Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

কালো মেঘ

ভেবেছি সোনালী দিন জীবনে আসবে,
দু’খের আঁধার কেটে সুখ ধরা দিবে॥
লিপি বলেছিল, দেখো- তুমি সুখি হবে,
প্রতিভা আছে তোমার, দু’খ কেটে যাবে॥
বললাম, তা কিভাবে? তুমি পাশে রবে?
হ্যাঁগোহ্যাঁ এগিয়ে যাও মরণেও পাবে॥
মনোবল যায় বেড়ে, বুকে বাধে বাসা,
ছুটে যাই ঢাকা যেথা থাকে বন্ধু রাশা॥
বন্ধু রাশা দিলো কাজ, করি নিজ মনে,
একদা লিপির চিঠি; দেয় পোস্টম্যানে॥
পরমাসে বিয়ে তার, দিলো দাওয়াত,
সুখি কি হয়েছি আমি? ভাবি সারারাত॥
আজ আমার দু’হাতে টাকা আর টাকা,
সোনালী দিন তথাপি কালো মেঘে ঢাকা॥ continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (2)

  • - নাসরিন ইসলাম

    emoticons

    - টোকাই

    emoticons

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

রাজনীতি এখন পরম সম্পদের বিষফোঁড়া

৫জানুয়ারির আগের সরকার আর বর্তমান সরকার আমার দৃষ্টিতে দেশ খারাপ চালাচ্ছিল না, চালাচ্ছেও না। এদের আগের সরকারগুলোও দেশ খারাপ চালায়নি। কেননা আমিসহ আমার কাছের জনেরা যেমন ছিল তেমনি আছে। উত্থান-পতন কেবল রাজনীতিবিদদেরই হয়েছে। ওসব তাদের ব্যক্তিগত বদগুণের ফল। বর্তমানে দেশে অশুভ রাজনৈতিক চর্চা চলছে। বিএনপি সমাবেশ ডেকেছে। তাতে সমস্যা কি? এটা রাজনৈতিক কর্মসূচি। সেই সমাবেশকে অগণতান্ত্রিকভাবে বাধা দিয়ে সরকারই তাদেরকে অবরোধের পর্যায়ে যেতে বাধ্য করেছে, বলাযায় সূচনাও করেছে। এরূপ পরিস্থিতিতি নিজেরাও পড়লে ঠিক তাই করতেন। দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ না হলেও রাজনৈতিক কিছু সিদ্ধান্তে সরকার ব্যর্থ।
আমরা বঙ্গবন্ধুকে পছন্দ করি, বিএনপিকে পছন্দ করি, শিবিরের কিছু কর্মির আচার-ব্যবহার, ন¤্রতা পছন্দ করি, এরশাদ সরকারের অনেক কাজ মনে রাখার মতো এবং উন্নয়নমূলক। এসব পছন্দ দুষের কি? গণতান্ত্রিক চর্চা বলতে আমি বুঝি, যখন যে ভালো তখন সে-ই আমার প্রিয়। মতিয়া চৌধুরী, তোফায়েল আহমেদ, এড আবুল কালাম, বদরুদ্দোজা চৌধুরী, প্রকৌশলী মঈন খান, রওশন এরশাদ, সাঈদীকে আমার ভালো লাগে। এসব তাদের কিছু গুণের জন্য, কিছু দোষ থাকতেই পারে। তবে ভালো লাগার হার দিনদিন কমে যাচ্ছে। এর কারণ রাজনীতির যথাযথ চর্চা না করা।
বর্তমানে দেশের যেই পরিস্থিতি, মাদক-যৌতুক আর ক্যান্সারের চেয়েও ভয়াবহ ব্যধি হলো রাজনীতি। কোন্ কথা বলে, কোন দলের প্যাদিন খাই? সেই আতংকে নীরব দর্শক হয়ে থাকি। যতটুকু লিখলাম, নক্ষত্র ব্লগের প্রতিযোগি হতেই লিখলাম। দেশে কি সোনালী দিন আর ফিরবে না?  ছেলেরা জানতে চায়, বাবা কবে বাড়ি ফিরবে?  আমি বললাম, যেদিন বেঁচে ফেরার নিশ্চয়তা পাবো! একথা শুনে ওরা আমাকে যুতসই প্রতিউত্তর দিয়েছে। ওদের কথায় বুঝলাম, ওরাও রাজনীতির চলমান সংজ্ঞা বুঝে গেছে। এই বুঝটুকু রাজনীতিবিদদের হলেই দেশে সোনালী দিন ফিরবে। সেই আমায় রইলাম। এছাড়া আর করার কি আছে?
... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (4)

  • - রুদ্র আমিন

    বরেণ্য এই চিত্রশিল্পীর আত্মার শান্তি কামনা করছি।

    - আলমগীর সরকার লিটন

    গভীর শ্রদ্ধা--------

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

বয়ঃসন্ধিকালের প্রেম

বানরের যা স্বভাব, টোকা দিয়ে তালে তাল মিলিয়ে চলা। এসব ইতরবাচক প্রাণীর কিছুটা বৈশিষ্ট্য কতক দু’পায়া সেরা প্রাণীদের মধ্যেও বিদ্যমান।  ধ্রুব অবশ্য ব্যতিক্রম। কথাবার্তা-চালচলনে বেশ অমায়িক। পোষাক-পরিচ্ছেদে সবসময় মার্জিত। এককথায় সাবলীল বলতে যা বুঝি, ঠিক তাই।  বয়ঃসন্ধিকাল পেরুনোর সাথে সাথে এক শ্রেণির মেয়েরা প্রেমে পড়ার প্রতিযোগিতার হিরিক বসিয়ে দেয়। যত্রতত্র একের পর এক প্রেমিকের পসরা সাজিয়ে রাখে।    মোহনা ওই কাতারের চোখ জুড়ানো দৃষ্টিনন্দিত একজন। তিনিও ডজনখানেক প্রেমিক তার মোহে আবদ্ধ করে রেখেছিলেন। তবে ওসব প্রেমিক মোহনার যৌবনে আকৃষ্ট ছিল। তাদের প্রেম প্রকৃত ছিল না। হয়তো মোহনার ওসব বুঝার বয়স ছিল না। নতুবা নাই মামার চেয়ে পিড়িতের প্রেতও ভালো সেদিক বিবেচনা করে মোহনা তাদের আবদ্ধ করে রেখেছিলেন।  কিন্তু ধ্রুব ছিলেন মোহনার অনন্য আকর্ষন। মোহনা নিজেই ধ্রুবর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রেমের সমূদ্রে হাবুডুবু খেতে থাকেন।   মোহনার বাঁকা দৃষ্টি আর অঙ্গভঙ্গি দেখে ধ্রুব বুঝতেন পারেন, মোহনা তার প্রতি দুর্বল। তিনি কালবিলম্ব না করে মোহনাকে নিজের প্রেমের জালে জড়িয়ে নেন।  চিঠি দেয়ানেয়া, বিদ্যালয়ে যাবার পথে দাঁড়িয়ে থেকে চোখে চোখ রেখে ইশারায় কথা বলা, ফুলের পাপড়ি ছিটাছিটি সব মিলিয়ে প্রেমের পালকিতে হুনহুনা করতে করতে ধ্রুবর বেকার সময়টা ভালোই কাটছিল। তবে কখনো হাতে হাত রেখে মনের কথাগুলো বলতে পারেননি। অজপাড়াগাঁয়ে ওই সুযোগটা পাওয়া যায় না বললেই চলে।  মাস চারেক এভাবে তাদের প্রেম চলতে থাকে।    আত্মীয়-স্বজনরা টের না পেলেও পাড়ার বাঁদর ছেলেদের চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি ওরা। চার মাসের মধ্যে প্রতিবেশিরাও কিছুটা আঁচ করতে পারে। আঁচ করাটাই স্বাভাবিক ছিল। ধ্রুব এতোটাই উন্মাদনা করতেন, যখন-তখন মোহনার বাড়ির পাশে ঘোরাঘুরি করতেন।    সেদিনও ধ্রুব মোহনার বাড়ির পাশে পায়চারি করছিলেন। হঠাৎ হট্টগোল লেগে যায় মোহনা বমি করছে আর কেমন যেন করছে।  ... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - রুদ্র আমিন

    চমৎকার লিখেছেন দাদা।

    - এই মেঘ এই রোদ্দুর

    ভাল লাগল

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

সাফারি পার্কের বাঘ

গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। এপার্কে বাঘ-সিংহ, পশু-পাখি মুক্ত অবস্থায় অবাধে বিচরণ করে। মানুষ সম্প্রদায় গাড়ির খাঁচায় বন্দী হয়ে ঘুরপাক খেয়ে নানা প্রজাতির জীব-জন্তু, পশু-পাখি দেখে চিওবিনোদন করেন। কখনো প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্যের আড়ালে, কখনোবা সামনে এদের দেখা মেলে। এতে চোখ-মন দুটোই জুড়ায়।
এক রাতে মুক্ত একদল বাঘ পাহারাদারদের ফাঁকি দিয়ে চুপিসারে পার্কের সীমানা প্রাচীরের বাইরে চলে আসে। সবুজে ঘেরা ভাওয়ালের ঐতিহ্য গজারী অরণ্যের ফাঁকে পাকা ধানক্ষেতে অবস্থান নেয় তারা। অর্ধেক ক্ষেত জুড়ে ধান আর অর্ধেক মাড়াই করা। মাড়াইকৃত খড় স্তূপ করে সাজানো ছিল ক্ষেতের অর্ধাংশের মাঝখানে। বাঘদলের আত্মরক্ষার জন্য চমকপ্রদ জায়গা। তারা অবস্থান নেয় খড়ের স্তূপের চারপাশে। 
স্তূপের উপরে একদল বানর রাত্রি যাপন করছিল। বাঘের উপস্থিতি টের পেয়ে ভয়ে বানরদল চেঁচিয়ে উঠে। বানরের চেঁচামেচি শব্দ শুনে খড়ের নিচে লুকিয়ে থাকা দুটো সাপ বেরিয়ে আসে। সাপ দেখে বাঘেরা দৌড়ে গজারি বনে অবস্থান নেয়।
বানরেরা ভাবে তাদের ভয়ে বাঘেরা পালিয়েছে। এতে বাননেরা তাদের বিজয় মনে করে বিজয়ের আনন্দে উল্লাসে মেতে উঠে। বেশি উচ্ছ্বাসিত হয়ে এক দুষ্ট বানর খড়ের স্তূপে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রজ্বলিত আগুনে চারিদিক আলোকিত হয়ে উঠে। সেই আলো বাঘদের উপরেও পড়ে।
সজাগ হয়ে যায় পাহারাদার। দেখে ফেলেন বাঘদেরকে। গর্জে ওঠেন বাঘদের আটক করতে। নিজেদেরকে অক্ষত রেখে জীবিত অবস্থায় বাঘ আটকানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না। নিরাশ হয়ে বাঘদেরকেও লোকালয়ে ছেড়ে দেয়া শুভ লক্ষণ নয়। বাধ্য হয়ে চালিয়ে দেন ‘পয়েন্ট থ্রি নট থ্রি রাইফেল’ দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি। তুমুল গোলাগুলির শব্দে জেগে ওঠেন গোটা এলাকাবাসী। তারা ভাবেন ডাকাত দল হামলা করেছে। তারা পাহারাদারদের ডাকাত ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ছিনিয়ে নেন তাদের অস্ত্র। তারপর গণধোলাই।
এসুযোগে বাঘেরা পালিয়ে যান নিরাপদ আশ্রয়ে।... continue reading
Likes Comments
০ Shares

বিন আরফান.

৯ বছর আগে লিখেছেন

নষ্টপ্রেম

আমি কখনো চাইনি এমনটা হোক। ওটা আমি চাইতেও পারি না। আমি ওকে অনেক ভালবাসতাম। তারপরেও অপরাধটি আমি না করে পারলামই না। এছাড়া কি আর করতাম? ও আমার জীবনটা তিলে তিলে নষ্ট করে ফেলছিল। ওকে নিয়ে সবসময় আতংকে থাকতাম। ও এতোটাই ঘাড়ে চেপে বসেছিল, নিজে থেকে আমাকে মুক্তি দিচ্ছিল না। আমিও পারছিলাম না।    ওর প্রতি ভাললাগা আর ভালবাসা দেখে সমাজের অনেকেই আমাকে ঘৃণাভরা দৃষ্টিতে দেখতো। তাদের চাহুনী দেখে মনে হতো পঁচা জীব-জন্তু দেখছে ওরা। অনেকে নাকে রুমাল চেপে শকুনের মতো দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। থুথুও ফেলতো কেহ কেহ।  এতোসবের পর আমার আর কী করার ছিল? তাও তেমনটা করতাম না। এতোটা নিষ্ঠুরও আমি হতে পারতাম না, যদিনা পত্র-পত্রিকা আর টিভি চ্যানেলগুলোতে ওর সম্বন্ধে নানাভাবে নাক ছিটকানোমূলক প্রচারণা না দেখতাম।    নিয়তি আমার সহায় ছিল না। তাই হয়তো ওর সাথে আমার পরিচয়। আগে থেকে চেনা-জানা থাকলেও কলেজ ক্যান্টিনে ওকে প্রথম আপন করে নিই। আমার প্রতি ওর আকাঙ্ক্ষাটাই বেশি ছিল। ভাবটা এমন দেখিয়েছিল যেন আমার জন্য ওর জন্ম। ক্যান্টিনের পর থেকে ও আমার পিছু ছাড়ে না।    প্রথম প্রথম উন্মুক্ত মেলামেশায় সংকোচবোধ করলেও ধীরে ধীরে আমাদের মুখোশ উন্মোচন হয়ে যায়। একসময় আমি ওর প্রতি এতোটাই আকৃষ্ট হয়ে যাই যে, লাজ-সরমের মাথা খেয়ে যেখানে সেখানে ওকে ভালবাসার পরশ বুলাতাম। সরম ভাঙ্গবেনাইবে কেন? ওকে যখন চুম্বন দিতাম আমার কলিজা পর্যন্ত টের পেত। একেবারে ছেদ করে ওঠতো। মনে হতো এর চেয়ে শান্তির অনুভূতি আর কিছুতেই হতে পারে না। আমার বেহায়াপনা আর উন্মুক্ত মেলামেশা দেখে ছোটরাও ওর প্রতি দুর্বল হতে শুরু করে। আমার অগোচরে স্নেহভাজনরাও একটু-আধটু শূরশূরি দিত। ও নিজে থেকেও  ছোটদের কাছে পেতে সঙ্গ দিত।    এটা আমি কিছুতেই... continue reading
Likes Comments
০ Shares

Comments (1)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    নূর দাদা

    অনেক শুভেচ্ছা-----

Load more writings...