Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

কালপুরুষ

১০ বছর আগে লিখেছেন

এলিয়েন

এলিয়েন
আমার ভালবাসার ব্যারোমিটারে পারদের কোন ওঠানামা নেই। অনাবিল অবসরে আমি যতটা ম্রিয়মান, প্রসাধনে তুমি ততটাই সুন্দর। আমার হৃদয়ের চারিদিকে স্বচ্ছ কাঁচের বলয়, তুমি ইচ্ছে করলেই আমাকে ছুঁতে পারোনা তাই তোমার নাজুক স্পর্শে আমি এতোটুকু কেঁপে উঠিনা। এ্যাকুরিয়ামের মাছের মতোই আমি দিব্বি সাঁতার কাটি ব্যর্থতার শৈবাল সাগরে। কারো রুঢ় আঘাতে ভেঙ্গে টুকরো হবো আয়তনে তেমন সমৃদ্ধ নয় আমার মনের বাসনা। নমনীয় প্রত্যাখানে রমণীয় জৌলুস ঠিকরে বেরোবে তেমন ধারণা যদি করে থাকো তবে হৃদয়ে বরণীয় করে রাখবো চিরকাল তেমন ভাববার কোন অবকাশ নেই। যতই ক্ষুদ্র হোক আমার প্রাপ্তির ভান্ডার, বিলিয়ে দেবার মতো ভালবাসা হয়তো সঞ্চয়ে নেই তবে কারো প্রাপ্তিটুকু মেটাবার... continue reading

১১ ৩৫১

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিরকুট

 
ফুলবাগানে নিত্য গমনাগমন মাধবীর। এ যে ফুলেরই বয়স। কানন বালাদের কাননে কাননে যখন পুস্পেরা স্বরুপে হাজির রুপ যৌবন আর সুবাস নিয়ে তখন সেথায় মাধুকর আসে, আসে হুল বিনাশীদের দল। সেথায় মাধবীর যাত্রা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি। যতটা সখ্যতা তার ফুলের সহিত ততটাই আকাংখা প্রজাপতি পাখায় হাত দিয়ে রংয়ে রঞ্জিত হওয়ার। এমনি দিন যদি কেটে যায় যাকনা। তাতে কার কি ক্ষতি?
 পুস্পেরা সুবাস ছড়ায় নানা রঙ্গের মাতম তুলে হুল ফুটানো মৌমাছির সন্ধানে। সেথায় মাধবীর স্থান কোথায়? মাধবী যে মানবী। সেথায় কোমলতা হাসে, দৃশ্যমান অদৃশ্যেরা খেলা করে দৃশ্যমান পতঙ্গের সাথে, সেথায় মাধবী কেমন করে যাবে? মাধবীর পাখা নেই, রং নেই... continue reading

১০ ৫৪১

চারু মান্নান

১০ বছর আগে লিখেছেন

যন্ত্রণার ঘোরে জীবন

বুনো হরিণীর মত চঞ্চল। কৈশরের দুরন্তপনায়, যে ছিল সবার পরিচিত। পাড়ার, স্কুলের সবাই জানতো ও যে সরকার বাড়ির মেয়ে,মৌমিতা সরকার। মৌ নামেই সবাই চেনে। হাইস্কুল পেরুল। কলেজেও তার সরব চঞ্চলতা। এই চঞ্চলতায় অনেকের মন যে কেড়েছিল, তা প্রতীয়মান হয়। যখন সে তারই কলেজের সহপাঠির সাথে পালিয়ে বিয়ে করল। তাড়িত যৌবন, নাকি ভালো লাগা? আর ভাল লাগা যখন শরীর স্নানে বিষ ঢালে, আর তখনই বোধ হয়, চঞ্চলতার হয় বিসর্জন। তেমনি চুপসে যাওয়া মৌ এখন দুই সন্তানের জননী। পড়া লেখা আর এগোইনি। সংসার নামের ঘানি টানতে টানতে, চল্লিশ ছুঁই ছুঁই করছে। মাঝে মাঝে খুব একা লাগে মৌ এর। হাতে যখন কোন... continue reading

৪৬৫

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিরকুট

 
বেলীফুল লাবন্যের অনেক প্রিয়। এতটা প্রিয় যে যদি তাকে একাধিক ফুল তুলে নিতে বলা তাহলে সে একাধিকবার এই বেলীফুলই হাতে নিবে। বারবার ছুঁয়ে দেখার এই সুযোগ হাতছাড়া করার ইচ্ছেটা লাবন্যের কখনোই হবেনা। তাইতো তার আপন নিবাস জুড়ে বেলী ফুলের বাগান। বাড়ির সম্মুখে অন্দরে যতদুর দৃষ্টি যায় যতদুর পায়ে পথ চলা যায় তার পুরোটাই বেলী ফুলের বাগানে ঢাকা।
 বাড়িটার এক কোনে কাঠের ঝুল বারান্দা দেওয়া ঘর। চারিপাশে মানুষের আনা গোনা নেই। কোলাহল নেই একেবারেই শুনশান তারই মাঝে নানান ধরনের পাখি আর মধ্যরাতে ঝিঝি পোকার শব্দ ছাড়া কিছুই কানে আসেনা। বাগানের মাঝখান দিয়ে সাদা মেঠোপথ আর দুপাশে সারা বছর ফুটতে... continue reading

১৬ ৪৯১

মাহাফুজুর রহমান কনক

১০ বছর আগে লিখেছেন

ঠ্যাং

আফাজউদ্দিন শুয়ে শুয়ে হিসাব কষছেন। পকেটে থাকা তেত্রিশ টাকায় কালকের সকালের নাস্তাটা কিরকম হতে পারে।ঊনষাটি আফাজ, ঊনত্রিশা হালিমা আর তাদের একমাত্র কণ্যা ঊনদশা মরিয়ম। এই তিনজনের সংসার আফাজউদ্দিনের। তিনজনের তিনটা পরটা তিন পাঁচে পনের, বারো টাকার ডালভাজি আর গোটাদুই ষ্টার সিগারেট। মোটামুটি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আফাজ।
হিসাব শেষে আফাজ আরাম করে পাশ ফিরে শোয়। এবার অভ্যেসমতো কিছুক্ষণ সুখের সময়ে ঘুরে আসা যাক। আহা কি সময় ছিলো তখন! চার বিঘা ফসলি জমিন, এক বিঘার উপর বিশিল সবুজ বাড়ি, চৌছালা টিনের ঘর, ভরা গোয়াল আর বাধা কামলা হারিছ। নচ্ছর পদ্মার উদর এতটা ভুবুক্ষ হয়ে উঠেছিলো যে এক বছরের মধ্যে সব... continue reading

২২ ৬৬৯

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিষয় নয় রচনাশৈলী প্রধান

 
 
 
 
পান্ডুলিপির বিষয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করার আগে  পান্ডুলিপি কি, কে তৈরী করে এবং কেন করে সেটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
 
বিশ্ব, সমাজ, সংসারের বাস্তবতাকে নিয়ে কল্পনার রসে নতুন কোন ম্যাসেজ দেবার জন্য কতগুলো শব্দ, ভাষা এবং বাক্যের সমস্টিকে বই বা গ্রন্থ আকারে প্রকাশের জন্য খসড়া তৈরীটাই হলো পান্ডুলিপি। আর এই পান্ডুলিপি যার দ্বারা তৈরী হয় তাকে লেখক বলে অভিহিত করা হয়। জগতের নানা বিষয় লেখকের ভিতরে এক গভীর অনুরণন সৃষ্টি করে যা থেকে সে নিজেকে দায়মুক্ত করার জন্যই লেখে। একজন নোবেল বিজয়ী লেখককের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কেন লেখেন, উত্তরে... continue reading

৭৩৮

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিরকুট

 
লাবন্যর সরলতার প্রতিমা আমাকে মুগ্ধ করে। অস্তিরতা নেই তবুও চঞ্চলতা বিমুগ্ধ আমার সারাবেলা। সকাল থেকে রাত অব্দি জাগা থেকে ঘুম অব্দি তাকে ভাবনায় ভাসার পর মনে যদি আরেকটু সময় পেতাম। লাবন্যের মনের মধ্যে আমি প্রবেশ করতে পেরেছি কিনা তা যাচাই করে দেখার সুযোগ হয়নি আমার। আসলে তার প্রয়োজন পড়েই। কখনোই তার অনুপস্থিতি অনুভত হয়নি কিংবা যে টুকু প্রস্থান ছিল সময়ের ফেরে তাতেও শূণ্যতায় আড়স্ট হইনি কখনো। মনে হয়েছিলে সেতো আছেই। নতুন বাঝিয়ে দেখার কি এমন বাহানা থাকতে পারে বা দরকারই বা কিসে?
 আমার কাছ থেকে লাবন্য কখনোই পালাতে চায়নি। তবে আরো জুবুথুব কোমল হয়ে আষ্ট্রে পৃষ্ট্রে বেধে থাকার... continue reading

৪৫৬

লুৎফুর রহমান পাশা

১০ বছর আগে লিখেছেন

চিরকুট

 
সে এক অচিন দেশের গল্প। রাজকুমারী বনলতার সাথে বনরাজের দারুন সখ্যতা। যতদুর দৃষ্টি যায়, ঘন সন্নিবেশী দৃষ্টি ভিভ্রম বন। সুঠাম সবুজ সরু কিংবা চিড়ল পাতায় ছেয়ে আছে কোথাওবা হরিন শিকারী লতাগুল্মের দল। সেখানে ছায়া আছে। বৃষ্টি এলে নিরাপদে ধরে রাখার মায়া আছে। এই মায়াতেই ভুলে আছে রাজ কুমারী। মনে তার যত কষ্টই জমা হোক বনরাজের সান্নিধ্যে এলে মন ভালো হয়ে যায়। বনরাজ তাকে নিয়ে দোল খায় বৃক্ষ শাখে, স্বাদ উপভোগে নিমিত্ত করে বনের যত সুস্বাদু ফলের ভান্ডার। রাজকুমারীর স্মৃতির ভান্ডারে নিত্য জমা হয় হাজারো বৃক্ষের হাজারো রকমের ছায়ার মায়া।
বিজন বনের এক মাথে যেখায় জল মিশে গেছে... continue reading

৪০৬

কালপুরুষ

১০ বছর আগে লিখেছেন

কবি ও মানুষ

কবি ও মানুষ
কবিতা লিখতে লিখতে একদিন আমার প্রিয় কবিতাকে হারিয়ে ফেলি। শব্দের পর শব্দ জুড়ে আমি নিপূণ হাতে অনন্য সব কবিতার ছবি আঁকি। শব্দে শব্দে আঁকা অনুপম সেই ক্যানভাসের দিকে চেয়ে দেখি সেখানে অচেনা এক ছায়া, আমার কবিতার ছবি সেখানে নেই। আমার ঘরে, বারান্দায়, উঠোনে কবিতার পায়ের নূপুর আর বেজে ওঠেনা।
হরিণীর মতো চঞ্চল, ঝর্ণার মতো উচ্ছল, প্রকৃতির মতো নির্মল আমার সেই কবিতা এখন আর বৃষ্টির ছন্দে, পাখীর কলরবে, মায়াবী জোছনায় আগের মতো হেসে ওঠেনা। প্রাঞ্জল শব্দে, মোহনীয় বাক্যে, অপরূপ ছন্দে কবিতা আর এতোটুকু উদ্বেলিত হয়না। সে আজ নীরব, বাক্যহীন, নির্বিকার। এক কবিকে ভালবেসে তার আজ নিঃসঙ্গ... continue reading

৩৫৭

ফেরদৌসী বেগম ( শিল্পী )

১০ বছর আগে লিখেছেন

একাকিত্বে'র সাথে কিছুক্ষণ

আজকের দিনটা কেমন যেন লাগছে, কিছুতেই মনটাও বসছে না। সময়টাও যেন কাটছেনা, এবং গানও শুনতে ইচ্ছে করছে না। মাঝে মাঝেই এমনটি হয়ে থাকে। হয়ত সবারই এমনটি হয়ে থাকে মাঝে মাঝে। তখন মনের সমস্ত কষ্টগুলো, সমস্ত ব্যথাগুলো যেন এক হয়ে যায়। সেগুলো নিয়ে শুধু ভাবতেই যেন ভালো লাগে। আর সেই সব ভাবতে ভাবতে বুকের ভিতরটা দুমড়ে-মুচড়ে যন্ত্রনায় একাকার হতে থাকে। তখন মনে হয় যেন, কেউ আমার সঙ্গী হতে চায়না, কেউ আমাকে অনুভব করতে পারেনা, কেউ আমাকে বুঝতে চায়না, কেউ আমাকে বিশ্বাস করেনা, এমন কি কেউ আমাকে ভালোও বসেনা। তখন যেন নিজেই কোথায় হারিয়ে যাই এবং কেমন যেন আনমনা হয়ে পড়ি।... continue reading

২২ ২০৭৩