Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিচারে-বিশ্লেষণে ‘আকাশ কত দূরে’

চলচ্চিত্র সমালোচনা বিষয়টি খুব খারাপ। পরিচালকের তীব্র সংগ্রামের মধ্যেই তৈরি হয় একটি সিনেমা। অনেক কষ্ট-হতাশা-ক্ষোভ-পরিশ্রম থাকে সিনেমায়। কিন্তু সিনেমাহল থেকে বের হয়ে কোনো দর্শক যদি বলে বসে, ‘নাহ্ ছবি জমে নাই’। তখন যেন পরিচালকের সব শ্রমই বৃথা গেল!
২০১৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় সামিয়া জামান পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘আকাশ কত দূরে’। এটি সামিয়া জামানের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। সরকারি অনুদানে তার প্রথম শিশুতোষ চলচ্চিত্র।
সিনেমাটি তৈরিতে সহযোগী হয়েছেন ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও ভার্সা মিডিয়া। জুলফিকার রাসেলের রচনা ও চিত্রনাট্যে তৈরি হয়েছে আকাশ কত দূরে।
গল্প সংক্ষেপ: মূল গল্পে কখনও চলচ্চিত্র নির্মাণ হয় না। রচনা করার পরপরই সে গল্পের নতুন নির্মাতা হয়ে যান পরিচালক। অর্থাৎ চলচ্চিত্রের মূল খেলোয়াড় পরিচালক।
চলচ্চিত্র সমালোচনাও সামাল দিতে হবে পরিচালককে। প্রতিটি শট এবং গল্প তুলে ধরার স্টাইলটা পরিচালকের অবিস্কার।
যাইহোক, আকাশ কত দূরে সিনেমার গল্পটি অল্প কথায় সেরে ফেলা যাক।
সিনেমার মূল চরিত্র বিচ্ছু নামে এক কিশোর। তাকে নিয়েই এগিয়ে চলে গল্প। এক অসহায় শিশুর জীবনে বাস্তবতার যে সব আঘাত বর্তায় সেসব খুব চমৎকারভাবে উঠে আসে এই ছবিতে। বিশেষ করে, এতিমখানায় নির্যাতনের দৃশ্যও ফুটে ওঠে।
ছবিতে পরিচালক খুব সুক্ষ্মভাবে একটি শিশুর বিপ্লব দেখিয়েছেন। যখন নির্যাতন সইতে না পেরে বিচ্ছু পালিয়ে যায় তখন আমরা একটি শিশুর বিপ্লবী চেতনাকে দেখতে পাই। তার কাছে প্রতিবাদের ভাষা ছিল দেয়াল টপকে চলে যাওয়া।
শুরু হয় বিচ্ছুর শহুরে সংগ্রামের জীবন। যেখানে উঠে আসে শিশু অপরাধের নানান দৃশ্য। বিচ্ছুর জীবনের মোড় ঘুরানো দেখতে পাবে দর্শক। সঙ্গে অন্যান্য চরিত্রগুলো খেলা করবে চলচ্চিত্রে। কখনও পরী-আরিফের প্রেম, কখন রাজ্জাক এবং শর্মিলা আহমেদের দুর্দান্ত অভিনয় এবং নানান বাস্তবতায় বিচ্ছুকে নিয়ে ক্লাইমেক্সগুলো দর্শকদের কাছে টেনে নেবে।
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - জাকিয়া জেসমিন যূথী

    খুউব ভালো লাগলো। আপনার ছবি আর বর্ণনায় ঘুরে এলাম, আপনার ছবির দেশে। 

    • - কামাল উদ্দিন

      ধন্যবাদ আপু, কেমন আছেন আপনি ?

    - আসাদুস জামান বাবু

    বেশ ভালো লাগলো। ছবিগুলো খুব সুন্দর হয়েছে

    • - কামাল উদ্দিন

      ধন্যবাদ বাবু ভাই, ভালো থাকুন, সব সময়

    - মাসুম বাদল

    খুব ভালো লাগলো, কামাল ভাই...

    • - কামাল উদ্দিন

      শুভেচ্ছা জানবেন বাদল ভাই

    Load more comments...

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

বিশ্লেষণে “গয়নার বাক্স”

কলকাতার সিনেমাগুলোতে পরিবর্তনের ছাপ দিনকে দিন নজরে আসছে। তাদের গল্প বলার ঢং, অভিনয়ের দক্ষতা সবকিছুতেই প্রশংসা পাচ্ছে। অনেক গল্প তাদের আর্টিস্টিক ভঙ্গির জন্য দর্শকদেরও বিনোদনের খোরাক জোগাচ্ছে। গতবছর মুক্তি পাওয়া সিনেমা গয়নার বাক্স তেমনই একটি ছবি।
হরর কমেডি মুভিকে কীভাবে নতুন মাত্রা যোগ করে আকর্ষণীয় করা যায় তার প্রমাণ গয়নার বাক্স।
তিন প্রজন্ম নিয়ে “গয়নার বাক্স” ছবির পরিচালক অপর্ণা সেন। গল্পের প্রধান উপজ্জীব্য বিষয় ‘গয়না’। সুতরাং বাঙালি সমাজে গয়নার সঙ্গে উঠে আসে নারী। আর তাই তিন প্রজন্মের নারীদের গল্পই বলতে চেয়েছেন অপর্ণা সেন। যদিও ছবিটি জনপ্রিয় সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে।
বাঙালি বিনোদন পছন্দ করেন। তা যেভাবেই তাকে দেয়া হোক। সে নেবে। একটা পক্ষের লোকই শিল্পের আলোচনা-সমালোচনা পড়ে ভাববার অবকাশ পাবেন। কিন্তু বড় একটি জনগোষ্ঠী সিনেমাকে নেবে বিনোদনের খোরাক হিসেবেই। সে খোরাক জোগাতেই সীমানা পেরিয়ে গয়নার বাক্স ছবিটি চলে আসে ঢাকায় ডিভিডি হয়ে। একদিন দেখা হলো গয়নার বাক্স।
গয়নার বাক্স চলচ্চিত্রের গল্পটি কয়েকটি লাইনে শেষ করা মুশকিল। তবুও চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। গল্পের শুরু হয় ‘ব্যাক ভয়েস’ দিয়ে। দর্শকদের কাছে টানার জন্য শেষ প্রজন্ম চৈতালী একটি গয়নার বাক্সের গল্প বলে। গল্প বলে তার পিসিমা রাসমণীকে নিয়ে। তখনই পর্দায় উঠে আসেন মাত্র ১১ বছরের এক কিশোরী। যার সদ্য বিয়ে হয়েছে। গয়নার বাক্সের চকচকে আয়নার তার সুন্দর মুখোশ্রী দেখা যায়।
গয়না পড়ে সে নিজেকে দেখছে সেই চকচকে আয়নায়। কয়েক সেকেন্ডেই সেই গয়নাগুলো ছুড়ে পড়ে গয়নার বাক্সে। পেছনে কান্নার আওয়াজ। কারণ পিসিমা ১২ বছর পার হবার আগেই হয়ে গেলেন বিধবা।
গল্পের শুরু মূলত এখান থেকেই। বিধবা হয়ে ভাইয়ের সংসারে আশ্রয় হয় রাসমণির। তারপর থেকে সে সংসারে রাসমণির দিন কাটতে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    হ্যা দাদা

    ব্যস্তবতা এটাই

    মাতৃভাষার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা--

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

নির্বাচনকালীন সংকট: সমাধান কোথায়?

জাতীয় সংসদ নির্বাচন বলতে আসলে কি বোঝায়? এমন প্রশ্ন প্রায়ই আমার মনে উদয় হয়। নির্বাচনের রূপ আমার কাছে অনেকটাই আতংকের মতো শোনায়। উইকিপিডিয়া থেকে জানা যায়, জাতীয় সংসদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন সভা ও এটি এক কক্ষ বিশিষ্ঠ। এ আইন সভার জন্য জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে ৩০০ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়াও ৫০ জন মহিলা সংসদ সদস্য সংরক্ষিত আসনের মাধ্যমে সংসদ সদস্যরূপে মনোনীত হন। নির্বাচিত রাজনৈতিক দলের প্রধানমন্ত্রীই হলেন সরকার প্রধান। রাষ্ট্রের প্রধান হলেন একজন রাষ্ট্রপতি যিনি জাতীয় সংসদ কর্তৃক নির্বাচিত হন। বাংলাদেশে রাষ্ট্রপতির পদ হলো আনুষ্ঠানিকতা, প্রকৃতপক্ষে সকল ক্ষমতা ন্যস্ত থাকে সরকার প্রধানের হাতে।
আপাতত ক্ষমতার এ সংজ্ঞাটিকেই মেনে নেই। একটু নজর দেই আমাদের নির্বাচনগুলোর দিকে। বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে এদেশের গণতন্ত্র যাত্রা শুরু করে ১৯৯১ সালের নির্বাচন দিয়ে। ছক দিয়েই এখন পর্যন্ত সবগুলো নির্বাচনের অবস্থাটি দেখি।
ছক-১

ছক-১-এর দিকে লক্ষ্য করলেই দেখা যায়, প্রতিটি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়েছে, সঙ্গে বেড়েছে ভোটার সংখ্যাও। এ বিষয়ে একটি প্রাসঙ্গিক গবেষণা চিত্রও তুলে ধরা যাক। গবেষণাটি করেছেন জাপানের ইনস্টিটিউট অব পলিসি সাইন্সের গবেষক ড. মঞ্জুরে খোদা টরিক। তার গবেষণা নিয়ে একটি প্রবন্ধ ২০১৪ সালের ৩ জানুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজে “তত্ত্বাবধায়ক না সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন কোনটা জরুরী” শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
তার প্রবন্ধে গত ৪ টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখান যে, ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল প্রদত্ত ভোটের ৩০.৮% , আর আসন পেয়েছিল ১৪০টি। আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩০.১% ভোট, আর আসন পেয়েছিল ৮৮টি।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩৭.৪% ভোট, আর আসন সংখ্যা ছিল ১৪৬টি। বিএনপি পেয়েছিল ৩৩.৬% ভোট, আর আসন সংখ্যা ছিল... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - তাহমিদুর রহমান

    • - নীল সাধু

    - আহমেদ ইশতিয়াক

    নীলদা... পর্যবেক্ষনধর্মী এই পোস্টগুলো ভালো লাগে খুব। আগের লেখাগুলো আবার একনজর দেখা হয়ে যায়। আপনার মন্তব্যগুলোও জানা যায়।

    খুব ভালো ...

    • - নীল সাধু

      শুভেচ্ছা সুপ্রিয় ইশতিয়াক।
      ভাল থেকো
      শুভেচ্ছা জেনো।

    - সুমন আহমেদ

    এ ধরণের আলোকপাত সকলের প্রেরণা হোয়ে থাকবে। শুভেচ্ছা জানাই ...

    • - নীল সাধু

      চেষ্টা থাকে কিন্তু সময় করে উঠতে পারিনা বলে অনেক ইচ্ছে মনে চাপা দিয়েই রাখি -
      শুভেচ্ছা নিরন্তর। 

    Load more comments...

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

হাল্কা প্রেমের গল্প

রাত হয়েছে। হিম শীতল হাওয়াতে জড়িয়ে যায় সাবেত। কিছুক্ষণ পরপর গাড়ির হর্নের আওয়াজ আসে। খুব জোরে নয়। মনে হয় আওয়াজগুলো খুব চুপে চুপে রাতের নিরবতা ভেদ করে এগিয়ে আসে। কিংবা আওয়াজটা সাবেতের কাছ হয়ে আরও দূরে গিয়ে হারিয়ে যায়।
সাবেতের হাতে সিগারেট। ধোঁয়া উড়ে। ধোঁয়াও হারিয়ে যায় বাতাসে।
বিষাক্ত ধোঁয়া কি বাতাসে চিরকাল থেকে যায়? এমন প্রশ্ন হুট করেই তার মনে আসে। সে ভাবে; আর সিগারেটে ফু-লাগায়। ধোঁয়া আবার বের হয়। আবার হারিয়ে যায়। ধোঁয়ার সাথে বাতাসের খেলা। মজা লাগে।
এমনই খেলা সে শুরু করেছিল মাসখানেক আগে। বন্ধুদের সাথে খেলা। অফিসে নতুন জয়েন করা সিনিয়র ম্যানেজার ম্যাডামের সাথে খেলা।
ম্যাডাম দেখতে সুন্দর না। চেহারাতে বয়সের ছাপ আছে। বয়স হবে ৩৫ কিংবা ৩৬।ম্যাডাম খুব স্মার্ট। কথা বলার ভঙ্গিটা খুব সুন্দর। মায়া লাগে।
সেই মায়া লাগা থেকেই সাবেত তার কলিগদের বলত, ম্যাডাম কত্ত সুন্দর করে কথা বলে দেখেছেন? কলিগরা শুরুতে হাসতো।
এই ভালো লাগা থেকে সাবেত ম্যাডামের ঘনিষ্ঠ হতে চায়। চায়, ম্যাডামের সাথে তার ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠুক। উঠেছেও। ম্যাডাম যে কোন কাজে সাবেতকে আগে ডাকে। এই তো সেদিন, চিটাগাং-এ কয়েকজন বিদেশীদের সাথে মিটিং ছিল। হিসেব অনুযায়ী ম্যাডামের অ্যাসিসটেন্ট যাওয়ার কথা। কিন্তু ম্যাডাম হিসেবটাকে পাল্টে বলেছে, ঐ মিটিংয়ে যাবে আমাদের সাবেত। কারণ ফরেনারদের সাথে মিটিং। ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করতে হবে। কথাবর্তা- ব্যবহারের দিক থেকে সাবেত অনেক মার্জিত। তাই সাবেতই যাক।
এইটা শুনে সাবেতের খুব ভালো লাগছিল। ম্যাডামকে গিয়ে বলেছিল, ম্যাডাম আপনাকে ধন্যবাদ। ম্যাডাম মিষ্টি হাসি দিয়ে বলে- ইউ ডিসার্ভ ইট।
অফিসের সবাই ম্যাডামকে বলে- সাবেতের বউ। সাবেতও দুষ্টুমীতে অংশ নিতো। কলিগদের মজা নেয়াটাও সাবেতের খুব ভালো লাগতো।
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - নীল সাধু

    সুন্দর জীবনে তারে দেখার আশায় বেলা চলে গেছে তবু দেখা মিললো না। দেখতে চাই বলেই সময়ের দিকে খেয়াল। সময় কি আরা আমার স্বপ্ন স্বাধ বোঝে ? সে চলে তার নিয়মে। তাইতো জীবন ফুরিয়ে গেলেও তারে দেখার আশ মেটে না। যদি দেখা মেলে, যদি পাই তারে - এই আশাতেই চলা!!

     

    শুভেচ্ছা মেজদা। বরাবরের মতন চমৎকার লেখা

    • - নীল সাধু

      জ্বী মেজদা গিয়েছিলাম। সেই তারিখে পাবলিক লাইব্রেরীর কোন মিলনায়তন খালি নেই। সব বুকিং দেয়া  যেহেতু আগে তকেই বুকিং দেয়া আছে তাই আপনাকে আর জ্ব৩য়ালাইনি। আমরা অন্যভাবে ভাবছি এখন। হয়তো কোণ অডিটোরিয়ামে না করে আমরা চাইনিজ বা অন্য কোণ রেস্তোরায় করবো এমন ভাবছি। আপনাকে আপডেট জানাবো। 

      লেখাটির জন্য আবারও ধন্যবাদ জানাই। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা নিরন্তর 

      জয় গুরু! 

    - মেজদা

    ধন্যবাদ নীলদা। এই মাত্র পোস্ট দিলাম আর সাথে সাথে আপনার মন্তব্য---খু--ব ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।

    কাল কি পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়েছিলেন? কাজ কি হয়েছে, নাহলে আমাকে বলবেন। 

    - ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী

    ভাবতে ভাবতে সময় গেল
    সময়ের কি দোষ
    যার জন্য ভাবি আমি
    সে থাকে বেহুশ রে
    কি সুন্দর রঙ্গিলা জীবন রে

    অসাধারন।মেঝদা শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা ।

    নক্ষত্রব্লগে যদি ভবিষ্যৎ এ এমন সুযোগ হয় গান শুধু পড়া নয় সুর সহকারে শুনাও যাবে।সেই অপেক্ষায়।

    • - মেজদা

      আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সুর সহ শুনাইবো। দোয়া করবেন। শুভেচ্ছা রইলো। ধন্যবাদ

    Load more comments...

শেরিফ আল সায়ার

১০ বছর আগে লিখেছেন

মশিউল আলমের “পাকিস্তান”:: ইতিহাস এবং রাজনৈতিক গল্প

সাংবাদিকদের সাহিত্যে থাকে রাষ্ট্র, ইতিহাসের বিশ্লেষণ। সকল সমস্যা কিভাবে শেঁকড় বিস্তার করে সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে ঢুকে যায় তা খুব অসাধারণভাবে একমাত্র সাংবাদিকরাই প্রকাশ করতে পারেন। আর এর প্রমাণ পাই মশিউল আলমের গল্পগ্রন্থ “পাকিস্তান” পড়ার পর। নামটাই সকলের মনের মাঝে প্রশ্ন তৈরী করবে। যখন সারাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে হাউকাউ চলছে ঠিকই এই মুহূর্তে একটি বইয়ের নাম ‘পাকিস্তান!’
এই গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে মোট নয়টি গল্প। প্রতিটি গল্পে উঠে এসেছে রাষ্ট্র, ইতিহাস, রাজনীতি। এছাড়া সাংবাদিকতা জীবনের কয়েকটি অভিজ্ঞতাও তুলে এনেছেন মশিউল আলম। প্রথম গল্প ‘ঘোড়া’। এই গল্পে আছে এক কাল্পনিক ঘোড়ার কথা। সেই শাদা ঘোড়াটির পাখা ছিল। ঘোড়াটিকে গল্পের চরিত্রটি বারবার স্বপ্নে দেখে। ঘোড়াটি দৌড়াতো না। শুধু উড়তো। তবে লেখক খুব আশ্চর্যভাবেই বলেন যে, এই ঘোড়া নাকি তিনি স্ব-চক্ষে দেখার আগেই স্বপ্নে দেখে ফেলেছেন। ঘোড়াটি নিয়ে তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন ইতিহাসের নানা প্রেক্ষাপটে। নানান ঘটনায় পাখাওয়ালা ঘোড়ায় চড়ে বেড়াবে পাঠক। আবার একই ঘোড়া তার সন্তান দেখে। সন্তানও দেখে ঘোড়া উড়ছে। তাই সে তার বাবাকে বলে,
‘ঘোড়া তো পাখি না, ঘোড়ার কেন পাখা থাকবে!’
ছেলের কথায় বাস্তবতা থাকে। ঘোড়াটি উড়ে যাচ্ছিল জাতীয় সংসদ ভবনের উপর দিয়ে। এভাবেই ঘোড়ার গল্প এগোয়। প্লটের প্রতিটি ঘটনায় থাকে শহরের বিভিন্ন অসঙ্গতীর কথা।
তবে গ্রন্থের দ্বিতীয় গল্পটি পাঠককে মুগ্ধ করে তুলবে। গল্পগ্রন্থটির নাম ‘পাকিস্তান’। আর এই গল্পটিই সেই পাকিস্তানকে নিয়ে। গল্পের শুরুটাই হয়েছে পাকিস্তানের প্রতি অসম্ভব ক্ষোভ এবং ঘৃণার মধ্যে দিয়ে। গল্পটির প্রধান চরিত্রের রুমেট হয়ে আসে এক পাকিস্তানী ছেলে ইমতিয়াজ। তার সাথেই শুরু হয় স্নায়ুযুদ্ধ।  কিভাবে তাকে কথা দিয়ে ঘায়েল করা যায় সেই চেষ্টাই চলতে থাকে। যদিও ওপাশ থেকে খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না। বরাবরই সুন্দর ব্যবহার দিয়ে ইমতিয়াজ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - নীল সাধু

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    পিপঁড়া হাতির কাছে তার স্যান্ঠো গ্যাঞ্জি ধার
    চাইছে। শুইনা হাতি অবাক হইয়া, অই আমার
    গেঞ্জী দিয়া তুমি কি করবা?
    পিপড়া: কাল আমার মাইয়ার বিয়া। তাঁবু টানামু. . .

     

    হা হা

    - ঘাস ফুল

     মজা আর মজা। হাসলাম কতক্ষণ। হাসানোটা অতো সহজ কাজ না কিন্তু ইসমাইল।  

    Load more comments...
Load more writings...