লক থাকার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পৌছায় না তখন এই ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা অতিরিক্ত দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
২) বমি বমি ভাব
হৃদপিণ্ডের ধমনী ব্লক হয়ে যাওয়ার আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে অনেক বেশি বমি বমি ভাব হওয়া। এর পাশাপাশি পেটের নিচের দিকে ব্যথা অনুভূত হওয়াও অবহেলা করা উচিত নয় একেবারেই।
৩) মাথা ঘোরানো ও দুর্বলতা অনুভব করা
ধমনীতে ব্লক তৈরি হলে রক্তের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন আমাদের মস্তিষ্কে পৌছাতে পারে না। এর ফলে মাথা ঘোরানো, মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, অতিরিক্ত দুর্বলতা অনুভব করা এবং উদ্বেগ ও অস্থিরতা অনুভূত হয়। এইসকল ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। এবং যতো দ্রুত...

Read More
Health Image +

কি করবেন ডায়াবেটিস হলে

আজকের দিনে ডায়াবেটিস একটি সুপরিচিত সাধারণ অসুখ। এই রোগটি শরীরের এমন একটি বিশেষ অবস্থা, যে অবস্থায় মানুষের দেহে রক্তে গ্লুকোজের পরিমান স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকে। কিন্তু দেহ কোষগুলো এই অতিরিক্ত গ্লুকোজকে ব্যবহার করতে পারে না। এই অসুখটি হয় প্রধানত ‘ইনসুলিন’ নামে এক রাসায়নিক পদার্থের অভাবের জন্য। কিভাবে বুঝবেন আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে?

ডায়াবেটিস রোগের সম্ভাবনা আছে, এরূপ সন্দেহজনক লক্ষণগুলো হলঃ
অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় তৃষ্ণা
অস্বাভাবিক বেশি মাত্রায় ক্ষুধা
বার বার প্রস্রাব করা, বিশেষত রাতে।
ক্লান্তি ও ওজন হ্রাস
ক্ষতস্থান দেরিতে শুকানো
চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া
পায়ে অসাড় অনুভূতি
চামড়ায় শুষ্কতা বা চুলকানি ভাব আসা
এক্ষেত্রে দু ধরনের বিশেষ রক্ত পরীক্ষা এই রোগ নির্নয়ে করা হয়- প্রথমটি খালি পেটে এবং দ্বিতীয়টি খাদ্য গ্রহণের পর। এছাড়াও আরও কিছু পরীক্ষা করতে হয় যেমন- ব্লাড সুগার পরীক্ষা, ইউরিন পরীক্ষা, গ্লুকোজ টলারেন্স পরীক্ষা ইত্যাদি।
ডায়াবেটিস রোগের শতকরা ষাট ভাগকে আয়ত্তে রাখা যায় খাদ্যের তালিকায় পরিবর্তন ঘটিয়ে। ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই চর্বি জাতীয় খাবার যহাসম্ভব বর্জন করা উচিত। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর একবারে বেশি খাবার না খেয়ে সারা দিনে অল্প অল্প খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ সহজেই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ডায়াবেটিস রোগীরা চিনি, মধু, আখের গুঁড় মোটকথা মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খেতে পারবেন না। তবে ডায়াবেটিস আক্রান্ত ব্যাক্তি ইকোয়াল বা স্যাকারিন দ্বারা তৈরি যে কোন মিষ্টি খেতে পারেন। এগুলো দেখলে বা খেলে মনে হবে এতে গ্লুকোজ বা চিনি আছে কারণ এগুলো দিয়ে তৈরি খাবার খেতে মিষ্টি হয়। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এগুলোতে কোন গ্লুকোজ বা চিনি থাকে না।
সমস্ত প্রকার বায়ুযুক্ত পানীয় যেমন পেপসি, কোক, সেভেন আপ প্রভৃত পানীয়তে প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকায় ক্যালোরি...

Read More
Health Image +

দেহের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য যে কাজগুলো

সুস্থ দেহের জন্য দেহে সঠিক রক্ত প্রবাহ প্রয়োজন। সঠিক রক্ত প্রবাহ আমাদের দেহে পুষ্টি, মিনারেল ও অক্সিজেন পৌঁছে দেয় দেহের বিভিন্ন অংশে এবং দেহের কোষ বৃদ্ধি ও অরগ্যান ফাংশনগুলো উন্নত করে।
দুর্বল রক্ত প্রবাহের কারণে দেহের অন্যান্য অংশও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে যেমন- মস্তিষ্ক, হার্ট, লিভার, কিডনি ও বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। দেহে দুর্বল রক্ত প্রবাহের কিছু সাধারণ লক্ষন হল- হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে থাকা, ক্লান্ত লাগা, মাথা ঘোরা, চুল ঝরে পড়া, শুষ্ক ত্বক, edema, মাথাব্যথা, পেশীতে ব্যথা, পায়ে ব্যথা এবং অনিয়মিত হার্টবিট।
অনেক কারণেই দেহের রক্ত প্রবাহ ক্ষমতা দুর্বল হতে পারে যেমন- অনিয়মিত জীবনধারা, ধূমপান করা, বেশি মদ্যপান করা, উচ্চরক্ত চাপ, caffeine, অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া এবং দীর্ঘক্ষণ কাজে বসে থাকা।
দেহে দুর্বল রক্তপ্রবাহ আরও কিছু শারীরিক সমস্যার কারণেও হতে পারে যেমন- ডায়াবেটিস, হাই কলেস্টেরল, প্রেগনেন্সি, অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েড সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, স্নায়ু রোগ( nerve disorders), রক্তশূন্যতা, রক্তনালী ব্লক হয়ে যাওয়া এবং খাবারে এলার্জি সমস্যা।
সুস্থ থাকতে হলে দেহে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেহে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য নিজেদের জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে, ডায়েটে ভালো খাবার রাখতে হবে। তাছাড়া দেহের এইরকম সমস্যায় ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা জরুরি। তবে ঘরে থেকেও আপনি কিছু কাজের মাধ্যমে দেহের রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি করতে পারেন।
এক্সারসাইজ
দেহে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল এক্সারসাইজ এর জন্য যে ওজন কমানোর মতো কঠিন এক্সারসাইজ করতে হবে এমন কোন কথা নেই। সাধারণ যেকোন এক্সারসাইজ দেহে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য খুব ভালো।
১। প্রতি সপ্তাহে অন্ত ৫ দিন ৩০ মিনিট করে হাঁটুন।
২। সুইমিং, সাইকেলিং, বাইকিং, জগিং এই কাজগুলো করুন মাঝে মাঝে।
৩। সাধারণ কিছু হাত – পায়ের এক্সারসাইজ করুন প্রতিদিন ১৫...

Read More
Health Image +

চোখের কারণে মাথা ব্যথা-দায়ী ৫টি কারণ

আজকাল খুব মাথা ব্যথা করছে? ভাবছেন মাইগ্রেন বা অন্য কিছু হয়েছে? আপনার এই ধারণা কিন্তু সত্য নাও হতে পারে। এমনও হতে পারে যে মাথা ব্যথাটি করছে চোখের কারণে।
অনেকে ভাবেন কেবল চোখের পাওয়ারের গরমিল হলেই বুঝি ম্যথা ব্যথা হয়। সেটাও কিন্তু মোটেও ঠিক নয়। চোখের আরও অনেক গুলো সমস্যার কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে, যেগুলো আসলে খুবই কমন। আসুন, জেনে নেই সেইসব সমস্যার ব্যাপারে।
চোখের যেসব সমস্যায় মাথাব্যথা হয় সেগুলো হচ্ছে- চক্ষু গোলকের নিজস্ব রোগ, চোখের প্রেসার বৃদ্ধি, চোখে আঘাতজনিত সমস্যা, চোখের পাওয়ারজনিত সমস্যা, চোখের মাংসপেশির সমস্যা।
চক্ষু গোলকের রোগ-
চক্ষু গোলকের নিজস্ব রোগ বলতে বুঝি সাধারণত বিভিন্ন রকম প্রদাহ। এসব প্রদাহ সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা ছত্রাক সংক্রমণে সৃষ্ট। এসব ক্ষেত্রে মাথাব্যথার সঙ্গে চোখের ব্যথা থাকবে। কখনো কখনো চোখের ব্যথা তীব্রতায় মাথাব্যথাকে ছড়িয়ে যায়। আর মাথা এবং চোখ ব্যথার পাশাপাশি চোখ লাল হওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া বা চোখ থেকে পানি পড়া ইত্যাদি অবশ্যই থাকবে।
কয়েকটি উদাহরণ দেয়া হলো যেমন, চোখের পাতার রোমকূপের প্রদাহ কর্নিয়ার প্রদাহ বা কর্নিয়ায় ঘা, নেত্রনালির ইনফেকশন, চোখের কোনো বস্তু (ফনের বডি) ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে চোখের ব্যথা। ওইদিকের মাথাব্যথা থাকতে পারে, তবে চোখের উপসর্গগুলোই প্রধান।
চোখের উচ্চচাপ বা গ্লুকোমা
গ্লুকোমা অনেক রকমের হয়। কিছু কিছু গ্লুকোমার ধরন রয়েছে সেখানে চোখ প্রচণ্ড ব্যথা হয়, চোখ লাল হয়ে যায়, ঝাপসা হয়ে যায় ইত্যাদি। এসব গ্লুকোমার আক্রমণে চোখের দিকের মাথার অংশেও ব্যথা হয়।
ব্যথাটা প্রচণ্ড, সঙ্গে বমিও হয় সাধারণত অনেক সময় এ ধরনের গ্লুকোমার রোগী মেডিসিন বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হয়ে মাথাব্যথা আর বমি নিয়ে বিচক্ষণ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ নিজেই চোখের সমস্যা ধরে ফেলতে পারেন, তখন তিনি রোগীকে পাটিয়ে দেন চক্ষু চিকিৎসকের কাছে।
আরেক ধরনের...

Read More
Health Image +

৬টি প্রাথমিক চিকিৎসা

বাসাতে কোনো কাজ তাড়াহুড়ো করে করতে গেলে হাত কেটে যাওয়ার মত সমস্যায় পড়ে থাকি প্রায়ই। ছোটখাট কাটাছেড়াতে ডাক্তারের স্মরণাপন্ন না হয়ে অনেক সময় আমরা বাসাতেই প্রাথমিক চিকিৎসা চালিয়ে থাকি।

আপনি যদি এমন অবস্থাতে পড়ে থাকেন তাহলে জেনে নিন এমন ৬ টি উপাদান যেগুলো দিয়ে আপনি বাসাতেই চালিয়ে নিতে পারেন প্রাথমিক চিকিৎসাটি।
১. হলুদের গুঁড়া
হলুদের গুঁড়াতে প্রচুর পরিমাণে অ্যন্টিসেপটিক গুণাগুণ রয়েছে। কেটে যাওয়া স্থানে নির্দিষ্ট পরিমাণে হলুদের গুঁড়া দিলে তা দ্রুত অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ বন্ধ করে এবং এতে কোনো ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না।
২. আপেল সিডার ভিনেগার
ক্ষত রোগ দ্রুত নিরাময়ে আপেল সিডার ভিনেগার খুবই কার্যকর একটি উপাদান। যেকোনো কাটা ছেঁড়া নির্মূলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
৩. চিনি
যদিও অতিরিক্ত চিনি সেবন দেহের জন্য বেশ ক্ষতিকর কিন্তু আপনার কোনো কাটা জায়গাতে চিনি অনেক বেশি সহায়ক ভূমিকা পালন করে। চিনি আহত অংশটিকে দ্রুত সারিয়ে তুলতে সহায়তা করে। ক্ষতের অতিরিক্ত পানি শোষণ করে নেয় এবং ১৫ মিনিটের মধ্যে জায়গাটি পরিস্কার করে ফেলে।
৪. মধু
মধু ক্ষত স্থানটিতে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি ক্ষত স্থানটিকে শুকিয়ে নিতে সহায়তা করে, কোনো ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না এবং অতিরিক্ত ফোলাভাব দূর করে ফেলে। কাটা ছেঁড়া বাদেও পুড়ে যাওয়া জায়গাতেও মধু বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
৫. অ্যালোভেরা জেল
কেটে যাওয়া অংশে অ্যালোভেরা জেল সরাসরি প্রয়োগে এটি ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। এছাড়া ক্ষতটিকে দ্রুত সারিয়ে নিতেও সহায়তা করে থাকে।
৬. চা-পাতি
হালকা কাটা ছেঁড়াতে চা-পাতি বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সহায়তা করে। এটি ক্ষত শুকিয়ে ফেলে এবং ব্যথা কিছুটা উপশম করে। পাশাপাশি কোনো ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না।

Read More
Health Image +

গরমে চর্মরোগ

গরম কাল মানেই নানান রকম রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে চর্মরোগের। হ্যাঁ, চর্মরোগের জন্য গরম একটা আদর্শ মৌসুম। কেননা এই সময়ে শরীরে ঘাম প্রচুর হয়, আর সেই ঘামের কারণেও জন্ম নেয় নানান রকম অসুখ বা চর্মরোগ।

ঘামাচির কথাটাই ধরুন। গরম এলে অনেকেরই বাড়ে এই ঘামাচির যন্ত্রণা, আবার শীত এলেই কিন্তু গায়েব। ঘামাচি ছাড়াও আরও কিছু বেশ সিরিয়াস ধরনের চর্মরোগ আছে যারা কিনা গরমে বেড়ে যায়। যেমন- দাদ, ছুলি ইত্যাদি। সেই সমস্ত নিয়েই আজকের আলোচনা।
ঘামাচি-
গরমকালের একটি বিব্রতকর রোগের নাম হচ্ছে ঘামাচি। এ রোগটি গরমকালেই হয়। শীত এলে আপনা আপনিই রোগটি ভালো হয়ে যায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই রোগটির নাম হলো মিলিয়ারিয়া। এটি একটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ।
গ্রীষ্মকালে দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম নিঃসরণ হতে থাকে ফলে তখনকার এত বেশি পরিমাণ নিঃসরণ ঘর্মগ্রন্থির নালীকে ফুটো করে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে, যা পানিভর্তি ছোট ছোট দানার আকারে ফুলে উঠতে দেখা যায় এবং যা চুলকায় এবং তাতে সামান্য জ্বালাপোড়া ভাবও থাকে।
মূলত এটাই হচ্ছে ঘামাচি।এই রোগ মুক্ত থাকার সাথে অর্থনৈতিক সচ্ছলতার একটা সম্পর্ক আছে। যেমন ধরুন কোনো ব্যক্তি যদি ঘরে, অফিসে এবং গাড়িতে এয়ারকুলার ব্যবহার করেন তবে বলা যায়, তার এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা গরমকালেও নেই।
যারা তা পারেন না তাদের সব সময়ই ঠাণ্ডা পরিবেশে থাকতে হবে। অর্থাৎ একটি ফ্যান অন্তত সার্বক্ষণিকভাবে মাথার ওপরে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। খোলামেলা অর্থাৎ আবদ্ধ ঘর না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।
ঘামাচি তিন ধরনের হয়। প্রথমে আসা যায় মিলিয়ারিয়া, কৃস্টালিনা­ এ ক্ষেত্রে ত্বক দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না।
দ্বিতীয়টি অর্থাৎ মিলিয়ারিয়া, রুবরার ক্ষেত্রে ঘর্মনালীতে বদ্ধতা দেখা দেয় এবং এ ক্ষেত্রে ত্বকের...

Read More
Health Image +

হাঁপানি সমস্যায় কী খাবেন, কী খাবেন না

হাঁপানি বা অ্যাজমা হচ্ছে শ্বাসনালীর প্রদাহজনিত রোগ। হাঁপানি হলে সাধাণরত কাশি, কফ ও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সাধাণরত ছোট বেলাতেই বোঝা যায় অ্যাজমা আছে কিনা।
তবে অনেক সময় বড় হয়েও ধরা পরে। আমাদের দেশে প্রচুর হাঁপানি রোগী আছে এবং প্রতি বছর অনেক রোগী শ্বাস কষ্টে মারা যায়।
খাবারের এলার্জির কারণে হাঁপানির প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই হাঁপানি রোগীদের একটু সাবধানে খাওয়া দাওয়া করতে হয়। আসুন জেনে নেয়া যান হাঁপানি রোগীদের কি খাওয়া উচিত এবং কি খাওয়া অনুচিত।
খাওয়া উচিত যে খাবার গুলো:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যুক্ত খাবারঃ
বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক মাছ যেমন স্যামন, টুনাতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড আছে। এছাড়াও কিছু উদ্ভিদেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড হাঁপানির প্রকোপ কমাতে সহয়তা করে।
শাক-সবজিঃ
প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি রাখুন খাবার তালিকায়। সবজিতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রচুর ভিটামিন যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হাঁপানির ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
ফলঃ
প্রতিদিন খাবার তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ফল রাখলে হাঁপানির ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা হাঁপানির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।
ফলের মধ্যে আপেল, কমলা, কলা ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলগুলো হাঁপানির ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
খাওয়া উচিত নয় যে খাবার গুলো:
শুধু বিশেষ খাবার খাওয়া নয়, হাঁপানির প্রকোপ থেকে বাঁচতে এড়িয়ে চলতে হবে কিছু বিশেষ খাবারও। আসুন জেনে নেই সেগুলো সম্পর্কে।
ট্রান্স ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবারঃ
মার্জারিন এবং আরো কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড পাওয়া গেছে। ট্রান্স ফ্যাট ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড হাঁপানির সমস্যা বাড়ায় এবং হার্টের বিভিন্ন জটিল সমস্যার সৃষ্টি করে।
অ্যালার্জিযুক্ত খাবারঃ
বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন খাবারে অ্যালার্জি আছে। খাবারে...

Read More
Health Image +

৬০০ রোগের মহৌষধ হলুদ

এবার হলুদ উঠে আসবে প্রেসক্রিপশনেও। গবেষণায় দেখে গেছে, হলুদের রয়েছে অন্তত ১৪টি মহৌষধের গুণ। যাতে সেরে উঠবে অন্তত ৬০০ রোগ! হলুদের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে গত পাঁচ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে নানা গবেষণা চালিয়েছে একটি মার্কিন গবেষণা সংস্থা। তাদের প্রতিবেদেন অনুযায়ী, হলুদে থাকা সারকিউমিন নামের উপাদানটি রোগ সারাতে জাদুর মতো কাজ করে।
২০০৮ সালে ‘ড্রাগস ইন আর অ্যান্ড ডি’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে সারকিউমিন। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত ‘ফাইটোথেরাপি রিসার্চ’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, হলুদের পলিফেলন নামের অন্য আরেক উপাদান চোখের অসুখ ‘ক্রনিক অ্যান্টিরিয়ার ইউভেইটিস’ সারাতে কর্টিকো-স্টেরয়েডের কাজ করে।
এই রোগের প্রকোপে চোখে প্রচণ্ড জ্বালা ও প্রদাহ হয়। ২০০৩ সালের এক মেডিক্যাল প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যানসারজনিত প্রদাহের চিকিৎসাতেও এই স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়। ২০১১ সালের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মানসিক অবসাদ রোধও ব্যবহার হয় সারকিউমিন।
এ ছাড়া এই উপাদানে রয়েছে অ্যাসপিরিনের গুণ। এর প্রয়োগে ভ্যাসকুলার থ্রম্বোসিস আক্রান্ত রোগীর রক্তের ঘনত্বের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এ ছাড়া, ক্যানসার নিরাময়ে প্রচলিত কেমোথেরাপি চিকিৎসায় ব্যবহৃত অক্স্যালিপ্ল্যাটিন-এর সঙ্গেও সারকিউমিনের তুলনা করা চলে।
চিকিৎসকদের দাবি, কলোরেক্টাল ক্যানসারের চিকিৎসায় সারকিউমিন প্রয়োগে সুফল মিলেছে। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাতেও সারকিউমিন প্রয়োগ কার্যকরী। যকৃতে গ্লুকোজের উৎপাদন ঠেকাতে হলুদের এই উপাদান থেকে তৈরি ওষুধ প্রচলিত ডায়াবেটিস রোধকারী মেটমোফিনের চেয়ে অনেক গুণ কার্যকরী।

Read More
Health Image +

যে ৬ টি উপায়ে প্রকৃতি আপনাকে রাখে সুস্থ

মানসিক চাপ, বিষণ্ণতা, শারীরিক অসুস্থতা, কাজের চাপ ইত্যাদি কারণে বেশিরভাগ সময়েই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই আছেন সামান্য মানসিক চাপে একেবারেই ভেঙে পড়েন। আবার সামান্য অসুস্থতায় ঔষধ সেবন করতে দেখা যায় এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু তারপরও সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হয় না।
আমরা অনেকেই জানি না আমাদের প্রকৃতি আমাদের কতোটা উপকার করে থাকে। বলতে গেলে আমাদের শারীরিক অসুস্থতা থেকে শুরু করে মানসিক সমস্যা সহ সকল কিছুর সমাধান প্রকৃতির মধ্যেই থাকে। আসুন জানি প্রকৃতির সেই অনন্য ভূমিকা সম্পর্কে।
প্রকৃতি আপনাকে খুশি রাখে
প্রকৃতির সাথে আমাদের মনের অনেক বড় একটি সংযোগ রয়েছে। লক্ষ্য করলে দেখবেন দিনের আলো ও বৃষ্টির সাথে আপনার মানসিকতারও পরিবর্তন ঘটে। প্রকৃতির যতো কাছাকাছি যাওয়া যায় ততোই মন ভালো থাকে।
আপনি নিজেকে অনেক বেশি উৎফুল্ল পাবেন সবুজে ঘেরা পরিবেশ এবং সমুদ্রের কাছাকাছি কোনো স্থানে। তাই প্রকৃতি আপনাকে মানসিক শান্তি দেয়ার মাধ্যমে খুশি রাখেন।
মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে
প্রকৃতি মানসিক চাপ দূর করতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা যায় মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা ধরণের মানসিক ব্যাপারগুলোর সব চাইতে বড় ঔষধ হচ্ছে প্রকৃতির কাছাকাছি যাওয়া।
গবেষকদের মতে যখন কেউ মানসিক চাপে থাকেন তখন মাত্র ১০ মিনিট একটি পার্কে হেঁটে আসা অনেক বেশি উপকারী। এতে করে মস্তিষ্কে ভালোলাগার হরমোন উৎপন্ন হয় যা মানসিক চাপ একেবারেই দূর করে দেয়।
প্রকৃতি আপনার দেহকে রাখে সুস্থ
সকালের আলোর ভিটামিন ডি আমাদের দেহে ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করে। যা ভিটামিন ডি এর অভাব জনিত রোগের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এছাড়া বিশুদ্ধ বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়া শ্বাসের নানা সমস্যা থেকে আমাদের রেহাই দেয়।
ঘুমের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে
সকালের সূর্যের আলো...

Read More