Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Travel Image

বাগেরহাটের খাঞ্জালি দীঘি



প্রত্মতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাগেরহাট। এ জেলায় রয়েছে শত শত বছরের প্রাচীন মঠ, মন্দির, মসজিদ ও সমাধিসৌধ। তবে যে কারণে বাগেরহাট জেলার খ্যাতি তা হচ্ছে, এখানে রয়েছে সাড়ে পাঁচশ বছরের প্রাচীন একটি চিত্তাকর্ষক সমাধিসৌধ এবং খাঞ্জালি দীঘি।

খানজাহান আলী (রহ.) সমাধিসৌধের লাগোয়া দক্ষিণ দিকে রয়েছে এই বিশাল দীঘিটি। তিনি যে ৩৬০টি দীঘি খনন করেছিলেন, তাদের মধ্যে এই দীঘিটি সর্ববৃহৎ। প্রায় ৪০ একর জমিতে এই দীঘি খনন করা হয়েছে। খননকৃত মাটি এর চারদিকের পাড়ে ফেলায় পাড় সমতল ভূমি থেকে খুব উঁচু হয়। বিশেষ করে দক্ষিণ পাড় পাহাড়ের মতো উঁচু। দীঘির দক্ষিণ-পশ্চিম পাড়ে এই দরগার ফকির-খাদেমদের বসতি গড়ে উঠেছে। দীঘির জল স্বচ্ছ ও সুপেয়। এই জল যাতে কেউ অযথা অপরিষ্কার না করে সে জন্য খানজাহান কালাপাহাড় ও ধলাপাহাড় নামে কয়েকটি কুমির এই দীঘিতে ছেড়েছিলেন। তবে এসব কুমির মানুষকে আক্রমণ করে না। যদি আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকে তবে এদের দেখতে পাবেন। আরও দেখতে পাবেন ভক্তরা মুরগি নিয়ে দীঘির পাড়ে দাঁড়িয়ে কুমিরকে তীরে আসার জন্য হাঁকডাক দিচ্ছে। তাছাড়া বহু মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে এসে এই দীঘির পাড়ে বিশ্রাম নেয়। দীঘির পরিবেশ অত্যন্ত মনোরম। দক্ষিণ দিকের গাছ-গাছালি দেখে গভীর বন মনে হবে। এই দীঘির পশ্চিমে দরগা থেকে ২৫০-৩০০ গজ দূরে রয়েছে জিন্দা পীরের মাজার ও দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে নয়গম্বুজ মসজিদ। সে সবও আপনি দেখে আসতে পারেন।

যেভাবে যাবেন
প্রতিদিন অসংখ্য বাস মতিঝিল, গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে বাগেরহাট-খুলনা যাতায়াত করে। এসি-নন এসি ও সাধারণ কোচ সব ধরনের বাসই পাবেন। সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।

থাকার ব্যবস্থা
বাগেরহাটে থাকার সুব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। মাজার কমপে¬ক্সেও থাকার মতো বাসা ভাড়া পাওয়া যায় না। তবে খুলনা থেকে বাগেরহাটে আসতে সময় ১ ঘণ্টা লাগার কারনে খুলনাতেই থাকা ভালো। তাই ঘুরে আসুন প্রত্মতাত্ত্বিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাগেরহাটে।