Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

খুলনার ঐতিহ্য : লোকজ সংস্কৃতি

 
বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের কথা বলতে গেলে খুলনার কথাই চলে আসে সর্বাগ্রে। অন্য সব অঞ্চলের মতো এ অঞ্চলেরও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। আজ আমি জেলার লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করবো।
জেলার পেশাভিত্তিক লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পালকির গান, ওঝার গান, বাওয়ালীদের গান, গাছ কাটার গান, গাড়োয়ানের গান, জেলেদের গান, কবিরাজের গান, ঘোল তৈরীর গান, চুন তৈরীর গান, কুমারের গান, হাবু গান, ধান কাটার গান, ধুয়া গান ইত্যাদি। এছাড়া আছে তালের পাখা, শোলার খেলনা, বাঁশ ও বেতের পাত্র, মাটির পাত্র, পুতুল ও খেলনা, মাদুর, কাঠের খেলনা ইত্যাদি তৈরি কাজে নিয়োজিত পেশার মানুষের দ্বারা গড়ে ওঠা লোকজ সংস্কৃতি।
পালকির গান : সুপ্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম বাংলায় পালকির প্রচলন ছিল। পালকির ব্যবহার সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে ছিল। জমিদারদের আট বেহারা/ষোল বেহারায় পালকী এখন অতীত হয়ে আছে। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে পালকীই ছিল অন্যতম প্রধান বাহন। বিয়ে-সাদীতে পালকী না হলে বিয়ের আমেজই পাওয়া যেতো না। পালকীর জন্যে অশনি সংকেত হয়ে এলো যান্ত্রিক যান এবং অন্যান্য বিকল্প বাহন। যান্ত্রিক যানের ব্যবহার যতো বাড়তে লাগলো, পালকীর সুসময় ততো নাগালের বাইরে যেতে লাগলো। কোথাও কোথাও পালকীর ব্যবহার থাকলেও তা সীমিত। পাইকগাছা (খুলনা) থেকে পালকী বওয়ার কিছু গান ‘নোরাড' প্রকল্পাধীন ভিডিও'তে ধারণ করা হয়েছে। পালকী শব্দের অর্থ-মনুষ্যবাহিত যান বা শিবিকা বা ডুলি। আর কাহার শব্দের অর্থ-পালকী বাহক বা বেহারা। কাহার একটি হিন্দি শব্দ। বিয়ের, পর নতুন বর ও বধূকে কাহাররা পালকীতে বহন করে নিয়ে যাবার সময় পথে যে গান গায় তাকে সরকার বলেছেন, ‘পালকির গানে বিশেষ করে বিয়েতে যে গান গাওয়া হয় তাতে বর আগমনের বরের চিত্তের অবস্থা প্রকাশিত হয় এবং কন্যা বিদায় একটি দুঃখ ভারাক্রান্ত আকুতি ধ্বনিত হয়।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

কোলাহল ছেড়ে কিছুদিন

সোনাডাঙা বাসটার্মিনালে যখন ধাক্কা খেতেখেতে এসে কোচটা থামলো, তখন রাত প্রায় আটটা বেজে গেছে। আলো আধারীর আবছায়াতে দীর্ঘদিনের চেনা জায়গাটা অচেনা মনে হচ্ছে।কত শত অপরিচিত মুখ আরতাদের উৎসুক দৃস্টি ছাপিয়ে আমি নতুন আগন্তুক রিক্সায় চড়ে বসলাম। যেতে হবে অনেক দূর। শহর মাড়িয়ে গ্রাম। মৈষাঘুনির বাদাল গাঁয়ে। নদী পার হতে হবে ভেবে মনটা বিচলিত হয়ে উঠেছে।
ভৈরব নদী। নদীর পাশে জেলখানা গড়ে উঠায় ঘাটটা জেলখানা ঘাট হিসাবে পরিচিত। প্রতিদিন শত শত মানুষ এপার ওপার হয়। একমাত্র বাহন নৌকা। ইঞ্জিনের নৌকা। আঞ্চলিক নাম ভটভটি।
নৌকায় চড়া হয়না সচরাচর। আবহাওয়াটা অনুকূলে মনে হচ্ছেনা। কালো ভারী মেঘে আকাশ ছেয়ে গেছে। ঝড়োভাব। শংকা জাগছে। মাঝনদীতেই যদি ঝড় উঠে। যদি নৌকাডুবি হয়। তাছাড়াসংগে বর্ষাতিনেই। বৃষ্টি নামলে ভিজতে হবে। তার চেয়ে বড় সমস্যা হলো গাঁয়ের পথ, এত বেশি আঁধারে ডুবে যাবে যে, ভ্যান রিকসা কিছুই পাওয়া যাবেনা। ভোগান্তির শেষ থাকবে না। এলোমেলো ভাবতে ভাবতে সামনে এগোচ্ছি। যতই এগোচ্ছি, মুর্হুমুহু ফুরফুরে বাতাস গাঁয়ে আছড়ে পড়ছে। বুঝতে বাকি নেইযে, নদী নিকটবর্তী।
 নিকষ কালো আঁধারের পরত কেটে নৌকা তীরের দিকে ছুটে চলছে। বিশালবক্ষা ভৈরব নদীর যেদিকে তাকাই শুধু নৌকা আর নৌকা। নৌকাগুলোর পেটে টিমটিম করে জ্বলছে ছোট ছোট হারিকেন। দূর থেকে জোনাক পোকার মতো মনে হচ্ছে। নৌকা ছেড়ে ভ্যান। বাসায় পৌঁছতে রাত হয়ে গেলো। পাক্কা আটঘন্টা বাসজার্নি করেছি। শুয়ে বসে শান্তি পাচ্ছিনা। সারাদিনের বাসের দুলুনিটা এখনও মাথার ভিতর দোলাচ্ছে। ঘুমোতে পারবোনা নিশ্চিত। বাধ্য হয়ে স্লিপিং পিল খেলাম। ঘুম ভেঙেছে দেরিতে। মাথাটা তবু ভার। কাটতে সময় লাগবে বোঝা যাচ্ছে।
সাড়ে তিনশো কি. মি. পথ পাড়ি দেয়া এখন আর সহ্য করতে পারিনা। একসময় খুব উচ্ছ্বাস হতো। জার্নিতেও আনন্দ পেতাম।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিষয় নয় রচনাশৈলী প্রধান

 
 
 
 
পান্ডুলিপির বিষয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করার আগে  পান্ডুলিপি কি, কে তৈরী করে এবং কেন করে সেটা নিয়ে আলোচনা করা দরকার।
 
বিশ্ব, সমাজ, সংসারের বাস্তবতাকে নিয়ে কল্পনার রসে নতুন কোন ম্যাসেজ দেবার জন্য কতগুলো শব্দ, ভাষা এবং বাক্যের সমস্টিকে বই বা গ্রন্থ আকারে প্রকাশের জন্য খসড়া তৈরীটাই হলো পান্ডুলিপি। আর এই পান্ডুলিপি যার দ্বারা তৈরী হয় তাকে লেখক বলে অভিহিত করা হয়। জগতের নানা বিষয় লেখকের ভিতরে এক গভীর অনুরণন সৃষ্টি করে যা থেকে সে নিজেকে দায়মুক্ত করার জন্যই লেখে। একজন নোবেল বিজয়ী লেখককের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কেন লেখেন, উত্তরে বলেছিলেন, “সমাজের বিভিন্ন বাস্তবতায় আমি সন্দিহান হয়ে পড়ি। বিভিন্ন জটিলতায় পড়ে আমি আর্তনাদ করতে থাকি। তখন তা প্রকাশের মাধ্যম হিসাবে লেখাকে বেছে নেই”। অতএব একথা নির্দ্বিধায় বলা যায় যে, একজন লেখক তার অন্তরের তাড়না থেকে বা আত্মিক অনুভূতি থেকেই কিছু লিখে থাকে।
 
লেখকের একগুচ্ছ লেখার ফসল একটি সুন্দর পান্ডুলিপি। তবে একটি সফল ও পুর্ণাঙ্গ পান্ডুলিপি তৈরী করতে তাকে নিরলস সাধনা করতে হয়। প্রতিটি লেখকই চায় তার গ্রন্থটি আলোচিত হয়ে উঠুক বা একটি সফল গ্রন্থ হিসাবে পরিপূর্ণতা পাক। একটি সফল গ্রন্থ উপহার দেবার জন্য পান্ডুলিপির বিষয় নির্বাচনটা জরুরী নয়। বিভিন্নভাবেএকটিপাণ্ডুলিপিগুরুত্বপূর্ণহয়েউঠতেপারে।লেখকের গল্পবলারঅসাধারণক্ষমতাযখনপাঠকেরচিন্তায়তুঙ্গেউঠেযায়, যখনগল্পেরবিষয়ওআঙ্গিকলেখকেরচিন্তায় নতুনরূপেপ্রতিভাতহয়, যখনসুনিপুণবর্ণনায়লেখকজাদুকরেরমতপাঠককেধরেরাখতেপারবে, যখনপাঠক-লেখকেরমানসকাঠামোএকইবিন্দুতেমিলিতহয়, যখন লেখার ভিতর কোন নতুনত্ব প্রতিভাত হয়- একটিপাণ্ডুলিপি তখনইযথার্থতা পায়।
 
পান্ডুলিপির জন্য বিষয় নির্বাচনটা মুখ্য নয়। মুখ্য হল লেখকের উপস্থাপন ভঙ্গি, লেখার কৌশল, অলঙ্করণ, ভাষার ব্যবহার সর্বপরি উপন্যাস হলে তার ভিতরের বিষয়ের আবির্ভাব।একটি গৌন বা অতি নগন্য বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি সফল উপন্যাস তৈরী হতে পারে। যেমন সূচঁ, রক্ত, খুন, ফুল, স্বপ্ন ইত্যাদি... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (7)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    jibon ta amon e. amra avabe e sonnu theke purnu hoye abar sonnu hoye pori. sedin prithibi amader janiye dey. tomar ar prithibite thakar proyojon nei

    - ঘাস ফুল

    আমরা যত বেশী আধুনিক হচ্ছি আর বিলাসী জীবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছি, তত বেশী আমাদের মধ্য থেকে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে। একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। তাই শেষ জীবনে এসে বৃদ্ধ মা বাবারা অসহায় জীবন যাপন করছেন। কিন্তু জীবনের নিয়ম খুবই নিষ্ঠুর। এই নিষ্ঠুর নিয়মের শিকার তখন আমাদেরও হতে হবে যারা আমরা মা বাবাকে অবহেলা করছি। তারপরও আমরা শিক্ষা নেই না। এটাই আফসোসের বিষয়। এই হিসাবে উন্নত দেশগুলো এক দিক দিয়ে ঠিকই আছে। তারা এই সত্যটা মেনে নিয়েই জীবন শুরু করে এবং ছেলে মেয়ে বড় হলে যার যার মতো আলাদা হয়ে যায়। লেখাটা ভালো লাগলো কিন্তু অনুভূতিটা বড় কষ্ট দিল। আপনার মতো আমাকে ভাবিয়ে তুলল। এক সময় হয়তো আমাদের অবস্থাও একই রকম হবে। ধন্যবাদ ফেরদৌসা আপা। 

    - নীল সাধু

    ভইন দেখি

    Load more comments...

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

পত্রমিতা

 
বন্ধুত্ব মধুর। বন্ধু চিরন্তন। বন্ধু ছাড়া জীবন অচল। তাই সব মানুষই বোধহয় একজন ভাল বন্ধুর খোঁজ করে আজীবন।
গল্প, কবিতায়, দর্শনে বিভিন্নভাবে বন্ধুত্বের সঙ্গা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এরিস্টটল বলেছেন, ‘দুটি দেহে একটি আত্মার অবস্থানই হলো বন্ধুত্ব।' গ্রীক নাট্যকার ইউরিপিদিস বলেছেন, একজন বিশ্বাসী বন্ধু দশ হাজার আত্মীয়ের সমান।’ কিন্তু নিটসের কথাটা সবচেয়ে সুন্দর বলে মনে হয়েছে, ‘বিশ্বস্ত বন্ধু হচ্ছে প্রাণরক্ষাকারী ছায়ার মতো। যে তা খুঁজে পেলো, সে একটি গুপ্তধন পেলো।’
চিরন্তন বন্ধুতে¦র অনেক দৃষ্টান্ত পৃথিবীতে বিদ্যমান। যা বলে শেষ করা যাবে না। বন্ধুত্ব বিভিন্নভাবে হয়। দুজন মানুষ দীর্ঘদিন কাছাকাছি অবস্থান করলে তাদের অন্তরের একাত্মাতেই বন্ধুত্বের সূচনা হয়। আবার শুধুমাত্র পত্রের মাধ্যমেও বন্ধুত্ব হয়। পত্রের মাধ্যমে বন্ধুত্বকে বলা হয় পত্রবন্ধুত্ব।
একটা সময় ছিল যখন দেশ বিদেশে সম্পূর্ণ অপরিচিত দু’জন মানুষের মধ্যে শুধুমাত্র চিঠি আদান প্রদানের মাধ্যমে হৃদয়ের পরিপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতো। বন্ধুত্বের তীব্র আকাঙ্খা থেকেই এমন একটি বিষয়ের উদ্ভব। সে সম্পর্ক হতো কত নিবিড়, অটুট। হতো এতই দৃঢ় যে, একজন আর একজনের জন্য জীবনও উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকতো। পত্রবন্ধুত্বের মাঝে পাওয়া যায় একটি বিচিত্রতার স্বাধ। আজকের এই ই-বন্ধুত্বের ভীড়ে হারিয়ে গেছে সেই পত্রবন্ধুত্বের মধুর সময়।
আবার পত্রবন্ধুত্বকে উপেক্ষার চোখেও দেখা হয়েছে। বিপরীত লিঙ্গের বন্ধুত্বকে সমাজ কখন্ও মেনে নিতে চায়নি। তবে সমলিঙ্গের বন্ধুত্ব অমলিন। হোক না সে পত্র আর মৌখিক।  
পত্রবন্ধুত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দুই নোবেল বিজয়ী নারী। প্রথম জন সেলমা লেগারলফ আর দ্বিতীয় জন নেলি সাক্স। দু’জন ছিলেন দুইদেশের অধিবাসি। সেলমা লেগারলফ সুইডেনের আর নেলি সাক্স ছিলেন জার্মানির।
১৯০৯ সালে প্রথম নারী সাহিত্যিক হিসাবে সেলমা লেগারলফ নোবেল পুরস্কার অর্জন করলে তার প্রতি নেলি সাক্সের আকর্ষণ তৈরী হয়। বন্ধুত্ব করার প্রয়াসে মাত্র... continue reading
Likes ১৫ Comments
০ Shares

Comments (15)

  • - নীল সাধু

    বাহ!

    বেশ সুন্দর লিখেছেন।

    ভালো লাগা রইল।

    শুভকামনা নিরন্তর - সঙ্গে এনিমেটেড ছবিটাও ভালো।

    আপনার আঁকা রঙ্গিন কুর্চি বেশ ভালো লেগেছে সেটা কি জানেন?

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      আন্তরিক ধন্যবাদ নীল দা

      রঙ্গিন কুর্চি আপনাকে দিয়া দিলাম :)

    - চারু মান্নান

    Bha sundor tho

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      ধন্যবাদ চারুদা

    - কামরুন নাহার ইসলাম

    দারুন কবিতা আপনার, বেশ ভাল লাগল।

    একদিন আমিই লিখেছিলাম, "সাহিত্যের সব ক্ষেত্রেই আপনার বলিষ্ঠ পদচারনা।"

    আজও তাই বলব।

    ভাল থাকুন সব সময়।

    • - এই মেঘ এই রোদ্দুর

      ধন্যবাদ আপু ....... দোয়া করবেন

শামীম চৌধুরী

১০ বছর আগে লিখেছেন

প্রোফাইলে ছবি দিতে পারি না কেন ?

Likes Comments
Load more writings...