Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

তেজপাতার এত গুণ!






আমরা যতটা হাস্যকরভাবে বলি ‘জীবনটা যেন তেজপাতা হয়ে যাচ্ছে, কিছুই নেই’। তবে আসলেই কি তাই! যদি জানতাম তেজপাতার আসলে গুণের শেষ নেই তবে কখনোই হয়তো এমন উদাহরণ দিতাম না। রান্নার কাজে তেজপাতার ব্যবহার বাদেও কয়েকটি অবিশ্বাস্য গুণের দিকগুলো আসুন দেখে নেই-

*পানিতে তেজপাতা দিয়ে সিদ্ধ করে গোসল করলে ত্বকের অ্যালার্জি সমস্যা কমবে চমৎকারভাবে।

* ত্বকের সতেজতা রক্ষা করতে রং চায়ের সঙ্গে তেজপাতার গুরুত্ব অপরিসীম।

* শরীরে কোথাও ফোঁড়া উঠলে তার ওপর তেজপাতা বেটে প্রলেপের মতো করে দিলে ব্যথা কমবে।

* শরীরের ময়লা দূর করতে তেজপাতা বেটে শরীরে মেখে গোসল করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।

* দাঁতের মাড়ির ক্ষয়রোধ করতে তেজপাতা চূর্ণ করে দাঁত মাজতে পারেন।

* ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর মিহি করে বেটে নিন। ওই বাটা শরীরে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসল করে ফেলুন।

* চোখ ওঠা উপশম করে।

* দুর্বলতা দূরে করে। শারীরিকভাবে দুর্বল ও রোগা মানুষদের জন্য তেজপাতা দারুণ কার্যকরী। কয়েকটা পাতা থেঁতলে করে ২ কাপ গরম পানিতে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন। ২ বার করে টানা ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে শক্তিও ফিরে পাবেন।

* তেজপাতা মেশানো গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ঠা-ার উপশম হয়।

* তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করুন, অরুচি ও মুখের তেতো ভাব চলে যাবে।

* সবারই কম-বেশি তন্দ্রা ভাব আসে। অত্যাধিক তন্দ্রা ভাব রোগও বটে। এর প্রতিকারের জন্য ৫-৭ গ্রাম করে তেজ পাতা ৩/৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে, ছেঁকে বেশ কিছুদিন খেলে দারুণ উপকার পাবেন।

* বলা হয় স্মৃতিভ্রমের হাত থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা মেশানো সেদ্ধ পানি আশানুরূপ ফল দেয়।

* যাদের গায়ে মাত্রাধিক দুর্গন্ধ বের হয় তারা তেজপাতা বেটে গায়ে কিছুক্ষণ মেখে গোসল করলে রেহাই পেতে পারেন সহজে।

*যারা অত্যাধিক ঘামেন তারা রোজ একবার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধা ঘণ্টা থাকার পর গোসল করে নিতে পারেন। এতে ঘামের মাত্রাটা কমে যাবে। এতে ঘামাচিরও উপশম হবে।

* আমাদের অনেক সময় ঘন ঘন তেষ্টা পায়। সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানিতে তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার বার তেষ্টা পাচ্ছে না।

* চর্মরোগ হলে তেজপাতা থেঁতো করে ৪ কাপ পানিতে সেদ্ধ করে সকাল ও বিকেলে খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই দাদ-হাজা-চুলকানি সেরে যাবে। এছাড়া ওই পানি তুলা ভিজিয়ে দাদের জায়গা মুছে নিলেও কাজ হয়।
* প্রসাবের রঙ লালচে হলে তেজপাতা ২-৩ কাপ গরম পানিতে ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে, এরপর ছেঁকে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর অন্তর পান করলে প্রস্রাবের রঙ সাদা হয়ে যাবে।