Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.
Health Image

ফুলকপির পুষ্টিগুণ

ফুলকপিঃ

ফুলকপি বাংলাদেশে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় শীতকালীন পুষ্টিকর ও সবজি। যার ইংরেজী নাম Cauliflower। আর বৈজ্ঞানিক নাম Brassica oleracea var. botrytis. এটি Cruciferae পরিবারভুক্ত। এটি একটি বার্ষিক ফসল যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। সাধারণতঃ ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয় আর সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁট এবং পুরু, সবুজ পাতা দিয়ে স্যুপ রান্না করা হয় অথবা ফেলে দেওয়া হয়। ফুলকপি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; এটি রান্না বা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়, আবার এটি দিয়ে আচারও তৈরি করা যায়।

ফুলকপির গোটা মঞ্জরি একটি ঘনবদ্ধ, মাংসল পিন্ড এবং সেটিই সবজি হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফুলকপি ভিটামিন ‘এ’, ‘সি’ ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।

বাংলাদেশে ১৯৯৬-৯৭ সালে মোট ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলকপি চাষাবাদ হয় এবং উৎপাদন হয় প্রায় ৭৬ হাজার টন। আমাদের দেশে চাষকৃত ফুলকপি অধিকাংশই সংকর জাতের এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যা স্থানীয় আবহাওয়ায় বীজ উৎপাদন করে না। ঠাণ্ডা ও আর্দ্রতা জলবায়ুতে ফুলকপির ভাল ফলন পাওয়া যায়। সেচ ও পানি নিষ্কাশনের সুবিধা আছে এমন ধরনের সব মাটিতে ফুলকপির চাষ ভাল হয়। আমাদের দেশে মাঘী, অগ্রহায়ণী, পৌষালী, বারি ফুলকপি-১, ২ ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের ফুলকপি পাওয়া যায়।

বাংলাদেশে তিন জাতের ফুলকপির চাষ হয়। আগাম জাত কার্তিকা, পাটনাই, ট্রপিক্যাল-৫৫ ইত্যাদি। এদের মধ্যে-মৌসুমি জাতের মধ্যে রয়েছে অগ্রহায়ণী, পৌষালি ও স্নোবল (snowball) এবং নাবি জাতের মধ্যে রয়েছে হোয়াইট মাউন্টেন, মাঘী ও নাবি-রাক্ষসী। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ‘রূপা’ নামের একটি উচ্চফলনশীল মধ্য-মৌসুমি ফুলকপি উদ্ভাবন করে। দেশের সর্বত্র চাষ হলেও টাঙ্গাইল জেলায় সবচেয়ে বড়জাতের ফুলকপি জন্মে।

রোগ প্রতিরোধে ফুলকপির নানা গুণ:

১। ফুলকপি ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। এটি ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে। এছাড়া পাকস্হলী, প্রোষ্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে ফুলকপি।

২। ফুলকপি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, ফুলকপিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। তাই রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ফুলকপি খাওয়া প্রয়োজন। তবে ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে আমিষ, প্রোটিন ও পটাসিয়াম থাকায় এটি কিডনি রোগীদের জন্য উপযোগী নয়। সুতারং যারা কিডনির জটিলতায় ভুগছেন তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফুলকপি খাবেন।

৩।ফুলকপি ফুসফুসকে রক্ষা করে, ফুলকপি ফুসফুস রক্ষায় সহায়তা করে। নতুন এক গবেষণায় জানা গেছে, ভয়াবহ ফুসফুস রোগের জন্য যেসব কারণ দায়ী তা প্রতিরোধে ফুলকপি সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তনালীর যে ক্ষতি হয় সবজিটি তা প্রতিরোধেও সহায়তা করে। এছাড়া ফুলকপি হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

৪।ফুলকপি ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস, নিয়মিত ফুলকপি খেলে শরীরের পুষ্টির অভাব পূরণ হয়। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এছাড়া ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজেরও ভালো উৎস ফুলকপি।

৫। ফুলকপি মস্তিষ্ক ভালো রাখে, ফুলকপিতে ভিটামিন বি রয়েছে যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। গর্ভাবস্থায় এ সবজি একটি ভালো খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। নবজাতকের মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন করতে কাজ করে সবজিটি।

৬। ফুলকপি হজমে সাহায্য করে, ফাইবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস হওয়ায় ফুলকপি হজমে সাহায্য করে।শুধু তাই নয়, সবজিটি ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে সুস্থ থাকতেও ভূমিকা রাখে।

৭। ফুলকপি চোখকে ভালো রাখে, ফুলকপিতে ভিটামিন এ-এর পরিমাণ বেশি থাকায় চোখকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এমনকি দেহের কোথাও কেটে গেলে ফুলকপির কচি পাতার রস লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়।

৮। ফুলকপি চুলকানি প্রতিরোধ করে, শীতকালে ঠাণ্ডায় ত্বকে লালচে হয়ে ফুলে যাওয়া এবং চুলকানি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ফুলকপির কচি পাতা বেটে লাগালে চুলকানি ভালো হয়।

এছাড়া ফুলকপিতে ভিটামিনি এ ও সি রয়েছে যা শীতকালে জ্বর, সর্দি, কাশি প্রতিরোধ করে। এর আয়রন, পটাশিয়াম, সালফার ও ক্যালসিয়ামও শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তারা ফুলকপি খেতে একটু সাবধানতা অবলম্বন করবেন। অনেকের ফুলকপি খেলে গ্যাস দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে পরিমিতভাবে ঝোল করে ফুলকপি খেতে পারেন।



ফুলকপি কৃষকদের বাজার বল, সুন্দরী নাও হতে পারে, কিন্তু এটি সস্তা এবং সুস্বাদু। কৃষকদের বাজার খাদ্য অশ্লীল রচনা বিশ্বের, ফুলকপি লাল মূলা এবং পান্না-বর্ণবিশিষ্ট কপি স্পন্দনশীল।
বাংলাদেশে চাষকৃত প্রায় ৯,৪০০ হেক্টরে ফলন হয় প্রায় ৭৩,০০০ মে টন। সম্ভবত সাইপ্রাসে প্রথম উদ্ভব, পরে ফুলকপির বিস্তার গোটা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে, বিশেষত ইতালিতে ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৩০ দিনের চারা রোপণ করা হয় অক্টোবর-নভেম্বরে। এদেশে হেক্টর প্রতি ফলন ২৫-৩০ মে টন।
এটা পুরো রান্না এবং একটি হৃদয়গ্রাহী প্রধান থালা (নিরামিষাশীদের জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার, ছুটির দিনে বিকল্প খাবার) হিসেবে উপস্থাপন করা, বা অবিরাম সূপ এবং সাইড ডিশ রুপান্তরিত করা যায়। ফুলকপি এটা কুইজিন।

ফুলকপি যেভাবে বানিয়ে খেতে পারেনঃ

ভাজা ফুলকপি স্যান্ডউইচ



ফুলকপি প্যাটিস



ধীর রান্না ফুলকপি, anchovies, এবং রসুন দিয়ে পাস্তা




পল Bertolli এর ফুলকপি সুপ



উষ্ণ সবজি কারি



ধোয়াটে লাল মরিচ সস দিয়ে ভূমধ্য ফুলকপি ধান



সাদামাটা ফুলকপি সেকা