Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

আদা এর গুনাগুণ

বচনে আছে, ‘'প্রাতে খেলে নুন আদা, অরুচি থাকে না দাদা।'’ আরো কতশত উপকারিতা বিজ্ঞানীরা বের করেছেন তা বলাই বাহুল্য। কৃত্রিম ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফ্যাসাদে পড়ে এখন সবাই একটু শান্তি খুঁজছেন প্রাকৃতিক ও ভেষজ দ্রব্যের দিকে। একটু ঠাণ্ডা লেগে গেলে কিংবা খেলার মধ্যে হাঁপিয়ে উঠলে আদা খাওয়া যায়। কারণ আদা কাশি কমাতে সহায়ক। আদায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট পরিমাণ আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ও ফরফরাসের মতো খনিজ পদার্থ। এছাড়া সামান্য পরিমাণে আছে সোডাম, জিঙ্ক ও ম্যাঙ্গানিজ।

আদা রান্না অথবা কাঁচা দু’ভাবেই খাওয়া যায়। গলার খুসখুসে ভাব কমাতে কাঁচা আদা খুবই উপকারী।
গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় আদা থাকলে যে কোনো ধরনের ঠাণ্ডাসংক্রান্ত রোগবালাই, কাঁশি ও হাঁপানির তীব্রতা কমিয়ে দেয়। আর্থ্রাইটিসের মতো রোগের ক্ষেত্রেও ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে আদা। এছাড়া চুল পড়া ও বমিরোধক হিসেবেও আদা বেশ কাজে দেয়। ভিটামিন -ই, এ, বি ও সি এর পরিমাণও কম নয় আদার মধ্যে।

রক্তের অনুচক্রিকা এবং হৃদযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিক রাখতেও আদা দারুণ কার্যকর। মুখের রুচি বাড়াতে ও বদহজম রোধে আদা শুকিয়ে খেলে বাড়বে হজম শক্তি। আমাশয়, জন্ডিস, পেট ফাঁপা রোধে আদা চিবিয়ে বা রস করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া যারা গলার চর্চা করেন তারা অনেকেই গলা পরিষ্কার রাখার জন্য আদা আর লবণকে পছন্দ করে থাকেন। আসলে মসলা ছাড়াও আদার রয়েছে বিভিন্ন গুণ। ইউনিভার্সিটি অব মিয়ামি মেডিক্যাল স্কুলের বিজ্ঞানীদের মতে, খাদ্যের সঙ্গে নিয়মিত আদা খেলে গিঁটে ব্যথা সারে অনেকখানি।

শীতে কাঁপুনি ধরে যাচ্ছে? এককাপ আদার চা খেয়ে নিন। বেশ আরাম বোধ করবেন। আদা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে উত্তেজিত করে রক্ত পরিসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। সেই সঙ্গে রক্তনালী প্রসারিত করে। ফলে শরীর গরম থাকে দীর্ঘক্ষণ। এছাড়া যাদের মোশন সিকনেস আছে, তারা আদার সাহায্যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।