১৪ বছর নীশু কুমারি আবিষ্কার করেছে এমন টেকটি এয়ার কুলার যেটি চলবে বাতাসে। যার প্রযুক্তি তাক লাগিয়ে দিয়েছে জাপানাকেও।
নীশু দশম শ্রেণির ছাত্রী। নীশুদের প্রায় অন্ধকার স্যাঁতস্যাঁতে বস্তিটি ভারতের ঝাড়খণ্ডের আদিত্যপুর এলাকায়। নিদারুণ দারিদ্র। ছোটখাটো ব্যাপারে প্রতিবেশীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, ঝগড়া, মারপিট।
এসবই নীশুর জীবনের নিত্যসঙ্গী। এরই মধ্যে গবেষণার কাজ থামায়নি একরত্তি মেয়েটি। যার ফসল, সে আবিষ্কার করেছে এমন একটি এয়ার কুলার, যার প্রযুক্তি তাক লাগিয়ে দিয়েছে জাপানাকেও। কুলারটির শক্তির উত্স বায়ু।
কুলার-টির প্রযুক্তি সম্বন্ধে নীশু জানিয়েছে, কুলারের মাথায় একটি টারবাইন থাকছে। সেই টারবাইনটির সঙ্গে কুলারের একটি তারের মাধ্যমে যোগ রয়েছে। কুলারটি পুরোটাই বাঁশ দিয়ে তৈরি।
কুলারের পাখার গতিবেগ নির্ভর করবে টারবাইনের গতির উপর। অর্থাত্ হাওয়ার শক্তিতেই চলবে কুলার। সাধারণ কুলার-এর মতোই নীশুর আবিষ্কৃত কুলার-এও জলের মাধ্যমে হাওয়া ঠান্ডা রাখার ব্যবস্থা থাকছে।
আগামী ৯ মে জাপানে ‘সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট ফর সাকুরা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’-এর কনফারেন্স। যোগ দেবেন বিশ্বের কয়েক’শো বিজ্ঞানী। ওই কনফারেন্সেই নীশুকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে জাপান। নীশুর জাপানে যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার সব খরচা দেবে উদ্যোক্তা সংস্থা।
পেশায় কারখানর শ্রমিক নীশুর বাবা অখিলেশ প্রসাদের কথায়, ‘আমার যা আয়, তাতে মেয়ের স্বপ্ন সার্থক করার ধারেকাছেও পৌঁছতে পারব না। তবে এটুকু বুঝেছি, মেয়েদের শিক্ষার খুব দরকার।