Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দীপঙ্কর বেরা

৬ বছর আগে লিখেছেন

চলাফেরা

এঁকে বেঁকে চলাটাই চলার গতি
তাতেই ইঁদুর দৌড়ের সম্মতি
ভেতরে ভেতরে কিছু পূর্ণ চাঁদ
পুকুরের জল ধরে রাখা বাঁধ।
মাটির ভেতরে ক্ষয় রোগের
হিসেব বলছে ওসব তো পরের
তারপর ভেঙে পড়া একদিন
সামনে দাঁড়িয়ে বাজায় বীন।
বলার পরেও ভাবনা ভাবি
লুকিয়ে রাখি লুকানো চাবি
তারপর খুলতে গিয়ে সাফল্য
আঁকাবাঁকা ধরে নেয় মূল্য।
দূরে দেখা যায় কত কি চিত্র
দেখেই, নিজেকে ভাবি বিচিত্র
অধরা সেইসব ধরেও হারাই
সোজা চলা বারবার ভুলে যাই। continue reading
Likes Comments
০ Shares

দীপঙ্কর বেরা

৭ বছর আগে লিখেছেন

নদী নির্জন

 
কষ্টের তুল্য নদীর তীরে দাঁড়িয়েছিল
বাঁধ বেঁধে সুখের চাঁদ
ডুব সাঁতারে ভাসিয়ে দিয়েছি,
 মায়ের শাড়ি শীত শীত আঁচল ছিল
সুবাসের পূর্বায়ন দিক বদলে
দূর পাহারায় সংসার আঁকত।
এসব এখন আর পাহাড় শোনে না
হেমন্তের পূর্ণিমাতে তার ঘরেও বৃষ্টির ছোঁয়া লাগত
প্রতি রাতে উদাস দুপুরের নির্জন গল্প চলত।
বড় হওয়া পারাপার
 নদী বরাবর বয়ে যেতে চায়।
continue reading
Likes Comments
০ Shares

দীপঙ্কর বেরা

৭ বছর আগে লিখেছেন

বাঁচার সূত্র

 
যতটুকু পারা যায় রোদে শুকিয়ে নিলে
চকচকে ত্বকে মানুষ ফুটে উঠবে,
গোলাপ হাতে কাঁটার আঁচড়
চিনতে পারা ব্যথায়
মেরুদণ্ড সোজা হবে ,
পথ চলতে পায়ে ফোসকা
হাত বাড়িয়ে বেইমান খপ্পরে
তাপ উত্তাপ পরস্পরের জীবন অপলাপ ;
ঝড়ের মুখে দাঁড়ালেই
নতুন মানবিক স্বাদে ভরে উঠবে
বুক সমুদ্রের লোনা
উথাল পাথালেই জীবনের তরী
তরতরিয়ে এগিয়ে যাবে ।
বাঁচার প্রাকৃতিক আমাকে রোজ বাঁচায় ।       
-০-০-০-
continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মৌনতা

    অপেক্ষার কি দরকার আছে আর? মৌনতা এসে গেল দাদা!!! 

    • - প্রলয় সাহা

      আমি তো আপনাকে চিনলাম না। 

    • Load more relies...
    - আলমগীর সরকার লিটন

    সুন্দর লাগল দাদা

     

    - দীপঙ্কর বেরা

    খুব ভাল লেগেছে। 

    • - মৌনতা

      লেখার মান সুন্দর। একাধিক ভোট দেয়ার সুযোগ নেই। থাকলে অবশ্যই অধিক ভোট দিতাম অধিক সুন্দর লেখার জন্য।

দীপঙ্কর বেরা

৮ বছর আগে লিখেছেন

যা দেখছি তারই কিছু অভিজ্ঞতায় ( (সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতা ২০১৬ ৪র্থ পর্ব ক্যাটাগরি ৩ অভিজ্ঞতা)

(১) 
যেখানেই গিয়েছি আমি কখনও পরাজিত হই নি । কেন না কেউ ফিরিয়ে দিলে আমি সেই ফেরানো মুখ থেকে সহজেই সরে আসি । 
কখনই দেখে নেব – এ মনোভাব আমার মধ্যে কাজ করে না । আমাকে তার ভাল নাও লাগতে পারে তাই বলে তাকে দেখানোর মত করে তার ভাল লাগা আমি হতে চাই নি । আমি সব সময় চেষ্টা করি যেটা ঠিক তার সাথে থাকার । তাতে হয়তো আমি নিজেও সফল হতে পারি নি।  এখন কোনটা ঠিক তাও ভাবা দরকার । 
আমারটাই যে ঠিক হবে তারও তো মানে নেই । তবুও নিজের মনে যেটা ঠিক তাকেই সায় দিয়ে চলতে থাকি । তাতে দেখা যায় আমার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আবার আমার দিকে মুখ করে দাঁড়ায় । 
সেই জয় অবশ্য অনেকটা পথের সীমানায় দেখা যায় আবার দেখা যায় না । আমাকে যে ঠকাচ্ছে বা পরাজয় এনে দিচ্ছে সে যে আরো বেশি পরাজিত সেই ভেবে জয় পাই বলে মনে হয় । সবাই নিজেকে কেবল এই পরাজয়ের ভাবনায় ডুবিয়ে রেখে ক্ষমতার নির্যাস তৈরি করে, আর অপরকে ধ্বংস করতে কেবল অস্ত্র তুলে নেয় । ফলে চারিদিকে বিশৃঙ্খলা । 
কি চায় কেন চায় আর ঠিক কি চায় নিজেও জানে না । সবাই জয় চায় । শুধু জয় । 
আর আমি পরাজয় মেনে নিয়েই এগিয়ে চলি । এতেও কোথাও না কোথাও আমার জয় হয়তো এসে যেতেও পারে অথবা এসে যায়। 
নাও যদি হয় থাকিই না পরাজয়ের দলে অথবা কেবল কর্মী সেনানী হয়ে । শুধু কাজ করে যাই । নিজের মনে যা সঠিক মনে হয় । ভাল হবে ভেবেই তো করছি । 
হোক ভাল । সে জয় অথবা পরাজয় । 
        -০-০-০- 
  (২) 
পেছনে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - তামান্না তাবাসসুম

    বাহ্ 

    - মুদ্রা

    ধন্যবাদ :)

দীপঙ্কর বেরা

৮ বছর আগে লিখেছেন

ভাষা ভাবনায় (সৃজনশীল ব্লগিং প্রতিযোগিতা ২০১৬ ৪র্থ পর্ব ক্যাটাগরি ৩ প্রবন্ধ)

 
 
নিজের একেবারে চেনা জায়গা থেকে বাইরে বেরুতেই হয়। কর্মসূত্রে অথবা ভ্রমণে। দু পাঁচ বছর অথবা দু চার দিন। বাইরে বেরোতেই হয়। তাতে শুধু নিজের মাতৃভাষা আঁকড়ে ধরে থাকলে চলবে না। যেখানেই যাই না কেন, সেখানকার আদব কায়দা যেমন জেনে নিতে হয়, তেমনি সেখানকার ভাষাও বুঝে নিতে হয়। তা না হলে মানিয়ে নিতে খুব অসুবিধা হয়। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের এখানে কেউ এলে তাকেও কিছুটা হলেও ভাঙা ভাঙা আমাদের ভাষা ও আদব কায়দা শিখতেই হবে।
অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তা হয় না। আমরাই বাইরে বেরিয়ে হয়তো কোন অসুবিধায় পড়তে পারি কিংবা কোন কাজ নাও পেতে পারি ভেবেই অনেক আগে থেকে নিজেরা, এমন কি ছোটদেরও তাতে জড়িয়ে দিয়ে নিজের মাতৃভাষাকে প্রায় পুরোপুরি ত্যাগ করে অন্য ভাষাতেই ঝাঁপিয়ে পড়ছি। যারা আমাদের এখানে আসে আমরা বাঙালীরা তাদের মত হয়ে যাই। তাদের ভাষা ও আদব কায়দা শেখার চেষ্টা করি। কিছুতেই আমাদেরটা বলতেই চাই না। ভাবতে থাকি, এ কি আর বলার মত! পাছে অনেকে না গেঁয়ো ব্যাকডেটেড বলে বসে। আমাদেরও যে অনেক ভাল আছে তা তুলে ধরিই না বা তুলে ধরার চেষ্টাই করি না।
ভাষা কেবল বলা আর পড়া কিংবা লেখা নয়, ভাব প্রকাশ ও নিজেকে মেলে ধরার অন্যতম রাস্তাও বটে। যেখানে জন্ম, যেখানে বড় হয়ে ওঠা, সেখানের সার্বিক অবস্থান জানতে হলে, সেখানকার মানুষের সাথে মিশে মনুষ্যত্ব বিকাশে জন্য নিজের ভাষা জানা খুব দরকার। সেখানকার নিজস্ব ভাষাতে চর্চায় জ্ঞানের পুষ্টি লাভ হয়। না হলে ফাঁক থেকে যাবে। এই ফাঁক মানুষ হিসেবে মনুষ্যত্বের অন্তরায় হবেই হবে।
ভিত শক্ত থাকলে অন্য অনেক কিছুই সহজে রপ্ত করা যায়। কোন বিষয়ে সম্যকভাবে ভাবে ভাবনায়, জীবনের ইতিহাস ও আগামী সঠিক ভাবে বুঝে নিতে হলে... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (0)

  • - মাসুম বাদল

    দারুন

Load more writings...