Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image +

মূলার পুষ্টিগুণ

মুলা তরকারীর নাম শুনলেই আমরা অনেকেই নাক কুঁচকে ফেলি। এটা খাবারযোগ্য একটি তরকারী হতে পারে তা আমাদের অনেকেরই কল্পনার বাইরে।নাহ এত ফেলে দেয়ার মত সব্জী মুলা নয়। জাপানীদের অন্যতম প্রধান একটি খাবার মুলাতে আসুন দেখি কি আছে ? আমাদের দেশে সারাবছরই বিভিন্ন ধরণের শাকসবজি ও ফলের চাষ করা হয়। তবে মূলা সাধারণত শীতকালে বেশি চাষ হয়। এর ইংরেজি নাম Radish ও বৈজ্ঞানিক নাম Raphanus sativus. প্রতিবছর আমাদের দেশে প্রচুর মূলা উৎপাদন করা হয়। বাংলাদেশে প্রায় সব অঞ্চলেই মূলা চাষ করা হয়।

আমাদের দেশের প্রায় সব শ্রেণীর মানুষের কাছে মূলা বেশ জনপ্রিয় সবজি। মূলা সালাদ, তরকারি ও ভাজি হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। আবার মূলার পাতা শাক হিসেবেও খাওয়া হয়। তাই মূলা চাষ করে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদন বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করা সম্ভব। এছাড়া দেশের চাহিদা মেটানোর পর অতিরিক্ত উৎপাদন বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সহায়তা দিয়ে থাকে। মূলা বিদেশে রপ্তানি করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

মূলা পাতা ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ও ‘সি’ সমৃদ্ধ।
মাংসল, খাবার উপযোগী মূলে আছে কিছুটা ভিটামিন ‘সি’, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস। মুলা নানাভাবে ব্যবহূত হয়, পাতা শাক হিসেবে, মূল মাছ ও অন্যান্য সবজির সঙ্গে তরকারি হিসেবে এবং সালাদে, কখনও আচারে।
সাধারণত রবি-ফসল হিসেবে চাষ হয়, গ্রীষ্মকালেও কিছুটা ফলানো যায়। চাষাধীন প্রায় ২৪,৩৭২ হেক্টর জমিতে ফলন হয় প্রায় ২,২৩,৩০০ মে টন। নামী ভ্যারাইটির কয়েকটি Red Bombay, Minto Early, Mino Saki। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট তিনটি জাতের মুলা অবমুক্ত করেছে; তসোকিষান (লম্বা, সাদা মূল), পিংকি (বেশি ঝাঁঝালো, লালচে মূল), দ্রুতি (সাদা, রঙিন, আশু জাত)।
মুলার পুষ্টিগুণ...

Read More
Health Image +

লাউ এর পুষ্টিগুণ


লাউ এর ইংরেজি নাম হয়েছে Bottle gourd। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রংয়ের শাঁস। লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়।লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরনো চাষ হওয়া সবজি অতি পরিচিত লাউয়ের জন্ম কিন্তু আফ্রিকায়। আমাদের দেশে লাউকে আঞ্চলিক ভাষায় কদু বলা হয়। কচি লাউয়ের রং হালকা সবুজ, ভেতরে সাদা রঙের শাঁস। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু লাউ নয়, লাউয়ের বাকল, লতা, এমনকি পাতাও খাওয়া যায়।
বাংলাদেশে লাউ একটি জনপ্রিয় সবজি। লাউ সাধারণত শীতকালে বসতবাড়ির আশপাশে চাষ হয়। লাউয়ের পাতা ও ডগা শাক হিসেবে এবং লাউ তরকারী ও ভাজি হিসেবে খাওয়া যায়। লাউয়ের চেয়ে এর শাক বেশি পুষ্টিকর। বাংলাদেশে লাউয়ের অনেক জাত চোখে পড়ে। ফলের আকার-আকৃতি এবং গাছের লতানোর পরিমাণ থেকেও জাতগুলো পাথর্ক্য করা যায়। যা হোক দেশীয় উন্নত এবং গবেষণালব্ধ কিছু জাত হলোঃ
১। দেশীয় জাতঃ গাঢ় সবুজ থেকে হালকা সবুজ।
২। বারি লাউ-১: এ জাতটি বাছাইয়ের মাধ্যমে উদ্ভাবন করে ১৯৯৬ সনে সর্বত্র চাষাবাদের জন্য অনুমোদন করা হয়। পাতা সবুজ ও নরম। পুরুষ এবং স্ত্রী ফুল যথাক্রমে চারা রোপণের ৪০-৪৫ দিন এবং ৬০-৬৫ দিনের মধ্যে ফুটে। এর ফল হালকা সবুজ, লম্বা ৪০-৫০ সেমি.। প্রতি ফলের ওজন ১.৫-২.০ কেজি। প্রতি গাছে ১০-১২ টি ফল ধরে। এ জাতটি সারা বছরই চাষ করা যায়।
৩। হাইব্রিড লাউঃ গোলাকার বা লম্বা।
লাউ একই সঙ্গে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর একটি সবজি। আর এর উপকারিতাও অনেক প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে আছে, কার্বোহাইড্রেট- ২.৫ গ্রাম, প্রোটিন- ০.২ গ্রাম, ফ্যাট- ০.৬ গ্রাম, ভিটামিন-সি- ৬ গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২০ মি.গ্রা.,ফসফরাস- ১০ মি.গ্রা.,পটাশিয়াম- ৮৭ মি.গ্রা., নিকোটিনিক অ্যাসিড- ০.২ মি.গ্রা.। এছাড়াও লাউয়ে রয়েছে খনিজ লবন, ভিটামিন বি-১, বি-২, আয়রন।
উপকারিতা
• লাউয়ে প্রচুর...

Read More
Health Image +

রোগ প্রতিরোধে শিম

শীমের ইংরেজী নাম Bean। শীতকালে দেশী শিম খুবই জনপ্রিয় সবজি। শীত মৌসুমের শুরুতেই সরবরাহ কম থাকায় দাম থাকে চড়া। আমিষ সমৃদ্ধ এই শিম তরকারি হিসেবে দু’ভাবে খাওয়া হয়। দেশী শিম বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ শীতকালীন সবজি। এটি পুষ্টিকর, সুস্বাদু এবং সব শ্রেণীর লোকের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। শিমের কচি শুঁটির বীজে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও শ্বেতসার থাকে বলে খাদ্য হিসেবে খুবই উপকারী। তা ছাড়া এতে যথেষ্ট পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’ থাকে। আমাদের দেহের পুষ্টি সাধনে এসব পুষ্টি উপাদানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিম সব ধরনের মাটিতেই চাষ করা যায়। তবে দো-আঁশ বা বেলে দো-আঁশ মাটি দেশী শিম চাষের জন্য বেশি উপযোগী। পানি জমে না এমন উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি শিম চাষের জন্য বেছে নেয়া ভালো। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিটিউট উদ্ভাবিত দেশী শিমের জাত বারি শিম-১ ও বারি শিম-২ চাষের জন্য বেশ ভালো। এ ছাড়া বারমাসী সাদা ইপসা-১ ও বারমাসী বেগুনি ইপসা-২ জাত দুটিও প্রায় সারা বছর চাষ করা যায়।
শিম (Bean) সাধারণভাবে শিম, বরবটি ইত্যাদি নামে পরিচিত লিগিউম জাতের (leguminous) উদ্ভিদ বা তাদের বীজ। সারা পৃথিবীতে নানাজাতীয় শিমের চাষ হয়। এগুলি মানুষ ও গবাদি পশুর খাদ্য। মানুষের খাদ্য হিসেবে যেসব শিম ব্যবহূত হয় সেগুলি প্রায় ১৪টি গণের অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে অন্তত ২৮টি প্রজাতির শিম বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। শিমের বীজ সাধারণত বৃক্কাকার (kidney-shaped) এবং প্রোটিনসমৃদ্ধ।
দেশী শিম (Country bean) দেশের সর্বত্র ফলানো শীতকালীন সবজি প্রজাতি Lablab niger। এর শুঁটি ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ। সাধারণত ১৫-২০ দিনের চারা জুন-আগস্ট মাসে মাঠে লাগিয়ে ৮০-৯০ দিন পর ফসল তোলা হয়। হেক্টর প্রতি গড়ে ১০-১২ মে টন শিম ফলে। প্রধানত সবজি হিসেবে ব্যবহার্য।...

Read More
Health Image +

ঝকঝকে সাদা দাঁত

ঝকঝকে সুন্দর দাঁতের হাসি সবাই চায়। কিন্তু আপনার দাঁত যদি হয় হলদে তাহলে মন খারাপের পাশাপাশি বিব্রত না হয়ে উপায় থাকে না। আর নয় হলদে দাঁত... আসুন জেনে নেই হলুদ দাঁত সাদা করার কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি-
*এটি দাঁত সাদা করতে সবচেয়ে কার্যকরী। একটি ব্রাশ ভিজিয়ে নিয়ে পেস্টের সঙ্গে কিছুটা বেকিং পাউড়ার নিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত হয় ঝকঝকে সাদা। সকালে ঘুম থেকে উঠে কিংবা রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশের সময় এটা করা যেতে পারে।
*স্ট্রবেরি খেতে যেমন মজাদার, ফলটির বিচিও দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। স্ট্রবেরি ফলের ছোট ছোট বিচি আপনার দাঁতের বাইরের অংশে ঘষুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ বার এই কাজ করলে দাঁতে জমে থাকা ময়লা সহজেই দূর হয়। একই সঙ্গে দাঁতের রংও হবে উজ্জ্বল।
*এক চিমটি লবণ ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে মাজলে দাঁত সাদা হয়। এছাড়া লেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত স্ক্রাবিং করতে পারেন। দাঁত সাদা করতে এটাও বেশ ভাল উপায়।
*অনেকের চা ও কফির প্রতি দারুণ আসক্তি আছে। অবস্থা এমন যে সারা দিন কত কাপ চা বা কফি খাওয়া হয়েছে, তার হিসাব মেলানো দায়। একই কথা প্রযোজ্য সোডাজাতীয় পানীয়ের ক্ষেত্রে। সত্য কথা হলো—চা, কফি ও সোডাজাতীয় পানীয় দাঁতের শত্রু। এগুলো দাঁতের রং নষ্ট করে দেয়। দাঁত রক্ষায় এগুলো পান পুরোপুরি ত্যাগ বা নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। আর তা সম্ভব না হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে পাইপ বা স্ট্র ব্যবহার করা যায়।
*সকালে ঘুম থেকে উঠে পানি দিয়ে আপনার দাঁত ধুয়ে ফেলুন। তারপর কমলালেবুর খোসা দিয়ে আপনার দাঁত ঘষুন। কমলালেবুর খোসায় ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন সি এর উপস্থিতি থাকায় দাঁতের অণুজীবের সঙ্গে লড়াই করে। এতে দাঁত আরও সাদা এবং শক্তিশালী হয়।
*দাঁত...

Read More
Health Image +

ক্যান্সার এড়াতে ধূমপান

এমন কথা শুনে কে না অবাক হবেন যে ধূমপানে ক্যানসারকে দূরে রাখে। হ্যাঁ এটা সত্যি ধূমপান স্বাস্হ্যের পক্ষে হানিকারক, এতে ক্যানসার হতে পারে৷ এমই একটা লাইন ব্যবহার হয় সব সিনেমার আগে৷ মুখস্থ হয়ে গেছে সবার৷ এছাড়াও সিগারেটের প্যাকেটেই দিকে তাকালেই ভয়ঙ্কর একটা ছবি দিয়ে লেখা থাকে স্মোকিং কিলস্৷ কিন্তু এক গবেষক ক্যানসার এড়াতে এই সিগারেট খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন৷ শুনে আঁতকে উঠলেন কি? এই গবেষক বলছেন তামাক গাছ নাকি ক্যানসারের সবচেয়ে বড় শত্রু৷
লাট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ডা. মার্ক হুলেটের দাবি এনওডি১ ক্যানসার কোষের ছড়িয়ে পরা রুখতে পারে৷ এগুলি প্যাথোজেন মেরে ফেলতে সক্ষম৷ এনএডি১ নিজেই ক্যানসার কোষ খুঁজে পাশের সুস্থ কোষকে অক্ষুন্ন রেখেই ক্যানসার কোষ নষ্ট করে দেয়৷ তবে এখনও ক্যানসার কোষের উপর বেশকিছু প্রয়োগ মূলক পরীক্ষা বাকি রয়েছে৷

Read More
Health Image +

তুলসী গাছ ও পাতার গুনাগুণ

বাংলায় তুলসি অন্যান্য নাম: Holy basil, Tulsi तुलसी (হিন্দি, তামিল, তেলেগু), Trittavu (মালয়ম), Tulshi (মারাঠী) বৈজ্ঞানিক নামঃ Ocimum tenuiflorum L. - holy basil ইংরেজি নামঃ Sacred Basil, Holy Basil.
পরিচিতিঃ সাধারনত ভেজা মাটিতে তুলসী গাছের জন্ম হয়ে থাকে । তুলসী শাখা প্রধান গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। গাছটির সমস্ত শরীরে একধরণের সুক্ষ্মতা বিদ্যমান । পূর্ণাঙ্গ উদ্ভিদ ৭৫-৯০ সে.মি. হয়। শাখা-প্রশাখা শক্ত ও চতুষ্কোনাকার। তুলসী ঔষধি ও চিরহরিৎ গুল্মজাতীয় গাছ। পাতা ২ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তবে এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা। শাখা-প্রশাখার সামনের অংশ থেকে পাঁচটি ফুলের ডাল বের হয় এবং প্রতিটি ডালের চারদিকে ছাতার মতো ১০ থেকে ১২টি স্তরে থরেথরে ফুল ধরে। তুলসী ফুল ছোট পার্পেল বা হালকা লালচে বঙের হয়, সিলিন্ডারাকৃতির স্পাইকে ফুল গুলো ঘন হয়ে জন্মে থাকে। ফল গুলো ও ছোট, বীজ হলুদ বা একটু লালচে ধরনের। তুলসী গাছের ফুল, ফল এবং পাতার একটি ঝাঁজালো গন্ধ আছে। বাংলাদেশ ও ভারতের সর্বত্র এ গাছ দেখতে পাওয়া যায়। এ গাছের গুণাগুণের কথা বিভিন্ন প্রাচীন গ্রন্থেও উল্লেখ আছে।
ধর্মীয় কারণঃ ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে তুলসীকে সীতাস্বরূপা, স্কন্দপুরাণে লক্ষীস্বরূপা, চর্কসংহিতায় বিষ্ণুর ন্যায় ভুমি, পরিবেশ ও আমাদের রক্ষাকারী বলে বিষ্ণুপ্রিয়া, ঋকবেদে কল্যাণী বলা হয়েছে । স্বয়ং ভগবান বিষ্ণু তুলসী দেবীকে পবিত্রা বৃন্দা বলে আখ্যায়িত করে এর সেবা করতে বলেছেন। পরিবেশগত কারণঃ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তুলসীগাছ একমাত্র উদ্ভিদ যা দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ করে বায়ু বিশুদ্ধ রাখে যেখানে অন্য যেকোন গাছ রাত্রিতে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে তাই রাতের বেলাতে তুলসীতলায় শয়ন করাও ব্যক্তির জন্য উপকারী।এছাড়া তুলসীগাছ ভুমি ক্ষয়রোধক এবং তুলসী গাছ লাগালে তা মশা কীটপতঙ্গ ও সাপ থেকে দূরে রাখে।
তুলসীর...

Read More
Health Image +

আদা এর গুনাগুণ

বচনে আছে, ‘'প্রাতে খেলে নুন আদা, অরুচি থাকে না দাদা।'’ আরো কতশত উপকারিতা বিজ্ঞানীরা বের করেছেন তা বলাই বাহুল্য। কৃত্রিম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফ্যাসাদে পড়ে এখন সবাই একটু শান্তি খুঁজছেন প্রাকৃতিক ও ভেষজ দ্রব্যের দিকে। একটু ঠাণ্ডা লেগে গেলে কিংবা খেলার মধ্যে হাঁপিয়ে উঠলে আদা খাওয়া যায়। কারণ আদা কাশি কমাতে সহায়ক। আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এছাড়া সামান্য পরিমাণে আছে সোডাম, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজ।
আদা রান্না অথবা কাঁচা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। গলার খুসখুসে ভাব কমাতে কাঁচা আদা খুবই উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যে কোনো ধরনের ঠাণ্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই, কাঁশি ও হাঁপানির তীব্রতা কমিয়ে দেয়। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এছাড়া চুল পড়া ও বমিরোধক হিসেবেও আদা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন -ই, এ, বি ও সি এর পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে।
রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তারা অনেকেই গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণকে পছন্দ করে থাকেন। আসলে মসলা ছাড়াও আদার রয়েছে বিভিন্ন গুণ। ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামি মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত আদা খেলে গিঁটে ব্যথা সারে অনেকখানি।
শীতে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে? এককাপ আদার চা খেয়ে নিন। বেশ আরাম বোধ করবেন। আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে রক্তনালী প্রসারিত করে। ফলে শরীর গরম থাকে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়া যাদের মোশন সিকনেস...

Read More
Health Image +

ওজন কমান

ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ দেহে ওজন সংক্রান্ত নানা ধরণের রোগের বাসা বাঁধা। সেকারণে ওজন বাড়ার প্রতি সকলের বিশেষ নজর দেয়া উচিত। চলুন জেনে নেই ওজন কমাতে বেশ সহায়ক কয়েকটি প্রোটিন খাবার-
*বিকেলে নাস্তায় খেয়ে নিন ১ মুঠো কাঠবাদাম। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর দুটো বৈশিষ্ট্যই বাদামে বিদ্যমান। প্রোটিনের বেশ ভালো একটি উৎস যা অনেকটা সময় আপনার ক্ষুধা নিবারন করবে ও ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
*কুমড়োর বিচি অনেকেই ফেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। বিকেলে একটু ভেজে খোসা ছাড়িয়ে অথবা সাধারণ তরকারীতে শিমের বিচির মতো ব্যবহার করতে পারেন প্রোটিনের এই বিশেষ উৎসটিকে।
*সকালে, বিকালে এবং রাতের খাবারে রাখুন কুসুম ছাড়া ডিম। দিনে ৩/৪ টি কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যায়। এবং যদি কুসুম সহ খেতে চান তবে ১/২ টি ডিম খান।
*অনেকের মাছ খেতে পছন্দ না হলেও মাছ প্রাণীজ প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সুতরাং ওজন কমিয়ে রাখতে ও সুস্বাস্থ্য চাইলে খাদ্যতালিকায় মাংসের পরিবর্তে মাছ রাখুন।
*ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অনেকটা সময় আপনার ক্ষুধার উদ্রেক করতে বাঁধা প্রদান করে। এতে করে অনেকটা সময় আপনি হাবিজাবি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
*বিকেলের নাস্তায় প্রোটিন সমৃদ্ধ দই বেশ ভালো একটি খাবার। রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে দই অনেক কার্যকরি। বাসায় দই বানালে এতে চিনি ব্যবহার না করাই ভালো।
...পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি, শাক-সবজি এবং ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যতোটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। খাদ্য তালিকায় বাড়িয়ে দেয়া উচিত প্রোটিনের পরিমাণ।

Read More
Health Image +

দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করে এমন ৪ টি ফ্যাট জাতীয় খাবার

ফ্যাট জাতীয় খাবার দেহের ওজন কমাবে তা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। কারণ আমরা জানি ফ্যাট জাতীয় খাবার খেলে আমরা আরও বেশি মোটা হয়ে যাবো। আর এখন যদি ওজন কমানোর জন্য ফ্যাট জাতীয় খাবারই যদি খেতে হয় ব্যাপারটা একটু অন্যরকম তাইনা। কিন্তু ব্যাপারটি যেমনই হোক না কেন গবেষণায় বলা হয়েছে ফ্যাট জাতীয় খাবারই আপানর দেহের ওজন কমাতে সাহায্য করবে বেশি। তাই চলুন জেনে নেই খাবার গুলো সম্পর্কে।
ঘাস খাওয়ানো গরুর মাংস
নিউট্রিশন জার্নালের গবেষণায় এসেছে যে, ঘাস খাওয়া গরুর মাংসে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ অনেক বেশি যা আমাদের হৃদপিণ্ডের সমস্যা থেকে রক্ষা করে থাকে। ঘাস খাওয়ানো গরুর মাংসে স্বাভাবিক ভাবেই ক্যালরি কম থাকে অন্যান্য মাংসের তুলনায়। কারণ একটি সাধারণ গরুর মাংসের টুকরায় ৩৮৬ ক্যালরি থাকে এবং ফ্যাট থাকে ১৬ গ্রাম ও একটি ঘাস খাওয়ানো গরুর মাংসের টুকরায় ২৩৪ ক্যালরি ও ফ্যাট থাকে মাত্র ৫ গ্রাম।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েল আমাদের দেহের অনেক উপকার করে থাকে। অলিভ অয়েল আমাদের দেহের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, আমাদের হৃদপিণ্ডের শক্তি বৃদ্ধি করে ও চর্বি রোধ করে থাকে। অবসিটি এর নতুন গবেষণায় এসেছে যে, অলিভ অয়েলে আছে অ্যাডিপন্সটিন নামের এক জাতীয় প্রোটিন পদার্থ ও প্রোটিন যা আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া অলিভ অয়েলের এর অ্যাডিপন্সটিন নামক পদার্থটি আমাদের দেহে হরমোনের মাধ্যমে শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে থাকে। তাই দেহের ওজন কমাতে যেকোন খাবার, চাইলে ফ্যাট জাতীয় খাবারও অলিভ অয়েল দিয়ে রান্না করুন।
ভোজনযোগ্য নারিকেল তেল
নারিকেলে আছে উচ্চ মাত্রায় ফ্যাট। এই সম্পূর্ণ ফ্যাট আসে লিউরিক এসিড থেকে ও অন্যান্য উপাদান থেকে যা ব্যাকটেরিয়া ধংস করে দেহের কলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে,...

Read More