ক্রিকেটে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেতে মরিয়া হয়ে থাকেন সব ব্যাটসম্যানই। আর সেঞ্চুরি যদি হয় অভিষেক ম্যাচে তাহলে তো কথাই নেই। প্রায় দেড়শ বছরের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকে সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যানের সংখ্যাটাও নেহায়েত কম নয়।
এই তালিকায় সর্বশেষ যোগ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডাম ভোজেসের নাম। এই সেঞ্চুরির মধ্য দিয়েই ভোজেস হয়ে গেলেন টেস্ট অভিষেকে সবচেয়ে বেশি বয়সে শতক হাকানো ব্যাটসম্যান। আর আমাদের আজকের আয়োজন তাদের নিয়েই যারা যন্ত্রণাময় অপেক্ষার এমন মধুর সমাপ্তি ঘটাতে পেরেছেন।
চলুন একনজরে দেখে নেই টেস্টে সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেকে শতক হাকানো শীর্ষ ৫ ব্যাটসম্যানের তালিকা:
অ্যাডাম ভোজেসঃ সদ্য সমাপ্ত ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি করার সময় ভোজেসের বয়স ছিল ৩৫ বছর ২৪২ দিন। ডমিনিকায় তার অভিষেক ইনিংসটি ছিল অপরাজিত ১৩০* রানের। টেস্ট ক্রিকেটে এটিই সবচেয়ে বেশি বয়সে অভিষেকে সেঞ্চুরির রেকর্ড।
ডেভ হটনঃ জিম্বাবুয়েরর ডেভ হটনের রেকর্ডটি ৩৫ বছর ১১৭ দিনের। ভারতের বিপক্ষে হারারেতে ১৯৯২ সালে অভিষেকেই ১২১ রানের অনবদ্য সেঞ্চুরি হাকান তিনি। ভোজেস রেকর্ড ভাঙ্গার আগে এটি প্রায় ২৩ বছর অক্ষুণ্ণ ছিল।
বিলি গ্রিফিথঃ ইংল্যান্ডের বিলি গ্রিফিথের ৩৩ বছর ২৪০ দিনে অভিষেকে করা সেঞ্চুরিটি টিকে ছিল প্রায় ৪৪ বছর। ১৯৪৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিনিদাদে অভিষেক টেস্টেই ১৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
হার্বি কলিন্সঃ তালিকার ৪র্থ স্থানেই আছে অস্ট্রেলিয়ার হার্বি কলিন্সের নাম। ৩২ বছর ৩৩১ দিনে অভিষেক হওয়া কলিন্স তার অভিষেক টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১০৪ রান। ১৯২০ সালে সিডনিতে এই রেকর্ড করেছিলেন তিনি।
আমিনুল ইসলামঃ ভারতের বিপক্ষে ২০০০ সালে অভিষেক ম্যাচে ঢাকায় সেঞ্চুরি করেছিলেন আমিনুল। ৩২ বছর ২৮২ দিন বয়সে ১৪৫ রানের ইনিংসটি খেলেন তিনি। বাংলাদেশ দলেরও প্রথম টেস্ট ম্যাচ ছিল এটি। অস্ট্রেলিয়ার চার্লস ব্যানারম্যানের পরই একসাথে দল ও প্লেয়ারের অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের তালিকায় আছে আমিনুল ইসলামের এই ইনিংসটি।