Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

কাল্পনিক কথোপকথন

গলা ব্যাথার কারণে ইদানিং শুধু জাউ খেতে হয়। জাউ দুই একবেলার জন্যে খুব ভালো খাদ্য। কিন্তু প্রায় প্রতিবেলার জন্যে অখাদ্যের কাছাকাছি। গতকাল রাতে এই অখাদ্য একগাদা খেয়ে ফেলেছি। খাওয়া দাওয়ার পর শুয়ে শুয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের "ছন্দ" বইয়ের পাতা উল্টাচ্ছি। কঠিন বই।

"এক সময়ে জ্যোতিদাদারা দূরদেশে ভ্রমণ করিতে গিয়াছিলেন, তেতালার ছাদের ঘরগুলি শূন্য ছিল। সেই সময় আমি সেই ছাদ ও ঘর অধিকার করিয়া নির্জন দিনগুলি যাপন করিতাম। এইরূপে যখন আপনমনে একা ছিলাম তখন, জানিনা কেমন করিয়া... " এই পর্যন্ত পড়ার পর আমার পেটের ভেতর ভুটভাট শব্দ শুরু হলো। বদহজমের প্রাথমিক লক্ষন। মেজাজটা গেল বিগড়ে।

মেজাজ ভালো করার জন্যে কিছু একটা করা দরকার। ভাবলাম কবিগুরুর সাথে কাল্পনিক কথোপকথন করা যেতে পারে। আমি বারান্দায় গিয়ে চেয়ারে বসলাম। দৃশ্যপট এরকম...

কবিগুরু বারান্দায় বসে একমনে আকাশ দেখছেন। পাশে আমি বসে আছি। তার মতো আমিও আকাশ দেখার চেষ্টা করছি। আমি তেমন ভালো দেখতে পাচ্ছি না। কারণ আমার সামনে দড়িতে স্যান্ডোপ্যান্ট শুকাতে দেয়া হয়েছে।

-কবিগুরু, আপনি এখানে আসলেন কিভাবে?

-স্বর্গে হাঁটছিলাম। হঠাৎ দেখি তোমার ঘরে এসে পড়েছি। কাহিনী কি কিছুই বুঝলাম না!

-যাকগে! ভালোই হলো। ভালো আছেন?

-হু। তোমার সাথে আমার ব্যক্তিগত কিছু কথা আছে।

-কি কথা!

-তোমার ঘরের দেয়ালে টানানো পোস্টারটা কার?

-কাজী নজরুল ইসলামের! আপনি চেনেন না নাকি? কি সর্বনাশ?

-গর্ধবের মতো কথা বলছো। চিনবোনা ক্যানো? পোস্টারের উপর ধুলাবালির আস্তর পড়ে আছে। চেহারা চেনার উপায় আছে?

-সরি।

-আমার পোস্টার নেই ক্যানো?

-আপনার জোয়ান বয়সের... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - বাংলার পাই বাপা

    তোমাকে
    ভালোবাসি বলেই
    ভালোবাসার ক্ষতি পূরণের বিশেষ ব্যস্ততায়
    আকাশে মেঘ হয়ে লেপ্টে আছে স্পর্শের অতীতগুলো !-------------খুব ভালো লাগল। ভালো থাকুন।

    • - মোঃসরোয়ার জাহান

      thank's

    - মেজদা

    তোমাকে
    ভালোবাসি বলেই
    আমি আমার পিছন দিকটা কাউকেই দেখাতে চাই না
    শুধু চাই চোখ যেন চিনতে ভোলে না তারে কোন দিন! 

     

    সবচেয়ে ভাল অংশটুকু। ধন্যবাদ

    • - মোঃসরোয়ার জাহান

      thank u so much

    - সৌরভ শাওন

    মেজদা'র সাথে একমত। সবথেকে সুন্দর ঐ অংশটুকু।

    তোমাকে
    ভালোবাসি বলেই
    আমি আমার পিছন দিকটা কাউকেই দেখাতে চাই না
    শুধু চাই চোখ যেন চিনতে ভোলে না তারে কোন দিন!

    পুরো কবিতাটাই সহজ করে ভালোবাসা বুঝিয়ে দিয়ে যায়।

    ভালো থাকবেন।

    • - মোঃসরোয়ার জাহান

      thank's

    Load more comments...

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

কেমন যাবে ভালোবাসা দিবস ? !

বেকার সিঙ্গেলঃ দিনটি একেবারেই আপনার জন্যে নয়। হতাশা তৈরি হবে। দিনের অধিকাংশ সময়ে ফেসবুকে থাকার সম্ভাবনা। প্রেম রোমান্স বিনোদন তালগাছের মাথায় উঠে থাকবে। মানে অশুভ।
বেকার প্রেমিকঃ দিনটি আপনার জন্যে অত্যন্ত ভয়ংকর। মিথ্যে বলার প্রবণতা দেখা যাবে। বাধ্য হয়ে প্রেমিকাকে সময় দেয়া লাগতে পারে। প্রবল অর্থব্যয়ের সম্ভাবনা।
পুরাতন জুটিঃ আর দশটা দিনের মতোই সাধারণ যাবে। প্রেমিক প্রেমিকা যে যার মতো ব্যস্ত থাকবে। বিকালে সামান্য সাক্ষাৎ শুভ। দিনটি সাদামাটা ভেজিটেবলের মতই হবে। কদু টাইপ ভেজিটেবল।
নব্য জুটিঃ মন উড়ুউড়ু থাকবে। দিনটিকে রঙিন মনে হবে। বাবার পকেট কাটিঙের মাধ্যমে অর্থপ্রাপ্তি হতে পারে। প্রেম রোমান্স তুঙ্গে। অধিক ফুচকা খেয়ে পেট খারাপের সম্ভাবনা।
পুরাতন দম্পতিঃ ঝগড়ার মাধ্যমে দিন শুরু হতে পারে। মানসিক অশান্তিতে ভুগবেন। বিকালে ভ্রমন শুভ। ভ্রমণের শেষে আরেকদফা ঝগড়া হওয়ার সম্ভাবনা। উত্তেজনা পরিহার করুন।
নব্য দম্পতিঃ আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে টাইপের মনোভাব থাকবে দুজনের মধ্যেই। রিকশা ভ্রমন শুভ। স্বামী অন্য মেয়েদের দিকে তাকালে মহাপ্রলয় ঘটে যাওয়ার সম্ভাবনা। স্বামীকে সাবধান থাকতে হবে। রোমান্স চতুর্দিকে উড়ে বেড়াবে। মানে অত্যন্ত শুভ।
বিশ্বপ্রেমিকঃ দিনটিকে বর্জন করুন। ঘরে বসে সময় কাটান। মোবাইল ফোন বন্ধ রাখুন। ফেসবুকে চ্যাট শুভ। সন্ধ্যায় বের হলেও বাসার আশেপাশে থাকতে হবে। দুই তিনজন প্রেমিকার সাথে দেখা হয়ে গেলে বিপদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে অগ্রিম সিট রেখে দেয়া যেতে পারে। রোমান্স শূন্যের কোঠায়।
মুরুব্বিঃ ছেলেপুলের কাজকর্ম দেখে বুকে ব্যাথা ওঠার সম্ভাবনা আছে। টেলিভিশনের সামনে বসা যাবে না। তবে টেলিভিশন বন্ধ থাকলে সমস্যা নেই। ঘুমিয়ে দিন কাটাতে পারেন। রাস্তা ঘাটে বের হলে মেজাজ গরম হয়ে যেতে পারে। আইসব্যাগ সঙ্গে রাখুন।
গার্জিয়ানঃ ছেলে মেয়ের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখুন। নজরে লাভ নাও হতে পারে। ছেলে মেয়েদের ঘরে আটকে রাখতে... continue reading
Likes ১৪ Comments
০ Shares

Comments (14)

  • - গোঁফওয়ালা

    ধন্যবাদ সচেতনতামূলক পোষ্টটির জন্য।

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      গোঁফওয়ালা ভাই প্রথমেই খুব দুঃখিত দেরি করে উত্তর দেওয়ার জন্য। লেখা ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশী হলাম।

    - আখতারুজ্জামান সোহাগ

    প্রাত্যহিক কাজে হাতিরঝিলের বিভিন্ন অংশ দিয়ে চলাচল করা লাগে মাঝেমাঝেই। একদিন বেড়াতে গিয়েছিলাম। তাই আপনার লেখাটা মিলিয়ে নিতে পারলাম। বাস্তবতা উঠে এসেছে আপনার লেখায়। ধন্যবাদ জনসচেতনতামূলক পোস্টটির জন্য। কিছু উপাত্তের জন্যও।

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      সোহাগ ভাই দেরিতে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থী। হাতিরঝিলের কাজ পুরোটা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে আশা করি এইসব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

    - মিশু মিলন

    খুব ভাল একটি বিষয় নিয়ে খিলেছেন। 

    এটাই আমাদের সমস্যা। আমরা ভাল কিছু তো করতেই চাই না। আবার যাও বা করি তার পরিচর্যা করতে ভুলে যাই।

    ভাল থাকুন রথি। বসন্তের শুভেচ্ছা। 

    • - দেওয়ান কামরুল হাসান রথি

      মিশু ভাই ক্ষমা করে দিবেন দেরি করে উত্তর দেওয়ার জন্য, হাতিরঝিল প্রকল্প বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বা বাংলাদেশ পুলিশের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করে দেওয়া হলে এইসব সমস্যা অনেকাংশে লাঘব হবে।

    • Load more relies...
    Load more comments...

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

দুঃখ !

অনেক সাধ করে চুল বড়ো করেছিলাম। সেই বড়ো চুলের ভেতরে অলিতে গলিতে সাধ করে সংসার পেতেছিলো উকুন। পুরুষ উকুন তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া করে কামড় দিয়ে বসতো। আমি মাথা চুলকে তাদের সংসার ভেঙে দিতাম। উকুনেরা রাগ হতো। আরো বেশি জোরে কামড়ে ধরতো চামড়া।

সবচেয়ে বড়ো সমস্যা করতো বাবা এবং মা। মা আফসোস করে বলতেন, 'একটা শিম্পাঞ্জী পুষছি ঘরে।' মায়ের কথা শুনে আমি শিম্পাঞ্জীর চেহারা মনে করতে চেষ্টা করতাম। চেহারা মনে পড়তো না। আমি টিভি কম দেখি। কম সময়ের বেশিরভাগ সময় দেখি খেলা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফি দেখা হয় না।

ঘুমানোর সময় হতো আরেক ঝামেলা। নাকের ফুটো কানের ফুটোতে ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতো চুল। সুড়সুড়ি লাগতো। বিশ্রি অভিজ্ঞতা।

বাউল হওয়ার সাধ বিসর্জন দিলাম সেলুনে। সেলুন থেকে যখন বের হয়েছি তখন থেকে আমাকে আর আমার মতো দেখাচ্ছে না। আমাকে দেখাচ্ছে ধান্ধাবাজদের মতো। যে চেহারা সুরত ফিটফাট করে ক্লাবে গিয়ে বোতল খায়। কি সর্বনাশ!

আমি বাদে আমার পরিচিত সকল মানুষই আমার ধান্ধাবাজদের মতো চেহারা সুরত দেখে খুশি। কি দুঃখ! কি দুঃখ!

আহারে আমার সাধের চুল! আর এতো দুঃখই বা কোথায় রাখি আমি?
continue reading
Likes ১২ Comments
০ Shares

Comments (12)

  • - শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

    fvj jvMj| ï‡fPQv iBj|

    • - সুমন দাশ

      শুভেচ্ছা আপনাকেও দাদা । খুব ভাল থাকুন ।

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    চমৎকার হয়েছে, ভালো লাগলো  

    • - সুমন দাশ

      শুভেচ্ছা জানবেন । ফের দেখা হবে কবিতায় ।

    - নাসরিন চৌধুরী

    ঠিকই বলেছেন পৃথিবীটা ঘুমের ভেতরেই সুন্দর ।সুন্দর পৃথিবীটাকে আমরা আমাদের বিষাক্ত কর্মগুলোকে দিয়ে বিষে বিষে ভরে দিয়েছি ।বেশ উপলব্দি দিয়ে লিখেছেন ।

    • - সুমন দাশ

      শুভেচ্ছা জানবেন । প্রকাশিতব্য নতুন বইয়ের জন্য এক সমুদ্র শুভকামনা । সফল হোক সমস্ত আয়োজন ।

    Load more comments...

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

ভৌতিক অভিজ্ঞতা

এমন কোন মানুষ কি আছে যার জীবনে কোন ভৌতিক অভিজ্ঞতা নেই? উত্তর হলো.. না। মানুষের জীবনে ভৌতিক অভিজ্ঞতা থাকবে এটা আর্কিমিডিসের সূত্রের মতোই ধ্রুব। নিজেকে মানুষ প্রজাতিতে ফেলতে হলে আমার জীবনেও কোন না কোন ভৌতিক অভিজ্ঞতা থাকতেই হবে। দুঃস্বপ্ন কোঠাটা বাদ দিলে আমার জীবনেও দু একটি ভৌতিক ঘটনা ঘটেছে। একটি উল্লেখ করার লোভ সামলাতে পারছি না।

আরো অনেকের মতো আমার সেই ভৌতিক ঘটনাটি ঘটেছিলো গ্রামে। প্রচন্ড শীত। সময় মধ্যরাত। চার পাঁচটা মোটা কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমুচ্ছিলাম। পাশে ছিলো ফুপাতো এক ভাই। সেও ঘুমুচ্ছিলো। তার ঘুম গভীর।

হঠাৎ আমার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম ভাঙার কারণ হচ্ছে জলবিয়োগের চাপ। প্রচন্ড সেই চাপের কাজটি করতে হলে আমাকে বাইরে যেতে হবে। বাইরে যাওয়ার কথা মনে পড়তেই ভয়ে গলা শুকিয়ে এলো এবং চাপ বেড়ে গেলো। বিচ্ছিরি অবস্থা। আমি ফুপাতো ভাইয়ের ঘুম ভাঙাতে রীতিমত যুদ্ধ শুরু করে দিলাম। ঘুম ভাঙে না। ভাই কোনমতে অস্পষ্ট গলায় বললেন... বেড়ার ওইপাশে গিয়া মোত!

ভূতের ভয়ে বিছানা ভিজানোর কোন মানে হয় না। আমি এক বুক সাহস সঞ্চয় করে বিছানা থেকে নামলাম। গুটিগুটি পায়ে হেঁটে দরজা পর্যন্ত গেলাম। ভয়াবহ অন্ধকার। কলজে শুকিয়ে কাঠ। বেড়ার ওপাশে গিয়ে চোখ বন্ধ করে কাজ শুরু করলাম।

আমি যখন জলবিয়োগের মাঝপথে তখনই ঝনঝন করে শব্দ হলো! শীতের নীরব রাত। এর মাঝে ঝনঝন শব্দটা পৃথিবী কাঁপিয়ে দিলো। আমি দিলাম দৌড়। এক দৌড়ে কাঁথার নিচে। দোয়াদরূদ যা মনে আছে তাই বিরবির করে পড়ছি। পড়ার গতিবেগ ঘণ্টায় একশো মাইলের মতো।

সকালে ঘুম ভাঙলো। উঠে দেখি ভাই নাক কুঁচকে বসে আছে। কাঁথা থেকে বিচ্ছিরি গন্ধ আসছে। আমারো নাক... continue reading
Likes ১৩ Comments
০ Shares

Comments (13)

  • - আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম

     ভালো লাগলো। ধন্যবাদ, ভাই এবিএম সোহেল রশিদ।

    • - এবিএম সোহেল রশিদ

      প্রীত হলাম

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

স্বার্থপর

পৃথিবীর সবাই স্বার্থপর। কথাটা মা'কে একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বলতেই তিনি আমার দিকে সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকালেন এবং ব্যাপারটা ঝারি মেরে উড়িয়ে দিলেন। অথচ ব্যাপারটা সত্যি। আজ থেকে ঠিক তিনদিন আগে একটি দিন ছিলো এবং সেই দিনটির শেষের দিকে আমার এক মামা একটি হাঁস নিয়ে আমাদের বাসায় হাসিমুখে উপস্থিত হলেন। রাত বেশি হয়ে যাওয়ায় হাঁসটির প্রাণদণ্ড স্থগিত করা হলো। পরের দিন সকালে তাকে জবাই করা হবে এরকম ধারণা নিয়ে আমি ঘুমুতে গেলাম। হাঁসটি ঘুমুলো না। সে সারারাত কোন এক বিদগ্ধ প্রেমিকার মত জেগে থাকলো এবং ধরে নেই তার প্রেমিককে ডাকা ডাকি করলো।

পরদিন দুপুরে ঘুম ভাঙতেই শুনলাম হাঁসটি আমাদের একটি ডিম উপহার দিয়েছে। ডিমটি বড়ো এবং সুন্দর। বড়ো এবং সুন্দর এই ডিমটি উপহার দেয়ার কারণে সেদিন তাকে জবাই করা হলো না। তাকে খেতে দেয়া হলো। সে গম্ভীর ভাবে সারা বারান্দায় পায়চারি করে। ভাত খায়।

রাতে ঘুমুতে যাওয়ার সময় আমি তার ডাক শুনি। ছোট ভাই এবং আমার কাজিন ভবিষ্যৎ ডিমটির সাইজ নিয়ে আলোচনা করে। আমার চোখ ছলছল করে। যেদিন সকালে ডিম দেবেনা সম্ভবত সেদিনই তাকে জবাই করা হবে। প্রতিদিন একটি ডিম পাড়ার উপর তার জীবন নির্ভর করছে। মানুষ কতটা নিষ্ঠুর এবং স্বার্থপর হতে পারে আমি সেই চিন্তা করতে করতে ঘুমানোর চেষ্টা করি।

রাতে ঠিকমত ঘুমুতে পারিনা। ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন দেখি। এইতো আজ দেখলাম এক মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটি যেই ঘরে আত্মহত্যা করেছে সেই ঘরটিতে আমাকে থাকতে দেয়া হয়েছে। ক্যানো দেয়া হয়েছে আমি জানি না। সেই ঘরে মেয়েটির আত্মা ঘুরঘুর করে। আত্মা সাদা রঙের শাড়ি পরা। সে বিচিত্র ভঙ্গিমায় আমাকে ভয় দেখায়। আমি ভয় পাই। চিৎকার দিয়ে... continue reading
Likes ১২ Comments
০ Shares

Comments (12)

  • - সুখেন্দু বিশ্বাস

    তখন না হয় বেকার ছিলাম
    এখন করি কর্ম
    তবে কেন রাজী হবি না
    এ কেমন তোর ধর্ম?

     

    বেকার বলে ভালোবাসা

    শুঁকিয়ে কি যায়?

    বেকার বলে ভালোবাসার

    সময় পাওয়া যায়।

     

     

    শুভকামনা  সবসময় বৈশাখী ঝড়। 

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - ঘাস ফুল

    ছড়ার ভুবনে স্বাগতম ঝড়। যেহেতু এই ভুবনে ঢুকে পড়েছেন, তাই হয়তো একটু শ্রম দিলে ঠিকই আপনি ভালো করবেন। 

    *ছড়ার প্রথম স্তবকে আপনি দ্বিতীয় লাইন এবং তৃতীয় লাইনে অন্ত্যমিল রেখেছেন। 

    *দ্বিতীয় স্তবকে আপনি চার লাইনের জায়গায় পাঁচ লাইন করেছেন। এটা ঠিক হয় নাই। ছড়ার প্রতি স্তবকে সমান সংখ্যক লাইন থাকতে হবে। অন্তমিলেই তাই ভুলটা রয়ে গেছে। 

    *চতুর্থ স্তবকে কোন অন্ত্যমিল নাই

    *পঞ্চম এবং ষষ্ঠতেও একই হয়েছে।

    *পুরো ছড়ার মধ্যে মাত্রা বিভ্রাট আছে।

    ছড়ায় প্রথম স্তবক যেভাবে সাজাবেন, পরবর্তী সবগুলো স্তবক সে ভাবেই সাজাতে হবে। সাথে মাত্রা, অন্ত্যমিল ঠিক রাখতে হবে। 

    অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ঝড়। ছড়া লেখার ব্যাপারে আপনি ইচ্ছা করলে শাহিদুল হক ভাইয়ের কাছ থেকে টিপস নিতে পারেন। উনি এই ব্যাপারে মাস্টার। এতো সব যন্ত্রণা পোহাতে হয় বলে আমি ছড়া লেখা ছেড়েই দিয়েছি। প্রথম ভেবেছিলাম পানির মতো সহজ। কিন্তু লিখতে গিয়ে বুঝলাম এটা আসলে সহজ নয়। তবে মাত্রা জ্ঞান থাকলে আসলেই মোটামুটি সহজ। 

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      এতো কঠিন এটা তো ভাবি নাই। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যর জন্য

Load more writings...