বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের কথা বলতে গেলে খুলনার কথাই চলে আসে সর্বাগ্রে। অন্য সব অঞ্চলের মতো এ অঞ্চলেরও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি, ঐতিহ্য। আজ আমি জেলার লোকজ ঐতিহ্য নিয়ে আলোচনা করবো।
জেলার পেশাভিত্তিক লোকজ সংস্কৃতির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পালকির গান, ওঝার গান, বাওয়ালীদের গান, গাছ কাটার গান, গাড়োয়ানের গান, জেলেদের গান, কবিরাজের গান, ঘোল তৈরীর গান, চুন তৈরীর গান, কুমারের গান, হাবু গান, ধান কাটার গান, ধুয়া গান ইত্যাদি। এছাড়া আছে তালের পাখা, শোলার খেলনা, বাঁশ ও বেতের পাত্র, মাটির পাত্র, পুতুল ও খেলনা, মাদুর, কাঠের খেলনা ইত্যাদি তৈরি কাজে নিয়োজিত পেশার মানুষের দ্বারা গড়ে ওঠা লোকজ সংস্কৃতি।
পালকির গান : সুপ্রাচীন কাল থেকেই গ্রাম বাংলায় পালকির প্রচলন ছিল। পালকির ব্যবহার সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে ছিল। জমিদারদের আট বেহারা/ষোল বেহারায় পালকী এখন অতীত হয়ে আছে। কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে পালকীই ছিল অন্যতম প্রধান বাহন। বিয়ে-সাদীতে পালকী না হলে বিয়ের আমেজই পাওয়া যেতো না। পালকীর জন্যে অশনি সংকেত হয়ে এলো যান্ত্রিক যান এবং অন্যান্য বিকল্প বাহন। যান্ত্রিক যানের ব্যবহার যতো বাড়তে লাগলো, পালকীর সুসময় ততো নাগালের বাইরে যেতে লাগলো। কোথাও কোথাও পালকীর ব্যবহার থাকলেও তা সীমিত। পাইকগাছা (খুলনা) থেকে পালকী বওয়ার কিছু গান ‘নোরাড' প্রকল্পাধীন ভিডিও'তে ধারণ করা হয়েছে। পালকী শব্দের অর্থ-মনুষ্যবাহিত যান বা শিবিকা বা ডুলি। আর কাহার শব্দের অর্থ-পালকী বাহক বা বেহারা। কাহার একটি হিন্দি শব্দ। বিয়ের, পর নতুন বর ও বধূকে কাহাররা পালকীতে বহন করে নিয়ে যাবার সময় পথে যে গান গায় তাকে সরকার বলেছেন, ‘পালকির গানে বিশেষ করে বিয়েতে যে গান গাওয়া হয় তাতে বর আগমনের বরের চিত্তের অবস্থা প্রকাশিত হয় এবং কন্যা বিদায় একটি দুঃখ ভারাক্রান্ত আকুতি ধ্বনিত হয়।... continue reading
Comments (7)
jibon ta amon e. amra avabe e sonnu theke purnu hoye abar sonnu hoye pori. sedin prithibi amader janiye dey. tomar ar prithibite thakar proyojon nei
আমরা যত বেশী আধুনিক হচ্ছি আর বিলাসী জীবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছি, তত বেশী আমাদের মধ্য থেকে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ কমে যাচ্ছে। একান্নবর্তী পরিবারগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। তাই শেষ জীবনে এসে বৃদ্ধ মা বাবারা অসহায় জীবন যাপন করছেন। কিন্তু জীবনের নিয়ম খুবই নিষ্ঠুর। এই নিষ্ঠুর নিয়মের শিকার তখন আমাদেরও হতে হবে যারা আমরা মা বাবাকে অবহেলা করছি। তারপরও আমরা শিক্ষা নেই না। এটাই আফসোসের বিষয়। এই হিসাবে উন্নত দেশগুলো এক দিক দিয়ে ঠিকই আছে। তারা এই সত্যটা মেনে নিয়েই জীবন শুরু করে এবং ছেলে মেয়ে বড় হলে যার যার মতো আলাদা হয়ে যায়। লেখাটা ভালো লাগলো কিন্তু অনুভূতিটা বড় কষ্ট দিল। আপনার মতো আমাকে ভাবিয়ে তুলল। এক সময় হয়তো আমাদের অবস্থাও একই রকম হবে। ধন্যবাদ ফেরদৌসা আপা।
ভইন দেখি