ওজন বেড়ে যাওয়ার অর্থ দেহে ওজন সংক্রান্ত নানা ধরণের রোগের বাসা বাঁধা। সেকারণে ওজন বাড়ার প্রতি সকলের বিশেষ নজর দেয়া উচিত। চলুন জেনে নেই ওজন কমাতে বেশ সহায়ক কয়েকটি প্রোটিন খাবার-
*বিকেলে নাস্তায় খেয়ে নিন ১ মুঠো কাঠবাদাম। সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর দুটো বৈশিষ্ট্যই বাদামে বিদ্যমান। প্রোটিনের বেশ ভালো একটি উৎস যা অনেকটা সময় আপনার ক্ষুধা নিবারন করবে ও ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
*কুমড়োর বিচি অনেকেই ফেলে দিয়ে থাকেন। কিন্তু ফেলে না দিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। বিকেলে একটু ভেজে খোসা ছাড়িয়ে অথবা সাধারণ তরকারীতে শিমের বিচির মতো ব্যবহার করতে পারেন প্রোটিনের এই বিশেষ উৎসটিকে।
*সকালে, বিকালে এবং রাতের খাবারে রাখুন কুসুম ছাড়া ডিম। দিনে ৩/৪ টি কুসুম ছাড়া ডিম খাওয়া যায়। এবং যদি কুসুম সহ খেতে চান তবে ১/২ টি ডিম খান।
*অনেকের মাছ খেতে পছন্দ না হলেও মাছ প্রাণীজ প্রোটিনের সব চাইতে ভালো উৎস। বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। সুতরাং ওজন কমিয়ে রাখতে ও সুস্বাস্থ্য চাইলে খাদ্যতালিকায় মাংসের পরিবর্তে মাছ রাখুন।
*ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা অনেকটা সময় আপনার ক্ষুধার উদ্রেক করতে বাঁধা প্রদান করে। এতে করে অনেকটা সময় আপনি হাবিজাবি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
*বিকেলের নাস্তায় প্রোটিন সমৃদ্ধ দই বেশ ভালো একটি খাবার। রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে দই অনেক কার্যকরি। বাসায় দই বানালে এতে চিনি ব্যবহার না করাই ভালো।
...পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি, শাক-সবজি এবং ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যতোটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। খাদ্য তালিকায় বাড়িয়ে দেয়া উচিত প্রোটিনের পরিমাণ।