Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

"গল্প" বিভাগের পোস্ট ক্রমানুসারে দেখাচ্ছে

হরি দাস পাল

৯ বছর আগে লিখেছেন

নীলাদ্রি......(প্রতিযোগীতা, ক্যাটাগরি-২)

 
মেয়েটির শিউলী ফুলের মত শুভ্র গালে আর চুমু খাওয়া হয়না শুভংকরের। সপ্ন ভেঙে যায় মাঝ পথেই। আবার নতুন করে ওই এক’ই সপ্ন। সব দ্বিধা কাটিয়ে যখন’ই পাশে বসা মেয়েটির গাল স্পর্শ করতে যাবে ঠিক তখন’ই সপ্ন ফুরিয়ে যায়। এভাবে কতক্ষন চলার পর ঘুম ভাঙে শুভংকর বুঝতে পারে না। আলসেমীতে দেহটা একেবারে অবশ হয়ে আছে। বিছানা, বালিশ, কাথা’ও এলিয়ে পড়ে আছে আদুরে মেয়েটির মত করে। পুরাতন দেয়াল ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে শুভংকর মনে মনে একটু কৌতুক বোধ করলো। ১২টা বাজতে ৫ মিনিট বাকী। জীবনের ১২টা বাজতে কি এখনো ৫মিনিট বাকি আছে? এখনও কি ফেরা যায়?
টিউব লাইটের পাশে দেয়ালের গায়ে কয়েকটা... continue reading

৫৬৫

ফজলে রাব্বি জেমস

৯ বছর আগে লিখেছেন

বলো, ভালো আছো তো?

একবারে হঠাৎ করেই দেখা হয়ে গেল সেজুতির সাথে। এভাবে ওর সাথে দেখা হয়ে যাবে ভাবিনি কখনও। তবে দেখা হবে এমন একটা অপেক্ষায় ঠিকই ছিলাম। তবুও ভীষণ অবাক লাগছে। লাইব্রেরীতে বসা হয় না অনেকদিন। ছাত্রজীবনেই যা একটু আধটু অভ্যেস ছিল। পাবলিক লাইব্রেরীর পাশ দিয়েই যাচ্ছিলাম তাই কি মনে করে ভাবলাম একটু ঢু মেরে যাই। এসে দেখা হয়ে গেল সেজুতির সঙ্গে। কিন্তু সেজুতিই বা এখানে কেন? সে যাই হোক এই পরিবেশে ওকে মানিয়েছে ভাল। চশমা ও আগে থেকেই পড়ত তবে সময়ের ব্যাবধানে তার ফ্রেমের ডিজাইনে পরিবর্তন এসেছে। একসময় ভাবতাম ওকে দেখলে বুঝি চিনতে পারবনা। ভুলে যাবার চেষ্টাগুলোও ছিল সুনিপুন। ট্রাংকের ধুলো... continue reading

৬৬১

দীপঙ্কর বেরা

৯ বছর আগে লিখেছেন

ধন কুবের / দীপঙ্কর বেরা ( প্রতিযোগিতা ২০১৫ ক্যাটাগরি -২)

 
মদ খেয়ে ঠিক এই সময় বাড়ি ফেরে রমেশ । কর্পোরেট সংস্থাগুলো খুব খাটায় একটুও বসতে দেয় না । তারপর গলা ভিজিয়ে নিলে বেশ চাঙা লাগে । পাড় মাতাল তো সে নয় ।
রাত বেশ গভীর । কুকুরের ঘেউ ঘেউ ঠেলে এগিয়ে আসতে আসতে দেখে বিশ্বাসদের বাড়িতে সদর দরজা আধখোলা । টিমটিমে আলো । উঁকি মারে । কে যেন টেবিলে মাথা রেখে শুয়ে আছে ।
পায়ে পায়ে এগিয়ে যায় । বছর দুই তিনের মধ্যে কতবড় বাড়ি । মদ খেয়ে লোকটা পুরো বেহেড । পাশে পলিথিন প্যাকেটে ছড়ানো টাকা । কড়কড়ে হাজার । রমেশ নেড়ে দেখে । অনেক ।... continue reading

৩৯৬

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

এইলোক অন্যলোক (ভৌতিক গল্প)

২য় অংশ... 
এন.এচ.ফরটি থ্রি রাস্তার পাশেই ছিল ক্যাম্প।রাস্তায় গাড়িটাড়ির যাতায়াত কম ছিল।তবু দিনে রাতে বাস ট্রাকের যাওয়া আসা ছিল।বড় নির্জন জাগা।দিনের বেলায় লোক জনের আনাগোনা সাড়া শব্দে মুখর থাকত বটে, রাত আটটার পর সে জাগা আশ্চর্য ভাবে চুপচাপ হয়ে যেত।ক্যাম্পের চারিদিকে জঙ্গল, জঙ্গল আর জঙ্গল।জঙ্গলে সাল, সেগুন, মহুয়া, তেন্দু গাছের সমারোহ। সে সঙ্গে অনেক রকম জন্তু জানোয়ারেরও বাস।বাঘ, ভাল্লুক, বুনো শুয়োর--নিরীহ শ্রেণীর মধ্যে হরিণ, শেয়াল, খরগোশ, সজারু এসব ছিল।দিনে জঙ্গলে বন মুরগির দেখা পাওয়া যেত।
পাশেই ছিল নদী।নদীর নাম ধানচুর, স্থানীয় আদিবাসীদের দেওয়া নাম।পাহাড়ি নদী।খরার সময় শুকিয়ে বালুচর হয়ে থাকত।বর্ষায় ফুলে ফেঁপে বড় নদীর আকার ধারণ করত।এ নদীর ওপর দিয়েই পুল হয়ে বড়... continue reading

৪৯৫

Azimul Haque

৯ বছর আগে লিখেছেন

পরিত্রান

 
মেঘলা আকাশ, গুমোট আবহাওয়া। দেশের রাজনীতিরও অবস্থা গুমোট-ই এবং সহসাই কাটছেনা এই অবস্থা। অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হয়েছে অবরোধ, সারাদেশ জুড়ে জ্বলছে অসংখ্য বাস-ট্রাক-গাড়ী, দুরপাল্লার চলছেনা কোন বাস । সবারই মুখে এক আতংক, কখন যে কী হয়!
আগামী বৃহস্পতিবার রমিজ মিয়া বাড়ী যাবেন। প্রতি সপ্তাহেই যান। বাড়ী তাঁর চাঁদপুর শহরে। ঢাকায় একটা চাকরী করেন কর্মকর্তা পযার্য়ের। কিন্তু অবরোধ কী বৃহস্পতিবারের আগে ভাঙবে, এটাই তাঁর চিন্তা। ঢাকায় ছেলে-মেয়েদের নিয়ে থাকতে পারেননা অভাবের কারনে, যদিও তাঁর পযার্য়ের প্রায় সবাই থাকেন। কিন্তু তিনি তাদের মত নন, অবৈধ কোন কিছু গ্রহন করেননা তিনি, মনে মনে এটাকে ঘৃণা করেন।
রমিজ মিয়ার মেয়েটিই তাকে... continue reading

৪৭১

সোহেল আহমেদ পরান

৯ বছর আগে লিখেছেন

ভার্চুয়াল (প্রতিযোগিতা- ক্যাটগরি-২)

দু’দিন থেকে দীপকে খুঁজে পাচ্ছে না রুনি। এই দু’দিন তার কাছে মনে হচ্ছে অনন্তকাল। ফেসবুকে চোখ তার নিবদ্ধ। খুঁজে ফিরছে সেখানে দীপের উপস্থিতি। কোনো স্টাটাস আপডেট। কোনো ইনবক্স মেসেজ। অথবা নামের পাশে সবুজ চিহ্নটি যা বলে দেবে দীপ আছে অনলাইনে। ফেসবুকে। কিন্তু সবই অসার ঠেকছে। কোনো ট্রেস পাওয়া যাচ্ছে না দীপের। এমনটি হয়নি কখনো।
দু’বছর পেরিয়ে গেছে – দীপ-রুনির পরিচয়। পরিচয় হবার পর কোনোদিন তারা বিচ্ছিন্ন থাকে নি। প্রতিদিন কথা হয়েছে । একজন অন্যজনের স্ট্যাটাসে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করেছে। তবে সবই ফেসবুকে। ফেসবুক মেসেঞ্জারে লাখো কথা হয়েছে তাদের। হয়েছে ভাবের বিনিময়। পরিচয়ের পর সাধারণ ফেসবুক বন্ধু থেকে রুনি আর দীপের... continue reading

১৫ ৩৮৩

মো: মালেক জোমাদ্দার

৯ বছর আগে লিখেছেন

বিরহ যাতনা (প্রতিযোগিতা- ১ম পর্ব,ক্যাটাগরি ২)

বিরহ যাতনা
মোঃ মালেক জোমাদ্দার
সকাল  সাড়ে সাতটা । ক্রিং ক্রিং ফোন বেজে উঠলো আমার মোবাইল ফোনে। হ্যালো বলতেই লাইটি কেটে গেল । কল ব্যাক করতেই  সুরেলা মেয়েলী কণ্ঠে বলেছে –“দুঃখিত আপনার একাউন্টে যতেষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স নেই  দয়া করে  রিসার্চ  করুন” । অধিক রাত জেগে জেগে ইনবক্সে কথা হয়েছিল মুনিরের সাথে । কিন্তু এত সকালে ফোন কেন ? আজ ইচ্ছে ছিল ক্লাসে যাবনা,যাব ওর সাথে দেখা করতে আর ... কিন্তু ফ্লেক্সিলোড করতে সকালেই বাইরে যেতে হবে। বাবাকে বললে রেগে যাবে কারণ তিন দিন পূর্বে তিনশত টাকা লোড করে দিয়েছেন। আজকে আমার আর ওর একটা বিশেষ ঘটনা ঘটবে । সারা রাত... continue reading

৪৬২

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

বয়ঃসন্ধিকালের প্রেম

বানরের যা স্বভাব, টোকা দিয়ে তালে তাল মিলিয়ে চলা। এসব ইতরবাচক প্রাণীর কিছুটা বৈশিষ্ট্য কতক দু’পায়া সেরা প্রাণীদের মধ্যেও বিদ্যমান।  ধ্রুব অবশ্য ব্যতিক্রম। কথাবার্তা-চালচলনে বেশ অমায়িক। পোষাক-পরিচ্ছেদে সবসময় মার্জিত। এককথায় সাবলীল বলতে যা বুঝি, ঠিক তাই।  বয়ঃসন্ধিকাল পেরুনোর সাথে সাথে এক শ্রেণির মেয়েরা প্রেমে পড়ার প্রতিযোগিতার হিরিক বসিয়ে দেয়। যত্রতত্র একের পর এক প্রেমিকের পসরা সাজিয়ে রাখে।    মোহনা ওই কাতারের চোখ জুড়ানো দৃষ্টিনন্দিত একজন। তিনিও ডজনখানেক প্রেমিক তার মোহে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন। তবে ওসব প্রেমিক মোহনার যৌবনে আকৃষ্ট ছিল। তাদের প্রেম প্রকৃত ছিল না। হয়তো মোহনার ওসব বুঝার বয়স ছিল না। নতুবা নাই মামার চেয়ে পিড়িতের প্রেতও ভালো সেদিক বিবেচনা... continue reading

৭৪৭

মামুন

৯ বছর আগে লিখেছেন

ভালোলাগা থেকে হয় ভালোবাসা (প্রতিযোগিতা-ক্যাটাগরি-২)

আটই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ইং।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শহীদ মিনারের সিঁড়িতে মেয়েটি বসে আছে।
একা এবং কিছুটা উত্তেজিত!
কিছুক্ষণের ভিতরেই সে আসবে। সবার মত আজ কি সে ওকে প্রপোজ করবে?
আজ না প্রপোজ করার দিন!!!
যদি না করে?
দূর থেকে বাইকের শব্দে আকৃষ্ট হয়ে মুনা সেদিকে তাকালো।
হ্যা!
সোহেলই তো!!
এক ঝলক অতিরিক্ত রক্ত মুনার হৃদয় থেকে সারা শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে ওকে রাঙিয়ে দিল।
বাইক একেবারে সিঁড়ির গোড়ায় এসে দাঁড়ায়। লাল গোলাপ হাতে সোহেল ধীরে ধীরে সিড়ি বেয়ে উঠে আসছে। আজ কেন জানি মুনার কাছে ওকে খুব ম্যানলি লাগছে। আশেপাশে কয়েকটি জুটি হাতে হাত রেখে বসেছিল। সোহেলকে এগিয়ে আসতে দেখে যে যার মতো কেটে পড়ল। সে... continue reading

৪৪৩

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে লিখেছেন

এইলোক অন্যলোক (ভৌতিক গল্প)

অমরেশ রায়কে আমি চিনি।দণ্ডকারণ্য প্রজেক্টের মালকানগিরি এরিয়ার হাইস্কুলের এসিস্টেন্ট হেড মাস্টার ছিলেন।পটেরু জাগা উড়িষ্যার কোরাপুট জেলার মালকানগিরি তহশিলের অন্তর্গত ছিল।আর স্কুলের নামও জাগার  নাম হিসাবে পটেরু হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল ছিল । যেহেতু আমিও ছিলাম ওই একি স্কুলের শিক্ষক, তাই অমরেশকে চিনব এটাই ছিল স্বাভাবিক।
অমরেশ চেহারায় ছিলেন লম্বা, পরিষ্কার, সার্ফ ব্রেনের অধিকারী। বিজ্ঞান ও অঙ্কের শিক্ষক।
তাঁকে যে শুধু চিনতাম তাই নয়, ভালো ভাব ছিল আমার সঙ্গে।
এই স্কুলে আমি ও আমার স্ত্রী ছিলাম পুরনো টিচার।অমরেশ বাবু আমাদের আসার তিন বছর পর অন্য কোন হাই স্কুল থেকে স্থানান্তরণ হয়ে এখানে আসেন।ভদ্রলোক ফ্যামিলি নিয়ে আসেন নি।ভালভাবে শিক্ষা দেবার জন্যে ছেলে মেয়েদের স্ত্রীর সঙ্গে... continue reading

৪৫৪