Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

তাহমিদুর রহমান

১০ বছর আগে লিখেছেন

সব নদী ঘরে ফেরে

রানা তিনদিন ধরে অসুস্থ বলে অফিস যাওয়া বন্ধ রেখেছে। এই মৌসুমে ভাইরাস জ্বর স্বাভাবিক ঘটনার মধ্যে পড়ে তবে তা শরীরকে অনেক দূর্বল করে দেয়। রানার মুখের স্বাদ চলে গিয়েছে, পানি খেতে তার তিতা তিতা লাগে বলে কিছু সিভিট কিনে এনেছে। কিছুক্ষন পর পর সেটাই মুখে পুড়ে চিবুচ্ছে। যতক্ষন জ্বর ছিল ততক্ষন তা নিয়েই ব্যস্ত ছিল কিন্তু এখন জ্বর নেই বলে ক্লান্তি অনুভব করছে। কয়েকদিন আগে জহির রায়হানের গল্প সমগ্র কিনেছিল, রানা সেটাই খুলে বসে। সূচিপত্র খুলে গল্পের নামগুলো পড়তে থাকে। “পোস্টার” নামটা পছন্দ হয় তার, পৃষ্ঠা নাম্বার দেখে ৮৫ নম্বর পৃষ্ঠা খোলার চেষ্টা করতে থাকে।
“দূর থেকেই দেখলেন আমজাদ সাহেব।... continue reading

১৪ ৪৪৭

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১০ বছর আগে লিখেছেন

মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় এক রাত-০৪ (গল্প)

শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় এক রাত -০৩
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায় -2
মহিলা যাত্রীর বিরম্বনায়
(চতুর্থ পর্ব)
একথা শুনে মহিলা তাড়াতাড়ি উঠার চেষ্টা করে উঠতে পারল না। আমি দুই হাত দিয়ে তার ঘাড়ের পিছনে হাত দিয়ে টেনে উঠালাম। শড়ীর আঁচল দিয়ে ঝাপটা বাড়ি মেরে পিঠ, মাথা, কাধের বালু মুছে দিয়ে বললাম, তাড়াতাড়ি আপনি গায়ের কাপড় ঠিক করে মাথায় আঁচল দিয়ে বসেন। মহিলা আমার কথামত তাই করল। আমি ব্যাগ দু’টা হাতের কাছে নিয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলাম। ভয়ে আমার গাঁ কাঁপা শুরু হয়েছে। এরকম রাতে এই মহিলাকে নিয়ে না জানি কোন বিপদে পরি। ভয়ে আল্লাহ আল্লাহ করতে লাগলাম। শরীর দিয়ে... continue reading

৫৭৯

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

জোছনার ফুল

আকাশে নাকি মস্তবড় একটা চাঁদ উঠেছে। বাক্যটায় সন্দেহ আছে। কারণ অর্ক এখনো আকাশের দিকে তাকায়নি। পূর্ণিমার রাতে সে ইচ্ছে করেই আকাশের দিকে তাকায় না। ওতে নাকি জোছনার মূল মজাটা পাওয়া যায় না। পূর্ণিমার রাতে আকাশে তাকাতে হবে হঠাৎ করে। অনেক্ষন অপেক্ষা করে থাকার পর। তখন এক্সাইটমেন্ট তৈরি হবে বেশি। এটা অর্কের নিজের আবিস্কার। সে গুরুত্বহীন বিষয়গুলো খুব গুরুত্বসহকারে আবিস্কার করে।

পূর্ণিমার রাতে পথে পথে হাঁটতে হয়। সরু কোন ঘুপচি পথে না। একেবারে রাজপথে। প্রশস্ত রাজপথে যখন জোছনা উপচে পরে তখন রাস্তায় ঢেউ খেলে। জোছনা জলের ঢেউ। অর্ক পূর্ণিমার রাতের এই রাজপথের নাম পাল্টে রেখেছে। নাম দিয়েছে, রাজনদী। এই... continue reading

১১ ৪১৮

মিশু মিলন

১০ বছর আগে লিখেছেন

বকুমার ঝুলি

‘কি আর কব লো বুন, মানুষির আক্কেল-পছন্দ দেকলি দুঃখে ঠোঁট কপাটি নাগার উপক্রম অয়। নতুন কর্তা আমাগের দুই জুটিরে কিনে আনে সেই রাত্তিরি থাকপার দিল মুরগীর ঘরে-একপাল মোরগ আর মুরগীর সাথে! ঘরে ঢোকা মাত্তর-ই মুরগীর করকর আর মোরগের কক্ কক্ শব্দে কানের তালা প্রায় নাগে যায় আর কি। তার ওপর মুরগীগুলোর গায়ের বিদঘুটে গন্ধ আর বিষ্ঠার গন্ধে আমার তো দম আটকে আসপার নাগলো। প্যাটের মদ্যি পাক দিয়ে বমি হবার যোগার। আর আমার সঙ্গীর শুরু হলো হাঁচি। সে কি হাঁচি রে বাবা! সহজে কি থামে! মুরগী জাতটাই নোংরা!
যাই হোক দুই চোক্ষে অন্ধকার একটু সয়ে গেলি দ্যাকলাম, ঘরের মদ্যি এই... continue reading

৫৩৭

মামুন ম. আজিজ

১০ বছর আগে লিখেছেন

মোর‌্যাল সিনোপসিস!

মফস্বলের যে এলাকায় বড় হয়েছি সে পাড়াতেই এক পাড়াত ছোট ভাই ছিল, ভীষন অনুরক্ত ছিল আমার। দেখা মাত্রই, শ্যামল দা, শ্যামল দা বলে ভক্তির রসে বাতায়ন সিক্ত করে তুলত। মাঝে মাঝে তার অতি ভক্তি বিরক্তির উদ্রেগ করলেও তাকে যে আমি অপছন্দ করতাম না সে বিষয়ে আমি নিঃসন্দেহাতিত। ছেলেটার মাঝে কিঞ্চিৎ বাউন্ডুলে ভাব ছিল এবং সামান্য লেখালেখিরও প্রচেষ্টা ছিল। আমি তাকে যথাসাধ্য জ্ঞান দান করতাম কারণ সে আমার কাছে তা প্রার্থনাও করত। তারপর আমি বহু কষ্টে মধ্যপ্রাচ্যে একখানা চাকুরী জুটিয়ে যখন পাড়ি দিলাম, বিদায়ের সময় তার  করুণ চেহারাটা  আমার কাছে অম্লান স্মৃতি হিসেবে রয়ে গিয়েছিল। বৈদেশিক ব্যতিব্যস্ততায় প্রথম বছর তিনেক তার... continue reading

৪২৭

নাজনীন পলি

১০ বছর আগে লিখেছেন

নারী হয়ে ওঠা ভ্রূণের গল্প

                               অনুগল্প : নারী হয়ে ওঠা ভ্রূণের গল্প
                                   লেখক : নাজনীন পলি
ভীষণ ক্লান্ত লাগছে । মাঝে মাঝে মনে হয় আর কত , কত দিনই তো  হল এ পৃথিবীর বুক থেকে আলো হাওয়া নিয়ে বেঁচে থাকা ।চলে যাওয়াটা খুব কি কঠিন ? না ; কতোগুলো ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে নিলেই চলে ।এর থেকে শান্তির চলে যাওয়া আর নেই ।ফানের সাথে ওড়না ঝুলিয়ে বিদায় নেয়ার দৃশ্য বহুবার দেখেছি টিভি তে অথবা ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়া ।খবরের কাগজ গুলোর কমন খবর গায়ে আগুন ধরিয়ে গৃহ বধূ হত্যা , স্বামী পলাতক। পৃথিবী কে বিদায় জানাতে এমন কিছু ও করা যায় ।কিন্তু না পৃথিবীর মায়া কিছুতেই ছাড়তে পারি না । এভাবে হেরে যাওয়ার কি মানে হয় ?
আমার যেদিন জন্ম হল সেদিন কারো মুখেই হাসি ছিল না পরপর তিন... continue reading

২১ ৭৫৫

সুমন আহমেদ

১০ বছর আগে লিখেছেন

অসমাপ্ত ভাংতি গল্প -০১

আচমকা পিঠের ওপর রডের বাড়ি পড়তেই ব্যথায় ককিয়ে ওঠে কাশেম! আকস্মিক এই মারে অনেকটা হতভম্ব হয়ে গেছে সে! সামাদ দারোগা পা তুলে লাথি মারতে যাবে ঠিক সে সময়ে পাটা দু’হাতে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলে ওঠে-
স্যার আর মাইরেন না! আর বমু না, এইবারের লাহান মাফ কইরা দেন। পুলা মাইয়া না খাইয়া আছে। এই বেলাডা বেচতে দেন কাইল থাইকা আর আহুম না।
সামাদ দারোগা খেঁকিয়ে বলে এইবেলা বইতে চাইলে চুপচাপ কথা না বাড়াইয়া পঞ্চাশ টাকা পকেটে ভইরা দে।
স্যার এহনও বেচতাম পারি নাই; সন্ধ্যায় যাওনের আগে দিয়া যামু নে, এই বেলার মতো দয়া করেন স্যার।
আইচ্ছা বলে সামাদ... continue reading

১০ ৩৭৪

আহমেদ ইশতিয়াক

১০ বছর আগে লিখেছেন

একটি বিকেল এবং দু'জন

দৃশ্য এক

কোন একটা বাসে উঠল দুজন। বাসে উঠলেই দুজনের ঝগড়া বাঁধে। সবচেয়ে বেশি ঝগড়া হয় সিট নিয়ে। বাসের সিট বিষয়টা ঝগড়া করার জন্যে ভালো।

-তুমি জানালার পাশে বসলা ক্যান? এপাশ দিয়ে লোকজন হাঁটবে। আমার গায়ে লাগবে।
-তাও তো কথা!
-কান্ডজ্ঞান নাই তোমার? শেখোনাই কিছু?
-মাত্র শিখলাম।
-কি?
-জানালার পাশে প্রেমিকাকে বসতে দিলে কাণ্ডজ্ঞান হয়।

দৃশ্য দুই

স্মার্টফোনে গান শুনে আরাম নেই। দ্রুত চার্জ শেষ হয়ে যায়। তবুও একটা হেডফোন থাকতে হয়। প্রেমিক প্রেমিকা একটা হেডফোন ভাগাভাগি করে কানে নিলে কুৎসিত গানও শুনতে ভালো লাগে।

-কি গান এটা!
... continue reading

৪৩৮

ধ্রুব তারা

১০ বছর আগে লিখেছেন

‘সংকাশ’ দ্বিতীয় বর্ষ//দ্বিতীয় সংখ্যা

‘সংকাশ’ দ্বিতীয় বর্ষ//দ্বিতীয় সংখ্যা...,
৮০ পাতার ছোট কাগজটিতে যে সব লেখা থাকছেঃ---
(এই তালিকা মূল বইয়ের ক্রমানুসারে নয়, ছাপানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই তালিকা পরিবর্তন/পরিবর্ধন করার এষতিয়ার সম্পাদনা পরিষদ কর্তৃক সংরক্ষিত)
১. মৃতেরা উঠুক বলে কথা/ আহমেদ সাবের
২. উল্টো ঘুরাই , বলে দাও এখনি বলো/ আহমাদ মুকল
৩. আর্মেনিয়ান আয়না/ মেঘ অদিতি
৪. বিহ্বল সময়টা/শিমন শারমিন
৫. বিবাগী প্রেম/সাইফুল ইসলাম চৌধুরী (সূর্য) 
৬. অসুখগুলো/ রেজওয়ান তানিম 
৭. মায়া ফড়িং/হাসান মসফিক
৮. রোদ্রিতা এভাবে চলে যেতে ইেন , বিনিময় প্রথায় যদি তোমার বিশ্বাস থাকে..../রুদ্র অনির্বাণ
৯. নস্টালজিয়া, ভালবাসায় বিষফোঁড়া/শেখ একেএম জাকারিয়ার
১০. হয়তো আবার, শাড়ীর আঁচল তার পটভূমি/ রোদের ছায়া
১১. একটি কবিতা চাই/ তানি হক 
১২.... continue reading

১৩ ৪৩২

লিপু রহমান

১০ বছর আগে লিখেছেন

গল্প

শিবলী সুহান লিপু'র গল্প
রাগ

বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছিলাম এবার ভালোবাসা দিবসটি কিভাবে কাটাব। দাম্পত্য জীবনের আট বছর হতে চলেছে দিবসটি কাজের ফাঁকে পাতার আড়ালে সূর্যকে দেখার মতো করে চলে গেছে বুঝতে পারিনি। এরই মধ্যে দু’জনার কত পরিবর্তন এসেছে তাও ভালোবাসা আগের জায়গাতে রয়ে গেছে। যে ভালোবাসা আগে প্রকাশ পেতো চিঠিতে, ক্যাম্পাসের কোনো এক নিরিবিলি জায়গাতে, কখনো নদীর পাড়ে শিশু গাছের তলে কখনোবা রিকশাতে করে দূরে কোনো অজানা জায়গাতে। আজ কর্ম জীবনে, সংসার জীবনে সেরকম সময় না পেলেও ডানার প্রতি ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। যদিও আর দশজন নারীর মতো তুমিও আমাকে বলেছ, বিয়ের পর আমি নাকি বদলে... continue reading

৩৬৯