Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সালাহ্‌ আদ-দীন

১০ বছর আগে

শাহদাতের তামান্নায় উদ্ভাসিত এক যুবক

  

 

মরুভুমির বেদুইন। ৬ ফুট ৯ ইঞ্চির দীর্ঘদেহী এক টগবগে যুবক! তীক্ষ্ণ তার চাহনি! অসীম তার সাহস! ঘোড়া নিয়ে ছুটে বেড়ান মুরুভুমির ধুলা উড়িয়ে। যেন মরুভুমির সাইমুম। বিরুধিদের কাছে তিনি এক আতঙ্কের নাম। যুবক তো নয় যেন সাহসের পর্বত। ধিরে ধিরে তার নাম ছড়িয়ে পড়ছে মরুভুমির আনাচে কানাছে। যিনি জীবনের কোন যুদ্ধেই পরাজিত হননি! পৃথিবীর ইতিহাসে অপরাজিত এক সেনাপতি। আল্লাহ্‌র রাসুল তার নাম দিয়েছিলেন সাইফুল্লাহ! আল্লাহ্‌র তরবারি। যিনি প্রতিটি যুদ্ধ করতেন শহীদ হবার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষা নিয়ে।

 

তখনও তিনি ইসলাম ধর্মের ছায়াতলে আসেননি। মুসলমানদের সামনে তখন বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা! উহুদ যুদ্ধ! সংখ্যায় মুসলমানরা হাতে গোনা কয়েকজন। কাফেররা বিশাল বাহিনী নিয়ে আক্রমন করল মুসলমানদের উপর! সেনাপতি যুদ্ধের ময়দান ভাগ করলেন। করলেন অত্যান্ত সুচতুর ভাবে! যেন কাফেরদের শায়েস্তা করা যায়। মূল বাহিনীর ব্যাকআপ রাখা হল আরেকটা বাহিনীকে! তীরন্দাজ বাহিনী! নির্দেশ দেয়া হল পাহাড়ের উপর অবস্থান করে শত্রু পক্ষের উপর নজর রাখবেন তারা। যেন কাফেরেরা পেছন দিক থেকে পাল্টা আক্রমন করতে না পারে। শুরু হল যুদ্ধ! সত্য মিথ্যার লড়াই। একদিকে কাফেরদের হুঙ্কার আর সখ্যার বড়াই আর অন্য দিকে শহীদ হয়ে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য পাবার জন্যে ক্ষুধার্ত একদল সৈনিক। হাতে নেই ভাল একটি অশ্র কিন্তু বুকে আছে ঈমানের জোর! আল্লহু-আকবার ধ্বনিতে প্রকম্পিত উহুদের ময়দান। সৈন্যরা ছুটছেন সামনে দিকে! হাতের শাহদাত আঙুল উচিয়ে ঘোষণা করছেন, আশহাদু আল্লাহ্‌ ইলাহা ইল্লালাহ্‌!! কাফেরেরা আর দাড়াতে পারেনি। ছত্রভঙ্গ আর সঙ্গীদের হারিয়ে যে যেদিকে পারছে পালাচ্ছে! বিজয় নিশ্চিত!! করে বসলেন ব্যাকাপে থাকা সৈনিকেরা। নিশ্চিত বিজয় যেনে সেনাপতির নির্দেশের অপেক্ষা না করেই নেমে এলেন ময়দানে! সেই সুযোগটাই নিলেন খালিদ বিন ওয়ালিদ! মুহূর্তের ভিতরে তছনছ করেদিলেন মুসলিম শিবির! মিনিট আগে যেখানে ছিল যুদ্ধ বিজয়ের উল্লাস! মিনিট পরেই সেই ময়দান মৃত্যুপুরী বানিয়ে দিলেন এই যুবক! কে সেই যুবক? কি তার পরিচয়! যুবকের নাম খালিদ বিন ওয়ালিদ।

 

এর পরে আল্লাহ্‌র রাসুল তাকে নিয়ে এলেন ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে। ইসলামের ছায়াতলে এসে ভুলেগেলেন মৃত্যু ভয়! মুসলমানদের মৃত্যু ভয় নেই! মৃত্যু যে তাদের জান্নাতে যাবার সোপান! তরবারি হাতে নিয়ে ছুটেন একটা নেশায়! শহীদ হতে হবে। বড় আকাঙ্ক্ষা তার! তার সামনে দাঁড়াবার সাহস নেই কোন কাফিরের! তিনি যেন এক সাইক্লুনের নাম! তিনি যেন বিশাল প্রাচীর!! মিনিটেই শত্রু শিবির তছনছ করে দিতে পারেন তিনি!

 

ইসলামের খলিফা তখন আবুবকর (রাঃ)। সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদ। পৃথিবীতে তখন রোমানদের রাজত্ব! সেই রোমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ! খলিফার দরবারে ডাকা হল সেনাপতিকে! লক্ষাদিক রোমান সৈন্যের বিরুদ্ধে কতজন সৈনিক আর অশ্র চান সেনাপতি? সেনাপতি যখন খালিদ বিন ওয়ালিদ তখন উত্তরটাও হবে সেই রকম! তিনি দাঁড়িয়ে বললেন, মুসলমানরা সংখ্যা, অশ্র আর শক্তি দিয়ে যুদ্ধ করেনা। করে ঈমান দিয়ে! ঐ বাহিনীর জন্যে আমি একাই যথেষ্ট!! ইসলামী আন্দোলনের একজন সৈনিকের উত্তর এর চেয়ে ভাল আর কি হতে পারে! যারা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার জন্যে আল্লাহ্‌র রাস্তায় ঝাপিয়ে পড়ে।

 

যুদ্ধের ময়দানে যে দিকে তিনি তার তরবারি তুলেছেন সেই দিকেই তুফানের বেগে সব কিছু তচনচ করে দিয়েছেন। যুদ্ধের ময়দানে তিনি মানে নিশ্চিত বিজয়। তিনি নিজেই যেন এক তরবারি। বেশির ভাগ সময়েই চারদিক থেকে শত্রু সৈন্য দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়েই যুদ্ধ করেছেন পৃথিবীর ইতিহাসে অপরাজিত এই জেনারেল!

 

খলিফা আবু বকর ইন্তেকাল করলেন। খলিফা তখন উমর! এই সেই উমর যিনি আল্লাহ্‌র রাসুল কে হত্যা করার জন্যে তরবারি হাতে ছুটে গিয়েছিলেন। এই সেই উমর যিনি ইসলাম আনার পরে ঘোষণা দিয়েছিলেন, আজ থেকে আর লুকিয়ে নয় প্রকাশ্যেই নামাজ আদায় করা হবে কাবা শরিফে! এই সেই উমর যিনি মদ্য পানের অপরাধে নিজের সন্তানকে বেত্রাঘাত করেছিলেন! সন্তান মারা গেলেন! তখনও কয়েকটি বেত্রঘাত বাকি! সন্তানকে কবরে শুইয়ে কবরের উপরে বাকি বেত্রাঘাত গুলো করলেন! এই সেই উমর যার সময়ে অর্ধেক পৃথিবী মুসলমানরা শাসন করত! খালিদ তখন যুদ্ধের ময়দানে! তিনি সেনাপতি! হাজার হাজার সৈনিক তখন তার অধীনে! যুদ্ধের ময়দানে খলিফা দুত পাঠালেন! খালিদ তুমি আর সেনাপতি নয়! সেনাপতি থেকে তোমাকে অভ্যাহতি দেয়া হয়েছে! এখন থেকে সাধারণ সৈনিক হয়েই যুদ্ধ করতে হবে তোমাকে! আজ থেকে আবু উতাইবা মুসলমানদের সেনাপতি। যে উতাইবা তার নিচের সারির একজন সৈনিক! সেই উতাইবার অধীনে যুদ্ধ করতে হবে তাকে! জীবনের কোন যুদ্ধে যেই জেনারেল পরাজিত হননি সেই জেনারেল খলিফার নির্দেশ পালন করলেন। একটা টু শব্দও করলেন না! সেনাপতি থেকে হয়ে গেলেন একজন সাধারণ সৈনিক!

 

ইয়ারমুকের যুদ্ধ! হেরিক্লিয়াসের দরবারে ডাক পড়ল মুসলমান সৈনিকদের! কথা বলতে চান হেরিক্লিয়াস! খালিদ বিন ওয়ালিদ আরও কয়েকজন সৈনিক নিয়ে বীর দর্পে লক্ষ লক্ষ সৈনিকদের বেতর দিয়ে গেলেন! যে হেরিক্লিয়াস চেয়েছিল তার ক্ষমতা, সংখ্যা আর সম্পদের প্রাচুর্য দেখিয়ে মুসলমান সৈন্যদের মনবল ভেঙে দেবে সেই হেরিক্লিয়াসের মনবল ভেঙ্গেদিলেন খালিদ! হেরিক্লিয়াস ঘোষণা করল এখনই তোমাদের সামনে তোমাদের কয়েকজন বন্ধিকে হত্যা করা হবে! জ্বলে উঠলেন খালিদ! তার চোখ মুখ দিয়ে যেন আগুনের ফুলকি বেরিয়ে এলো! সাবধান! একজন সৈনিকের শরীরে হাত দিলে একজনও প্রান নিয়ে এখান থেকে বের হতে পারবেনা! হুঙ্কার দিলেন খালিদ! খালিদের হুঙ্কারে সিংহের গর্জন শুনল হেরিক্লিয়াস! একটা টু শব্দও করার সাহস পেলনা সে! বীর দর্পে চলে এলেন খালিদ! এই ছিল তার সাহস! এই ছিল তার বীরত্বের নমুনা!

 

আল্লাহ্‌র রাসুল শহীদদের মর্যাদার কথা যখন বর্ণনা করতেন তখন খালিদ বড় চঞ্চল হয়ে উঠতেন! আহা কবে আমি শাহদাতের পেয়ালা পান করব! কবে জাফর, সুমাইয়াদের মত জান্নাতে উড়ে বেড়াব! প্রতিটা যুদ্ধের ময়দান থেকে ফিরে আসেন বিজয় নিয়ে তবুও কিছু একটা না পাওয়ার শুন্যতা কাজ করে তার মাঝে! শাহদাত মৃত্যু!

 

মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে, খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) এর সাথে দেখা করতে এলেন তারই এক বন্ধু। বন্ধুটি তার শয্যার পাশে বসলেন। খালিদের মন খুব খারাপ! তিনি যে শহীদ হতে পারেননি! "তুমি কি আমার পায়ে এমন এক বিঘত পরিমাণ কোন খালি জায়গা দেখতে পাচ্ছ, যেখানে কোন তরবারি, তীর বা বর্শার আঘাত নেই?” বড় অসহায়ের সাথে জিজ্ঞেস করলেন খালিদ! কণ্ঠ বড় ব্যাকুল তার!
বন্ধু পা পরীক্ষা করলেন, না! কোন খালি জায়গা নেই! খালিদ প্রথমে তাঁর ডান হাত ও পরে বাম হাত উঠিয়ে দেখিয়ে তাকে অনুরূপ পরীক্ষা করতে বললেন। বন্ধুটি একই ফলাফল বললেন।

এরপর খালিদ তাঁর প্রশস্ত বক্ষ উন্মুক্ত করে তাঁর বন্ধুকে একইভাবে জিজ্ঞেস করলেন। বন্ধুটি আবারো সেই একই দৃশ্য দেখলেন যা প্রথমবার পায়ের ক্ষেত্রে দেখেছিলেন। বড় ব্যাকুল তিনি! “তুমি কি দেখনি? আমি শহীদের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে শত শত যুদ্ধ করেছি, কেন আমি যুদ্ধে শহীদ হলাম না?”

বন্ধু তাকে সান্তনা দেন! “তোমার এটা বুঝতে হবে, হে খালিদ! আল্লাহর রাসূল(সাঃ) তোমার নাম রেখেছেন ‘সাইফুল্লাহ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর তরবারি’, তিনি এটা আগেই নির্ধারণ করে গেছেন যে তুমি কোন যুদ্ধে পরাজিত হবে না। কারণ, তুমি যদি পরাজিত হতে তাহলে সবাই এটা বুঝাতো যে আল্লাহর তরবারি কাফিরদের আঘাতে ভেঙ্গে গেছে, আর যা কখনো ঘটবে না!”

শাহদাতের অমন তামান্না নিয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন ইতিহাসের অপরাজিত এই জেনারেল! তারই বিজিয় করা সিরিয়ায় শায়িত আছেন তিনি! আসুন  আমরা সকলে প্রান ভরে দোয়া করি আল্লাহ্‌ যেন তাকে শাহদাতের মর্যাদা দান করেন!

 

 

০ Likes ৩ Comments ০ Share ৬৯৭ Views

Comments (3)

  • - ঘাস ফুল

    আমাদের সমাজের একটা অন্ধকার এবং কুসংস্কারপূর্ণ দিক গল্পে উঠে এসেছে। এই প্রবণতাটা সাধারণত গরীব ও অশিক্ষিত পরিবারে দেখা যায়। মেয়েরা প্রাপ্ত বয়স্কা হওয়ার আগেই পরিবারের মাথা ব্যথা হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাদের জীবনকে গণ্ডিবদ্ধ করে ফেলে অতিষ্ঠ করে তোলে। স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ করে ফেলে, যা পরবর্তীতে তাদের সংসার জীবনেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। গল্পের এক জায়গায় আপনি বলেছেন, আজ ত্রয়োদশ বৎসরে আসিয়া নিজেকে গুটাইয়া মোড়কে ভরিয়া অপেক্ষায়রত। কখন ক্রেতাআসিয়া এই বাসী পন্যটিকে লইয়া যাইবে। এখানে "বাসী" শব্দটার গুরুত্ব অনেক। একাধারে এটা দিয়ে মা বাবার বোঝা মনে করা হয় আর অন্যদিকে বাল্য বিবাহকে ইংগিত করা হয়। বাল্য বিবাহের খারাপ দিকগুলো আমাদের দেশের গরীব অশিক্ষিত মা বাবারা এখনো ঠিকভাবে অনুধাবন করেন না। এটার জন্য জনসচেতনা বাড়ানোর প্রধান দায়িত্ব সরকারের ওপর বর্তায়। তবে আমাদের দেশের প্রিন্ট মিডিয়া এবং গণমাধ্যমগুলোও তাদের নিজেদের উদ্যোগে কিছু দায়িত্ব পালন করতে পারেন, যা জাতির জন্য শুভ ফল বয়ে আনবে। আপনি আরও এক জায়গায় বলেছেন, আরও একটি টান তাহার ভেতরটা মুচড়াইয়া উঠিতেছে। কিন্তু কেন তাহাবুঝিবার সাধ্য তাহার নাই।  এটা দিয়ে যেন মজিদের প্রতি কিঞ্চিত ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন। কারণ রমেজার মতো মেয়েরা যারা কড়া শাসনে থাকেন, তাদের দু'চোখ ভরে অনেক কিছু দেখার সৌভাগ্য হয় না। পরপুরুষও তাদের কাছে তখন অমুল্য হয়ে উঠে। গণ্ডিবদ্ধ জীবনের মধ্যে যে পুরুষকেই প্রথম চোখে পরে, তখন কিছু না বুঝেই তার প্রতি এক ধরণের ভালো লাগা জন্ম হয়, যা মুহূর্তে ভালোবাসারও দোল বইয়ে দিয়ে যায়। রমেজার বেলায়ও যেন তাই হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ ভালো লাগলো গল্পটা পাশা ভাই।    

    • - লুৎফুর রহমান পাশা

      বাল্য বিবাহ বলতে ১৮ বছর বয়সের সীমাটাকেই বুঝায়। আমি এই ব্যপারে কিঞ্চিত ২য় মত পোষন করি। ঠিক আঠার হইলেই সে হঠাধ করে বালিকা হয়ে যায় এটা ঠিক গ্রহন করতে পারিনা। সে বিষয়ে অন্যদিন আলোচনা করবো। তবে যে বয়সে মেয়েরা খোলসে থাকতে পছন্দ করে। মায়ের বাবার আদরে থাকতে চায় সে বয়সে বিয়ে দেয়ার আমি ঘোর বিরোধী। আবার পড়াশোনা করতে চাওয়া মেয়েদের জোর করে বিয়ে দেয়ার পক্ষপাতি আমি না। তার বয়স যাই হোক। ঠিক সেই অবস্থায় বার তের বছরের কোন মেয়েকে নিজের ইচ্ছা টুকু প্রকাশ করতে না দিয়ে বিয়ে দেওয়াটা আমার কাছে জুলুমের মত মনে হয়।

      তবে পাশাপাশি এটা ও আমি জানি যে এক শ্রেনীর মানুষ তাদের মেয়েদের নিয়া অনেক টেনশনে থাকেন। তারা তাদের দুশ্চিন্তা কমাতেই মেয়েদের ঘর থেকে বিদায় করা পায়তারা করেন। আমি একটা পরিবারের মেয়েদের কথা জানি। তাদের একজনকে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছে। তিন বছরের মাথায় তাদের সংসার টা ভেঙ্গে যায়। অন্য একজনের বিয়ের কথা উঠেছিল আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছিল। আমি তাদেরকে পড়াশোনা করতে বলেছি।বলেছি নিজের পায়ে দাড়াতে শিখলে বিয়ে কোন সমস্যা নয়।

      ভাল থাকবেন ঘাসফুল ভাই্

    • Load more relies...
    - আল ইমরান

    সাধু ভাষায় আপনার লেখা বরাবরই আমার ভালো লাগে। ছোট্ট পরিসরে সামাজিক অসঙ্গতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়ার এই প্রয়াস এর জন্য রইল সাধুবাদ। 

    • - লুৎফুর রহমান পাশা

      তোমাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ ইমরান।

    - কামরুন নাহার ইসলাম

    ভাল লাগল গল্পটি। অল্প কথায় সমাজের  অন্ধকার এবং কুসংস্কারপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন। আমাদের দেশে, গ্রামে কোন মেয়ের বয়স ১২ হওয়া মানেই তার বিয়ের বয়স হয়েছে। কোন মেয়ে যদি লেখাপড়া করতে থাকে, তার বয়সি অন্য মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়া মানে যেন লেখাপড়া করাটাই অন্যায়। সবার বিয়ে হয়ে যাচ্ছে, আর অমুকের মেয়ে পড়াশোনা করে যেন ব্যারিস্টার হবে, এমন কথা সবার মুখে মুখে ফেরে। বাধ্য হয়ে মেয়ের বাবা পড়া-লেখা বন্ধ করে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। 

    অনেক শুভেচ্ছা পাশা ভাই আপনাকে।  

    • - লুৎফুর রহমান পাশা

      সবার সচেতনতাই একদিন আলো আসবে। ভাল থাকুন নাহার আপু

    Load more comments...