Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

কিডনি নিয়ে কিছু কথা ও কিডনির যত্ন

মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের রেচন পদার্থ নিষকাশনের জন্য বিভিন্ন ধরনের রেচন অঙ্গ রয়েছে। এর মধ্যে ফুসফুসের সাহায্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড, ত্বকের সাহায্যে ঘর্ম জাতীয় পদার্থ এবং কিডনির সাহায্যে নাইট্রোজেনযুক্ত বর্জ্য পদার্থ বা মূত্র নিষকাশিত হয়। মূত্র মানবদেহের একটা প্রধান রেচন দ্রব্য এবং কিডনই মূত্র নিষকাশনের প্রধান অঙ্গ...

কাজেই মানুষের প্রধান রেচন অঙ্গ হলো কিডনি। মানুষের উদর গহ্বরের পেছনের দিকে মেরুদন্ডের দুই পাশে একটা করে মোট দুটো কিডনি অবস্থিত। প্রতিটি কিডনি শিমের বিচির মতো আকৃতি বিশিষ্ট। এদের রং খয়েরি লাল। পূর্ণাঙ্গ মানুষের প্রতিটি কিডনি লম্বায় প্রায় ১১-১২ সেন্টিমিটার, প্রস্থে ৫-৬ সেন্টিমিটার এবং ৩ সেন্টিমিটার পুরু। বৃক্কের বাইরের দিক উত্তল এবং ভেতরের দিক অবতল। বাম দিকের কিডনিটা ডান কিডনি অপেক্ষা কিছুটা ওপরে অবস্থান করে। দুই পার্শ্বের কিডনির অগ্রপান্তে অ্যাডরিনাল গ্রন্থ্থি টুপির মতো আচ্ছাদন করে অবস্থান করে। কিডনির পেলভিস অংশের মধ্যে দিয়ে ইউরেটার, স্নায়ু, বৃক্কীয় শিরা ইত্যাদি বের হয়ে আসে। আবার পেলভিসের মধ্যে দিয়েই কিডনি ধমনী, স্নায়ু ইত্যাদি কিডনির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। লম্বচ্ছেদ করলে কিডনিকে দুটো অংশে বিভক্ত করা যায়-
১. বাইরের দিকে কর্টেক্সঃ কর্টেক্স ইউরিনিফেরাস নালীকার বাউম্যানস আবরক অংশ এবং গেস্নামেরুলাস অবস্থান করে।
২. ভেতরের দিকে মেডুলাঃ মেডুলাতে নেফরনের অ্যাসেনডিং নালী, ডিসেনডিং নালী, হেনলিরলুপ এবং সংগ্রাহক নালী অবস্থান করে।
কর্টেক্সের বাইরের দিকে তন্তু্তুময় আবরণকে ক্যাপস্যুল বলে। কর্টেক্স হাল্কা রঙের এবং মেডুলা গাঢ় ও কিছুটা কালচে রঙের হয়। মেডুলাতে কয়েকটা মোচাকৃতির খন্ডাংশ থাকে। এদেরকে পিরামিড বলে। পিরামিডগুলো ক্যালিক্স নামে কতগুলো জালিতে প্রসারিত হয়। ক্যালিক্সগুলো একটা প্রশস্ত গহ্বরে উন্মুক্ত হয়। এই গহ্বরকে রেনাল পেলভিস বা রেনাল সাইনাস বলে। পেলভিস এরপর ইউরেটারে উন্মুক্ত হয়।
নেফরন কি?
প্রতিটি কিডনির অভ্যন্তরে প্রায় ১ লাখ নেফরন থাকে। নেফরনই বৃক্কের...

Read More
Health Image +

আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস

বিশ্ব ক্যান্সার দিবস (ইংরেজি: World Cancer Day)
প্রতি বৎসর ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বিশ্ব ক্যান্সার দিবস বা বিশ্ব ক্যান্সার সচেতনা দিবস পালন করা হয়।প্রতি বৎসর ৪ঠা ফেব্রুয়ারী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ক্যান্সার রোগীদের জীবন ধারার মান উন্নয়নে ইন্টারন্যাশানাল ইউনিয়ন এগেনষ্ট ক্যান্সার (International Union Against Cancer) কে সহায়তা করে থাকে। 
ক্যান্সার কি?
ক্যান্সার বা কর্কটরোগ অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজন সংক্রান্ত রোগসমূহের সমষ্টি। এখনও পর্যন্ত এই রোগে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। কারণ হচ্ছে প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার রোগ সহজে ধরা পরে না, ফলে শেষ পর্যায়ে গিয়ে ভালো কোনও চিকিৎসা দেয়াও সম্ভব হয় না। বাস্তবিক অর্থে এখনও পর্যন্ত ক্যান্সারের চিকিৎসায় পুরোপুরি কার্যকর কোনও ওষুধ আবিষ্কৃত হয় নি। ক্যান্সার সারানোর জন্য বিভিন্ন ধরেনর চিকিৎসা পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পরলে এই রোগ সারানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি। ২০০ প্রকারেরও বেশি ক্যান্সার রয়েছে। প্রত্যেক ক্যান্সারই আলাদা আলাদা এবং এদের চিকিৎসা পদ্ধতিও আলাদা। বর্তমানে ক্যান্সার নিয়ে প্রচুর গবেষনা হচ্ছে এবং এ সম্পর্কে নতুন নতুন অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু , এটি মারাত্মক ও ভীতিকর রোগ। শরীরের যেকোনো অঙ্গেই এ রোগ হতে পারে। সারা বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে ক্যান্সার।
ক্যান্সারের কারণ বা ঝুঁকিগুলোর মধ্যে আছে : 
ধূমপান; পান-জর্দা-তামাকপাতা খাওয়া; সবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার কম খাওয়া; শারীরিক ব্যায়াম না করা, শারীরিক স্থূলতা বা বেশি ওজন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি, এক্স-রে ইত্যাদি রেডিয়েশন, কিছু রাসায়নিক পদার্থ যেমন-ফরমালডিহাইড, আফলাটক্সিন, কিছু ভাইরাস বা অন্যান্য জীবাণু।
অতিশয় ওজন বা শারীরিক স্থূলতা, ব্যায়ামের অভাব-এসব কারণে ক্যান্সারে ভুগে সারা বিশ্বে বছরে প্রায় পৌনে তিন লাখ মানুষ মারা যায়। আর বায়ুদূষণের কারণে ক্যান্সারে মারা যায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৪০...

Read More
Health Image +

কানের রোগ উপসর্গ ও তার চিকিৎসা বিষয়ে কিছু তথ্য

কান
কানে কিছু ঢোকা
বাহ্যিক যে কোনো পদার্থ কানের ভেতরে ঢুকে কানের সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
উপসর্গ
• আক্রান্ত কানে কম শোনা
• কান ব্যথা
• কানে স্তব্ধতা অনুভূতি
চিকিৎসা
কানে পোকামাকড় ঢুকলে বা কোনো রাসায়নিক পদার্থ গেলে জরুরী ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত।
কানে খৈল জমা
কানে বিভিন্ন প্রকার ময়লা থেকে খৈলের জন্ম হয়। বিভিন্ন সময়ে এই খৈল জন্মে কানের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
উপসর্গ
• কানে ব্যথা
• কান থেকে ময়লা বের হওয়া।
চিকিৎসা
ডাক্তারের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
কানের রোগ
কানের একটি রোগ হলো মেনিয়ার’স রোগ। এই রোগের ফলে ভেতরের কানে তরলের প্রবাহ কমে যায় এবং রক্ত সংবহনে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
উপসর্গ
• মাথা ঘোরা
• বমি বমি ভাব
• কানে স্তব্ধতা অনুভূতি
• কানে কম শোনা।
চিকিৎসা
এন্টিভার্ট কোম্পাজিন প্রভৃতি ওষুধ এ রোগের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
কানের ইনফেকশন
কানের মধ্যে ঝিল্লিতে প্রদাহজনিত কারণে কানের ইনফেকশন হতে পারে।
উপসর্গ
• কানে ব্যথা
• ডায়রিয়া
• বমি
• জ্বর ইত্যাদি।
চিকিৎসা
এন্টিবায়োটিকের দ্বারা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ জাতীয় ইনফেকশনের চিকিৎসা করা হয়।
কানের টিনিটাস
টিনিটাস হলো কানের এক প্রকার রোগ, যাতে করে কানে অস্বাভাবিক শব্দ শোনা যায়। প্রায় ৩৬ মিলিয়ন আমেরিকান প্রতি বছর এই রোগে ভোগে।
উপসর্গ
• অনিদ্রা
• মনোসংযোগের সমস্যা
• ডিপ্রেশন
• হতাশা ইত্যাদি।
চিকিৎসা
এন্টিডিপ্রেসেন্টস জাতীয় ওষুধ এবং এন্টিবায়োটিকের দ্বারা এর চিকিৎসা করা হয়।
কানে ব্যথা
কানের এস্টাজিন টিউবে ব্যথার সৃষ্টি হলে কানে ব্যথা সমস্যা হতে পারে। সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই জাতীয় সমস্যা হয়ে থাকে।
উপসর্গ
• কানে চাপ অনুভূতি
• কানে ব্যথা
• জ্বর ইত্যাদি।
চিকিৎসা
ডাক্তাররা ব্যাকটেরিয়ার মোকাবেলায় এন্টিবায়োটিক ওষুধ দ্বারা এর চিকিৎসা করে থাকেন।

Read More
Health Image +

নিজেই দূর করুন কিডনির পাথর

মূত্রনালীর যত রোগ আছে, এর মধ্যে পাথরজনিত রোগ সবচেয়ে বেশি। প্রতি ২০ জনের মধ্যে একজন কিডনির পাথরে ভোগেন। এই পাথর আকারে ক্ষুদ্র শস্যদানা থেকে শুরু করে টেনিস বল আকৃতির পর্যন্ত হতে পারে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগেই ছোট পাথরগুলো প্রস্রাবের সঙ্গে বের হয়ে যায়। তবে কিডনির পাথর সাধারণত আকারে ছোট হয়ে থাকে। কিডনির ভেতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে পাথর হয়। সাধারণত খনিজ এবং অম্ল লবণ দিয়ে কিডনির পাথর তৈরি হয়।
কী করে বুঝবেন কিডনিতে পাথর?
মূত্রনালীতে পাথর না যাওয়া পর্যন্ত কিডনিতে পাথর হওয়ার কোনো লক্ষণ ও উপসর্গ সাধারণত বুঝা যায় না। কিডনিতে পাথর হলে সাধারণত যেসব লক্ষণ ও উপসর্গগুলো দেখা দেয়:
# পিঠের দুই পাশে এবং পাঁজরের নিচে ব্যথা হওয়া ও তলপেট এবং কুঁচকিতে ব্যথা ছড়িয়ে যাওয়া।
# প্রস্রাব ত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া
# প্রস্রাবের রঙ গোলাপী, লাল অথবা বাদামী হওয়া।
# বারবার প্রস্রাবের বেগ পাওয়া।
# যদি কোনো সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে জ্বর এবং কাঁপুনি হওয়া।
# বমিবমি ভাব এবং বমি হওয়া।
যাদের বেশি হয় :
নারীদের তুলনায় পুরুষদের পাথর হওয়ার হার বেশি (৩:১)। ৪০ বছরের পর থেকে পুরুষদের পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। আর ৭০ পর্যন্ত বাড়তেই থাকে। নারীদের ক্ষেত্রে তা ৫০ বছর বয়স থেকে বাড়তে থাকে। তবে যেকোনো সময়ে যে কারও কিডনি বা মূত্রনালীতে পাথর হতে পারে। এ ছাড়া যাদের একাধিকবার পাথর হয়েছে, তাদের বারবার হতে পারে। যাদের প্রস্রাবের প্রদাহ বেশি হয়, টিউবুলার অ্যাসিডোসিস রয়েছে তাদেরও হতে পারে। টিউবুলার অ্যাসিডোসিস একটি বংশগত রোগ। এই রোগীর ৭০ শতাংশেরই কিডনিতে পাথর হয়।
প্রাকৃতিক উপায়ে নিজেই করুন সমাধান :
যারা ছুরি-কাঁচির নাম শুনলেই ভয়ে গায়ে জ্বর আসে। তারা বিনা অপারেশনে কিডনি স্টোন...

Read More
Health Image +

ব্লাড ক্যান্সার রোগীদের আশার নতুন আলো ‘আইব্রুটিনিব’

বিশ্বের হাজার হাজার ব্লাড-ক্যান্সার রোগীর জন্য আশার আলো জাগাচ্ছে নতুন একটি পিল বা বড়ি।
‘আইব্রুটিনিব’ নামের নতুন এ ওষুধটি অচিরেই বাজারে ছাড়া হবে। যারা লিউকেমিয়া ও লিম্ফোমা জাতীয় দূরারোগ্য ব্লাড ক্যান্সারের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত, তাদের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে ওষুধটি। তবে ‘আইব্রুটিনিব’ উৎপাদনকারী বিখ্যাত ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ‘জ্যানসেন’ বলছে, এ দুটি বিশেষ ধরন ছাড়াও আরও বেশ কয়েক ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কার্যকর ওষুধটি। আইব্রুটিনিব ওষুধের মাসিক একটি কোর্স সম্পন্ন করতে ব্যয় হবে ৪,০০০ ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা। এ খবর দিয়েছে বৃটেনভিত্তিক সংবাদপত্র মিরর। 
বর্তমানে আইব্রুটিনিব ওষুধটি ‘ইমব্রুভিকা’ নামে বাজারজাত করা হচ্ছে। যে রোগীরা দূরারোগ্য লিম্ফোসাইটিক লিউকেমিয়া (সিএলএল) বা রিফ্র্যাক্টরি ম্যান্টল সেল লিম্ফোমায় (এমসিএল) ভুগছেন, তাদের চিকিৎসায় এটি ব্যবহৃত হবে। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃটেনে প্রতি বছর ২,৮০০ রোগীর দেহে সিএলএল ও ৫০০ রোগীর দেহে এমসিএল রোগের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। রয়্যাল মার্সডেন হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ক্লেয়ার ডিয়ার্ডেন নতুন এ ওষুধটি দূরারোগ্য লিম্ফোটিক লিউকেমিয়া ক্যান্সার চিকিৎসায় পরিবর্তন আনবে এবং তা রোগী ও তাদের পরিবারবর্গের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে কেমোথেরাপি ছাড়া খুব অল্প সংখ্যক চিকিৎসা রয়েছে এই ক্যান্সারের। কিন্তু, সেগুলোরও বিশেষ পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া রয়েছে এবং তা সব রোগীর জন্য উপযোগীও নয়।

Read More
Health Image +

তেজপাতার এত গুণ!

আমরা যতটা হাস্যকরভাবে বলি ‘জীবনটা যেন তেজপাতা হয়ে যাচ্ছে, কিছুই নেই’। তবে আসলেই কি তাই! যদি জানতাম তেজপাতার আসলে গুণের শেষ নেই তবে কখনোই হয়তো এমন উদাহরণ দিতাম না। রান্নার কাজে তেজপাতার ব্যবহার বাদেও কয়েকটি অবিশ্বাস্য গুণের দিকগুলো আসুন দেখে নেই-
*পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে চমৎকারভাবে।
* ত্বকের সতেজতা রক্ষা করতে রং চায়ের সঙ্গে তেজপাতার গুরুত্ব অপরিসীম।
* শরীরে কোথাও ফোঁড়া উঠলে তার ওপর তেজপাতা বেটে প্রলেপের মতো করে দিলে ব্যথা কমবে।
* শরীরের ময়লা দূর করতে তেজপাতা বেটে শরীরে মেখে গোসল করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
* দাঁতের মাড়ির ক্ষয়রোধ করতে তেজপাতা চূর্ণ করে দাঁত মাজতে পারেন।
* ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর মিহি করে বেটে নিন। ওই বাটা শরীরে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসল করে ফেলুন।
* চোখ ওঠা উপশম করে।
* দুর্বলতা দূরে করে। শারীরিকভাবে দুর্বল ও রোগা মানুষদের জন্য তেজপাতা দারুণ কার্যকরী। কয়েকটা পাতা থেঁতলে করে ২ কাপ গরম পানিতে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ২ বার করে টানা ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে শক্তিও ফিরে পাবেন।
* তেজপাতা মেশানো গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ঠা-ার উপশম হয়।
* তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করুন, অরুচি ও মুখের তেতো ভাব চলে যাবে।
* সবারই কম-বেশি তন্দ্রা ভাব আসে। অত্যাধিক তন্দ্রা ভাব রোগও বটে। এর প্রতিকারের জন্য ৫-৭ গ্রাম করে তেজ পাতা ৩/৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে বেশ কিছুদিন খেলে দারুণ উপকার পাবেন।
* বলা হয় স্মৃতিভ্রমের হাত থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা মেশানো সেদ্ধ পানি আশানুরূপ ফল...

Read More
Health Image +

কি করবেন ঘুম না হলে !

অবসাদ, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে প্রায়ই রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায়। মাঝে মাঝেই সারারাত ঘুমের চেষ্টা করেও সুখের ঘুমের দেখা পাওয়া যায় না।
রাতে ঘুমানোর চেষ্টা করেও ঘুমাতে না পারা, দারুণ বিরক্তিকর একটি বিষয়। তবে ঘুম না পেলে কিছু কাজ করা যেতে পারে। নারী বিষয়ক একটি সাইটে রাতে ঘুম না পেলে করণীয় কিছু বিষয় নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
বিছানা ছেড়ে উঠে যান
অনেক্ষণ চেষ্টার পরও ঘুম না আসলে বিছানা থেকে উঠে যাওয়াই ভালো। কারণ ঘুম না আসলে বিছানায় শুয়ে থাকলে ঘুম তো হবেই না বরং আরও অস্বস্তি বাড়ে। তাই বিছানা থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিলে অস্বস্তিভাবটা কমে আসবে। কিছুক্ষণ অন্য কাজে ব্যস্ত থেকে মন শান্ত করে, আবারও ঘুমানোর চেষ্টা করলে ঘুম হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
অতীত নিয়ে চিন্তা না করা
রাতে ঘুম না আসলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা মাথায় আসতে থাকে। আর সে কারণে ঘুম আসতে আরও বেশি সময় লাগে। কারণ কখনও কখনও অতীত বা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তার কারণে আরও বেশি দুশ্চিন্তা কাজ করে। তাই ঘুম না আসলেও যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চিন্তা করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন।
ঘড়ির দিকে না তাকানো
রাতে ঘুম না আসলে সব থেকে বেশি নজর যায় ঘড়ির কাঁটার দিকে। আর বার বার যদি ঘড়ির কাঁটার দিকে চোখ যায় তখন মনোযোগ সেদিকেই বেশি থাকবে তখন ঘুম আরও দ্রুত পালাবে চোখ থেকে। তাই ঘুম না আসলেও ঘড়ির দিকে লক্ষ না করাই বুদ্ধিমানের কাজ।
অনেক সময় পরের দিন গুরুত্বপূর্ণ কোনও কাজ থাকলে সেই চিন্তায় ঘুম আসতে চায় না। পরদিন কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে, এগুলো নিয়েই বেশি চিন্তা কাজ করে। এমন হলে বিছানা থেকে উঠে,...

Read More
Health Image +

বিস্ময়কর ওষুধ রসুন

আমাদের দেশের খাবারে যেসব মশলার উপকরণ ব্যবহার করা হয়, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। রান্নার উপকরণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও রসুনের জুড়ি নেই।বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালিয়াম স্যাটিভাম (Allium sativum)।রসুন খুবই পুষ্টিকর৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও ১৭ টি এমাইনো এসিড ময়শ্চার, প্রোটিন, ফ্যাট, মিনারেল, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট।
ভিটামিন ও মিনারেলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, থিয়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, এবং আয়োডিন, সালফার এবং ফ্লোরিনও আছে অল্প পরিমাণে। রসুন স্বাস্থ্যের জন্য কত উপকারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই কারণে বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি রসুনকে ‘বিস্ময়কর ওষুধ’ নামে অভিহিত করেছেন। কিন্তু কেন? আসুন জেনে নেয়া যাক সেই ব্যাপারটিই।
রসুনে রয়েছে একশরও বেশি রাসায়নিক উপাদান। এতে রয়েছে এন্টি ব্যাকটেরিয়াল, এন্টি-ভাইরাল, এন্টি ফাংগাল এবং এন্টি অক্সিডেন্ট উপাদান। আর সেই কারণেই রসুন জীবাণুর সংক্রমণের বিরুদ্ধে দেহে যুদ্ধ করার শক্তি জোগায়। এছাড়াও রসুন খেলে ক্ষুধামন্দা দূর হয়। অ্যাজমা, কানে কম শোনা, ব্রংকাইটিস কনজেশনে রসুন উপকারি। ঠান্ডা, সর্দি, কফ, সারাতে সাহায্য করে। ফুসফুস, ব্রংকিয়াল টিউব, সাইনাসের গহবরে মিউকাস জমতে দেয় না। টিবি, নিউমোনিয়া, হুপিং কাশির মতো রোগে রসুন বেশ উপকারি।
এটা খুব ভালো এন্টিসেপটিক। ঘা, আলসার সারাতে সাহায্য করে। হজমের গোলমাল যেমন আমাশয়, কৃমির মতো সমস্যায় রসুন উপকারে আসে। রসুন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। হার্টঅ্যাটাক প্রতিরোধ করে। হৃদরোগ কমায়, রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে। শরীরে টক্সিনের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে, কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমাতেও সাহায্য করে এই রসুন।
ওষুধ রসুন প্রতিরোধেও সাহায্য করে। নিয়মিত রসুন সেবন রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। আবার ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণও ঠিক রাখে। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম এই রসুন। এমনকি এটি দাঁতের ব্যথাও নিরাময় করে থাকে।
গবেষকরা আরো দাবি করেন, যারা প্রতিদিন রসুন খেয়ে...

Read More
Health Image +

শিশুর রোগ জীবানুর নাম, লক্ষণ এবং প্রতিরোধের করনীয়

আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে শিশুরা সহজেই বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। ঠিকমতো যত্ন না নিলে শিশু মৃত্যুর মতো ঘটনাও ঘটে। তাই সচেতন থাকার জন্য শিশুর রোগ জীবাণুর নাম ও লক্ষণ এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে জেনে রাখা জরুরী।
ক্লষ্ট্রিডিয়াম টিটানী (Chlostridium tetani) ব্যাকটেরিয়া।
লক্ষন
জম্মের ১ম ও ২য় দিন শিশু স্বাভাবিক ভাবে কাঁদতে পারে এবং বুকের দুধ টেনে খেতে পারে। জন্মের ৩-২৮ দিনের মধ্যে শিশু অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং শিশু বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়, শিশুর মুখ ও চোয়াল শক্ত হয়ে যায় এবং জোরে কাঁদতে পারে না। শিশুর খিঁচুনী হয় এবং শরীর পেছনের দিকে ধনুকের মতো বাঁকা হয়ে যায়।
ভয়াবহতা
নবজাতকের ধনুষ্টংকার শিশুমৃত্যুর একটি প্রধান কারন। এই রোগের চিকিৎসা করা অত্যন্ত কষ্টকর। এই রোগে আক্রান্ত নবজাতক প্রায়ই মারা যায়।
প্রতিরোধ
গর্ভবর্তী ও সন্তান ধারনক্ষম সকল মহিলাকে যথা শীঘ্র সম্ভব ৫ ডোজ টিটি টিকা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে দিয়ে নবজাতকের ধনুষ্টংকার রোধ করা যায়। এছাড়া নিরাপদ প্রসব ও নাভী কাটার জন্য জীবানুমুক্ত ব্লেড ব্যবহার করতে হবে।
ডিপথেরিয়ার কারন, রোগ জীবানুর নাম, লক্ষন, ভয়াবহতা ও প্রতিরোধ
কারন
ক্ষুদ্র এক প্রকার জীবাণু ডিপথেরিয়া রোগাক্রান্তশিশুর হাঁচি কাশির মাধ্যমে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। ঐ জীবানু যখন সুস্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে তখন এই রোগ দেখা দিতে পারে।
জীবাণুর নাম
করিনেব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরী Corynebacterium diptherae) ব্যাকটেরিয়া।
লক্ষন
১-৩দিন:
শিশু খুব সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে
ঠিক মতো খায়না এবং খেলাধুলা করেনা
শিশুর জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দেয়
গলা ফুলে যায় এবং কন্ঠ নালী বা গল দেশের ভিতরে সরের মত সাদা আস্তরন পড়ে।
৪-৬দিন:
শিশু খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে
কন্ঠ নালীর গ্রন্থিগুলি খুব বেশী ফুলে যায়
কন্ঠ নালীতে ধুসর রং এর সুস্পষ্ট আস্তর পড়ে
আস্তরটি শ্বাস নালীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং...

Read More